alt

opinion » post-editorial

রম্যগদ্য : ‘বল করে দুর্বল...’

জাঁ-নেসার ওসমান

: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কী রে ভাই আপনে এইসব কোইত্থে পান, বল করে দুর্বল! আজীবন শুনলাম বল মানুষকে করে সবল আর আপনে কন বল করে দুর্বল! হাগল নি কোন! তথাকথিত আঁতেলেকচুয়াল বইল্লা যা ইচ্ছা তাই কইবেন আর আমরা ব্যেবাগ বাঙালিরা মাইন্না নিমু। অত চু... আমাগো ভাইবেন না! আরে মনু চ্যেতোকা, মুই কী কোই হেইয়া তুমি না বুইজ্জাই চ্যেইত্তা উঠলা, হেইয়া কি ঠিক করলা? ঠিক বেঠিক বুঝি না মিয়া ফাইজলামি মারার জায়গা পান না। বল করে দুর্বল! কথাটা উইথড্র করেন। আচ্ছা উইথড্র মুই করমু তয় কোনডা বলটা না দুর্বলটা? এ আবার কী কথা কোনডা উইথড্র কোরব? সবডা মানে পুরাডা উইথড্র করো, বল করে দুর্বল!

আচ্ছা মনু তোমরা যে বল প্রয়োগ কইরা সব পাবলিকরে পদত্যাগ করায়া দুর্বল করতাছো, হেইডারে তুমি কী কইবা! হেইডারে আবার কি কমু ষুল্ল বছর ধইরা আমাগো দুর্বলের ওপর গুম, খুন চালাইছেন, তো এহন পদত্যাগ করামু না তো কি পূজা করমু? আরে ভাই আমি তো তুমার কথাই কইতাছি।

ষুল্ল বছর ধইরা আমাগো দুর্বলের ওপর গুম-খুন চালাইছো, অহন আমরা বলপ্রয়োগ কইরা তোমাগোরে দুবর্ল করতাছি, ব্যাস। বল করে দুর্বল। হেঁঃ হেঁঃ ঠিকই কইছেন। এই যে দেখেন, বাচ্চা মায়াডা স্কুলের ড্রেস এ্যজ ইয়ু লাইকে বা যেমন খুশি সাজো ইভেন্টে আপোষহীন নেত্রী ম্যাডাম খালেদা জিয়া সাজছিল হ্যের জন্য আপনে কচি শিশুর বাপের চাকুরি খাইলেন!

এইডা কুনো মানুষের কাজ হইল। এখন যেই অমানুষগুলা ওই মেয়ের বাপের চাকুরি খাইছিল হ্যেরে বলপ্রয়োগ কইরা পদত্যাগ করাইলে কুনো দোষতো দেখি না। আরে ভাই তখন যারা ক্ষমতার দাপটে মানুষের লগে জানোয়ারের মতুন ব্যবহার করছে। বাঙালি হয়া বাঙালিরে অত্যাচার করছে, ছাত্র হয়া পার্টির বড় বড় নেতাদের ছাত্রী সাপ্লাই করছে এই সব বর্বর বাঙালিরে শাস্তি দিবেন না তো কারে শাস্তি দিবেন?

কন কন, আপনেই কন? আমার কথা শোনার আগে তুই শোন যিশুখৃষ্টের জন্মেরও প্রায় ৬০০ বছর আগে, তুরস্কের ঈশপ নামের এক মহামানব বলে ছিলেন যে, গল্পের ছলে তুমি অনেক নিতী বাক্য প্রকাশ করে মানুষকে মানুষ হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে পারো। যেমন ধর, নেকড়ে ও মেষ শাবকের গল্প। এইডা আবার কি, নেকড়ে ও মেষ শাবক? আরে এগুলা হচ্ছে রূপক, মনেকর নেকড়ে হচ্ছে সমাজের দোর্দ-প্রতাপ ব্যক্তি আর মেষ শাবক হচ্ছে আমরা সব বাংলাদেশের অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত জনগণ। হইছে হইছে এসব রূপক মুপক ছাইড়া গল্পটা কন শুনি। আরে গল্পটা এমন কিছু না, সিম্পেল, ‘একদা এক মেষ শাবক ঝরনার গোড়ায় পানি পান করছিল। তখন ঝরনার উৎসাংশে জলপান করা নেকড়ে বাঘ বলল, ওই ব্যাডা ভ্যেড়ার বাচ্চা তুই আমার জল ঘোলা করস ক্যান?’ তখন মেশ শাবক বিনয়ের সঙ্গে বলল, ‘স্যার আমিতো ঝরনার নিচের অংশে পানি পান করছি, আর ঝরনার পানি তো নিচের দিকে গড়িয়ে আসে, আমি কী করে আপনার উপরের দিকের জল ঘোলা করব?’ নেকড়ে তখন মেজাজা খারাপ করে বলল, ‘তুই জল ঘোলা না করলে হয়তো তোর বাপ জল ঘোলা করেছিল।’

