alt

উপ-সম্পাদকীয়

প্রযুক্তির মায়াজালে বন্দি মানুষ

: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

প্রকৃতি আমাদের অস্তিত্বের ভিত্তি; কিন্তু বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে মানবসভ্যতা আজ এক নতুন দিগন্তের পথে এসে দাঁড়িয়েছে। এই নতুন প্রযুক্তির কথা চিন্তা করতে যেয়ে প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি উদাসীনতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রযুক্তির অগ্রগতি মানুষের জীবনকে সহজতর করেছে ঠিকই কিন্তু এর ফলে আমরা প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে ফেলছি। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক দিন দিন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। শহরাঞ্চলে কংক্রিটের জঙ্গল দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের চারপাশে এখন শুধু উচ্চতর ভবন, রাস্তাঘাট ও যানবাহনের শব্দ। যেখানে গাছপালা কিংবা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কোনো অস্তিত্বই পাওয়া যায় না।

মানুষ এখন শুধু প্রকৃতি থেকেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছে না বরং প্রযুক্তির মায়াজালে বন্দিও হয়ে পড়ছে। যার ফলে মানুষের মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়াও বনভূমি ধ্বংস, অধিক জনসংখ্যা, বিভিন্ন ধরনের দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রকৃতির ওপর বেশ প্রভাব পড়েছে। যার ফলে প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটছে। এমনকি প্রকৃতি থেকে দূরে থাকার কারণে মানুষের মধ্যে সামাজিক সম্পর্কেরও অবনতি হচ্ছে।

বর্তমান যুগ হলো তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। তাই প্রযুক্তির বিকাশ মানুষের জীবনে অঙ্গীভূত হয়েছে। একদিকে যেমন স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভিডিও গেমের প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে ঠিক তেমনি অপরদিকে প্রকৃতির সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকৃতি আমাদের শারীরিক জীবনেও বেশ ভূমিকা পালন করে। গবেষণা করে দেখা গেছে, প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানো মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আর অন্যদিকে প্রকৃতির অভাবে উদ্বেগ, বিষণœতা এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা যেমন হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। এই প্রকৃতির অভাব মানুষের মানসিক শান্তি এবং সুস্থতাকে হারাতে বাধ্য করছে। প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানো একধরনের থেরাপির মতো কাজ করে যা মানুষকে স্বস্তি দেয়। প্রকৃতি শূন্যতার ফলে মানুষের জীবনের মান দিন দিন কমে যাচ্ছে। মানবিক সম্পর্কের উন্নতি, সৃজনশীলতা ও সুখের অনুভূতিগুলো হ্রাস পাচ্ছে। প্রকৃতির অভাব মানুষকে জীবনের ছোট ছোট আনন্দগুলো উপভোগ করতে বাধা দিচ্ছে। শিশুকাল থেকেই শেখানো হয় ‘গাছ লাগাও পরিবেশ বাঁচাও’ কিন্তু বর্তমানে এই কথাটি বাস্তবে আর কয়জনই বা রূপ দেয়। তাই প্রকৃতির সঙ্গে পুনঃসংযোগ স্থাপন করতে হবে।

সৈয়দা ফারিভা আখতার

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী কলেজ।

অতীত থেকে মুক্তি এবং ইতিবাচক জীবনযাপন

মুক্তি সংগ্রামে তিনটি ধারা

বাসযোগ্যতার সূচকে ঢাকা কেন পিছিয়ে

শুধু নিচেই নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর

উপেক্ষিত আটকে পড়া পাকিস্তানিরা

রম্যগদ্য : সিন্দাবাদের বুড়ো ও আমরা

নেই কেনো সেই পাখি

বায়ুদূষণ থেকে মুক্তি কোন পথে

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র : রাষ্ট্র সংস্কারের দুর্গম পথ

পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র

বিজয়ের প্রেরণা

মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার পুনর্বীক্ষণ

সিদরাত জেবিনের মৃত্যু অথবা প্রশ্নহীন বায়ুদূষণ

বিজয়ের গৌরব ও সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজ

ছবি

মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের অবদান

ছবি

বিজয় সংগ্রামের সূচনার সন্ধানে

মানসম্মত কনটেন্ট ও টিআরপির দ্বৈরথ

জিকা ভাইরাস রোধে প্রয়োজন সচেতনতা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার গুরুত্ব

ঢাকার বাতাস বিষাক্ত কেন

চরের কৃষি ও কৃষকের জীবন

নিম্ন আয়ের মানুষ ভালো নাই

সবার আগে নিজেকে পরিবর্তন করা দরকার

পুলিশ কবে পুলিশ হবে

জীবন ফিরে আসুক বাংলার নদীগুলোতে

কান্দন সরেন হত্যা ও ভূমি বিরোধ কি এড়ানো যেত না

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র: রাষ্ট্র বিনির্মাণে সমস্যা কোথায়?

