জাঁ-নেসার ওসমান
কী রে, ভাই, কার লগে আবার নিমক-হারামি করলেন?
নিমক-হারামি করব আমি! মাস্টারের পোলা, যার বাপে সমাজে তার ছাত্রদের সৎ সুন্দর পথে চলতে বলেন, লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে ধর্মীয় কুপম-ুকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে মানুষ হতে বলেন, সেই রক্তের পোলা আমি করমু নিমক-হারামি! তুই পাগল না তোর পেট খারাপ!
আব্বে, হালায় আমার ডাইরিয়া হইব ক্যান? আপনেইতো হালা লিখছেন, নিমক-হারাম জাঁ-নেসার ওসমান!
ওই বুড়বক, শালা, অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত, ব্যাটা, আমার রচনার টাইটেলÑ ‘নিমক-হারাম’। তার মানে এই না যে আমি নিজে নিমক-হারাম!
হেঁ হেঁ হেঁ, একথা বললে চলবে ক্যানো। কোনো দিন যদি কারো সাথে ‘নিমক-হারামি’ না করেন, তাহলে এই নিমক-হারাম সম্পর্কে আপনি লিখবেন কী করে? হেঁ হেঁ হেঁ।
ওই ব্যাটা ওই যে তোদের পৃথিবী বিখ্যাত রহস্য উপন্যাস ‘শার্লক হোমস’র, লেখক আর্থার কোনান ডোয়েল, যিনি তার বিখ্যাত উপন্যাস ‘দি মার্ডার অ্যাট দি বাস্কারভিল’ লিখে জগৎ বিখ্যাত হয়েছিলেন, উনি কটা মার্ডার করেছেন বলে তোর বিশ্বাস?
এইডা কী কন! খুন-জখমের গল্প-লিখতে আবার খুন করতে হয় নাকি? তায়লেতো প্রেমের গল্প লিখতে গেলে, প্লে-বয় হইতে হইব! হেঁ হেঁ কী যে কন!
ও অন্যদের বেলায় খুন না করেও খুনের গল্প লেখা যাবে, আর আমার বেলায় নিমক-হারামদের নিয়ে লিখতে গেলে নিমক-হারামি করতে হবে!
না কই আরকি, যে বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থাকে সে বিষয়ে লিখলে লেখা আরো প্রাণগ্রাহী হয়, কারণ প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা আরকি।
তোর সমাজে নিমক-হারামির প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতার জন্য আবার চিন্তা করতে হয় নাকি? সমাজের চারিদিকে তো নিমক-হারামের ছড়াছড়ি।
মানে কী বলতে চান আমাদের সমাজে নিমক-হারাম ভর্তি!
ভর্তি মানে, নিমক-হারাম গিজগিজ করছে। এই যে দ্যেখ তোদের মুক্তিযুদ্ধ যদি সফল না হতো, তাহলে আজকেও তোরা বর্বর অবাঙালি পাকিস্তানি মুসলমানদের গোলামি করতি। এই সব সিএসপি অফিসার, সচিব, চেয়ারম্যান, প্রোজেক্ট-ডিরেক্টার, মন্ত্রী-মিনিস্টার! ভুইল্লা যান, অফিস-আদালতে বড়জোর, সেকশন-অফিসার, আর স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের হেড-ক্লার্ক, এই হতো তোদের বাঙলিদের সর্বোচ্চ পোস্ট।
আর খেলাধুলায়, আজীবন বল-বয়, খুব ভালো কপাল হলে, বদলি খেলোয়াড়Ñ অর্থাৎ টুয়েলভথ-ম্যান।
ঠিক আছে, বর্বর পাকিস্তানিরা আমাগো ন্যায্য অধিকার দ্যেয় নাই বইল্যাই লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা তাদের জীবন দিয়া, লক্ষ লক্ষ মা-বইনের ত্যাগের বিনিময়ে আজকে আমরা স্বাধীন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে আপনে নিমক-হারামির কী পাইলেন!
ওই ব্যাটা বুকে হাতদিয়া ক’ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন না হইলে, পৃথিবীর বুকে তোরা বাঙালি, কুনোদিন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাইতি? ক’ ওই হালার পো, ক’ বাঙালি কুনোদিন ওয়ার্ল্ড বেস্ট অলরাউন্ডার হইত!