এই বলে নেকড়ে মেশ শাবককে মারিয়া খাইয়া ফেলিল। এ-কি একবার কন পানি আর একবার কন জল। মাজেজাটা কী? এই সামান্য কথা তুই বুঝলি না, তিস্তা নদীর দাদাদের অংশ জল আর আমাদের বাংলাদেশ অংশে, পানি।

হেঁঃ হেঁঃ হেঁঃ ভালো কইছেন, আকাশে থাকলে হিন্দু মুছলমান সব বাঙালি কয় বৃষ্টি, আর মাটিতে পড়লে দাদার অংশ জল আর আমার অংশ পানি। হিঃ হিঃ হিঃ। আচ্ছা বাবা রাখ তোর দর্শন এখন বল, এই গল্পের মোরাল বুজছস?

এ তো সিম্পেল কথা। গরিবের ওপর ধনীর অত্যাচার; যা সমাজ চলা উচিত না। ব্যাপারটা কাছাকাছি, আসলে মোরাল হলো ‘দুর্জনের ছলনার অভাব হয় না’। তাই বলছিলাম কী, সবাই যদি অধৈর্য হয়ে সবাইকে বলপ্রয়োগ করে মানে জোর করে পদত্যাগ করাস তাহলে ওই যে ফুলের মতো নিষ্পাপ মেয়েটি আপোষহীন নেত্রী ম্যাডাম খালেদা জিয়া সেজেছিল, তখন তার বাবাকে যার জোর করে পদত্যাগ করিয়েছিল তাদের সঙ্গে তোদের তফাৎটা কী? একটু আইন মেনে দোষগুণ বিচার করে শাস্তি দে, দোষ করলে শাস্তি দিতে তো কোনো পাপ দেখি না।

আরে রাখেন মিয়া আপনের আইন। হালায় আমগো অতো টাইম নাই। শুভস্য শীঘ্রম। ভালো কাজ তাড়াতাড়ি করতে হয়। দ্যেখেন না, হালায় ইলেকশন কবে দিব হ্যের কোনো আলামত দেখি না। কেন এই যে শুনলাম ১৮ মাস, পরে নির্বাচন হবে। ওরে আমার সৃষ্টিকর্তারে আপনে বুঝলেন না, এইডা কিয়ের আলামত? ১৮ মাসে নির্বাচন এটা আবার কিসের আলামত? ওই মিয়া আপনে বাঙালি না? হ্যাঁ, খাঁটি বাঙালি, বাঙালি বাই বার্থ।

থাক থাক, অত ইংলিশ ফুটায়েন না। বাংলায় যে কয় ১৮ মাসে বছর হ্যেইডা বোঝেন। হ্যাঁ মানে... থাক থাক আর অত মানে মানে করতে হইব না। যা কইছি ঠিক মতো বুইজ্ঝালন। আর শোনেন ওই সব ‘বল করে দুর্বল!’ এই সব হেঁয়ালি থুয়া সোজা সাপ্টা রম্য লিখবেন। এটা কী বলিস সোজাসাপ্টা রম্য মানে? মানে আবার কী সোজা লিখবেন ‘জল পড়ে পাতা নড়ে, তার কথা মনে পড়ে। এই রকম সোজাসাপ্টা। মানে কি, আমরা নিজের মতো রম্য লিখতে পারব না! নিশ্চয় পারবেন, নিজের ইচ্ছা মতো লিখেন, নিজের ইচ্ছামতো ল্যেইখা তারপর কান চাপাতিতে থাপ্পড় খায়া কিশোরের মতো মইরা পইড়া থাকলে আমারে কিন্তু দোষ দিবা পারবে না কইলাম। কী বলিস তাহলে, আবু সাঈদ, মুগ্ধ, রায়হান, মিতু এই হাজার তরুণেরা কী ভাববে! হ্যেরা কী ভাবব হেইডা হ্যেগোরে জিগান। আমি যেইটা কইলাম, ইচ্ছা হইলে মানেন নাইলে না মানেন এইডা আপনের বিবেচনা। আমি অহন যাই বিদুৎরে জোর কইরা পদত্যাগ করাই। এই শোন শোন একটা কথা শোন... অহন কথা শোনোনের টাইম নাই যাই...বাই...বাই...সি ইয়ু আফটার ইলেকশান...

[লেখক: চলচ্চিত্রকার]

শারদীয় পূজার দিনলিপি

ঋণের জন্য আত্মহত্যা, ঋণ নিয়েই চল্লিশা

জাকসু নির্বাচন ও হট্টগোল: আমাদের জন্য শিক্ষণীয় কী?

নরসুন্দর পেশার গুরুত্ব ও সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন

বিভাগভিত্তিক এমপিআর নির্বাচন পদ্ধতি

প্ল্যাটফর্ম সমাজে বাংলাদেশ: জ্ঞানের ভবিষ্যৎ কার হাতে?

আনন্দবেদনার হাসপাতাল: সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার বাস্তবতা

ছবি

ভিন্ন ধরনের নির্বাচন, ভিন্ন ধরনের ফল

বেসরকারি খাতে সিআইবি’র যাত্রা: ঋণ ব্যবস্থার নতুন দিগন্ত

স্বাস্থ্যসেবায় মানবিকতা প্রতিষ্ঠা হোক

ছবি

নেপালে সরকার পতন ও বামপন্থীদের ভবিষ্যৎ

ডাকসু নির্বাচন ও সংস্কারপ্রয়াস: রাজনৈতিক চিন্তার নতুন দিগন্ত

নির্বাচন কি সব সমস্যার সমাধান

জিতিয়া উৎসব

ছবি

অলির পর নেপাল কোন পথে?

রম্যগদ্য: “মরেও বাঁচবি নারে পাগলা...”

অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শ্রীপুর পৌরসভা

ভূরিভোজ, উচ্ছেদ এবং আদিবাসী পাহাড়িয়া

অনলাইন সংস্কৃতিতে হাস্যরসের সমাজবিজ্ঞান

মামলাজট নিরসনে দেওয়ানি কার্যবিধির সংস্কার

বাস্তব মস্কো বনাম বিভ্রান্ত ইউরোপ

ছাত্রসংসদ নির্বাচন ও ভবিষ্যৎ ছাত্ররাজনীতির গতিপ্রকৃতি

সড়ক দুর্ঘটনা: কারও মৃত্যু সাধারণ, কারও মৃত্যু বিশেষ

ঐকমত্য ছাড়াও কিছু সংস্কার সম্ভব

আবার বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম : সংকটে সাধারণ মানুষ

ডায়াবেটিস রোগীর সেবা ও জনসচেতনতা

ভিন্ন ধরনের ডাকসু নির্বাচন

ডাকসু নির্বাচন : পেছনে ফেলে আসি

প্রসঙ্গ : এলডিসি তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ

“কোপা চাটিগাঁ...”

ই-কমার্স হতে পারে প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন

ভারত-চীনের নতুন সমীকরণ

সাইবার যুগে মানুষের মর্যাদা ও নিরাপত্তা

ছবি

ভারত-চীন সম্পর্কে কৌশলগত উষ্ণতার সূচনা

ভারত-চীন সম্পর্কে কৌশলগত উষ্ণতার সূচনা

একজন নাগরিকের অভিমানী বিদায় ও রাষ্ট্রের নৈতিক সংকট

tab

opinion » post-editorial

রম্যগদ্য : ‘বল করে দুর্বল...’

