alt

উপ-সম্পাদকীয়

টেকসই রাষ্ট্রীয় সংস্কারে শিক্ষা ব্যবস্থার অব্যাহত বিনির্মাণের বিকল্প নাই

মাহরুফ চৌধুরী

: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও তার কাঠামো সংস্কাররে জন্য পরর্বিততি পরস্থিতিতিে দশেরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি যে বষিয়টি নয়িে অর্র্ন্তর্বতীকালীন সরকাররে র্সবাগ্রে ভাবার কথা সটো হলো শক্ষিা। মৌলকি মানবকি চাহদিাগুলোর সারতিে চর্তুথ অবস্থানে থাকলওে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ঢলেে সাজাতে শক্ষিার প্রাধান্যটা অনস্বীর্কায।

বলা হয়ে থাক,ে শক্ষিাই জাতরি মরেুদ-। তাই শক্ষিাকে শক্ত ভতিরে উপর গড়ে তোলা না গলেে একটি রাষ্ট্ররে নাগরকিরো বশ্বিরে দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয় না। অপরদকিে ধারাবাহকি সামাজকি অবক্ষয়রে কারণে আমাদরে পুরো শক্ষিা ব্যবস্থায় দখো দয়িছেে গভীর ক্ষতরে নানা উপর্সগ। সসেব আমাদরে কারোরই অজানা নয়। তাই বলতইে হয়, ‘র্সবাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দবে কোথা’। র্দীঘদনি ধরে আমরা সসেব ক্ষত বয়ে চলছেি নানা কায়দায় ইচ্ছা কংিবা অনচ্ছিায়। প্রকৃতপক্ষে একদকিে শাসকরে স্বচ্ছোরতিার সুবধিাবাদ অন্যদকিে শোষতিরে ঐক্যরে অভাব ও সংঘবদ্ধভাবে প্রতরিোধরে অক্ষমতা এসব অনাচাররে জন্য দায়ী। সাম্প্রতকি পরর্বিততি পরস্থিতিে খোলস থকেে সসেব ক্ষত বরেয়িে পড়ছেে নানাভাবে ব্যাপক মাত্রায়।

শক্ষিাক্ষত্রেে নানা বষৈম্যরে রূপকার অনকে রথী-মহারথী আত্মগোপন করছেনে। বাংলাদশেে ইতহিাসে এই প্রথমবাররে মতো একটা দুটো নয়, অনকেগুলো বশ্বিবদ্যিালয়রে ভসিসিহ শক্ষিা প্রশাসনরে বশে কছিু র্ঊধ্বতন পদাধকিারী পদত্যাগ করছেনে। বশ্বিবদ্যিালয়রে নানা গুরুত্বর্পূণ পদে অধষ্ঠিতি অনকেইে পদত্যাগ করছেনে, আবার অনকেে হয়ছেনে নরিুদ্দশে। শক্ষিা প্রশাসনে দখো দয়িছেে কূণ্যতা। যদওি অর্র্ন্তবতীকালীন সরকার দ্রুততার সাথে শূন্য পদগুলো পূরণ করার চষ্টো করে যাচ্ছ,ে তবুও বশিৃঙ্খল অবস্থা থকেে আমাদরে শক্ষিা প্রতষ্ঠিানগুলো এখন স্বাভাবকি অবস্থায় ফরিে আসতে পারনে।ি এ অবস্থায় দশেরে প্রয়োজনে এখন র্সবস্তররে সাধারণ শক্ষিাসবেকদরেকইে এগয়িে আসতে হবে আর নানা পন্থায় ব্যথা উপসম করে শক্ষিা ব্যবস্থার ক্ষতগুলোকে সারয়িে তুলতে হব।ে