না কথা ঠিক, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, বিশ্বে একটা নতুন মানচিত্র পেয়েছি এ নিয়ে কুনো বিতর্ক নাই। প্রতিটি বাঙালি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এর সুফল ভোগ করবে। স্বাধীন দেশের নাগরিক, সে এক অন্য অনুভূতি। স্বাধীনতাহীনতা কে বাঁচিতে চায় রে কে বাঁচিতে চায়...
মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের জন্যই আজ তোরা বড় বড় কলকারখানার মালিক, বড় বড় সংবাদপত্রের সম্পাদক, বড় বড় সাংবাদিক, কিন্তু বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো, তাহলে সাংবাদিক হওয়া তো দূরের কথা পাকিস্তানিদের গৃহকর্মসহায়ক হতে পারতি কিনা সন্দেহ।
সবইতো বুঝলাম কিন্তু আপনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাঝে নিমক-হারামির কী পাইলেন??
ও মা, তুমি কচি খোকা! তুমি জান না ১১ই, নভেম্বর., ১৯৭১-এ, কুমিল্লার বেতিয়ারার সম্মুখযুদ্ধে বুয়েটের ছাত্র নিজাম উদ্দিন আজাদসহ, দশজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন, আর যারা গুলি মারতে মারতে, বর্বর পাকিস্তানিদের মেরে জান নিয়ে বেঁচে, বেইস-ক্যাম্পে ফিরে আসে, তুই যদি তাদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলিস তাহলে, তা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিমক-হারামি নয়!
এইডা কী কন, সরাসরি রণাঙ্গনে সম্মুখযুদ্ধে যারা যুদ্ধ করে বর্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের খতম করে বীরের বেশে দেশ স্বাধীন করে, দেশে ফিরেছে তাদের যদি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে, তায়লে, ওই হালায় তো মানুষের বাচ্চা না, হালায়তো সারমেয়র ঔরসে জন্ম! অবশ্য ভাই যে সাংবাদিকগুলা ১৯৭১-এর সম্মুখ সমরের মুক্তিযোদ্ধাদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে প্রমাণ করতে ব্যস্ত, এর একটা কারণ আছে।
এ আবার কী কথা রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণ করে সাংবাদিকের কী লাভ?
লাভ না ভাই, এটা জেনিটিক্যাল ব্যাপার। জেনিটিক্যাল ব্যাপার, মানে?
মানে বুঝলেন না! ওই যে পাকিস্তানি বরনারী পুত্র বর্বর সৈন্যগুলার
দুয়েকটা নাজায়েজ সন্তান কী যেন নাম, হালায় মনেও থাকে না, বৃষ্টি-বাদল, আসমান না মেঘ, এখন বড় বড় স্থানে পোস্ট পাইছে, ওই পাকিস্তানি জিন ওগো রক্তে, তাই বৈজ্ঞানিক নিয়মে জিনের কারণে ওরা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদেরও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণ করতে ব্যস্ত।
ঠিক আছে, ঠিক আছে, বৃষ্টি-বাদল, আসমান না মেঘ হালারা যেখানেই থাকুক, কিন্তু পৃথিবীর সর্বাধিক প্রচারিত নিউজ পেপারের সম্পাদকও কি পাকিস্তানি নাজায়েজ পুত্র, হেয় ক্যান এই রকম মিথ্যা খবর ছাপব!
হালায় যদি সম্পাদনা না-ই করব তো হালায় বেতন লয় ক্যান!
অবশ্য ভাই, আপনার এগোরে ওই নাজায়েজ পাকিস্তানির সন্তানরে নিমক-হারাম বলা ঠিক হয় নাই।
কী বলিস, জেনুইন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে হারামিপনা করবে, আর আমি শালাদের নিমক-হারাম বলতে পারব না!
না ভাই, আপনার ওদের নিমক-হারাম বলা ঠিক হয় নাই। এটা লজিক্যাল ফ্যালাসি অব মিডেল টার্ম। কারণ, এই যেমন ধরেনÑ পুলিশ চোর ধরব, ড্রাইভার গাড়ি চালাইব, ডাক্তার রোগী দেখব, ঠিহ তেমনি যাগো হারামের জন্ম, হ্যেরা হারামিপনা করবই...
হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিকই বলেছিস, হারামিদের নিমক-হারাম বলা ঠিক হয়নি! মাপ কইরা দেওন যায় না! হেঁ হেঁ হেঁ।
[লেখক : চলচ্চিত্রকার]
জাঁ-নেসার ওসমান
শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪
কী রে, ভাই, কার লগে আবার নিমক-হারামি করলেন?
