alt

উপ-সম্পাদকীয়

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভূমিকা

রহমান মৃধা

: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মই দেশকে একটি নতুন আলোর পথে নিয়ে যেতে পারে। বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে তাদের ভূমিকা শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়, অপরিহার্য। নতুন প্রজন্মের জন্য তথ্যপ্রাপ্তি, সচেতনতা, এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দুর্নীতি দূরীকরণ, এবং ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি।

তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এখন অসীম শক্তি ও সম্ভাবনা রয়েছে, যা একটি নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি গড়তে পারে। তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা, নৈতিকতা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা দেশের ভবিষ্যৎকে একটি ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনতে পারে।

ফিউচার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ :

এই প্রজন্মের স্বপ্ন ও শক্তিকে সংগঠিত এবং দিকনির্দেশিত করতে ফিউচার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হতে পারে যেখানে তরুণরা তাদের দক্ষতা, আদর্শ এবং উদ্যমকে একত্রিত করে দেশের জন্য কাজ করতে পারবে।

শিক্ষা ও সচেতনতা :

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা এবং ইতিহাসের সঠিক তথ্য তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ফাউন্ডেশন একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে পারে।

দূরদর্শী নেতৃত্ব গঠন :

তরুণদের মধ্যে নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ তৈরি করতে হবে। নতুন নেতৃত্বই বাংলাদেশকে বৈশ্বিক মানচিত্রে গৌরবের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে পারে।

গণজাগরণ এবং একাত্মতা :

দেশকে অন্ধকার থেকে মুক্ত করতে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। একটি শক্তিশালী গণজাগরণ তৈরি করার জন্য এই ফাউন্ডেশন একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করতে পারে।

আশার সুর :

এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য তরুণদের প্রতি আস্থা ও প্রত্যাশা অটুট। সময় এসেছে নতুন প্রজন্মের হাত ধরে দেশকে একটি সুশৃঙ্খল, গণতান্ত্রিক এবং মানবিক রাষ্ট্রে পরিণত করার।

একটি ঐক্যবদ্ধ ডাক :

ফিউচার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ কেবল একটি নাম নয়, এটি হবে পরিবর্তনের প্রতীক। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা বাংলাদেশের তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করবে, তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলবে, এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথকে প্রশস্ত করবে।

‘তরুণদের হাতেই দেশের ভাগ্য। ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা একটি ন্যায়বিচারভিত্তিক, গণতান্ত্রিক এবং মানবিক সমাজ তৈরি করতে পারি। এখনই সময়, নতুন সূর্যোদয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো পুনর্নির্মাণ এবং জনগণের মৌলিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা :

দেশের প্রতিটি নাগরিক যেন নির্ভয়ে এবং স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সে পরিবেশ তৈরি করা।

গণতান্ত্রিক কাঠামোর সংস্কার :

এমন একটি টেকসই ব্যবস্থা গঠন করা, যা ভবিষ্যতে একনায়কতন্ত্র বা ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ পুরোপুরি রোধ করবে।

প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা :

বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে কার্যকর ও ন্যায়সঙ্গত প্রশাসন নিশ্চিত করা।

মৌলিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা :

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করা :

সংবিধান এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ভবিষ্যতের জন্য গণতন্ত্রের পথ প্রশস্ত করা।

এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সব অংশের জনগণকে একত্রিত করে জাতীয় ঐক্যের একটি উদাহরণ তৈরি করছে। এটি কেবল সংকট মোকাবিলার একটি পথ নয়, বরং একটি নতুন গণতান্ত্রিক, মানবিক, এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের প্রতিশ্রুতি।

নতুন প্রজন্মের কাছে ড. ইউনূসের নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ নির্মাণের প্রতীক হয়ে উঠতে পারে। তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোর সংস্কার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধার করবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক এবং মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। দীর্ঘদিনের দমনমূলক শাসনের পর দেশের মানুষ নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে। ক্ষমতার লোভ এবং অন্যায়ের অবসান ঘটিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাওয়া এখন সময়ের একমাত্র দাবি।

এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে এবং জাতি উন্নয়নের পথে নতুন করে যাত্রা শুরু করবে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে জাতি আবারও প্রমাণ করতে প্রস্তুত যে, সংকট যত গভীরই হোক না কেন, ঐক্যবদ্ধ ইচ্ছাশক্তি এবং সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে সবকিছুই সম্ভব।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, এবং একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমাদের ঐক্যই হবে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। বাংলাদেশ প্রমাণ করবে যে সংকট কেবল বিপর্যয় নয়, এটি জাতির নতুন সূর্যোদয়েরও পূর্বাভাস।

[লেখক : সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন]

প্রগতিতে অগ্রগতি

পরিবারতন্ত্র ও পরিবারতত্ত্ব : উত্তরণের উপায়

উপেক্ষিত উত্তরাঞ্চলের আদিবাসীরা

সরিষার তেল গবেষণায় সাফল্য

সিরিয়ায় রাজনৈতিক পালাবদল : কার লাভ, কার ক্ষতি?

অতীত থেকে মুক্তি এবং ইতিবাচক জীবনযাপন

মুক্তি সংগ্রামে তিনটি ধারা

বাসযোগ্যতার সূচকে ঢাকা কেন পিছিয়ে

শুধু নিচেই নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর

উপেক্ষিত আটকে পড়া পাকিস্তানিরা

রম্যগদ্য : সিন্দাবাদের বুড়ো ও আমরা

নেই কেনো সেই পাখি

বায়ুদূষণ থেকে মুক্তি কোন পথে

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র : রাষ্ট্র সংস্কারের দুর্গম পথ

পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র

বিজয়ের প্রেরণা

মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার পুনর্বীক্ষণ

সিদরাত জেবিনের মৃত্যু অথবা প্রশ্নহীন বায়ুদূষণ

বিজয়ের গৌরব ও সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজ

ছবি

মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের অবদান

ছবি

বিজয় সংগ্রামের সূচনার সন্ধানে

মানসম্মত কনটেন্ট ও টিআরপির দ্বৈরথ

জিকা ভাইরাস রোধে প্রয়োজন সচেতনতা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার গুরুত্ব

ঢাকার বাতাস বিষাক্ত কেন

চরের কৃষি ও কৃষকের জীবন

নিম্ন আয়ের মানুষ ভালো নাই

সবার আগে নিজেকে পরিবর্তন করা দরকার

পুলিশ কবে পুলিশ হবে

জীবন ফিরে আসুক বাংলার নদীগুলোতে

কান্দন সরেন হত্যা ও ভূমি বিরোধ কি এড়ানো যেত না

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র: রাষ্ট্র বিনির্মাণে সমস্যা কোথায়?

মানবাধিকার দিবস : মানুষের অধিকার নিয়ে কেন এত কথা?

আমলাতান্ত্রিক স্বচ্ছতা : সংস্কারের পথে নাকি পুনরাবৃত্তি?

খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কথা

tab

উপ-সম্পাদকীয়

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভূমিকা

রহমান মৃধা

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মই দেশকে একটি নতুন আলোর পথে নিয়ে যেতে পারে। বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে তাদের ভূমিকা শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়, অপরিহার্য। নতুন প্রজন্মের জন্য তথ্যপ্রাপ্তি, সচেতনতা, এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দুর্নীতি দূরীকরণ, এবং ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি।

তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এখন অসীম শক্তি ও সম্ভাবনা রয়েছে, যা একটি নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি গড়তে পারে। তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা, নৈতিকতা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা দেশের ভবিষ্যৎকে একটি ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনতে পারে।

ফিউচার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ :

এই প্রজন্মের স্বপ্ন ও শক্তিকে সংগঠিত এবং দিকনির্দেশিত করতে ফিউচার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হতে পারে যেখানে তরুণরা তাদের দক্ষতা, আদর্শ এবং উদ্যমকে একত্রিত করে দেশের জন্য কাজ করতে পারবে।

শিক্ষা ও সচেতনতা :

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা এবং ইতিহাসের সঠিক তথ্য তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ফাউন্ডেশন একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে পারে।

দূরদর্শী নেতৃত্ব গঠন :

তরুণদের মধ্যে নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ তৈরি করতে হবে। নতুন নেতৃত্বই বাংলাদেশকে বৈশ্বিক মানচিত্রে গৌরবের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে পারে।

গণজাগরণ এবং একাত্মতা :

দেশকে অন্ধকার থেকে মুক্ত করতে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। একটি শক্তিশালী গণজাগরণ তৈরি করার জন্য এই ফাউন্ডেশন একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করতে পারে।

আশার সুর :

এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য তরুণদের প্রতি আস্থা ও প্রত্যাশা অটুট। সময় এসেছে নতুন প্রজন্মের হাত ধরে দেশকে একটি সুশৃঙ্খল, গণতান্ত্রিক এবং মানবিক রাষ্ট্রে পরিণত করার।

একটি ঐক্যবদ্ধ ডাক :

ফিউচার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ কেবল একটি নাম নয়, এটি হবে পরিবর্তনের প্রতীক। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা বাংলাদেশের তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করবে, তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলবে, এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথকে প্রশস্ত করবে।

‘তরুণদের হাতেই দেশের ভাগ্য। ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা একটি ন্যায়বিচারভিত্তিক, গণতান্ত্রিক এবং মানবিক সমাজ তৈরি করতে পারি। এখনই সময়, নতুন সূর্যোদয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো পুনর্নির্মাণ এবং জনগণের মৌলিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা :

দেশের প্রতিটি নাগরিক যেন নির্ভয়ে এবং স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সে পরিবেশ তৈরি করা।

গণতান্ত্রিক কাঠামোর সংস্কার :

এমন একটি টেকসই ব্যবস্থা গঠন করা, যা ভবিষ্যতে একনায়কতন্ত্র বা ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ পুরোপুরি রোধ করবে।

প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা :

বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে কার্যকর ও ন্যায়সঙ্গত প্রশাসন নিশ্চিত করা।

মৌলিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা :

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করা :

সংবিধান এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ভবিষ্যতের জন্য গণতন্ত্রের পথ প্রশস্ত করা।

এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সব অংশের জনগণকে একত্রিত করে জাতীয় ঐক্যের একটি উদাহরণ তৈরি করছে। এটি কেবল সংকট মোকাবিলার একটি পথ নয়, বরং একটি নতুন গণতান্ত্রিক, মানবিক, এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের প্রতিশ্রুতি।

নতুন প্রজন্মের কাছে ড. ইউনূসের নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ নির্মাণের প্রতীক হয়ে উঠতে পারে। তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোর সংস্কার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধার করবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক এবং মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। দীর্ঘদিনের দমনমূলক শাসনের পর দেশের মানুষ নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে। ক্ষমতার লোভ এবং অন্যায়ের অবসান ঘটিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাওয়া এখন সময়ের একমাত্র দাবি।

এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে এবং জাতি উন্নয়নের পথে নতুন করে যাত্রা শুরু করবে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে জাতি আবারও প্রমাণ করতে প্রস্তুত যে, সংকট যত গভীরই হোক না কেন, ঐক্যবদ্ধ ইচ্ছাশক্তি এবং সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে সবকিছুই সম্ভব।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, এবং একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমাদের ঐক্যই হবে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। বাংলাদেশ প্রমাণ করবে যে সংকট কেবল বিপর্যয় নয়, এটি জাতির নতুন সূর্যোদয়েরও পূর্বাভাস।

[লেখক : সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন]

back to top