alt

উপ-সম্পাদকীয়

রম্যগদ্য : থামব কবে কাইজ্জা-ফ্যাসাদ

জাঁ-নেসার ওসমান

: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

থামব না ভাই থামব না, কাইজ্জা ফ্যাসাদ থামব না! কিন্তু কাইজ্জা ফ্যাসাদ থামব না, তা বললে তো হবে না ভাই। দেশের শান্তির জন্য কাইজ্জা-ফ্যাসাদ থামাতেই হবে। আপনে যতই জিগির করেন, শান্তি চাই ভাই শান্তি চাই, কিন্তু আমি কই কী, থামব না ভাই থামব না, কাইজ্জা-ফ্যাসাদ থামব না! দেশের শান্তির মা মারা গেছে! ওম্মা! তোগো পরধান না, শান্তিতে নোবেল প্রাইজ পাইছে, তয় তোগো দেশে শান্তি নাই ক্যান? তয় কিয়ের নোবেল পাইলি? আরে এইডা তো গ্রামীণ ফোনরে টেলেনর করার শান্তি প্রাইজ, এইডা সত্যিকারের শান্তি প্রইজ না। নাইলে মিয়া অর্থনীতিবিদরে কেউ শান্তি প্রাইজ দেয়! আন্নেরে হাগলে মুঠোহোন মাইরছেনি কোনো? এই দ্যেখ, তুই শান্তি প্রাইজ নিয়েও কাইজ্জা-ফ্যাসাদ করছিস।

উনি ২০০৬ সালে, নরওয়ের, অসলোতে, রোববার শান্তিতে নোবেল প্রাইজ পেলেন আর তুই বলছিস, গ্রামীণ ফোনকে টেলেনর করার নোবেল পুরস্কার, এই শান্তি প্রাইজ নিয়েও তুই অশান্তি করছিস! আরে ভাই আমি কোনো অশান্তি করছি না, আমি শুধু সত্য কথাটা, তুলে ধরছি। আমি বলছি দেশে চটকরে শান্তি আসবে না। কাইজ্জা-ফ্যাসাদ লেগেই থাকবে। কেন তোর দেশ তো মুসলিমপ্রধান দেশ, আর ইসলাম তো শান্তির ধর্ম। তা হলে তোর দেশে শান্তি আসবে না ক্যান? ক্যান? ক্যান? শান্তি আসবে না, কারণ ইসলাম যতই শান্তির ধর্ম হোক আমাদের ইতিহাস বলে ভারতবর্ষের এই ভূখ-ে অশান্তি সর্বদা বিরাজমান। মানে কী এই ভূখ- জন্ম থেকেই জ্বলছে? তা নয়তো কী? প্রথমে আপনারা কী করলেন, হিন্দু-মুসলমান ফাইট কইরা ভারত ভাইঙা বানাইলেন, হিন্দুস্তান-পাকিস্তান। এটা তো ইতিহাস, দ্বিজাতি তত্ত্বে জন্ম নিল হিন্দুস্তান ও পাকিস্তান। কিন্তু এই দ্বিজাতি তত্ত্ব করতে গিয়ে হিন্দু-মুসলমান রায়টে প্রায় পনেরো লক্ষ লোক আপনার অশান্তির ঠেলায় প্রাণ বিসর্জন দিল! সে তো ইতিহাসরে ভাই, সে’কথা এখন বলে ফায়দা কী? গতস্য শোচনা নাস্তি! গতস্য শোচনা নাস্তি, কিন্তু তখন আপনারা শান্তিতে থাকার জন্য হিন্দু ও মুসলমান রাষ্ট্র বানালেন। শান্তির ধর্ম ইসলাম নিয়ে আপনারা শান্তিতে বসবাসের জন্য পশ্চিম-পাকিস্তান, পূর্ব-পাকিস্তান বানালেন। তারপর ক’দিন না যেতেই, বাঙালি মুসলমান আর অবাঙালি মুসলমান মারামারি শুরু করলেন, তো শান্তির ধর্ম ইসলামের উম্মতরা নিজেরা নিজেরা কাইজ্জা-ফ্যাসাদে জড়ায়া পড়ল। তো ভাই মুসলমান হয়াও তো শান্তি পাইলেন না! ভাই ১৯৭১-এর, মুক্তিযুদ্ধতো ইতিহাস সে কথা আবার টেনে লাভ কী? গতস্য শোচনা নাস্তি। গতস্য শোচনা নাস্তি বললে তো চলবে না! আপনারা ১৯৭১’এ, মুসলমান হয়ে কত লক্ষ মুসলমান মারলেন? একবারও কি আপনাদের লজ্জা হয় না যে মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই হয়ে নিজেরা নিজেরা খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়লেন! তো শান্তির মা গেল কই? বর্তমানে কী শুরু করলেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি। এই বলে আবার নিজেরা নিজেরা খুনোখুনি করছেন! সত্যি সেলুকাস কী বিচিত্র এই দেশ! এই নাকি দুনিয়ার বাঙালি এক হও! এই আপনার বাঙালিদের এক হওয়ার নমুনা! বাস্তবে যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি বিরাজ করে তো তা বলতে পারব না? বাস্তব সত্য তো নিশ্চয় বলবেন, কিন্তু কথা হচ্ছিল, কাইজ্জা-ফ্যাসাদ থামব কবে? আপনার ইসলামপন্থিদের একদল তিন-চারশ বছরের পুরোনো মাজার ভাঙছেন, আরেকদল মাজার রক্ষার কথা বলছে। ফলে লাগছে মারামারি, তো শান্তি কোথায়! যে দেশের সম্মানিত ব্যাক্তি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সে দেশেই এত অশান্তি!

