alt

উপ-সম্পাদকীয়

বিশ্ব নরসুন্দর দিবস

বাবুল রবিদাস

: বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আমরা ছোটবেলা হতে দেখে আসছি আগের দিনে প্রতি বাড়ি বাড়ি কিংবা প্রতি পাড়ায় পাড়ায় কিংবা প্রতিগ্রামে গ্রামে এক শ্রেণীর লোক তার একটি ব্যাগ নিয়ে ক্ষুর, কাঁচি দিয়ে মানুষের মাথায় চুল কেটে দিতো। তার ঐ ব্যাগের মধ্যে থাকতো ধারালো অস্ত্র, যার নাম ক্ষুর। আগের দিনে ব্লেডের ব্যবহার ছিলনা। এই ক্ষৌর কারদের নাম ছিল নাপিত। এরা মানুষের চুল, দাড়ি, গোফ, ইত্যাদি সুন্দর করে কেটে ছেটে দিতো, ফলে নর এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতো বলেই নাপিতকে নরসুন্দর কারিগর বলা হয়। এদের ব্যাগের মধ্যে একটা পাতলা শ্লেট জাতীয় জিনিস থাকতো। তাতে পানি দিয়ে ক্ষুর ঘর্ষন করে ধারালো করে নিতো।

গত সোমবার ছিল “বিশ্ব নরসুন্দর দিবস”। নাপিত শব্দের একটি সামর্থক শব্দ হচ্ছে নরসুন্দর, বারবার, হাজাম, ক্ষৌরকার ইত্যাদি। হাজাম ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এই পেশার সঙ্গে বেশি যুক্ত ছিলো। আগে নাপিতদের চিহ্নিত করে বলা হত ‘শীল’। যেমন- দিনাজপুর-১ আসনের প্রাক্তন এম,পি’র নাম-মনোরঞ্জন শীল ছিল। ‘শীল’ পদবি একটি অমর্যাদাকর পদবি। পেশার জন্য চিহ্নিত করা মোটেই কাম্য নয়। বরং পরিত্যাজ্য বটে। আধুনিক যুগে এ পেশায় নারী-পুরুষ উভয়ে জড়িত। এখন অবশ্য সব জাতি বা ধর্মের মানুষেই কাজটি করছেন। একটি প্রবাদে বলা হয়-নারী বা পুরুষ কিসে আটকায়। বিচার বিশ্লেষণে দেখা যায় প্রকৃতপক্ষে পুরুষের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির কারণে নাপিতের কাছে আটকায়। ছেলে, পুরুষ, বৃদ্ধ, চুল, দাড়ির সৌন্দর্য্যরে ব্যাপারে নরসুন্দরের উপরই নির্ভর করে থাকে।

একজন নরসুন্দর দলিত জাতির হলেও তিনি বিশেষ কিছু গুণের অধিকারী। রাজা, প্রজা, উচু, নিচু, ধনি, গরিবের তিনি বন্ধু। বর্তমান সমাজে পুলিশ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ডিসি, উকিল, জজ, ম্যাজিস্ট্রেট সবার মাঝে নাপিত বিশ্বাসযোগ্য মানুষ বটে। কারণ তার তীক্ষ্ম ধারালো ক্ষুরের নিচে নিজের মাথাটা দিয়ে চুপ করে থাকতে হয়। নাপিতেরা চুল কাটার সময় সবাই ব্যক্তির কান স্পর্শ করে ও ধরে। তাই অনেকে বলে থাকেন নাপিত রাজারও কান ধরেন। অতএব, নাপিতের যে সাহস হয় অন্যকোন পেশার মানুষের সে সাহস হয় না। নাপিতের কাছে শত শত মানুষ চুল ছাটেন, দাড়ি কামান ইত্যাদি। যে কোন ব্যক্তি চেহারা ও মুখ মন্ডল দেখে কোন স্টাইলের চুল কাটা প্রয়োজন তা বুঝে নেন। সে মতে নাপিত বা নরসুন্দর চুল কাটিয়ে কলপ দিয়ে বা দাড়ি কামিয়ে অধিকতর মানুষকে সুদর্শন করে তোলেন। তবে বিভিন্ন নাপিতের অঙ্গ ভঙ্গি, দৃষ্টিকোন, বাচনভঙ্গি আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তারা যেভাবে আকর্ষনীয় গল্প বলে থাকেন। মক্কেলেরা দীর্ঘক্ষণ সেলুনের ঘরে বসে থাকলেও খদ্দেরের মন বিরক্ত হয় না। একারণে বলা হয়- “নাপিতং ধুরতং”। আমরা গোপাল ভাড় কাহিনী পড়েছি। রাজ্যসভায় রাজা যখন মন খারাপ করে বসে থাকতো, তখন গোপাল ভাড় এমন চাতুর্যপূর্ণ কথা শোনাতো, রাজা তৎক্ষনাৎ হেসে উঠতো। গোপাল ভার ছিলেন একজন নাপিত। তবে কথিত আছে যে, নাপিতেরা ইতোপূর্বে অপারেশন করতো। পরবর্তীতে আইন করে অপারেশনের একাজ করা থেকে বারিত করা হয়েছে। চুল, দাড়ি গোঁফ কাটা বা ছাটার বা ক্ষৌরকর্মের ইতিহাস কিন্তু অনেক পুরোনো। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরে “নাপিত” পেশার উদ্ভব হয়। আগে নাপিতদের কাজ ছিল আরও বিস্তৃত। যেমন-নখ কাটা, দাঁত তোলা, ফোড়া, অপারেশন করা, ক্ষতস্থান ড্রেসিং করা ও ছোটখাটো অস্ত্রোপচার পর্যন্ত। নাপিতেরা যে কাঁচি ব্যবহৃত করে খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে প্রাচীন মিসরের প্রথম কাঁচি। এধারণার প্রমাণ হিসাবে মেমোপটোসিরাতে পাওয়া একটি পুরনো কাঁচি পেশ করেন প্রতœতাত্ত্বিকরা। কার্বন টেস্টের মাধ্যমে জানা যায় যে, কাঁচিটি তৈরি হয়েছিল তিন থেকে চার হাজার বছর আগে। এ কাঁচিকে বলা হয় স্প্রিং সিজার বা বসন্ত কাঁচি। এখনকার মতো লোহার পাতকে কাঁচির ফলা হিসাবে ব্যবহার না করে তারা ব্রোঞ্জের দুটি ব্লেড ব্যবহার করেছিলো। সে সময় সমাজে তাদের পরিচিত ছিল বার্বার সার্জন। বাংলায় বলা হতো শল্যবিদ। ভারতীয় উপমহাদেশে নাপিতের গুরুত্ব এতই বেশি যে, নাপিতদের অনুপস্থিতিতে কোন কাজ শুভ বা শুদ্ধ হয় না। জন্ম মৃত্যুতে এমনকি বিবাহের মতো অনুষ্ঠানেও নাপিতের উপস্থিতি একান্ত আবশ্যক। ছোট বাচ্চারা ভয়ে নাপিতের কাছে বসতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন সবাইর অবগত আছে।

নরসুন্দর পেশা এখন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, প্রভৃতি জাতির লোকেরা অবলম্বন করা শুরু করেছে। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে কোন মতে বেঁচে আছে। অনেকে এ পেশা ছেড়ে চলেও যাচ্ছে। গ্রামের নাপিতদের অবস্থা অনেক খারাপ। শহরে যারা আছে তারাও বর্তমান দূর্মূল্যের বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেছনা। ইতিপূর্বে করোনা কালীন পরিস্থিতিতে তাদের পেশা বন্ধ ছিলো। সার্বিক অবস্থা বিচার বিশ্লেষণে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ “বিশ্ব নরসুন্দর দিবস” তাদের অবস্থা ও পরিবারের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে বলে প্রত্যাশা করছি।

অ্যাডভোকেট বাবুল রবিদাস

জজ কোর্ট, জয়পুরহাট।

মানুষের পর কারা হবে বিশ্বজয়ী

স্বাস্থ্য খাতে ফার্মাসিস্টদের অবদান

টেকসই রাষ্ট্রীয় সংস্কারে শিক্ষা ব্যবস্থার অব্যাহত বিনির্মাণের বিকল্প নাই

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সামাজিক অর্থায়নের ভূমিকা

মধু পূর্ণিমা ও প্রাসঙ্গিক কথা

‘মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়ন জলে ভাসি’

ছয়টি কমিশন গঠিত হলো কিন্তু শিক্ষা কোথায়?

বৃষ্টি হলেই নগরে জলাবদ্ধতা

‘মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়ন জলে ভাসি’

শিক্ষাব্যবস্থার বিনির্মাণে শিক্ষা প্রশাসনের পুনর্গঠন ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা

বন্যা পরবর্তী রোগবালাই

রম্যগদ্য : থামব কবে কাইজ্জা-ফ্যাসাদ

প্রসঙ্গ : জাতীয় সংগীত

পানির ব্যবহার, পানির রাজনীতি

রবীন্দ্র ভাবনায় কৃষি এবং আজকের প্রেক্ষাপট

শিক্ষা ব্যবস্থার বিনির্মাণে শিক্ষা প্রশাসনের পুনর্গঠন ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা

‘আবার তোরা মানুষ হ’

ভোজ্যতেল সংকট মেটাতে পাম চাষের গুরুত্ব

গোপনে ধারণকৃত ভিডিও ও ছবি দিয়ে প্রতারণা

হুন্ডি কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

আকস্মিক বন্যা প্রতিরোধ ও প্রস্তুতির কৌশল

পতিতাবৃত্তি কি অপরাধ?