পরর্বিততি পরস্থিতিতিে শত সীমাবদ্ধতা ও প্রতবিন্ধকতার মাঝওে আমরা খুবই আশাবাদী যে অনকে প্রাণরে আত্মত্যাগরে মাধ্যমে আমাদরে দ্বারপ্রান্তে এমন একটা সুযোগ এসছেে আলোর পথে ভালোর দকিে যাবার যটো হয়ত সহসা আর আসবে না। শক্ষিা সংস্কাররে জন্য যদি আমরা এখনই সবাই মলিে যার যার জায়গা থকেে কাজ না কর,ি কংিবা কাজ করতে একত্রতি হতে চষ্টো না কর,ি তবে তার জন্যে নব প্রজন্মরে নতুন শশিুর কাছে সুকান্ত ভট্টার্চাযরে যে অঙ্গীকার ছলি, তা র্পূণ করা হবে না। তনিি ‘ছাড়পত্র’ কবতিায় দৃপ্ত কন্ঠে বলছেলিনে, চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দহেে আছে প্রাণ/ প্রাণপণে পৃথবিীর সরাব জঞ্জাল,/ এ বশ্বিকে এ শশিুর বাসযোগ্য করে যাব আম-ি/ নবজাতকরে কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

আমরা যারা ভালোবসেে শক্ষিা নয়িে কাজ করছ,ি তাদরে অনকেইে নজিদেরে পরচিয় দয়িে থাকি শক্ষিাসবেক হসিবে।ে র্বতমানে আমরা যারা এখন বভিন্নি জায়গায় কাজ করছ,ি আগামী প্রজন্মরে কাছে আমাদরেও সুকান্ত ভট্টার্চাযরে সইে একই অঙ্গীকার। তাই আমাদরে উচতি হবে র্সবাত্মক শক্তি নয়িোগ করে অব্যাহতভাবে শক্ষিার বনির্মিাণরে মাধ্যমে টকেসই রাষ্ট্র সংস্কাররে এ অনন্য সুযোগরে সদ্ব্যবহার করা। আর নানা অবক্ষয়রে পথ ধরে বাংলাদশেরে র্আথ-সামাজকি, সংস্কৃত,ি রাজনতৈকি পরমিন্ডলে যসেব জঞ্জাল জন্মছেে সগেুলোকে একে একে পরষ্কিার করে আমরা আমাদরে প্রাথমকি নতৈকি দায়টুকু অন্তত শষে কর।ি সইে ক্ষত্রেে জীবনমুখী যুগোপযোগী শক্ষিাই হোক আমাদরে প্ররেণা আর দকি-নর্দিশেনার উৎস। তবইে না অনকে প্রাণ আর রক্তরে বনিমিয়ে র্অজতি এই মুক্তি র্অথবহ হয়ে উঠব।ে

সাদামাটা একটি প্রশ্ন- কমেন শক্ষিাব্যবস্থা চাই? এ প্রশ্নরে কোন সহজ সরল জবাব না থাকলওে আমাদরে এ বশিষে পরস্থিতিতিে বধ্বিস্ত শক্ষিা ব্যবস্থার বনির্মিাণরে জন্য কোন না কোন জায়গা থকেে আলোচনাটা শুরু করতে হব।ে তাই বলছ,ি আমরা এমন একটি শক্ষিা ব্যবস্থা চাই যে শক্ষিাব্যবস্থা আমাদরে জন্যে এমন শক্ষিার সুযোগ এনে দবেে যে শক্ষিা আমাদরেকে শানতি ও প্রাণতি করবে জাতি গঠনরে মূলমন্ত্র ‘বচৈত্র্যিরে মাঝে ঐক্যকে অনুশীলন করত।ে একই সাথে যে শক্ষিা হবে আমাদরে জন্য ‘বষৈম্যহীন’ ও ‘স্বরৈাচারমুক্ত’ রাষ্ট্র বনির্মিাণে একটি ভদোভদেহীন সমাজ কাঠামো তরৈরি মূল চালকিাশক্ত।ি তমেনি একটি শক্ষিাব্যবস্থা চাই যখোনে শক্ষিার বষিয়বস্তু শক্ষর্িাথীর প্রয়োজন ও আগ্রহকে লালন করবে এবং সাথে সাথে সে অনুযায়ী ‘শক্ষিার ঢালী’ সাজাব।ে যখোনে শক্ষিক হবনে শক্ষর্িাথীর শক্ষিা লাভরে অনুপ্ররেণা আর শক্ষর্িাথীদরে কল্যাণই হবে শক্ষিকরে ধ্যান-জ্ঞান, চন্তিা-ভাবনা ও র্কমকা-রে কন্দ্রেবন্দিু। আর তমেন একটি শক্ষিাব্যবস্থা বনির্মিাণে এই মুর্হূতে যা যা সংস্কার করা দরকার, তার সব কয়টাই করা এখন সময়রে দাব।ি কন্তিু সবকছিু তো আর রাতারাতি করা সম্ভব না। সক্ষেত্রেে প্রয়োজনরে অগ্রাধকিার ও আয়োজনরে সীমাবদ্ধতাকে বচিার করইে আমাদরে এগোতে হব।ে আর বদ্যিমান জঞ্জালগুলোকে সরয়িে নানা প্রতবিন্ধকতা উতরয়িে আমাদরে আস্তে আস্তে প্রয়োজনীয় সংস্কাররে মাধ্যমে অগ্রসর হতে হবে আর অব্যাহত রাখতে হবে বনির্মিাণরে সুযোগ ও চষ্টো-প্রচষ্টোক।ে