জাঁ-নেসার ওসমান

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কী রে ভাই আপনে এইসব কোইত্থে পান, বল করে দুর্বল! আজীবন শুনলাম বল মানুষকে করে সবল আর আপনে কন বল করে দুর্বল! হাগল নি কোন! তথাকথিত আঁতেলেকচুয়াল বইল্লা যা ইচ্ছা তাই কইবেন আর আমরা ব্যেবাগ বাঙালিরা মাইন্না নিমু। অত চু... আমাগো ভাইবেন না! আরে মনু চ্যেতোকা, মুই কী কোই হেইয়া তুমি না বুইজ্জাই চ্যেইত্তা উঠলা, হেইয়া কি ঠিক করলা? ঠিক বেঠিক বুঝি না মিয়া ফাইজলামি মারার জায়গা পান না। বল করে দুর্বল! কথাটা উইথড্র করেন। আচ্ছা উইথড্র মুই করমু তয় কোনডা বলটা না দুর্বলটা? এ আবার কী কথা কোনডা উইথড্র কোরব? সবডা মানে পুরাডা উইথড্র করো, বল করে দুর্বল!

আচ্ছা মনু তোমরা যে বল প্রয়োগ কইরা সব পাবলিকরে পদত্যাগ করায়া দুর্বল করতাছো, হেইডারে তুমি কী কইবা! হেইডারে আবার কি কমু ষুল্ল বছর ধইরা আমাগো দুর্বলের ওপর গুম, খুন চালাইছেন, তো এহন পদত্যাগ করামু না তো কি পূজা করমু? আরে ভাই আমি তো তুমার কথাই কইতাছি।

ষুল্ল বছর ধইরা আমাগো দুর্বলের ওপর গুম-খুন চালাইছো, অহন আমরা বলপ্রয়োগ কইরা তোমাগোরে দুবর্ল করতাছি, ব্যাস। বল করে দুর্বল। হেঁঃ হেঁঃ ঠিকই কইছেন। এই যে দেখেন, বাচ্চা মায়াডা স্কুলের ড্রেস এ্যজ ইয়ু লাইকে বা যেমন খুশি সাজো ইভেন্টে আপোষহীন নেত্রী ম্যাডাম খালেদা জিয়া সাজছিল হ্যের জন্য আপনে কচি শিশুর বাপের চাকুরি খাইলেন!

এইডা কুনো মানুষের কাজ হইল। এখন যেই অমানুষগুলা ওই মেয়ের বাপের চাকুরি খাইছিল হ্যেরে বলপ্রয়োগ কইরা পদত্যাগ করাইলে কুনো দোষতো দেখি না। আরে ভাই তখন যারা ক্ষমতার দাপটে মানুষের লগে জানোয়ারের মতুন ব্যবহার করছে। বাঙালি হয়া বাঙালিরে অত্যাচার করছে, ছাত্র হয়া পার্টির বড় বড় নেতাদের ছাত্রী সাপ্লাই করছে এই সব বর্বর বাঙালিরে শাস্তি দিবেন না তো কারে শাস্তি দিবেন?

কন কন, আপনেই কন? আমার কথা শোনার আগে তুই শোন যিশুখৃষ্টের জন্মেরও প্রায় ৬০০ বছর আগে, তুরস্কের ঈশপ নামের এক মহামানব বলে ছিলেন যে, গল্পের ছলে তুমি অনেক নিতী বাক্য প্রকাশ করে মানুষকে মানুষ হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে পারো। যেমন ধর, নেকড়ে ও মেষ শাবকের গল্প। এইডা আবার কি, নেকড়ে ও মেষ শাবক? আরে এগুলা হচ্ছে রূপক, মনেকর নেকড়ে হচ্ছে সমাজের দোর্দ-প্রতাপ ব্যক্তি আর মেষ শাবক হচ্ছে আমরা সব বাংলাদেশের অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত জনগণ। হইছে হইছে এসব রূপক মুপক ছাইড়া গল্পটা কন শুনি। আরে গল্পটা এমন কিছু না, সিম্পেল, ‘একদা এক মেষ শাবক ঝরনার গোড়ায় পানি পান করছিল। তখন ঝরনার উৎসাংশে জলপান করা নেকড়ে বাঘ বলল, ওই ব্যাডা ভ্যেড়ার বাচ্চা তুই আমার জল ঘোলা করস ক্যান?’ তখন মেশ শাবক বিনয়ের সঙ্গে বলল, ‘স্যার আমিতো ঝরনার নিচের অংশে পানি পান করছি, আর ঝরনার পানি তো নিচের দিকে গড়িয়ে আসে, আমি কী করে আপনার উপরের দিকের জল ঘোলা করব?’ নেকড়ে তখন মেজাজা খারাপ করে বলল, ‘তুই জল ঘোলা না করলে হয়তো তোর বাপ জল ঘোলা করেছিল।’