বন্যা-পরবর্তী কৃষকের সুরক্ষা করণীয়

নদী সংস্কার : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

নিজের চরকায় তেল দেবার নাম দেশপ্রেম

রম্যগদ্য : ডাক্তারি যখন আইসিইউতে

ডায়াবেটিস ও মুখের স্বাস্থ্য

বাঙালির ইলিশচর্চা

এসডিজি অর্জনে চ্যালেঞ্জ হতে পারে কুষ্ঠ রোগ

প্রসঙ্গ : পরিসংখ্যানের তথ্য বিকৃতি

বোরো ধান বিষয়ে কিছু সতর্কতা এবং সার ব্যবস্থাপনা

বন্যার জন্য ভারত কতটুকু দায়ী

গ্রাফিতিতে আদিবাসীদের বঞ্চনার চিত্র

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা

পুলিশের সংস্কার হোক জনগণের কল্যাণে

জলবায়ু পরিবর্তন ও আমাদের মনস্তত্ত্ব

tab

উপ-সম্পাদকীয়

বিশ্ব নরসুন্দর দিবস

বাবুল রবিদাস

বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আমরা ছোটবেলা হতে দেখে আসছি আগের দিনে প্রতি বাড়ি বাড়ি কিংবা প্রতি পাড়ায় পাড়ায় কিংবা প্রতিগ্রামে গ্রামে এক শ্রেণীর লোক তার একটি ব্যাগ নিয়ে ক্ষুর, কাঁচি দিয়ে মানুষের মাথায় চুল কেটে দিতো। তার ঐ ব্যাগের মধ্যে থাকতো ধারালো অস্ত্র, যার নাম ক্ষুর। আগের দিনে ব্লেডের ব্যবহার ছিলনা। এই ক্ষৌর কারদের নাম ছিল নাপিত। এরা মানুষের চুল, দাড়ি, গোফ, ইত্যাদি সুন্দর করে কেটে ছেটে দিতো, ফলে নর এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতো বলেই নাপিতকে নরসুন্দর কারিগর বলা হয়। এদের ব্যাগের মধ্যে একটা পাতলা শ্লেট জাতীয় জিনিস থাকতো। তাতে পানি দিয়ে ক্ষুর ঘর্ষন করে ধারালো করে নিতো।

গত সোমবার ছিল “বিশ্ব নরসুন্দর দিবস”। নাপিত শব্দের একটি সামর্থক শব্দ হচ্ছে নরসুন্দর, বারবার, হাজাম, ক্ষৌরকার ইত্যাদি। হাজাম ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এই পেশার সঙ্গে বেশি যুক্ত ছিলো। আগে নাপিতদের চিহ্নিত করে বলা হত ‘শীল’। যেমন- দিনাজপুর-১ আসনের প্রাক্তন এম,পি’র নাম-মনোরঞ্জন শীল ছিল। ‘শীল’ পদবি একটি অমর্যাদাকর পদবি। পেশার জন্য চিহ্নিত করা মোটেই কাম্য নয়। বরং পরিত্যাজ্য বটে। আধুনিক যুগে এ পেশায় নারী-পুরুষ উভয়ে জড়িত। এখন অবশ্য সব জাতি বা ধর্মের মানুষেই কাজটি করছেন। একটি প্রবাদে বলা হয়-নারী বা পুরুষ কিসে আটকায়। বিচার বিশ্লেষণে দেখা যায় প্রকৃতপক্ষে পুরুষের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির কারণে নাপিতের কাছে আটকায়। ছেলে, পুরুষ, বৃদ্ধ, চুল, দাড়ির সৌন্দর্য্যরে ব্যাপারে নরসুন্দরের উপরই নির্ভর করে থাকে।