কথায় বল,ে ‘নানা মুনরি নানা মত’। বহুধা বভিক্ত সমাজে যুক্তরি চয়েে আবগে বশেি কাজ কর।ে যৌথ কাজ করার সমস্যাটা সখোনে প্রকট। আমাদরে মনে রাখতে হব,ে যে অসহষ্ণিুতা স্বরৈাচাররে বশৈষ্ট্যি সটো যনে আমাদরে আচার আচরণে প্রতফিলতি না হয়। আমাদরে মাঝে মত দ্বতৈতা বা মত বরিোধ থাকতইে পার।ে আমরা গণতন্ত্রে বশ্বিাসী এবং একটা গণতান্ত্রকি পরবিশে তরৈতিে বদ্ধপরকির। আমরা চাইলে খুব সহজইে মুক্ত আলোচনায় মুক্ত মনরে পরচিয় দয়িে মুক্ত বুদ্ধরি র্চচায় একটি গণতান্ত্রকি পরবিশে তরৈি করত পার।ি রাষ্ট্রীয় পরমিন্ডলে গণতান্ত্রকি পরবিশে তরৈি করার জন্যে প্রথমে শক্ষিাপ্রতষ্ঠিানগুলোতে গণতান্ত্রকি পরবিশে তরৈি করা জরুর।ি শক্ষিাক্ষত্রেে গণতান্ত্রকি পরবিশে তরৈি করা গলেে কবেল তখনই আমাদরে শক্ষিা ব্যবস্থা বষৈম্যহীন ও স্বরৈাচারমুক্ত পারবিারকি, সামাজকি এবং রাষ্ট্রীয় পরবিশে তরৈতিে ভূমকিা রাখতে সক্ষম হব।ে আশা করছ,ি সমাজরে সবাই শ্রণেী, র্বণ, গোত্র, দল বা মতরে মানুষকে সম্মান দয়িইে গণতন্ত্ররে প্রধান যে ভত্তিি পরমত সহষ্ণিুত, সটোকে আমাদরে কথার্বাতা ও আচরণে প্রতফিলতি করইে পারস্পরকি বোঝাপড়ায় চন্তিা-ভাবনার দূরত্ব কংিবা দন্যৈকে কময়িে আনার সদচ্ছিাকে অঙ্গীকার করইে শক্ষিা সংস্কার বা শক্ষিা ব্যবস্থার বনির্মিাণরে এ আলোচনা অব্যাহত থাকব।ে

আমার কাছে আমাদরে শক্ষিা ব্যবস্থার প্রথম ও প্রধান র্ব্যথতা হলো মানুষকে মানুষ হসিবেে শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে শখোতে না পারা। আমাদরে মনে রাখতে হব,ে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রধান নয়িামক হলো তার রাষ্ট্রীয় র্দশনরে মূলমন্ত্র ‘মানবতাবোধ’। আর যে দশেরে শক্ষিাব্যবস্থা তার নাগরকিদরে মাঝে সে বোধ জন্মাতে র্ব্যথ সে রাষ্ট্র কখনই কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হসিবেে আত্মপ্রকাশ করতে পারে না, কংিবা রাষ্ট্ররে মানবতাবাদী চরত্রিকে বশেি সময় ধরে রাখতে পারে না। তাই আমাদরে রাষ্ট্রীয় র্দশনে মানবতাবোধকে ধারণ করে শক্ষিার মাধ্যমে ব্যক্তগিত ও সামষ্টকি জীবন-র্চযায় প্রতফিলতি করে সটোকে রাষ্ট্রীয় আর্দশ হসিবেে প্রতষ্ঠিা করতে হব।ে এখানে পুনরায় বলতে চাই য,ে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ও কাঠামো সংস্কারকে টকেসই করতে শক্ষিা ব্যবস্থার অব্যাহত বনির্মিাণ জরুর।ি

অর্র্ন্তর্বতীকালীন সরকার সইে বষিয়টা মাথায় রখেে দ্রুত একটি শক্ষিা কমশিন গঠন করে নতুন শক্ষিানীতি প্রণয়ন করা উচতি যাতে প্রতফিলতি হবে গণঅভ্যুত্থান উত্তর ছাত্র-জনতার আশা আকাক্সক্ষার। র্দীঘ দনিরে অন্যায়-অত্যাচার আর বচিারহীনতার সংস্কৃতি থকেে বরেয়িে প্রতবিাদ, প্রতরিোধ ও ন্যায় প্রতষ্ঠিার অনবরত সংগ্রামরে সংস্কৃতি বজায় রাখার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধকারী শক্ষিাই আমরা চাই। জাতরি নতুন প্রজন্মরে জন্য তমেন শক্ষিা দয়োর র্দাশনকি ও নতৈকি দায়বদ্ধতা থকেইে আমাদরে শক্ষিা ব্যবস্থা বনির্মিাণরে সব আয়োজন হওয়া উচতি। আমরা আশা করব, অর্র্ন্তর্বতীকালীন সরকার তমেন একটা শক্ষিাব্যবস্থা আমাদরে জন্য বনির্মিাণ করবে যটো হবে একটি স্বাধীন ও র্সাবভৌম রাষ্ট্ররে জাতীয় ঐক্য, সংহতি ও সমৃদ্ধরি মূল চালকিা শক্ত।ি

[লখেক : ভজিটিংি ফ্যাকাল্ট,ি ইউনভর্িাসটিি অব রোহ্যাম্পটন, যুক্তরাজ্য]

মানুষের পর কারা হবে বিশ্বজয়ী

স্বাস্থ্য খাতে ফার্মাসিস্টদের অবদান

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সামাজিক অর্থায়নের ভূমিকা

বিশ্ব নরসুন্দর দিবস

মধু পূর্ণিমা ও প্রাসঙ্গিক কথা

‘মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়ন জলে ভাসি’

ছয়টি কমিশন গঠিত হলো কিন্তু শিক্ষা কোথায়?

বৃষ্টি হলেই নগরে জলাবদ্ধতা

‘মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়ন জলে ভাসি’

শিক্ষাব্যবস্থার বিনির্মাণে শিক্ষা প্রশাসনের পুনর্গঠন ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা

বন্যা পরবর্তী রোগবালাই

রম্যগদ্য : থামব কবে কাইজ্জা-ফ্যাসাদ

প্রসঙ্গ : জাতীয় সংগীত

পানির ব্যবহার, পানির রাজনীতি

রবীন্দ্র ভাবনায় কৃষি এবং আজকের প্রেক্ষাপট

শিক্ষা ব্যবস্থার বিনির্মাণে শিক্ষা প্রশাসনের পুনর্গঠন ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা

‘আবার তোরা মানুষ হ’

ভোজ্যতেল সংকট মেটাতে পাম চাষের গুরুত্ব

গোপনে ধারণকৃত ভিডিও ও ছবি দিয়ে প্রতারণা

হুন্ডি কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

আকস্মিক বন্যা প্রতিরোধ ও প্রস্তুতির কৌশল

পতিতাবৃত্তি কি অপরাধ?

বন্যা-পরবর্তী কৃষকের সুরক্ষা করণীয়

নদী সংস্কার : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

নিজের চরকায় তেল দেবার নাম দেশপ্রেম

রম্যগদ্য : ডাক্তারি যখন আইসিইউতে

ডায়াবেটিস ও মুখের স্বাস্থ্য

বাঙালির ইলিশচর্চা

এসডিজি অর্জনে চ্যালেঞ্জ হতে পারে কুষ্ঠ রোগ

প্রসঙ্গ : পরিসংখ্যানের তথ্য বিকৃতি

বোরো ধান বিষয়ে কিছু সতর্কতা এবং সার ব্যবস্থাপনা

বন্যার জন্য ভারত কতটুকু দায়ী

গ্রাফিতিতে আদিবাসীদের বঞ্চনার চিত্র

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা

পুলিশের সংস্কার হোক জনগণের কল্যাণে

জলবায়ু পরিবর্তন ও আমাদের মনস্তত্ত্ব

tab

উপ-সম্পাদকীয়

টেকসই রাষ্ট্রীয় সংস্কারে শিক্ষা ব্যবস্থার অব্যাহত বিনির্মাণের বিকল্প নাই

মাহরুফ চৌধুরী

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও তার কাঠামো সংস্কাররে জন্য পরর্বিততি পরস্থিতিতিে দশেরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি যে বষিয়টি নয়িে অর্র্ন্তর্বতীকালীন সরকাররে র্সবাগ্রে ভাবার কথা সটো হলো শক্ষিা। মৌলকি মানবকি চাহদিাগুলোর সারতিে চর্তুথ অবস্থানে থাকলওে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ঢলেে সাজাতে শক্ষিার প্রাধান্যটা অনস্বীর্কায।

বলা হয়ে থাক,ে শক্ষিাই জাতরি মরেুদ-। তাই শক্ষিাকে শক্ত ভতিরে উপর গড়ে তোলা না গলেে একটি রাষ্ট্ররে নাগরকিরো বশ্বিরে দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয় না। অপরদকিে ধারাবাহকি সামাজকি অবক্ষয়রে কারণে আমাদরে পুরো শক্ষিা ব্যবস্থায় দখো দয়িছেে গভীর ক্ষতরে নানা উপর্সগ। সসেব আমাদরে কারোরই অজানা নয়। তাই বলতইে হয়, ‘র্সবাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দবে কোথা’। র্দীঘদনি ধরে আমরা সসেব ক্ষত বয়ে চলছেি নানা কায়দায় ইচ্ছা কংিবা অনচ্ছিায়। প্রকৃতপক্ষে একদকিে শাসকরে স্বচ্ছোরতিার সুবধিাবাদ অন্যদকিে শোষতিরে ঐক্যরে অভাব ও সংঘবদ্ধভাবে প্রতরিোধরে অক্ষমতা এসব অনাচাররে জন্য দায়ী। সাম্প্রতকি পরর্বিততি পরস্থিতিে খোলস থকেে সসেব ক্ষত বরেয়িে পড়ছেে নানাভাবে ব্যাপক মাত্রায়।