নিমক-হারামি করব আমি! মাস্টারের পোলা, যার বাপে সমাজে তার ছাত্রদের সৎ সুন্দর পথে চলতে বলেন, লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে ধর্মীয় কুপম-ুকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে মানুষ হতে বলেন, সেই রক্তের পোলা আমি করমু নিমক-হারামি! তুই পাগল না তোর পেট খারাপ!
আব্বে, হালায় আমার ডাইরিয়া হইব ক্যান? আপনেইতো হালা লিখছেন, নিমক-হারাম জাঁ-নেসার ওসমান!
ওই বুড়বক, শালা, অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত, ব্যাটা, আমার রচনার টাইটেলÑ ‘নিমক-হারাম’। তার মানে এই না যে আমি নিজে নিমক-হারাম!
হেঁ হেঁ হেঁ, একথা বললে চলবে ক্যানো। কোনো দিন যদি কারো সাথে ‘নিমক-হারামি’ না করেন, তাহলে এই নিমক-হারাম সম্পর্কে আপনি লিখবেন কী করে? হেঁ হেঁ হেঁ।
ওই ব্যাটা ওই যে তোদের পৃথিবী বিখ্যাত রহস্য উপন্যাস ‘শার্লক হোমস’র, লেখক আর্থার কোনান ডোয়েল, যিনি তার বিখ্যাত উপন্যাস ‘দি মার্ডার অ্যাট দি বাস্কারভিল’ লিখে জগৎ বিখ্যাত হয়েছিলেন, উনি কটা মার্ডার করেছেন বলে তোর বিশ্বাস?
এইডা কী কন! খুন-জখমের গল্প-লিখতে আবার খুন করতে হয় নাকি? তায়লেতো প্রেমের গল্প লিখতে গেলে, প্লে-বয় হইতে হইব! হেঁ হেঁ কী যে কন!
ও অন্যদের বেলায় খুন না করেও খুনের গল্প লেখা যাবে, আর আমার বেলায় নিমক-হারামদের নিয়ে লিখতে গেলে নিমক-হারামি করতে হবে!
না কই আরকি, যে বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থাকে সে বিষয়ে লিখলে লেখা আরো প্রাণগ্রাহী হয়, কারণ প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা আরকি।
তোর সমাজে নিমক-হারামির প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতার জন্য আবার চিন্তা করতে হয় নাকি? সমাজের চারিদিকে তো নিমক-হারামের ছড়াছড়ি।
মানে কী বলতে চান আমাদের সমাজে নিমক-হারাম ভর্তি!
ভর্তি মানে, নিমক-হারাম গিজগিজ করছে। এই যে দ্যেখ তোদের মুক্তিযুদ্ধ যদি সফল না হতো, তাহলে আজকেও তোরা বর্বর অবাঙালি পাকিস্তানি মুসলমানদের গোলামি করতি। এই সব সিএসপি অফিসার, সচিব, চেয়ারম্যান, প্রোজেক্ট-ডিরেক্টার, মন্ত্রী-মিনিস্টার! ভুইল্লা যান, অফিস-আদালতে বড়জোর, সেকশন-অফিসার, আর স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের হেড-ক্লার্ক, এই হতো তোদের বাঙলিদের সর্বোচ্চ পোস্ট।
আর খেলাধুলায়, আজীবন বল-বয়, খুব ভালো কপাল হলে, বদলি খেলোয়াড়Ñ অর্থাৎ টুয়েলভথ-ম্যান।
ঠিক আছে, বর্বর পাকিস্তানিরা আমাগো ন্যায্য অধিকার দ্যেয় নাই বইল্যাই লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা তাদের জীবন দিয়া, লক্ষ লক্ষ মা-বইনের ত্যাগের বিনিময়ে আজকে আমরা স্বাধীন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে আপনে নিমক-হারামির কী পাইলেন!
ওই ব্যাটা বুকে হাতদিয়া ক’ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন না হইলে, পৃথিবীর বুকে তোরা বাঙালি, কুনোদিন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাইতি? ক’ ওই হালার পো, ক’ বাঙালি কুনোদিন ওয়ার্ল্ড বেস্ট অলরাউন্ডার হইত!
