মাহতাব হোসাইন মাজেদ
প্রতি বছর ২২ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। এই দিনে মানুষ পরিবেশ, প্রকৃতি ও পৃথিবী রক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। আধুনিক সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। এই দিনে বিশ্ববাসী একত্রিত হয়ে পৃথিবীকে আরও বাসযোগ্য, সবুজ ও টেকসই রাখার অঙ্গীকার নেয়।
জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিপর্যয়
সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। বিভিন্ন দেশের মানুষ এ ইস্যুতে আন্দোলন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। বিশেষ করে শিল্পোন্নত দেশগুলোর পরিবেশবিরোধী কর্মকা-ের সমালোচনা তীব্র হয়েছে। এই দেশগুলোর শিল্পকারখানা, পারমাণবিক চুল্লি, নির্বিচারে বন উজাড়, এবং নদী দূষণের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
কার্বন নিঃসরণ : সিএফসি গ্যাস, কার্বন ডাই-অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইডের নির্গমন বৃদ্ধির ফলে ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন : ওজোনস্তর পাতলা হওয়ায় সূর্যের ক্ষতিকর তাপ সরাসরি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাচ্ছে। ফলে পৃথিবীর স্বাভাবিক তাপমাত্রা (১০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বজায় থাকছে না।
চরম তাপমাত্রা : ২০১৯ সালে কুয়েতে তাপমাত্রা ৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়, যা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রায় অসম্ভব। এমনকি ছায়াযুক্ত স্থানেও তাপমাত্রা ছিল ৫২ ডিগ্রি।
এ পরিস্থিতি বিশ্বের জন্য একটি ভয়াবহ অশনিসংকেত। পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে তীব্র তাপপ্রবাহ, প্রচ- শীত, বন্যা, খরা, ঝড়-বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস ও দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে চলেছে।
বিশ্ব ধরিত্রী দিবসের ইতিহাস
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস প্রথম পালিত হয় ১৯৭০ সালের ২২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন সিনেটর গেলর্ড নেলসন এ উদ্যোগের সূচনা করেন। তিনি পরিবেশ দূষণ, বন উজাড়, বন্যপ্রাণী ধ্বংস এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। প্রথম দিবসে প্রায় ২ কোটি মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। আজ এই দিবস ১৯০টিরও বেশি দেশে পালিত হয়।
দিবসের গুরুত্ব
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমরা প্রকৃতির অংশ এবং প্রকৃতি ধ্বংস হলে আমাদের অস্তিত্বও বিপন্ন হবে। এটি শুধু গাছ লাগানো বা পরিচ্ছন্নতার আহ্বান নয়, বরং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার একটি বৈশ্বিক আন্দোলন। এই দিনে আলোচিত প্রধান ইস্যুগুলো হলোÑ বৈশ্বিক উষ্ণতা, বায়ু ও পানি দূষণ, বনাঞ্চল ধ্বংস, প্লাস্টিক দূষণ, জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়।
বিভিন্ন সেমিনার, র্যালি, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এবং সচেতনতামূলক প্রচারণার মাধ্যমে এ সমস্যাগুলোর সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বর্তমান প্রেক্ষাপট
জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হুমকি। তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বরফ গলা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, অরণ্য ধ্বংস এবং নতুন রোগের প্রকোপ এই সমস্যার প্রধান লক্ষণ। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এই পরিবর্তনের ঝুঁকির শীর্ষে রয়েছে।
পরিবেশ রক্ষায় ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলোÑ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার, পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী ব্যবহার, বৃক্ষরোপণ ও বন সংরক্ষণ, শিল্প-কারখানায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রসার।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশ একটি জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদীভাঙন এবং খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখানে নিয়মিত ঘটে। এ দুর্যোগের পেছনে পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকা রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার এবং বিভিন্ন এনজিও পরিবেশ রক্ষায় নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। বিদ্যালয় ও কলেজে পরিবেশ সচেতনতামূলক শিক্ষা চালু হয়েছে এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এ প্রচেষ্টা সফল হবে না।
পরিবেশ সংরক্ষণে আমাদের ভূমিকা
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস শুধু একটি দিন নয়, এটি একটি দায়িত্ব। প্রতিদিনের জীবনে কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তুললে আমরা পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখতে পারিÑ পানি ও বিদ্যুৎ অপচয় রোধ, প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাপড় বা কাগজের ব্যাগ ব্যবহার, নিজের বাসা ও আশপাশ পরিষ্কার রাখা, অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়ানো, গাছ লাগানো ও যতœ নেওয়া।
জাতিসংঘের ভূমিকা
জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কিয়োটো প্রোটোকল, প্যারিস চুক্তি এবং কপ সম্মেলনের মতো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই চুক্তিগুলোর মাধ্যমে দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। তবে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আমাদের পরিবেশ রক্ষার নৈতিক দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়। এই পৃথিবী শুধু আমাদের জন্য নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও সুস্থ ও বাসযোগ্য রাখতে হবে। শিল্পোন্নত দেশগুলোর দায়িত্বশীলতার পাশাপাশি আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা এই লক্ষ্য অর্জনে অপরিহার্য। আসুন, বিশ্ব ধরিত্রী দিবসের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াই এবং পরিবেশবান্ধব জীবনযাপনের অঙ্গীকার করি।
[লেখক : প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি]
মাহতাব হোসাইন মাজেদ