সূর্য পূর্বদিকে ওঠে এটা যেমন বাস্তবসত্য ঠিক তেমনি বাংলাদেশেও কাইজ্জা-ফ্যাসাদ থামব না, এটাও তেমনি বাস্তব সত্য! আপনাকে আমি আর কত উদাহরণ দিব, আনসারের বিদ্রোহ, গ্রাম পুলিশের গ্রাম্যতা, বাটার জুতোর সেলসম্যানদের আহাজারি, ডাক্তারদের নিরাপত্তার জন্য হাহাকার, সবজির দামের গরমে নি¤œবিত্ত, নি¤œমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের গুমরে গুমরে কান্নার গমক, পদঅবহেলিত সরকারি কর্মচারীর কলম বিরতি, যৌনকর্মীর নায্য পাওনা মেটানোর জন্য সুনাগরিকের কাছে কা কস্য পরিবেদনা, আর কতো বলব বলুন? বলুন? বলুন? ঢাকা কলেজ ও আদর্শ কলেজের মাঝে প্রায়শই মারামারি ফাটাফাটি লেগেই আছে, তাহলে দেশের কাইজ্জা ফ্যাসাদ আপনি কীভাবে থামাবেন? এর মাঝে আবার গোদের উপর বিষফোঁড়া, দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দলের মাঝে সতীনের সম্পর্ক। আমি কোই যাই মানে আমরা সাধারণ দেশবাসী কই যামু? কার কাছে বেদনা জানামু! আচ্ছা এই যে তোরা সব বাংলা মায়ের সন্তান হয়েও নিজেরা নিজেরা হানাহানি মারামারিতে জড়িয়ে পড়িস তোর কি একটুও খারাপ লাগে না? তোর মনে কি একটুও ব্যথা লাগে না? আপনাকে কী বলব ভাই সত্যি করে যদি বলি তাহলে গানের ভাষায় বলতে হয়, “যদি জানতে চাও তুমি এ ব্যথা আমার কতো প্রিয়? তবে বন্দী করা কোনো পাখির কাছে জেনে নিও...” বিশ্বাস করেন, এ’সমাজটায় বেঁচে থাকতে কেমন দম বন্ধ হয়ে আসে। সমাজের উঁচুতলার লোকগুলো যেন নি¤œতলার চেয়েও নি¤েœ বিরাজ করে। জানেন এই দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর পুলিশি চাঁদা বন্ধ হওয়াতে কত হাজার কোটি টাকা যে বেঁচে গ্যেছে তা ক্যালকুলেটার দিয়েও বোঝান যাবে না। তাই একটু আশার আলো দেখি। জানেন মাঝে মাঝে বড় সাধ জাগে, মনে হয়, সব ভেদাভেদ ভুলে, আমরা আবার সব বাঙালি এক হব পঁচিশে মার্চের রাত্রির মতো।

[লেখক : চলচ্চিত্রকার ]

মানুষের পর কারা হবে বিশ্বজয়ী

স্বাস্থ্য খাতে ফার্মাসিস্টদের অবদান

টেকসই রাষ্ট্রীয় সংস্কারে শিক্ষা ব্যবস্থার অব্যাহত বিনির্মাণের বিকল্প নাই

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সামাজিক অর্থায়নের ভূমিকা

বিশ্ব নরসুন্দর দিবস

মধু পূর্ণিমা ও প্রাসঙ্গিক কথা

‘মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়ন জলে ভাসি’

ছয়টি কমিশন গঠিত হলো কিন্তু শিক্ষা কোথায়?

বৃষ্টি হলেই নগরে জলাবদ্ধতা

‘মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়ন জলে ভাসি’

শিক্ষাব্যবস্থার বিনির্মাণে শিক্ষা প্রশাসনের পুনর্গঠন ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা

বন্যা পরবর্তী রোগবালাই

প্রসঙ্গ : জাতীয় সংগীত

পানির ব্যবহার, পানির রাজনীতি

রবীন্দ্র ভাবনায় কৃষি এবং আজকের প্রেক্ষাপট

শিক্ষা ব্যবস্থার বিনির্মাণে শিক্ষা প্রশাসনের পুনর্গঠন ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা

‘আবার তোরা মানুষ হ’

ভোজ্যতেল সংকট মেটাতে পাম চাষের গুরুত্ব

গোপনে ধারণকৃত ভিডিও ও ছবি দিয়ে প্রতারণা

হুন্ডি কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

আকস্মিক বন্যা প্রতিরোধ ও প্রস্তুতির কৌশল

পতিতাবৃত্তি কি অপরাধ?

বন্যা-পরবর্তী কৃষকের সুরক্ষা করণীয়

নদী সংস্কার : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

নিজের চরকায় তেল দেবার নাম দেশপ্রেম

রম্যগদ্য : ডাক্তারি যখন আইসিইউতে

ডায়াবেটিস ও মুখের স্বাস্থ্য

বাঙালির ইলিশচর্চা

এসডিজি অর্জনে চ্যালেঞ্জ হতে পারে কুষ্ঠ রোগ

প্রসঙ্গ : পরিসংখ্যানের তথ্য বিকৃতি

বোরো ধান বিষয়ে কিছু সতর্কতা এবং সার ব্যবস্থাপনা

বন্যার জন্য ভারত কতটুকু দায়ী

গ্রাফিতিতে আদিবাসীদের বঞ্চনার চিত্র

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা

পুলিশের সংস্কার হোক জনগণের কল্যাণে

জলবায়ু পরিবর্তন ও আমাদের মনস্তত্ত্ব

tab

উপ-সম্পাদকীয়

রম্যগদ্য : থামব কবে কাইজ্জা-ফ্যাসাদ

জাঁ-নেসার ওসমান

শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

থামব না ভাই থামব না, কাইজ্জা ফ্যাসাদ থামব না! কিন্তু কাইজ্জা ফ্যাসাদ থামব না, তা বললে তো হবে না ভাই। দেশের শান্তির জন্য কাইজ্জা-ফ্যাসাদ থামাতেই হবে। আপনে যতই জিগির করেন, শান্তি চাই ভাই শান্তি চাই, কিন্তু আমি কই কী, থামব না ভাই থামব না, কাইজ্জা-ফ্যাসাদ থামব না! দেশের শান্তির মা মারা গেছে! ওম্মা! তোগো পরধান না, শান্তিতে নোবেল প্রাইজ পাইছে, তয় তোগো দেশে শান্তি নাই ক্যান? তয় কিয়ের নোবেল পাইলি? আরে এইডা তো গ্রামীণ ফোনরে টেলেনর করার শান্তি প্রাইজ, এইডা সত্যিকারের শান্তি প্রইজ না। নাইলে মিয়া অর্থনীতিবিদরে কেউ শান্তি প্রাইজ দেয়! আন্নেরে হাগলে মুঠোহোন মাইরছেনি কোনো? এই দ্যেখ, তুই শান্তি প্রাইজ নিয়েও কাইজ্জা-ফ্যাসাদ করছিস।

উনি ২০০৬ সালে, নরওয়ের, অসলোতে, রোববার শান্তিতে নোবেল প্রাইজ পেলেন আর তুই বলছিস, গ্রামীণ ফোনকে টেলেনর করার নোবেল পুরস্কার, এই শান্তি প্রাইজ নিয়েও তুই অশান্তি করছিস! আরে ভাই আমি কোনো অশান্তি করছি না, আমি শুধু সত্য কথাটা, তুলে ধরছি। আমি বলছি দেশে চটকরে শান্তি আসবে না। কাইজ্জা-ফ্যাসাদ লেগেই থাকবে। কেন তোর দেশ তো মুসলিমপ্রধান দেশ, আর ইসলাম তো শান্তির ধর্ম। তা হলে তোর দেশে শান্তি আসবে না ক্যান? ক্যান? ক্যান? শান্তি আসবে না, কারণ ইসলাম যতই শান্তির ধর্ম হোক আমাদের ইতিহাস বলে ভারতবর্ষের এই ভূখ-ে অশান্তি সর্বদা বিরাজমান। মানে কী এই ভূখ- জন্ম থেকেই জ্বলছে? তা নয়তো কী? প্রথমে আপনারা কী করলেন, হিন্দু-মুসলমান ফাইট কইরা ভারত ভাইঙা বানাইলেন, হিন্দুস্তান-পাকিস্তান। এটা তো ইতিহাস, দ্বিজাতি তত্ত্বে জন্ম নিল হিন্দুস্তান ও পাকিস্তান। কিন্তু এই দ্বিজাতি তত্ত্ব করতে গিয়ে হিন্দু-মুসলমান রায়টে প্রায় পনেরো লক্ষ লোক আপনার অশান্তির ঠেলায় প্রাণ বিসর্জন দিল! সে তো ইতিহাসরে ভাই, সে’কথা এখন বলে ফায়দা কী? গতস্য শোচনা নাস্তি! গতস্য শোচনা নাস্তি, কিন্তু তখন আপনারা শান্তিতে থাকার জন্য হিন্দু ও মুসলমান রাষ্ট্র বানালেন। শান্তির ধর্ম ইসলাম নিয়ে আপনারা শান্তিতে বসবাসের জন্য পশ্চিম-পাকিস্তান, পূর্ব-পাকিস্তান বানালেন। তারপর ক’দিন না যেতেই, বাঙালি মুসলমান আর অবাঙালি মুসলমান মারামারি শুরু করলেন, তো শান্তির ধর্ম ইসলামের উম্মতরা নিজেরা নিজেরা কাইজ্জা-ফ্যাসাদে জড়ায়া পড়ল। তো ভাই মুসলমান হয়াও তো শান্তি পাইলেন না! ভাই ১৯৭১-এর, মুক্তিযুদ্ধতো ইতিহাস সে কথা আবার টেনে লাভ কী? গতস্য শোচনা নাস্তি। গতস্য শোচনা নাস্তি বললে তো চলবে না! আপনারা ১৯৭১’এ, মুসলমান হয়ে কত লক্ষ মুসলমান মারলেন? একবারও কি আপনাদের লজ্জা হয় না যে মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই হয়ে নিজেরা নিজেরা খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়লেন! তো শান্তির মা গেল কই? বর্তমানে কী শুরু করলেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি। এই বলে আবার নিজেরা নিজেরা খুনোখুনি করছেন! সত্যি সেলুকাস কী বিচিত্র এই দেশ! এই নাকি দুনিয়ার বাঙালি এক হও! এই আপনার বাঙালিদের এক হওয়ার নমুনা! বাস্তবে যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি বিরাজ করে তো তা বলতে পারব না? বাস্তব সত্য তো নিশ্চয় বলবেন, কিন্তু কথা হচ্ছিল, কাইজ্জা-ফ্যাসাদ থামব কবে? আপনার ইসলামপন্থিদের একদল তিন-চারশ বছরের পুরোনো মাজার ভাঙছেন, আরেকদল মাজার রক্ষার কথা বলছে। ফলে লাগছে মারামারি, তো শান্তি কোথায়! যে দেশের সম্মানিত ব্যাক্তি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সে দেশেই এত অশান্তি!