একজন নরসুন্দর দলিত জাতির হলেও তিনি বিশেষ কিছু গুণের অধিকারী। রাজা, প্রজা, উচু, নিচু, ধনি, গরিবের তিনি বন্ধু। বর্তমান সমাজে পুলিশ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ডিসি, উকিল, জজ, ম্যাজিস্ট্রেট সবার মাঝে নাপিত বিশ্বাসযোগ্য মানুষ বটে। কারণ তার তীক্ষ্ম ধারালো ক্ষুরের নিচে নিজের মাথাটা দিয়ে চুপ করে থাকতে হয়। নাপিতেরা চুল কাটার সময় সবাই ব্যক্তির কান স্পর্শ করে ও ধরে। তাই অনেকে বলে থাকেন নাপিত রাজারও কান ধরেন। অতএব, নাপিতের যে সাহস হয় অন্যকোন পেশার মানুষের সে সাহস হয় না। নাপিতের কাছে শত শত মানুষ চুল ছাটেন, দাড়ি কামান ইত্যাদি। যে কোন ব্যক্তি চেহারা ও মুখ মন্ডল দেখে কোন স্টাইলের চুল কাটা প্রয়োজন তা বুঝে নেন। সে মতে নাপিত বা নরসুন্দর চুল কাটিয়ে কলপ দিয়ে বা দাড়ি কামিয়ে অধিকতর মানুষকে সুদর্শন করে তোলেন। তবে বিভিন্ন নাপিতের অঙ্গ ভঙ্গি, দৃষ্টিকোন, বাচনভঙ্গি আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তারা যেভাবে আকর্ষনীয় গল্প বলে থাকেন। মক্কেলেরা দীর্ঘক্ষণ সেলুনের ঘরে বসে থাকলেও খদ্দেরের মন বিরক্ত হয় না। একারণে বলা হয়- “নাপিতং ধুরতং”। আমরা গোপাল ভাড় কাহিনী পড়েছি। রাজ্যসভায় রাজা যখন মন খারাপ করে বসে থাকতো, তখন গোপাল ভাড় এমন চাতুর্যপূর্ণ কথা শোনাতো, রাজা তৎক্ষনাৎ হেসে উঠতো। গোপাল ভার ছিলেন একজন নাপিত। তবে কথিত আছে যে, নাপিতেরা ইতোপূর্বে অপারেশন করতো। পরবর্তীতে আইন করে অপারেশনের একাজ করা থেকে বারিত করা হয়েছে। চুল, দাড়ি গোঁফ কাটা বা ছাটার বা ক্ষৌরকর্মের ইতিহাস কিন্তু অনেক পুরোনো। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরে “নাপিত” পেশার উদ্ভব হয়। আগে নাপিতদের কাজ ছিল আরও বিস্তৃত। যেমন-নখ কাটা, দাঁত তোলা, ফোড়া, অপারেশন করা, ক্ষতস্থান ড্রেসিং করা ও ছোটখাটো অস্ত্রোপচার পর্যন্ত। নাপিতেরা যে কাঁচি ব্যবহৃত করে খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে প্রাচীন মিসরের প্রথম কাঁচি। এধারণার প্রমাণ হিসাবে মেমোপটোসিরাতে পাওয়া একটি পুরনো কাঁচি পেশ করেন প্রতœতাত্ত্বিকরা। কার্বন টেস্টের মাধ্যমে জানা যায় যে, কাঁচিটি তৈরি হয়েছিল তিন থেকে চার হাজার বছর আগে। এ কাঁচিকে বলা হয় স্প্রিং সিজার বা বসন্ত কাঁচি। এখনকার মতো লোহার পাতকে কাঁচির ফলা হিসাবে ব্যবহার না করে তারা ব্রোঞ্জের দুটি ব্লেড ব্যবহার করেছিলো। সে সময় সমাজে তাদের পরিচিত ছিল বার্বার সার্জন। বাংলায় বলা হতো শল্যবিদ। ভারতীয় উপমহাদেশে নাপিতের গুরুত্ব এতই বেশি যে, নাপিতদের অনুপস্থিতিতে কোন কাজ শুভ বা শুদ্ধ হয় না। জন্ম মৃত্যুতে এমনকি বিবাহের মতো অনুষ্ঠানেও নাপিতের উপস্থিতি একান্ত আবশ্যক। ছোট বাচ্চারা ভয়ে নাপিতের কাছে বসতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন সবাইর অবগত আছে।

নরসুন্দর পেশা এখন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, প্রভৃতি জাতির লোকেরা অবলম্বন করা শুরু করেছে। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে কোন মতে বেঁচে আছে। অনেকে এ পেশা ছেড়ে চলেও যাচ্ছে। গ্রামের নাপিতদের অবস্থা অনেক খারাপ। শহরে যারা আছে তারাও বর্তমান দূর্মূল্যের বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেছনা। ইতিপূর্বে করোনা কালীন পরিস্থিতিতে তাদের পেশা বন্ধ ছিলো। সার্বিক অবস্থা বিচার বিশ্লেষণে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ “বিশ্ব নরসুন্দর দিবস” তাদের অবস্থা ও পরিবারের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে বলে প্রত্যাশা করছি।

অ্যাডভোকেট বাবুল রবিদাস

জজ কোর্ট, জয়পুরহাট।

back to top