তাবলিগ জামাত, বিশ্বব্যাপী ইসলামী দাওয়াতের এক প্রতিষ্ঠিত সংগঠন। দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠনটি ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ দাওয়াতের জন্য পরিচিত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে এই সংগঠনের দুই অংশের ‘জুবায়েরপন্থী’ এবং ‘সাদপন্থী’Ñ মধ্যে বিভক্তি এবং সংঘাত দেখা দিয়েছে।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলিগ জামাতের দুই প্রধান অংশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা শুধু হতাশাজনক নয়, বরং এটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভেতরে বিভক্তি এবং নেতৃত্বের সংকটের একটি উদাহরণ। এ সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু এবং অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনা আমাদের সবার জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ। প্রশ্ন হলোÑ যখন সমঝোতা হয়েছে, তখন কেন এমন সংঘর্ষ? প্রশাসনের উদ্যোগে উভয়পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সমঝোতা চুক্তি হলেও তা টিকে থাকেনি। অনেকে বলছেন, এর কারণ হচ্ছে উভয়পক্ষের নেতৃত্বের মধ্যে চরমপন্থা এবং ক্ষমতা ধরে রাখার আকাক্সক্ষা। টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ, যা ঐতিহাসিকভাবে তাবলিগ জামাতের একটি পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত, উভয়পক্ষের জন্য একটি মর্যাদার বিষয় হয়ে উঠেছে।
জুবায়েরপন্থীরা তাদের দাবি প্রতিষ্ঠায় অবস্থান নিলে, সাদপন্থীরা তা সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছে। মঙ্গলবার শেষরাতে সংঘর্ষের শুরু হওয়া উভয়পক্ষের দোষারোপের মাধ্যমে এটিই স্পষ্ট হয় যে, সমঝোতার শর্তগুলো বাস্তবে কার্যকর হয়নি।
প্রশাসন দাবি করছে, এই সংঘর্ষ এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ঘটনাটি যেভাবে সংঘটিত হয়েছে, তা প্রশাসনের পরিকল্পনায় কিছু ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে, ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত উভয়পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন আরও কঠোর হতে পারত।
তাবলিগ জামাতের মতো একটি ধর্মীয় সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের প্রচার ও সমাজে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়া। কিন্তু তাদের ভেতরকার এই বিভাজন শুধু তাদের নিজস্ব অনুসারীদেরই বিভ্রান্ত করছে না, বরং সাধারণ মানুষের মনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই সংঘর্ষ শুধু ধর্মীয় ভাবমূর্তির ক্ষতিই করেনি, বরং সমাজে ধর্মীয় সহনশীলতা এবং সম্প্রীতির পরিবেশকেও আঘাত করেছে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। সরকারের উচিত উভয়পক্ষকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থায়ী সমাধান বের করা। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে বুঝতে হবে যে, ইসলাম শান্তি ও সহনশীলতার কথা বলে। সমস্যার সমাধানে ঐক্য ও সহমর্মিতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সংঘর্ষে প্রাণহানি বা রক্তপাত কখনোই সমস্যার সমাধান হতে পারে না। শান্তিপূর্ণ আলোচনা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই এই দ্বন্দ্ব নিরসন সম্ভব।
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
তাবলিগ জামাত, বিশ্বব্যাপী ইসলামী দাওয়াতের এক প্রতিষ্ঠিত সংগঠন। দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠনটি ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ দাওয়াতের জন্য পরিচিত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে এই সংগঠনের দুই অংশের ‘জুবায়েরপন্থী’ এবং ‘সাদপন্থী’Ñ মধ্যে বিভক্তি এবং সংঘাত দেখা দিয়েছে।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলিগ জামাতের দুই প্রধান অংশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা শুধু হতাশাজনক নয়, বরং এটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভেতরে বিভক্তি এবং নেতৃত্বের সংকটের একটি উদাহরণ। এ সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু এবং অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনা আমাদের সবার জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ। প্রশ্ন হলোÑ যখন সমঝোতা হয়েছে, তখন কেন এমন সংঘর্ষ? প্রশাসনের উদ্যোগে উভয়পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সমঝোতা চুক্তি হলেও তা টিকে থাকেনি। অনেকে বলছেন, এর কারণ হচ্ছে উভয়পক্ষের নেতৃত্বের মধ্যে চরমপন্থা এবং ক্ষমতা ধরে রাখার আকাক্সক্ষা। টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ, যা ঐতিহাসিকভাবে তাবলিগ জামাতের একটি পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত, উভয়পক্ষের জন্য একটি মর্যাদার বিষয় হয়ে উঠেছে।
জুবায়েরপন্থীরা তাদের দাবি প্রতিষ্ঠায় অবস্থান নিলে, সাদপন্থীরা তা সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছে। মঙ্গলবার শেষরাতে সংঘর্ষের শুরু হওয়া উভয়পক্ষের দোষারোপের মাধ্যমে এটিই স্পষ্ট হয় যে, সমঝোতার শর্তগুলো বাস্তবে কার্যকর হয়নি।
প্রশাসন দাবি করছে, এই সংঘর্ষ এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ঘটনাটি যেভাবে সংঘটিত হয়েছে, তা প্রশাসনের পরিকল্পনায় কিছু ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে, ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত উভয়পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন আরও কঠোর হতে পারত।
তাবলিগ জামাতের মতো একটি ধর্মীয় সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের প্রচার ও সমাজে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়া। কিন্তু তাদের ভেতরকার এই বিভাজন শুধু তাদের নিজস্ব অনুসারীদেরই বিভ্রান্ত করছে না, বরং সাধারণ মানুষের মনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই সংঘর্ষ শুধু ধর্মীয় ভাবমূর্তির ক্ষতিই করেনি, বরং সমাজে ধর্মীয় সহনশীলতা এবং সম্প্রীতির পরিবেশকেও আঘাত করেছে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। সরকারের উচিত উভয়পক্ষকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থায়ী সমাধান বের করা। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে বুঝতে হবে যে, ইসলাম শান্তি ও সহনশীলতার কথা বলে। সমস্যার সমাধানে ঐক্য ও সহমর্মিতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সংঘর্ষে প্রাণহানি বা রক্তপাত কখনোই সমস্যার সমাধান হতে পারে না। শান্তিপূর্ণ আলোচনা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই এই দ্বন্দ্ব নিরসন সম্ভব।