মানবাধিকার দিবস : মানুষের অধিকার নিয়ে কেন এত কথা?

আমলাতান্ত্রিক স্বচ্ছতা : সংস্কারের পথে নাকি পুনরাবৃত্তি?

খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কথা

ছবি

বেগম রোকেয়া : নারী জাগরণের অগ্রদূত

দুর্নীতির সর্বগ্রাসী বিস্তার বন্ধ করতে হবে

মা তোর বদনখানি মলিন হলে

ব্যবসায়ী নেতৃত্বশূন্য ই-ক্যাব

মূল্যস্ফীতির হিসাব নির্ণয়ে নতুন পদ্ধতির প্রাসঙ্গিকতা

tab

উপ-সম্পাদকীয়

প্রযুক্তির মায়াজালে বন্দি মানুষ

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

প্রকৃতি আমাদের অস্তিত্বের ভিত্তি; কিন্তু বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে মানবসভ্যতা আজ এক নতুন দিগন্তের পথে এসে দাঁড়িয়েছে। এই নতুন প্রযুক্তির কথা চিন্তা করতে যেয়ে প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি উদাসীনতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রযুক্তির অগ্রগতি মানুষের জীবনকে সহজতর করেছে ঠিকই কিন্তু এর ফলে আমরা প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে ফেলছি। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক দিন দিন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। শহরাঞ্চলে কংক্রিটের জঙ্গল দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের চারপাশে এখন শুধু উচ্চতর ভবন, রাস্তাঘাট ও যানবাহনের শব্দ। যেখানে গাছপালা কিংবা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কোনো অস্তিত্বই পাওয়া যায় না।

মানুষ এখন শুধু প্রকৃতি থেকেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছে না বরং প্রযুক্তির মায়াজালে বন্দিও হয়ে পড়ছে। যার ফলে মানুষের মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়াও বনভূমি ধ্বংস, অধিক জনসংখ্যা, বিভিন্ন ধরনের দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রকৃতির ওপর বেশ প্রভাব পড়েছে। যার ফলে প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটছে। এমনকি প্রকৃতি থেকে দূরে থাকার কারণে মানুষের মধ্যে সামাজিক সম্পর্কেরও অবনতি হচ্ছে।

বর্তমান যুগ হলো তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। তাই প্রযুক্তির বিকাশ মানুষের জীবনে অঙ্গীভূত হয়েছে। একদিকে যেমন স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভিডিও গেমের প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে ঠিক তেমনি অপরদিকে প্রকৃতির সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকৃতি আমাদের শারীরিক জীবনেও বেশ ভূমিকা পালন করে। গবেষণা করে দেখা গেছে, প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানো মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আর অন্যদিকে প্রকৃতির অভাবে উদ্বেগ, বিষণœতা এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা যেমন হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। এই প্রকৃতির অভাব মানুষের মানসিক শান্তি এবং সুস্থতাকে হারাতে বাধ্য করছে। প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানো একধরনের থেরাপির মতো কাজ করে যা মানুষকে স্বস্তি দেয়। প্রকৃতি শূন্যতার ফলে মানুষের জীবনের মান দিন দিন কমে যাচ্ছে। মানবিক সম্পর্কের উন্নতি, সৃজনশীলতা ও সুখের অনুভূতিগুলো হ্রাস পাচ্ছে। প্রকৃতির অভাব মানুষকে জীবনের ছোট ছোট আনন্দগুলো উপভোগ করতে বাধা দিচ্ছে। শিশুকাল থেকেই শেখানো হয় ‘গাছ লাগাও পরিবেশ বাঁচাও’ কিন্তু বর্তমানে এই কথাটি বাস্তবে আর কয়জনই বা রূপ দেয়। তাই প্রকৃতির সঙ্গে পুনঃসংযোগ স্থাপন করতে হবে।

সৈয়দা ফারিভা আখতার

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী কলেজ।

back to top