alt

উপ-সম্পাদকীয়

একাকিত্ব ও মানসিক অশান্তি

রহমান মৃধা

: শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

একাকিত্ব এবং মানসিক অশান্তি হলো এমন মানসিক অবস্থা, যা অনেক সময় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে। এই অবস্থা মানুষের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

একাকিত্ব ও মানসিক অশান্তির সম্ভাব্য কারণসমূহ :

একাকিত্ব এবং মানসিক অশান্তির বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো :

সামাজিক বিচ্ছিন্নতা :

পরিবার, বন্ধু কিংবা কাছের মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকা বা সম্পর্কের টানাপোড়েন একাকিত্বের একটি প্রধান কারণ।

জীবনের পরিবর্তন :

বড় ধরনের পরিবর্তন যেমনÑ চাকরি পরিবর্তন, সম্পর্কের বিচ্ছেদ বা প্রিয়জনের মৃত্যুÑ এগুলো আমাদের মানসিক অবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। এই পরিবর্তনগুলোর কারণে হঠাৎ করে নিজেকে একাকী এবং মানসিকভাবে অশান্ত মনে হতে পারে।

অতিরিক্ত চাপ :

পেশাগত দায়িত্ব, পড়াশোনা কিংবা পারিবারিক দায়িত্বের কারণে অতিরিক্ত চাপও মানসিক অশান্তির সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি চাপ মানসিক শান্তি নষ্ট করতে পারে এবং একাকিত্বের অনুভূতি তৈরি করতে পারে।

আত্মবিশ্বাসের অভাব :

নিজের প্রতি বিশ্বাসের অভাব এবং নিজেকে অপর্যাপ্ত মনে করা মানসিক অশান্তির একটি প্রধান কারণ হতে পারে। এটি একাকিত্বের অনুভূতিকে আরও গভীর করে তোলে।

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা :

উদ্বেগ, বিষণœতা এবং অন্যান্য মানসিক অসুস্থতার কারণে মানুষ একাকিত্ব এবং মানসিক অশান্তির শিকার হতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি এ ধরনের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।

একাকিত্ব ও মানসিক অশান্তি দূর করার উপায় :

একাকিত্ব ও মানসিক অশান্তি দূর করার জন্য কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। সঠিক উপায়ে নিজের যতœ নিলে মানসিক প্রশান্তি ফিরে পাওয়া সম্ভব।

সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখা :

বন্ধুবান্ধব, পরিবার বা সহকর্মীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক সংযোগ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং একাকিত্বের অনুভূতিকে দূরে সরিয়ে দেয়।

ধ্যান ও যোগব্যায়াম :

প্রতিদিন ধ্যান এবং যোগব্যায়ামের মাধ্যমে মনকে শান্ত রাখা যায়। এটি মানসিক চাপ কমায় এবং মানসিক অশান্তি দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত যোগব্যায়াম এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ন্ত্রণ মানসিক শান্তি নিশ্চিত করে।

শারীরিক ব্যায়াম :

শারীরিক ব্যায়াম কেবল শরীরের জন্য নয়, মনের জন্যও ভালো। দৈনিক কিছু সময় হাঁটা, দৌড়ানো বা ব্যায়াম করা মানসিক চাপ এবং একাকিত্বকে অনেকটাই কমাতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম মানসিক অবস্থা ভালো রাখতে সহায়ক।

নিজেকে ভালোবাসা এবং নিজের যতœ নেয়া :

নিজের প্রতি যতœশীল হওয়া এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি করা মানসিক শান্তির জন্য অপরিহার্য। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিজের মনকে ভালো লাগা কাজে ব্যস্ত রাখা একাকিত্ব কমাতে সাহায্য করতে পারে।

শখের মাধ্যমে নিজেকে ব্যস্ত রাখা :

নতুন শখ গ্রহণ করা বা পুরনো শখকে ফিরিয়ে আনা মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। চিত্রাঙ্কন, সংগীত, লেখালেখি, কিংবা গার্ডেনিংয়ের মতো সৃজনশীল কাজ মনকে শান্ত রাখে।

পেশাদার থেরাপি বা কাউন্সেলিং :

গুরুতর মানসিক অশান্তির ক্ষেত্রে পেশাদার কাউন্সেলিং বা থেরাপির সাহায্য নেয়া যেতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বললে মানসিক চাপ কমে এবং সমস্যাগুলো সহজে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়।

করণীয় :

একাকিত্ব এবং মানসিক অশান্তির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পালন করা উচিত :

বর্তমান মুহূর্তে বেঁচে থাকা :

বর্তমান মুহূর্তকে উপভোগ করতে শিখুন। অতীতের ভুল বা ভবিষ্যতের উদ্বেগ নিয়ে চিন্তা না করে বর্তমান সময়কে মূল্যায়ন করুন।

মানসিক প্রশান্তি অনুশীলন করা :

ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং সহজ জীবনযাপনের মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি অর্জন করা সম্ভব। মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখার জন্য প্রতিদিন কিছু সময় নিজেকে দিন।

আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি :

নিজের সক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন হোন এবং প্রতিদিন নিজের ইতিবাচক দিকগুলোকে গুরুত্ব দিন। আত্মবিশ্বাস মানসিক চাপ কমায় এবং একাকিত্ব দূর করে।

সহযোগিতা এবং সামাজিক সেবা :

সমাজের জন্য কিছু করা এবং অন্যের সহায়তা করা নিজেকে আরও মূল্যবান বোধ করতে সাহায্য করে। অন্যের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে নিজের মানসিক অবস্থাও ভালো থাকে।

বর্জনীয় :

একাকিত্ব এবং মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে কিছু বিষয় অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত :

নিজেকে দোষারোপ করা :

নিজেকে দোষারোপ করা এবং নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দূরে থাকুন। নিজেকে অন্যদের তুলনায় খারাপ ভাবা থেকে বিরত থাকুন।

অতিরিক্ত একাকী থাকা :

মানসিক অশান্তি থেকে বাঁচতে একাকীত্বের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখার পরিবর্তে সামাজিক যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

নেশা বা মাদকের আশ্রয় নেয়া :

অনেক সময় মানসিক চাপ বা একাকিত্ব থেকে মুক্তি পেতে মানুষ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে, যা দীর্ঘমেয়াদে আরও ক্ষতিকারক হতে পারে। এ ধরনের আচরণ থেকে দূরে থাকা উচিত।

সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া :

কোনো মানসিক সমস্যা অনুভব করলে তা উপেক্ষা না করে সরাসরি মোকাবিলা করা উচিত। সমস্যাকে এড়িয়ে গেলে তা আরও গুরুতর হয়ে উঠতে পারে।

একাকিত্ব এবং মানসিক অশান্তি জীবনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, তবে সচেতন পদক্ষেপ নিলে এগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সামাজিক মিথস্ক্রিয়া, শারীরিক ব্যায়াম, এবং মানসিক প্রশান্তি চর্চা করলে একাকিত্ব ও মানসিক অশান্তি দূর করা সহজ হয়। নিজের যতœ নিন, আত্মবিশ্বাসী থাকুন, এবং সবসময় ইতিবাচক মানসিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

[লেখক : সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন]

অতীত থেকে মুক্তি এবং ইতিবাচক জীবনযাপন

মুক্তি সংগ্রামে তিনটি ধারা

বাসযোগ্যতার সূচকে ঢাকা কেন পিছিয়ে

শুধু নিচেই নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর

উপেক্ষিত আটকে পড়া পাকিস্তানিরা

রম্যগদ্য : সিন্দাবাদের বুড়ো ও আমরা

নেই কেনো সেই পাখি

বায়ুদূষণ থেকে মুক্তি কোন পথে

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র : রাষ্ট্র সংস্কারের দুর্গম পথ

পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র

বিজয়ের প্রেরণা

মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার পুনর্বীক্ষণ

সিদরাত জেবিনের মৃত্যু অথবা প্রশ্নহীন বায়ুদূষণ

বিজয়ের গৌরব ও সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজ

ছবি

মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের অবদান

ছবি

বিজয় সংগ্রামের সূচনার সন্ধানে

মানসম্মত কনটেন্ট ও টিআরপির দ্বৈরথ

জিকা ভাইরাস রোধে প্রয়োজন সচেতনতা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার গুরুত্ব

ঢাকার বাতাস বিষাক্ত কেন

চরের কৃষি ও কৃষকের জীবন

নিম্ন আয়ের মানুষ ভালো নাই

সবার আগে নিজেকে পরিবর্তন করা দরকার

পুলিশ কবে পুলিশ হবে

জীবন ফিরে আসুক বাংলার নদীগুলোতে

কান্দন সরেন হত্যা ও ভূমি বিরোধ কি এড়ানো যেত না

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র: রাষ্ট্র বিনির্মাণে সমস্যা কোথায়?

মানবাধিকার দিবস : মানুষের অধিকার নিয়ে কেন এত কথা?

আমলাতান্ত্রিক স্বচ্ছতা : সংস্কারের পথে নাকি পুনরাবৃত্তি?

খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কথা

ছবি

বেগম রোকেয়া : নারী জাগরণের অগ্রদূত

দুর্নীতির সর্বগ্রাসী বিস্তার বন্ধ করতে হবে

মা তোর বদনখানি মলিন হলে

ব্যবসায়ী নেতৃত্বশূন্য ই-ক্যাব

মূল্যস্ফীতির হিসাব নির্ণয়ে নতুন পদ্ধতির প্রাসঙ্গিকতা

tab

উপ-সম্পাদকীয়

একাকিত্ব ও মানসিক অশান্তি

রহমান মৃধা

শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

একাকিত্ব এবং মানসিক অশান্তি হলো এমন মানসিক অবস্থা, যা অনেক সময় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে। এই অবস্থা মানুষের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

একাকিত্ব ও মানসিক অশান্তির সম্ভাব্য কারণসমূহ :

একাকিত্ব এবং মানসিক অশান্তির বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো :

সামাজিক বিচ্ছিন্নতা :

পরিবার, বন্ধু কিংবা কাছের মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকা বা সম্পর্কের টানাপোড়েন একাকিত্বের একটি প্রধান কারণ।

জীবনের পরিবর্তন :

বড় ধরনের পরিবর্তন যেমনÑ চাকরি পরিবর্তন, সম্পর্কের বিচ্ছেদ বা প্রিয়জনের মৃত্যুÑ এগুলো আমাদের মানসিক অবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। এই পরিবর্তনগুলোর কারণে হঠাৎ করে নিজেকে একাকী এবং মানসিকভাবে অশান্ত মনে হতে পারে।

অতিরিক্ত চাপ :

পেশাগত দায়িত্ব, পড়াশোনা কিংবা পারিবারিক দায়িত্বের কারণে অতিরিক্ত চাপও মানসিক অশান্তির সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি চাপ মানসিক শান্তি নষ্ট করতে পারে এবং একাকিত্বের অনুভূতি তৈরি করতে পারে।

আত্মবিশ্বাসের অভাব :

নিজের প্রতি বিশ্বাসের অভাব এবং নিজেকে অপর্যাপ্ত মনে করা মানসিক অশান্তির একটি প্রধান কারণ হতে পারে। এটি একাকিত্বের অনুভূতিকে আরও গভীর করে তোলে।

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা :

উদ্বেগ, বিষণœতা এবং অন্যান্য মানসিক অসুস্থতার কারণে মানুষ একাকিত্ব এবং মানসিক অশান্তির শিকার হতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি এ ধরনের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।

একাকিত্ব ও মানসিক অশান্তি দূর করার উপায় :

একাকিত্ব ও মানসিক অশান্তি দূর করার জন্য কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। সঠিক উপায়ে নিজের যতœ নিলে মানসিক প্রশান্তি ফিরে পাওয়া সম্ভব।

সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখা :

বন্ধুবান্ধব, পরিবার বা সহকর্মীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক সংযোগ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং একাকিত্বের অনুভূতিকে দূরে সরিয়ে দেয়।

ধ্যান ও যোগব্যায়াম :

প্রতিদিন ধ্যান এবং যোগব্যায়ামের মাধ্যমে মনকে শান্ত রাখা যায়। এটি মানসিক চাপ কমায় এবং মানসিক অশান্তি দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত যোগব্যায়াম এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ন্ত্রণ মানসিক শান্তি নিশ্চিত করে।

শারীরিক ব্যায়াম :

শারীরিক ব্যায়াম কেবল শরীরের জন্য নয়, মনের জন্যও ভালো। দৈনিক কিছু সময় হাঁটা, দৌড়ানো বা ব্যায়াম করা মানসিক চাপ এবং একাকিত্বকে অনেকটাই কমাতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম মানসিক অবস্থা ভালো রাখতে সহায়ক।

নিজেকে ভালোবাসা এবং নিজের যতœ নেয়া :

নিজের প্রতি যতœশীল হওয়া এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি করা মানসিক শান্তির জন্য অপরিহার্য। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিজের মনকে ভালো লাগা কাজে ব্যস্ত রাখা একাকিত্ব কমাতে সাহায্য করতে পারে।

শখের মাধ্যমে নিজেকে ব্যস্ত রাখা :

নতুন শখ গ্রহণ করা বা পুরনো শখকে ফিরিয়ে আনা মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। চিত্রাঙ্কন, সংগীত, লেখালেখি, কিংবা গার্ডেনিংয়ের মতো সৃজনশীল কাজ মনকে শান্ত রাখে।

পেশাদার থেরাপি বা কাউন্সেলিং :

গুরুতর মানসিক অশান্তির ক্ষেত্রে পেশাদার কাউন্সেলিং বা থেরাপির সাহায্য নেয়া যেতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বললে মানসিক চাপ কমে এবং সমস্যাগুলো সহজে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়।

করণীয় :

একাকিত্ব এবং মানসিক অশান্তির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পালন করা উচিত :

বর্তমান মুহূর্তে বেঁচে থাকা :

বর্তমান মুহূর্তকে উপভোগ করতে শিখুন। অতীতের ভুল বা ভবিষ্যতের উদ্বেগ নিয়ে চিন্তা না করে বর্তমান সময়কে মূল্যায়ন করুন।

মানসিক প্রশান্তি অনুশীলন করা :

ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং সহজ জীবনযাপনের মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি অর্জন করা সম্ভব। মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখার জন্য প্রতিদিন কিছু সময় নিজেকে দিন।

আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি :

নিজের সক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন হোন এবং প্রতিদিন নিজের ইতিবাচক দিকগুলোকে গুরুত্ব দিন। আত্মবিশ্বাস মানসিক চাপ কমায় এবং একাকিত্ব দূর করে।

সহযোগিতা এবং সামাজিক সেবা :

সমাজের জন্য কিছু করা এবং অন্যের সহায়তা করা নিজেকে আরও মূল্যবান বোধ করতে সাহায্য করে। অন্যের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে নিজের মানসিক অবস্থাও ভালো থাকে।

বর্জনীয় :

একাকিত্ব এবং মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে কিছু বিষয় অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত :

নিজেকে দোষারোপ করা :

নিজেকে দোষারোপ করা এবং নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দূরে থাকুন। নিজেকে অন্যদের তুলনায় খারাপ ভাবা থেকে বিরত থাকুন।

অতিরিক্ত একাকী থাকা :

মানসিক অশান্তি থেকে বাঁচতে একাকীত্বের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখার পরিবর্তে সামাজিক যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

নেশা বা মাদকের আশ্রয় নেয়া :

অনেক সময় মানসিক চাপ বা একাকিত্ব থেকে মুক্তি পেতে মানুষ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে, যা দীর্ঘমেয়াদে আরও ক্ষতিকারক হতে পারে। এ ধরনের আচরণ থেকে দূরে থাকা উচিত।

সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া :

কোনো মানসিক সমস্যা অনুভব করলে তা উপেক্ষা না করে সরাসরি মোকাবিলা করা উচিত। সমস্যাকে এড়িয়ে গেলে তা আরও গুরুতর হয়ে উঠতে পারে।

একাকিত্ব এবং মানসিক অশান্তি জীবনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, তবে সচেতন পদক্ষেপ নিলে এগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সামাজিক মিথস্ক্রিয়া, শারীরিক ব্যায়াম, এবং মানসিক প্রশান্তি চর্চা করলে একাকিত্ব ও মানসিক অশান্তি দূর করা সহজ হয়। নিজের যতœ নিন, আত্মবিশ্বাসী থাকুন, এবং সবসময় ইতিবাচক মানসিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

[লেখক : সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন]

back to top