শক্ষিাক্ষত্রেে নানা বষৈম্যরে রূপকার অনকে রথী-মহারথী আত্মগোপন করছেনে। বাংলাদশেে ইতহিাসে এই প্রথমবাররে মতো একটা দুটো নয়, অনকেগুলো বশ্বিবদ্যিালয়রে ভসিসিহ শক্ষিা প্রশাসনরে বশে কছিু র্ঊধ্বতন পদাধকিারী পদত্যাগ করছেনে। বশ্বিবদ্যিালয়রে নানা গুরুত্বর্পূণ পদে অধষ্ঠিতি অনকেইে পদত্যাগ করছেনে, আবার অনকেে হয়ছেনে নরিুদ্দশে। শক্ষিা প্রশাসনে দখো দয়িছেে কূণ্যতা। যদওি অর্র্ন্তবতীকালীন সরকার দ্রুততার সাথে শূন্য পদগুলো পূরণ করার চষ্টো করে যাচ্ছ,ে তবুও বশিৃঙ্খল অবস্থা থকেে আমাদরে শক্ষিা প্রতষ্ঠিানগুলো এখন স্বাভাবকি অবস্থায় ফরিে আসতে পারনে।ি এ অবস্থায় দশেরে প্রয়োজনে এখন র্সবস্তররে সাধারণ শক্ষিাসবেকদরেকইে এগয়িে আসতে হবে আর নানা পন্থায় ব্যথা উপসম করে শক্ষিা ব্যবস্থার ক্ষতগুলোকে সারয়িে তুলতে হব।ে

পরর্বিততি পরস্থিতিতিে শত সীমাবদ্ধতা ও প্রতবিন্ধকতার মাঝওে আমরা খুবই আশাবাদী যে অনকে প্রাণরে আত্মত্যাগরে মাধ্যমে আমাদরে দ্বারপ্রান্তে এমন একটা সুযোগ এসছেে আলোর পথে ভালোর দকিে যাবার যটো হয়ত সহসা আর আসবে না। শক্ষিা সংস্কাররে জন্য যদি আমরা এখনই সবাই মলিে যার যার জায়গা থকেে কাজ না কর,ি কংিবা কাজ করতে একত্রতি হতে চষ্টো না কর,ি তবে তার জন্যে নব প্রজন্মরে নতুন শশিুর কাছে সুকান্ত ভট্টার্চাযরে যে অঙ্গীকার ছলি, তা র্পূণ করা হবে না। তনিি ‘ছাড়পত্র’ কবতিায় দৃপ্ত কন্ঠে বলছেলিনে, চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দহেে আছে প্রাণ/ প্রাণপণে পৃথবিীর সরাব জঞ্জাল,/ এ বশ্বিকে এ শশিুর বাসযোগ্য করে যাব আম-ি/ নবজাতকরে কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

আমরা যারা ভালোবসেে শক্ষিা নয়িে কাজ করছ,ি তাদরে অনকেইে নজিদেরে পরচিয় দয়িে থাকি শক্ষিাসবেক হসিবে।ে র্বতমানে আমরা যারা এখন বভিন্নি জায়গায় কাজ করছ,ি আগামী প্রজন্মরে কাছে আমাদরেও সুকান্ত ভট্টার্চাযরে সইে একই অঙ্গীকার। তাই আমাদরে উচতি হবে র্সবাত্মক শক্তি নয়িোগ করে অব্যাহতভাবে শক্ষিার বনির্মিাণরে মাধ্যমে টকেসই রাষ্ট্র সংস্কাররে এ অনন্য সুযোগরে সদ্ব্যবহার করা। আর নানা অবক্ষয়রে পথ ধরে বাংলাদশেরে র্আথ-সামাজকি, সংস্কৃত,ি রাজনতৈকি পরমিন্ডলে যসেব জঞ্জাল জন্মছেে সগেুলোকে একে একে পরষ্কিার করে আমরা আমাদরে প্রাথমকি নতৈকি দায়টুকু অন্তত শষে কর।ি সইে ক্ষত্রেে জীবনমুখী যুগোপযোগী শক্ষিাই হোক আমাদরে প্ররেণা আর দকি-নর্দিশেনার উৎস। তবইে না অনকে প্রাণ আর রক্তরে বনিমিয়ে র্অজতি এই মুক্তি র্অথবহ হয়ে উঠব।ে

সাদামাটা একটি প্রশ্ন- কমেন শক্ষিাব্যবস্থা চাই? এ প্রশ্নরে কোন সহজ সরল জবাব না থাকলওে আমাদরে এ বশিষে পরস্থিতিতিে বধ্বিস্ত শক্ষিা ব্যবস্থার বনির্মিাণরে জন্য কোন না কোন জায়গা থকেে আলোচনাটা শুরু করতে হব।ে তাই বলছ,ি আমরা এমন একটি শক্ষিা ব্যবস্থা চাই যে শক্ষিাব্যবস্থা আমাদরে জন্যে এমন শক্ষিার সুযোগ এনে দবেে যে শক্ষিা আমাদরেকে শানতি ও প্রাণতি করবে জাতি গঠনরে মূলমন্ত্র ‘বচৈত্র্যিরে মাঝে ঐক্যকে অনুশীলন করত।ে একই সাথে যে শক্ষিা হবে আমাদরে জন্য ‘বষৈম্যহীন’ ও ‘স্বরৈাচারমুক্ত’ রাষ্ট্র বনির্মিাণে একটি ভদোভদেহীন সমাজ কাঠামো তরৈরি মূল চালকিাশক্ত।ি তমেনি একটি শক্ষিাব্যবস্থা চাই যখোনে শক্ষিার বষিয়বস্তু শক্ষর্িাথীর প্রয়োজন ও আগ্রহকে লালন করবে এবং সাথে সাথে সে অনুযায়ী ‘শক্ষিার ঢালী’ সাজাব।ে যখোনে শক্ষিক হবনে শক্ষর্িাথীর শক্ষিা লাভরে অনুপ্ররেণা আর শক্ষর্িাথীদরে কল্যাণই হবে শক্ষিকরে ধ্যান-জ্ঞান, চন্তিা-ভাবনা ও র্কমকা-রে কন্দ্রেবন্দিু। আর তমেন একটি শক্ষিাব্যবস্থা বনির্মিাণে এই মুর্হূতে যা যা সংস্কার করা দরকার, তার সব কয়টাই করা এখন সময়রে দাব।ি কন্তিু সবকছিু তো আর রাতারাতি করা সম্ভব না। সক্ষেত্রেে প্রয়োজনরে অগ্রাধকিার ও আয়োজনরে সীমাবদ্ধতাকে বচিার করইে আমাদরে এগোতে হব।ে আর বদ্যিমান জঞ্জালগুলোকে সরয়িে নানা প্রতবিন্ধকতা উতরয়িে আমাদরে আস্তে আস্তে প্রয়োজনীয় সংস্কাররে মাধ্যমে অগ্রসর হতে হবে আর অব্যাহত রাখতে হবে বনির্মিাণরে সুযোগ ও চষ্টো-প্রচষ্টোক।ে

কথায় বল,ে ‘নানা মুনরি নানা মত’। বহুধা বভিক্ত সমাজে যুক্তরি চয়েে আবগে বশেি কাজ কর।ে যৌথ কাজ করার সমস্যাটা সখোনে প্রকট। আমাদরে মনে রাখতে হব,ে যে অসহষ্ণিুতা স্বরৈাচাররে বশৈষ্ট্যি সটো যনে আমাদরে আচার আচরণে প্রতফিলতি না হয়। আমাদরে মাঝে মত দ্বতৈতা বা মত বরিোধ থাকতইে পার।ে আমরা গণতন্ত্রে বশ্বিাসী এবং একটা গণতান্ত্রকি পরবিশে তরৈতিে বদ্ধপরকির। আমরা চাইলে খুব সহজইে মুক্ত আলোচনায় মুক্ত মনরে পরচিয় দয়িে মুক্ত বুদ্ধরি র্চচায় একটি গণতান্ত্রকি পরবিশে তরৈি করত পার।ি রাষ্ট্রীয় পরমিন্ডলে গণতান্ত্রকি পরবিশে তরৈি করার জন্যে প্রথমে শক্ষিাপ্রতষ্ঠিানগুলোতে গণতান্ত্রকি পরবিশে তরৈি করা জরুর।ি শক্ষিাক্ষত্রেে গণতান্ত্রকি পরবিশে তরৈি করা গলেে কবেল তখনই আমাদরে শক্ষিা ব্যবস্থা বষৈম্যহীন ও স্বরৈাচারমুক্ত পারবিারকি, সামাজকি এবং রাষ্ট্রীয় পরবিশে তরৈতিে ভূমকিা রাখতে সক্ষম হব।ে আশা করছ,ি সমাজরে সবাই শ্রণেী, র্বণ, গোত্র, দল বা মতরে মানুষকে সম্মান দয়িইে গণতন্ত্ররে প্রধান যে ভত্তিি পরমত সহষ্ণিুত, সটোকে আমাদরে কথার্বাতা ও আচরণে প্রতফিলতি করইে পারস্পরকি বোঝাপড়ায় চন্তিা-ভাবনার দূরত্ব কংিবা দন্যৈকে কময়িে আনার সদচ্ছিাকে অঙ্গীকার করইে শক্ষিা সংস্কার বা শক্ষিা ব্যবস্থার বনির্মিাণরে এ আলোচনা অব্যাহত থাকব।ে

আমার কাছে আমাদরে শক্ষিা ব্যবস্থার প্রথম ও প্রধান র্ব্যথতা হলো মানুষকে মানুষ হসিবেে শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে শখোতে না পারা। আমাদরে মনে রাখতে হব,ে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রধান নয়িামক হলো তার রাষ্ট্রীয় র্দশনরে মূলমন্ত্র ‘মানবতাবোধ’। আর যে দশেরে শক্ষিাব্যবস্থা তার নাগরকিদরে মাঝে সে বোধ জন্মাতে র্ব্যথ সে রাষ্ট্র কখনই কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হসিবেে আত্মপ্রকাশ করতে পারে না, কংিবা রাষ্ট্ররে মানবতাবাদী চরত্রিকে বশেি সময় ধরে রাখতে পারে না। তাই আমাদরে রাষ্ট্রীয় র্দশনে মানবতাবোধকে ধারণ করে শক্ষিার মাধ্যমে ব্যক্তগিত ও সামষ্টকি জীবন-র্চযায় প্রতফিলতি করে সটোকে রাষ্ট্রীয় আর্দশ হসিবেে প্রতষ্ঠিা করতে হব।ে এখানে পুনরায় বলতে চাই য,ে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ও কাঠামো সংস্কারকে টকেসই করতে শক্ষিা ব্যবস্থার অব্যাহত বনির্মিাণ জরুর।ি

অর্র্ন্তর্বতীকালীন সরকার সইে বষিয়টা মাথায় রখেে দ্রুত একটি শক্ষিা কমশিন গঠন করে নতুন শক্ষিানীতি প্রণয়ন করা উচতি যাতে প্রতফিলতি হবে গণঅভ্যুত্থান উত্তর ছাত্র-জনতার আশা আকাক্সক্ষার। র্দীঘ দনিরে অন্যায়-অত্যাচার আর বচিারহীনতার সংস্কৃতি থকেে বরেয়িে প্রতবিাদ, প্রতরিোধ ও ন্যায় প্রতষ্ঠিার অনবরত সংগ্রামরে সংস্কৃতি বজায় রাখার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধকারী শক্ষিাই আমরা চাই। জাতরি নতুন প্রজন্মরে জন্য তমেন শক্ষিা দয়োর র্দাশনকি ও নতৈকি দায়বদ্ধতা থকেইে আমাদরে শক্ষিা ব্যবস্থা বনির্মিাণরে সব আয়োজন হওয়া উচতি। আমরা আশা করব, অর্র্ন্তর্বতীকালীন সরকার তমেন একটা শক্ষিাব্যবস্থা আমাদরে জন্য বনির্মিাণ করবে যটো হবে একটি স্বাধীন ও র্সাবভৌম রাষ্ট্ররে জাতীয় ঐক্য, সংহতি ও সমৃদ্ধরি মূল চালকিা শক্ত।ি

[লখেক : ভজিটিংি ফ্যাকাল্ট,ি ইউনভর্িাসটিি অব রোহ্যাম্পটন, যুক্তরাজ্য]

back to top