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
প্রতি বছর ২২ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। এই দিনে মানুষ পরিবেশ, প্রকৃতি ও পৃথিবী রক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। আধুনিক সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। এই দিনে বিশ্ববাসী একত্রিত হয়ে পৃথিবীকে আরও বাসযোগ্য, সবুজ ও টেকসই রাখার অঙ্গীকার নেয়।
জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিপর্যয়
সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। বিভিন্ন দেশের মানুষ এ ইস্যুতে আন্দোলন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। বিশেষ করে শিল্পোন্নত দেশগুলোর পরিবেশবিরোধী কর্মকা-ের সমালোচনা তীব্র হয়েছে। এই দেশগুলোর শিল্পকারখানা, পারমাণবিক চুল্লি, নির্বিচারে বন উজাড়, এবং নদী দূষণের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
কার্বন নিঃসরণ : সিএফসি গ্যাস, কার্বন ডাই-অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইডের নির্গমন বৃদ্ধির ফলে ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন : ওজোনস্তর পাতলা হওয়ায় সূর্যের ক্ষতিকর তাপ সরাসরি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাচ্ছে। ফলে পৃথিবীর স্বাভাবিক তাপমাত্রা (১০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বজায় থাকছে না।
চরম তাপমাত্রা : ২০১৯ সালে কুয়েতে তাপমাত্রা ৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়, যা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রায় অসম্ভব। এমনকি ছায়াযুক্ত স্থানেও তাপমাত্রা ছিল ৫২ ডিগ্রি।
এ পরিস্থিতি বিশ্বের জন্য একটি ভয়াবহ অশনিসংকেত। পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে তীব্র তাপপ্রবাহ, প্রচ- শীত, বন্যা, খরা, ঝড়-বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস ও দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে চলেছে।
বিশ্ব ধরিত্রী দিবসের ইতিহাস
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস প্রথম পালিত হয় ১৯৭০ সালের ২২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন সিনেটর গেলর্ড নেলসন এ উদ্যোগের সূচনা করেন। তিনি পরিবেশ দূষণ, বন উজাড়, বন্যপ্রাণী ধ্বংস এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। প্রথম দিবসে প্রায় ২ কোটি মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। আজ এই দিবস ১৯০টিরও বেশি দেশে পালিত হয়।
দিবসের গুরুত্ব
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমরা প্রকৃতির অংশ এবং প্রকৃতি ধ্বংস হলে আমাদের অস্তিত্বও বিপন্ন হবে। এটি শুধু গাছ লাগানো বা পরিচ্ছন্নতার আহ্বান নয়, বরং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার একটি বৈশ্বিক আন্দোলন। এই দিনে আলোচিত প্রধান ইস্যুগুলো হলোÑ বৈশ্বিক উষ্ণতা, বায়ু ও পানি দূষণ, বনাঞ্চল ধ্বংস, প্লাস্টিক দূষণ, জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়।
বিভিন্ন সেমিনার, র্যালি, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এবং সচেতনতামূলক প্রচারণার মাধ্যমে এ সমস্যাগুলোর সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বর্তমান প্রেক্ষাপট
জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হুমকি। তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বরফ গলা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, অরণ্য ধ্বংস এবং নতুন রোগের প্রকোপ এই সমস্যার প্রধান লক্ষণ। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এই পরিবর্তনের ঝুঁকির শীর্ষে রয়েছে।
পরিবেশ রক্ষায় ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলোÑ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার, পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী ব্যবহার, বৃক্ষরোপণ ও বন সংরক্ষণ, শিল্প-কারখানায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রসার।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশ একটি জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদীভাঙন এবং খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখানে নিয়মিত ঘটে। এ দুর্যোগের পেছনে পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকা রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার এবং বিভিন্ন এনজিও পরিবেশ রক্ষায় নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। বিদ্যালয় ও কলেজে পরিবেশ সচেতনতামূলক শিক্ষা চালু হয়েছে এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এ প্রচেষ্টা সফল হবে না।
পরিবেশ সংরক্ষণে আমাদের ভূমিকা
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস শুধু একটি দিন নয়, এটি একটি দায়িত্ব। প্রতিদিনের জীবনে কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তুললে আমরা পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখতে পারিÑ পানি ও বিদ্যুৎ অপচয় রোধ, প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাপড় বা কাগজের ব্যাগ ব্যবহার, নিজের বাসা ও আশপাশ পরিষ্কার রাখা, অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়ানো, গাছ লাগানো ও যতœ নেওয়া।
জাতিসংঘের ভূমিকা
জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কিয়োটো প্রোটোকল, প্যারিস চুক্তি এবং কপ সম্মেলনের মতো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই চুক্তিগুলোর মাধ্যমে দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। তবে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আমাদের পরিবেশ রক্ষার নৈতিক দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়। এই পৃথিবী শুধু আমাদের জন্য নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও সুস্থ ও বাসযোগ্য রাখতে হবে। শিল্পোন্নত দেশগুলোর দায়িত্বশীলতার পাশাপাশি আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা এই লক্ষ্য অর্জনে অপরিহার্য। আসুন, বিশ্ব ধরিত্রী দিবসের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াই এবং পরিবেশবান্ধব জীবনযাপনের অঙ্গীকার করি।
[লেখক : প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি]