alt

উপ-সম্পাদকীয়

অতীত থেকে মুক্তি এবং ইতিবাচক জীবনযাপন

রহমান মৃধা

: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

মানুষের জীবনে অতীতের ভুল, ব্যর্থতা এবং নেতিবাচক অভিজ্ঞতা একটি সাধারণ বাস্তবতা। এগুলো যদি আমাদের চিন্তার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে, তবে এটি আমাদের মানসিক শান্তি ও ভবিষ্যতের উন্নতিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই অতীত থেকে মুক্তি পেতে এবং মস্তিষ্ককে সৃজনশীল, উদ্ভাবনী ও নিয়ন্ত্রিত করার জন্য সঠিক কৌশল অবলম্বন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এ বিষয়ে একটি গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হলো যা প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত ও মানসিক উন্নয়নের সহায়ক হতে পারে:

১. অতীত থেকে শিক্ষা নেয়া এবং ভবিষ্যৎ নির্মাণ

অতীতের ঘটনা আমাদের শিক্ষা দিতে পারে, তবে এটি আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

পদক্ষেপ:

অতীতের ভুল বা কষ্টের অভিজ্ঞতাকে শিক্ষার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখুন।

ভবিষ্যতের জন্য ছোট ছোট বাস্তবমুখী লক্ষ্য তৈরি করুন।

নিজেকে মনে করান : “আমি যা ঘটেছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, তবে আমি কীভাবে সাড়া দেব তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।”

উদাহরণ:

একজন ব্যক্তি যদি তার পেশাগত জীবনে ব্যর্থতা অনুভব করেন, তবে এই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন দক্ষতা অর্জনের দিকে মনোযোগ দিতে পারেন।

২. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সৃজনশীল অভ্যাস

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এটি নতুন অভিজ্ঞতা, সমস্যা সমাধান, এবং ইতিবাচক চিন্তায় জড়িত থাকা প্রয়োজন।

পদ্ধতি:

প্রতিদিন একটি নতুন দক্ষতা বা শখ শেখার চেষ্টা করুন, যেমনÑনতুন ভাষা, পেইন্টিং বা গিটার বাজানো।

মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষিত করতে ধাঁধা, লজিক্যাল গেম বা বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

নিজেকে প্রশ্ন করুন: “এই সমস্যার ভিন্ন সমাধান কী হতে পারে?”

গঠনমূলক ফলাফল:

এটি মস্তিষ্কে নতুন স্নায়ু যোগসূত্র তৈরি করবে এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করবে।

৩. মাইন্ডফুলনেস এবং ধ্যান চর্চা

মাইন্ডফুলনেস বর্তমান মুহূর্তের প্রতি মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং অতীত বা ভবিষ্যতের চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়।

ধাপসমূহ:

প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট মাইন্ডফুলনেস ধ্যান করুন।

শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর মনোযোগ দিন। চিন্তা এলে সেটাকে অবজ্ঞা করে শ্বাসে ফিরে আসুন।

মস্তিষ্ককে প্রশান্ত করতে প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান।

গঠনমূলক ফলাফল:

এটি স্ট্রেস কমায়, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মনোযোগ বাড়ায়।

৪. নেতিবাচক চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ করা

আমাদের মস্তিষ্ক অনেক সময় নেতিবাচক চিন্তার ফাঁদে পড়ে যায়। এগুলোকে যুক্তিবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে চ্যালেঞ্জ করা গুরুত্বপূর্ণ।

কৌশল:

প্রতিটি নেতিবাচক চিন্তার বিপরীতে একটি ইতিবাচক বক্তব্য তৈরি করুন।

নিজেকে প্রশ্ন করুন: “এই চিন্তা কি বাস্তবতার সঙ্গে মিলছে? নাকি এটি আমার কল্পনা?”

উদাহরণ:

নেতিবাচক চিন্তা: “আমি সবসময় ব্যর্থ হব।”

ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া: “প্রতিটি ব্যর্থতা একটি নতুন শুরু।”

৫. শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম

মস্তিষ্ক ও শরীর একে অপরের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। শারীরিক ব্যায়াম মানসিক শক্তি বাড়ায় এবং সৃজনশীল চিন্তার জন্য জায়গা তৈরি করে।

পদ্ধতি:

প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটুন, দৌড়ান বা যোগব্যায়াম করুন।

ব্যায়ামের সময় নিজের চিন্তাগুলোকে সৃজনশীল হতে দিন।

গঠনমূলক ফলাফল:

এটি মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, এন্ডরফিন নিঃসরণ করে, এবং মানসিক চাপ কমায়।

৬. সামাজিক সংযোগ এবং সমর্থন খোঁজা

মানুষ সামাজিক প্রাণী। সঠিক মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো আমাদের মানসিক অবস্থাকে স্থিতিশীল ও প্রেরণাদায়ী করতে পারে।

পদ্ধতি:

পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন।

জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।

সৃজনশীল বা প্রেরণাদায়ী মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করুন।

গঠনমূলক ফলাফল:

সামাজিক সংযোগ আমাদের নিরাপত্তা এবং ইতিবাচকতা অনুভব করায়, যা মানসিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে।

৭. ক্ষমা ও কৃতজ্ঞতা চর্চা

অতীতের ভুল বা অন্যের প্রতি ক্ষোভ নিয়ে বাঁচা মানসিক চাপ বাড়ায়।

পদ্ধতি:

নিজেকে এবং অন্যদের ক্ষমা করুন।

প্রতিদিন ডায়েরিতে অন্তত ৩টি কৃতজ্ঞতার কারণ লিখুন।

উদাহরণ:

আজকের জন্য কৃতজ্ঞতা:

১. আমি শারীরিকভাবে সুস্থ।

২. আমার পরিবার আমার পাশে আছে।

৩. আজ আমি একটি নতুন অভ্যাস শুরু করেছি।

৮. পেশাদার সাহায্য নেয়া

যদি অতীতের চিন্তা বা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, পেশাদার থেরাপি নিতে দ্বিধা করবেন না।

সুবিধা:

সাইকোলজিস্ট বা কাউন্সেলরের সহায়তা আপনার চিন্তার ধরন বদলে দিতে পারে।

ঈইঞ (ঈড়মহরঃরাব ইবযধারড়ৎধষ ঞযবৎধচু) অতীতের নেতিবাচক চিন্তাগুলো থেকে মুক্তি পেতে কার্যকর।

উপসংহার

অতীতের ঘটনার কারণে আমরা যদি বর্তমানকে উপেক্ষা করি, তবে জীবন আমাদের কাছে মূল্যহীন হয়ে ওঠে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে, মস্তিষ্ককে সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত রেখে এবং ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সফল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারি।

অতীতকে ছেড়ে দেয়ার সবচেয়ে বড় উপায় হলো বর্তমানকে ভালোবাসা এবং ভবিষ্যতের দিকে মনোযোগ দেয়া। মনে রাখবেন, আপনার চিন্তার শক্তি এবং মস্তিষ্কের সম্ভাবনা অসীম। যথাযথ চর্চা ও ধৈর্যের মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন।

“অতীত যা দিয়েছে তা গ্রহণ করুন, তবে নিজের ভবিষ্যৎ আপনি নিজেই তৈরি করবেন।”

[লেখক : সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন ]

মুক্তি সংগ্রামে তিনটি ধারা

বাসযোগ্যতার সূচকে ঢাকা কেন পিছিয়ে

শুধু নিচেই নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর

উপেক্ষিত আটকে পড়া পাকিস্তানিরা

রম্যগদ্য : সিন্দাবাদের বুড়ো ও আমরা

নেই কেনো সেই পাখি

বায়ুদূষণ থেকে মুক্তি কোন পথে

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র : রাষ্ট্র সংস্কারের দুর্গম পথ

পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র

বিজয়ের প্রেরণা

মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার পুনর্বীক্ষণ

সিদরাত জেবিনের মৃত্যু অথবা প্রশ্নহীন বায়ুদূষণ

বিজয়ের গৌরব ও সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজ

ছবি

মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের অবদান

ছবি

বিজয় সংগ্রামের সূচনার সন্ধানে

মানসম্মত কনটেন্ট ও টিআরপির দ্বৈরথ

জিকা ভাইরাস রোধে প্রয়োজন সচেতনতা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার গুরুত্ব

ঢাকার বাতাস বিষাক্ত কেন

চরের কৃষি ও কৃষকের জীবন

নিম্ন আয়ের মানুষ ভালো নাই

সবার আগে নিজেকে পরিবর্তন করা দরকার

পুলিশ কবে পুলিশ হবে

জীবন ফিরে আসুক বাংলার নদীগুলোতে

কান্দন সরেন হত্যা ও ভূমি বিরোধ কি এড়ানো যেত না

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র: রাষ্ট্র বিনির্মাণে সমস্যা কোথায়?