সূর্য পূর্বদিকে ওঠে এটা যেমন বাস্তবসত্য ঠিক তেমনি বাংলাদেশেও কাইজ্জা-ফ্যাসাদ থামব না, এটাও তেমনি বাস্তব সত্য! আপনাকে আমি আর কত উদাহরণ দিব, আনসারের বিদ্রোহ, গ্রাম পুলিশের গ্রাম্যতা, বাটার জুতোর সেলসম্যানদের আহাজারি, ডাক্তারদের নিরাপত্তার জন্য হাহাকার, সবজির দামের গরমে নি¤œবিত্ত, নি¤œমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের গুমরে গুমরে কান্নার গমক, পদঅবহেলিত সরকারি কর্মচারীর কলম বিরতি, যৌনকর্মীর নায্য পাওনা মেটানোর জন্য সুনাগরিকের কাছে কা কস্য পরিবেদনা, আর কতো বলব বলুন? বলুন? বলুন? ঢাকা কলেজ ও আদর্শ কলেজের মাঝে প্রায়শই মারামারি ফাটাফাটি লেগেই আছে, তাহলে দেশের কাইজ্জা ফ্যাসাদ আপনি কীভাবে থামাবেন? এর মাঝে আবার গোদের উপর বিষফোঁড়া, দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দলের মাঝে সতীনের সম্পর্ক। আমি কোই যাই মানে আমরা সাধারণ দেশবাসী কই যামু? কার কাছে বেদনা জানামু! আচ্ছা এই যে তোরা সব বাংলা মায়ের সন্তান হয়েও নিজেরা নিজেরা হানাহানি মারামারিতে জড়িয়ে পড়িস তোর কি একটুও খারাপ লাগে না? তোর মনে কি একটুও ব্যথা লাগে না? আপনাকে কী বলব ভাই সত্যি করে যদি বলি তাহলে গানের ভাষায় বলতে হয়, “যদি জানতে চাও তুমি এ ব্যথা আমার কতো প্রিয়? তবে বন্দী করা কোনো পাখির কাছে জেনে নিও...” বিশ্বাস করেন, এ’সমাজটায় বেঁচে থাকতে কেমন দম বন্ধ হয়ে আসে। সমাজের উঁচুতলার লোকগুলো যেন নি¤œতলার চেয়েও নি¤েœ বিরাজ করে। জানেন এই দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর পুলিশি চাঁদা বন্ধ হওয়াতে কত হাজার কোটি টাকা যে বেঁচে গ্যেছে তা ক্যালকুলেটার দিয়েও বোঝান যাবে না। তাই একটু আশার আলো দেখি। জানেন মাঝে মাঝে বড় সাধ জাগে, মনে হয়, সব ভেদাভেদ ভুলে, আমরা আবার সব বাঙালি এক হব পঁচিশে মার্চের রাত্রির মতো।

[লেখক : চলচ্চিত্রকার ]

back to top