না কথা ঠিক, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, বিশ্বে একটা নতুন মানচিত্র পেয়েছি এ নিয়ে কুনো বিতর্ক নাই। প্রতিটি বাঙালি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এর সুফল ভোগ করবে। স্বাধীন দেশের নাগরিক, সে এক অন্য অনুভূতি। স্বাধীনতাহীনতা কে বাঁচিতে চায় রে কে বাঁচিতে চায়...
মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের জন্যই আজ তোরা বড় বড় কলকারখানার মালিক, বড় বড় সংবাদপত্রের সম্পাদক, বড় বড় সাংবাদিক, কিন্তু বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো, তাহলে সাংবাদিক হওয়া তো দূরের কথা পাকিস্তানিদের গৃহকর্মসহায়ক হতে পারতি কিনা সন্দেহ।
সবইতো বুঝলাম কিন্তু আপনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাঝে নিমক-হারামির কী পাইলেন??
ও মা, তুমি কচি খোকা! তুমি জান না ১১ই, নভেম্বর., ১৯৭১-এ, কুমিল্লার বেতিয়ারার সম্মুখযুদ্ধে বুয়েটের ছাত্র নিজাম উদ্দিন আজাদসহ, দশজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন, আর যারা গুলি মারতে মারতে, বর্বর পাকিস্তানিদের মেরে জান নিয়ে বেঁচে, বেইস-ক্যাম্পে ফিরে আসে, তুই যদি তাদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলিস তাহলে, তা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিমক-হারামি নয়!
এইডা কী কন, সরাসরি রণাঙ্গনে সম্মুখযুদ্ধে যারা যুদ্ধ করে বর্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের খতম করে বীরের বেশে দেশ স্বাধীন করে, দেশে ফিরেছে তাদের যদি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে, তায়লে, ওই হালায় তো মানুষের বাচ্চা না, হালায়তো সারমেয়র ঔরসে জন্ম! অবশ্য ভাই যে সাংবাদিকগুলা ১৯৭১-এর সম্মুখ সমরের মুক্তিযোদ্ধাদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে প্রমাণ করতে ব্যস্ত, এর একটা কারণ আছে।
এ আবার কী কথা রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণ করে সাংবাদিকের কী লাভ?
লাভ না ভাই, এটা জেনিটিক্যাল ব্যাপার। জেনিটিক্যাল ব্যাপার, মানে?
মানে বুঝলেন না! ওই যে পাকিস্তানি বরনারী পুত্র বর্বর সৈন্যগুলার
দুয়েকটা নাজায়েজ সন্তান কী যেন নাম, হালায় মনেও থাকে না, বৃষ্টি-বাদল, আসমান না মেঘ, এখন বড় বড় স্থানে পোস্ট পাইছে, ওই পাকিস্তানি জিন ওগো রক্তে, তাই বৈজ্ঞানিক নিয়মে জিনের কারণে ওরা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদেরও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণ করতে ব্যস্ত।
ঠিক আছে, ঠিক আছে, বৃষ্টি-বাদল, আসমান না মেঘ হালারা যেখানেই থাকুক, কিন্তু পৃথিবীর সর্বাধিক প্রচারিত নিউজ পেপারের সম্পাদকও কি পাকিস্তানি নাজায়েজ পুত্র, হেয় ক্যান এই রকম মিথ্যা খবর ছাপব!
হালায় যদি সম্পাদনা না-ই করব তো হালায় বেতন লয় ক্যান!
অবশ্য ভাই, আপনার এগোরে ওই নাজায়েজ পাকিস্তানির সন্তানরে নিমক-হারাম বলা ঠিক হয় নাই।
কী বলিস, জেনুইন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে হারামিপনা করবে, আর আমি শালাদের নিমক-হারাম বলতে পারব না!
না ভাই, আপনার ওদের নিমক-হারাম বলা ঠিক হয় নাই। এটা লজিক্যাল ফ্যালাসি অব মিডেল টার্ম। কারণ, এই যেমন ধরেনÑ পুলিশ চোর ধরব, ড্রাইভার গাড়ি চালাইব, ডাক্তার রোগী দেখব, ঠিহ তেমনি যাগো হারামের জন্ম, হ্যেরা হারামিপনা করবই...
হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিকই বলেছিস, হারামিদের নিমক-হারাম বলা ঠিক হয়নি! মাপ কইরা দেওন যায় না! হেঁ হেঁ হেঁ।
[লেখক : চলচ্চিত্রকার]