মানবাধিকার দিবস : মানুষের অধিকার নিয়ে কেন এত কথা?

আমলাতান্ত্রিক স্বচ্ছতা : সংস্কারের পথে নাকি পুনরাবৃত্তি?

খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কথা

ছবি

বেগম রোকেয়া : নারী জাগরণের অগ্রদূত

দুর্নীতির সর্বগ্রাসী বিস্তার বন্ধ করতে হবে

মা তোর বদনখানি মলিন হলে

ব্যবসায়ী নেতৃত্বশূন্য ই-ক্যাব

মূল্যস্ফীতির হিসাব নির্ণয়ে নতুন পদ্ধতির প্রাসঙ্গিকতা

মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা চায়

tab

উপ-সম্পাদকীয়

অতীত থেকে মুক্তি এবং ইতিবাচক জীবনযাপন

রহমান মৃধা

শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

মানুষের জীবনে অতীতের ভুল, ব্যর্থতা এবং নেতিবাচক অভিজ্ঞতা একটি সাধারণ বাস্তবতা। এগুলো যদি আমাদের চিন্তার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে, তবে এটি আমাদের মানসিক শান্তি ও ভবিষ্যতের উন্নতিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই অতীত থেকে মুক্তি পেতে এবং মস্তিষ্ককে সৃজনশীল, উদ্ভাবনী ও নিয়ন্ত্রিত করার জন্য সঠিক কৌশল অবলম্বন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এ বিষয়ে একটি গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হলো যা প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত ও মানসিক উন্নয়নের সহায়ক হতে পারে:

১. অতীত থেকে শিক্ষা নেয়া এবং ভবিষ্যৎ নির্মাণ

অতীতের ঘটনা আমাদের শিক্ষা দিতে পারে, তবে এটি আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

পদক্ষেপ:

অতীতের ভুল বা কষ্টের অভিজ্ঞতাকে শিক্ষার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখুন।

ভবিষ্যতের জন্য ছোট ছোট বাস্তবমুখী লক্ষ্য তৈরি করুন।

নিজেকে মনে করান : “আমি যা ঘটেছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, তবে আমি কীভাবে সাড়া দেব তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।”

উদাহরণ:

একজন ব্যক্তি যদি তার পেশাগত জীবনে ব্যর্থতা অনুভব করেন, তবে এই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন দক্ষতা অর্জনের দিকে মনোযোগ দিতে পারেন।

২. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সৃজনশীল অভ্যাস

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এটি নতুন অভিজ্ঞতা, সমস্যা সমাধান, এবং ইতিবাচক চিন্তায় জড়িত থাকা প্রয়োজন।

পদ্ধতি:

প্রতিদিন একটি নতুন দক্ষতা বা শখ শেখার চেষ্টা করুন, যেমনÑনতুন ভাষা, পেইন্টিং বা গিটার বাজানো।

মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষিত করতে ধাঁধা, লজিক্যাল গেম বা বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

নিজেকে প্রশ্ন করুন: “এই সমস্যার ভিন্ন সমাধান কী হতে পারে?”

গঠনমূলক ফলাফল:

এটি মস্তিষ্কে নতুন স্নায়ু যোগসূত্র তৈরি করবে এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করবে।

৩. মাইন্ডফুলনেস এবং ধ্যান চর্চা

মাইন্ডফুলনেস বর্তমান মুহূর্তের প্রতি মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং অতীত বা ভবিষ্যতের চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়।

ধাপসমূহ:

প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট মাইন্ডফুলনেস ধ্যান করুন।

শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর মনোযোগ দিন। চিন্তা এলে সেটাকে অবজ্ঞা করে শ্বাসে ফিরে আসুন।

মস্তিষ্ককে প্রশান্ত করতে প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান।

গঠনমূলক ফলাফল:

এটি স্ট্রেস কমায়, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মনোযোগ বাড়ায়।

৪. নেতিবাচক চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ করা

আমাদের মস্তিষ্ক অনেক সময় নেতিবাচক চিন্তার ফাঁদে পড়ে যায়। এগুলোকে যুক্তিবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে চ্যালেঞ্জ করা গুরুত্বপূর্ণ।

কৌশল:

প্রতিটি নেতিবাচক চিন্তার বিপরীতে একটি ইতিবাচক বক্তব্য তৈরি করুন।

নিজেকে প্রশ্ন করুন: “এই চিন্তা কি বাস্তবতার সঙ্গে মিলছে? নাকি এটি আমার কল্পনা?”

উদাহরণ:

নেতিবাচক চিন্তা: “আমি সবসময় ব্যর্থ হব।”

ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া: “প্রতিটি ব্যর্থতা একটি নতুন শুরু।”

৫. শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম

মস্তিষ্ক ও শরীর একে অপরের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। শারীরিক ব্যায়াম মানসিক শক্তি বাড়ায় এবং সৃজনশীল চিন্তার জন্য জায়গা তৈরি করে।

পদ্ধতি:

প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটুন, দৌড়ান বা যোগব্যায়াম করুন।

ব্যায়ামের সময় নিজের চিন্তাগুলোকে সৃজনশীল হতে দিন।

গঠনমূলক ফলাফল:

এটি মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, এন্ডরফিন নিঃসরণ করে, এবং মানসিক চাপ কমায়।

৬. সামাজিক সংযোগ এবং সমর্থন খোঁজা

মানুষ সামাজিক প্রাণী। সঠিক মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো আমাদের মানসিক অবস্থাকে স্থিতিশীল ও প্রেরণাদায়ী করতে পারে।

পদ্ধতি:

পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন।

জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।

সৃজনশীল বা প্রেরণাদায়ী মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করুন।

গঠনমূলক ফলাফল:

সামাজিক সংযোগ আমাদের নিরাপত্তা এবং ইতিবাচকতা অনুভব করায়, যা মানসিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে।

৭. ক্ষমা ও কৃতজ্ঞতা চর্চা

অতীতের ভুল বা অন্যের প্রতি ক্ষোভ নিয়ে বাঁচা মানসিক চাপ বাড়ায়।

পদ্ধতি:

নিজেকে এবং অন্যদের ক্ষমা করুন।

প্রতিদিন ডায়েরিতে অন্তত ৩টি কৃতজ্ঞতার কারণ লিখুন।

উদাহরণ:

আজকের জন্য কৃতজ্ঞতা:

১. আমি শারীরিকভাবে সুস্থ।

২. আমার পরিবার আমার পাশে আছে।

৩. আজ আমি একটি নতুন অভ্যাস শুরু করেছি।

৮. পেশাদার সাহায্য নেয়া

যদি অতীতের চিন্তা বা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, পেশাদার থেরাপি নিতে দ্বিধা করবেন না।

সুবিধা:

সাইকোলজিস্ট বা কাউন্সেলরের সহায়তা আপনার চিন্তার ধরন বদলে দিতে পারে।

ঈইঞ (ঈড়মহরঃরাব ইবযধারড়ৎধষ ঞযবৎধচু) অতীতের নেতিবাচক চিন্তাগুলো থেকে মুক্তি পেতে কার্যকর।

উপসংহার

অতীতের ঘটনার কারণে আমরা যদি বর্তমানকে উপেক্ষা করি, তবে জীবন আমাদের কাছে মূল্যহীন হয়ে ওঠে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে, মস্তিষ্ককে সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত রেখে এবং ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সফল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারি।

অতীতকে ছেড়ে দেয়ার সবচেয়ে বড় উপায় হলো বর্তমানকে ভালোবাসা এবং ভবিষ্যতের দিকে মনোযোগ দেয়া। মনে রাখবেন, আপনার চিন্তার শক্তি এবং মস্তিষ্কের সম্ভাবনা অসীম। যথাযথ চর্চা ও ধৈর্যের মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন।

“অতীত যা দিয়েছে তা গ্রহণ করুন, তবে নিজের ভবিষ্যৎ আপনি নিজেই তৈরি করবেন।”

[লেখক : সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন ]

back to top