এই বলে নেকড়ে মেশ শাবককে মারিয়া খাইয়া ফেলিল। এ-কি একবার কন পানি আর একবার কন জল। মাজেজাটা কী? এই সামান্য কথা তুই বুঝলি না, তিস্তা নদীর দাদাদের অংশ জল আর আমাদের বাংলাদেশ অংশে, পানি।

হেঁঃ হেঁঃ হেঁঃ ভালো কইছেন, আকাশে থাকলে হিন্দু মুছলমান সব বাঙালি কয় বৃষ্টি, আর মাটিতে পড়লে দাদার অংশ জল আর আমার অংশ পানি। হিঃ হিঃ হিঃ। আচ্ছা বাবা রাখ তোর দর্শন এখন বল, এই গল্পের মোরাল বুজছস?

এ তো সিম্পেল কথা। গরিবের ওপর ধনীর অত্যাচার; যা সমাজ চলা উচিত না। ব্যাপারটা কাছাকাছি, আসলে মোরাল হলো ‘দুর্জনের ছলনার অভাব হয় না’। তাই বলছিলাম কী, সবাই যদি অধৈর্য হয়ে সবাইকে বলপ্রয়োগ করে মানে জোর করে পদত্যাগ করাস তাহলে ওই যে ফুলের মতো নিষ্পাপ মেয়েটি আপোষহীন নেত্রী ম্যাডাম খালেদা জিয়া সেজেছিল, তখন তার বাবাকে যার জোর করে পদত্যাগ করিয়েছিল তাদের সঙ্গে তোদের তফাৎটা কী? একটু আইন মেনে দোষগুণ বিচার করে শাস্তি দে, দোষ করলে শাস্তি দিতে তো কোনো পাপ দেখি না।

আরে রাখেন মিয়া আপনের আইন। হালায় আমগো অতো টাইম নাই। শুভস্য শীঘ্রম। ভালো কাজ তাড়াতাড়ি করতে হয়। দ্যেখেন না, হালায় ইলেকশন কবে দিব হ্যের কোনো আলামত দেখি না। কেন এই যে শুনলাম ১৮ মাস, পরে নির্বাচন হবে। ওরে আমার সৃষ্টিকর্তারে আপনে বুঝলেন না, এইডা কিয়ের আলামত? ১৮ মাসে নির্বাচন এটা আবার কিসের আলামত? ওই মিয়া আপনে বাঙালি না? হ্যাঁ, খাঁটি বাঙালি, বাঙালি বাই বার্থ।

থাক থাক, অত ইংলিশ ফুটায়েন না। বাংলায় যে কয় ১৮ মাসে বছর হ্যেইডা বোঝেন। হ্যাঁ মানে... থাক থাক আর অত মানে মানে করতে হইব না। যা কইছি ঠিক মতো বুইজ্ঝালন। আর শোনেন ওই সব ‘বল করে দুর্বল!’ এই সব হেঁয়ালি থুয়া সোজা সাপ্টা রম্য লিখবেন। এটা কী বলিস সোজাসাপ্টা রম্য মানে? মানে আবার কী সোজা লিখবেন ‘জল পড়ে পাতা নড়ে, তার কথা মনে পড়ে। এই রকম সোজাসাপ্টা। মানে কি, আমরা নিজের মতো রম্য লিখতে পারব না! নিশ্চয় পারবেন, নিজের ইচ্ছা মতো লিখেন, নিজের ইচ্ছামতো ল্যেইখা তারপর কান চাপাতিতে থাপ্পড় খায়া কিশোরের মতো মইরা পইড়া থাকলে আমারে কিন্তু দোষ দিবা পারবে না কইলাম। কী বলিস তাহলে, আবু সাঈদ, মুগ্ধ, রায়হান, মিতু এই হাজার তরুণেরা কী ভাববে! হ্যেরা কী ভাবব হেইডা হ্যেগোরে জিগান। আমি যেইটা কইলাম, ইচ্ছা হইলে মানেন নাইলে না মানেন এইডা আপনের বিবেচনা। আমি অহন যাই বিদুৎরে জোর কইরা পদত্যাগ করাই। এই শোন শোন একটা কথা শোন... অহন কথা শোনোনের টাইম নাই যাই...বাই...বাই...সি ইয়ু আফটার ইলেকশান...

[লেখক: চলচ্চিত্রকার]

back to top