জাঁ নেসার ওসমান
‘হিঃ হিঃ হিঃ কে দিলো পিরিতের বে্যঁড়া লিচুরও বাগানে, ক্যেমন প্রেমিক তুই বন্ধুরে, বে্যঁড়া দেইখ্যা কাঁপিস ভয়ে, পারলে বে্যঁড়া ডিঙ্গায় আস চান্স দিমু ওইখানে, হিঃ হিঃ হিঃ চান্স দিমু ওইখানে...’। ‘ওই সক্কাল সক্কাল কি সব নোংরা আদিরসাত্মক খাচরা গান গাইতাছস...শরম করে না হালার পোঁ...’
‘আপনে বৌয়ের ছোট ভাই যতই পোঁ করেন আর পোঁ পোঁ করেন আমি কিন্তু গায়াই যামু কে দিলো পিরিতের বে্যঁড়া লিচুরও বাগানে, পারলে বে্যঁড়া ডিঙ্গায় আস চান্স দিমু ওইখানে, হিঃ হিঃ হিঃ চান্স দিমু ওইখানে...।’
‘তা বেইন্না ফজরত কার লিচুর বাগান তুই অ্যাটাক করছিস আর ক্যেনই বা বাগানে, বে্যঁড়া ডিঙ্গায় চান্স নেবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠলি!’
‘মরিয়া আমি হই নাই, যারা মারিয়া বাসওলাগো পশ্চাৎদেশ লাল করতাছে তাগো কথা কোই আরকি?’
‘মানে কী? বর্তমানে তো একমাত্র জনপ্রিয় বাহিনী যারা যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে যত্রতত্র লাঠির বাড়ির চোটে পশ্চাৎদেশ লাল করিতেছেন।’
‘জ্বি, আমি তাহাদিগের কথাই বলিতেছি। তাইনরা ঈদ-হলিডেতে গৃহাভিমুখী যাত্রীর কাছ থ্যেইক্কা অধিক ভাড়া লওয়ার কারণে বাসের কর্মচারী, হেলপার, সুপার ভাইজার, টিকিট চেকার সকলের পুটকিতে ব্যেতের বাড়ি দিয়া লাল করিতেছেন। আর ব্যেচারা বাসের কর্মচারী, হেলপার, সুপার ভাইজার, টিকিট চেকাররা ডিউটি শেষে বাড়িতে যাইয়া স্ত্রীর হাতের নারিকেল তেল বিশেষ জায়গায় মালিশ করিতেছেন! এবং কিঞ্চিৎ আরাম পাইতেছেন। হিঃ হিঃ হিঃ।’
‘ওই স্বর্ণগর্দভ তোর ওই সব বাসের কর্মচারী, হেলপার, সুপার ভাইজার, টিকিট চেকারদের পশ্চাৎদেশ লাল করার বিরুদ্ধে হাসি ঠাট্টা করতে লজ্জা করেনা!’ ‘ক্যান ভাই, ১৫০ টাকার ভাড়া লইবেন ৪০০ টাকা, ১২০০ টাকার ভাড়া ঈদ উপলক্ষে লইবেন ১৮০০ ট্যাকা, তো বাসকোম্পানির পশ্চাৎদেশ লাল করবোনাতো কী যাত্রীর পশ্চাৎদেশ লাল করবো?’
‘ঠিক আছে তোর কথা মানলাম যে ঈদের সময় তুমি সুযোগ পেয়ে সাধারণের উপর জুলুম করবে তা আবার বাঙালি হয়ে বাঙালির কাছ থেকে অধিক ভাড়া আদায় করবে অন্যায় ঘোরতর অন্যায়...’। ‘তো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে পশ্চাৎদেশ লাল করলে পাবলিক তো বেজায় খুাশ। ব্যেবাগতে কয় জনপ্রিয় বাহিনী হ্যেতাগো হিছেদী ঈদের স্যেলামিদের। হিঃ হিঃ হিঃ।’
‘তোর লজ্জা শরম তো কিছুই নেই ছোটব্যেলায় লজ্জার মাথাকেটে বেহায়া হয়ে বড় হোচ্ছিস তোকে আর কি বলবো...’। ‘ওই মিয়া আন্নে কিয়া কন, সারা জাতি আজ হ্যেতাগোর ঈদের সেলামি গ্রহণের দৃশ্য দ্যেইক্ষা ২০ কুটি লুক আনন্দে আত্মহ্ারা, আর আন্নে মিয়া কন, আর শরম করা উচিৎ! আন্নে হাগোলনি কোনো?’
‘একটু ঠা-া মাথায় ঘটনাটা ভেবে দ্যেখ, ব্যেচারা বাসের কর্মচারী, হেলপার, সুপার ভাইজার, টিকিট চেকাররা তো বাস কর্তৃপক্ষের আদেশে বেশি ভাড়া নিচ্ছেন। ব্যেচারা বাসের কর্মচারীদের কি কর্তৃপক্ষের কথা না শুনলে তার চাকরি থাকবে?’
‘না, চাকরি করলে হ্যেতাগো মালিকের কথা হুনন লাগবো।’ ‘তাহলে তুই সারা জাতির সামনে ব্যেচারা বাসের কর্মচারী, হেলপার, সুপার ভাইজার, টিকিট চেকারদের লাঠিপ্যেটা করছিস অথচ যাকে পিটাচ্ছিস তার বাসের টিকিটের দাম বাড়ানোর বা কমানোর কোনো ক্ষমতাই নেই। তার ওপর এই পিটানোর দৃশ্য তুই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করছিস...।’
‘হেঁঃ হেঁঃ হেঁঃ ভাইরাল তো হোইবোই, টু-বিলিয়ন ভিউ, সারা পৃথিবীর বাঙালি দেখতাছে যে, সামান্যতম হোইলেও অন্যায়ের শাস্তি হচ্ছে। হিঃ হিঃ হিঃ...।’
‘এই যদি তোর মানসিকতা হয় যে অন্যায় রোধ করতে যেয়ে অন্যায়ভাবে নিরীহ ব্যেচারা বাসের কর্মচারী, হেলপার, সুপার ভাইজার, টিকিট চেকারদের যাদের কোনোই দোষ নাই তাদেরকে ঠ্যেঙ্গাচ্ছিস। এখন ভেবে দ্যেখ ওই ব্যেচারা বাসের কর্মচারী, হেলপার, সুপার ভাইজার, টিকিট চেকারদের ছেলেমেয়েরা যখন স্কুলে বা সমাজের যেখানেই যাবে তাদের নিয়ে সবাই হাসাহাসি করবে।’
‘একটু তো হাসি মশকরা চোলবোই...’। ‘তোর লজ্জা করেনা তুই যে নিজে অন্যায়ভাবে ব্যেচারা বাসের কর্মচারীদের, সমাজে হেয় করলি এই জন্য তোর পশ্চাৎদেশে লাঠিদিয়ে ঠ্যেংগাবে কে? কে? কে?’
‘তো আপনে কি কন বাংলাদেশে গত স্বৈরাচারের সময় তো খুনের, গুমের, আয়নাঘরের, ব্যাংক লুটের বিচার হোইতো না, এখন সামান্য হোইলেও সমাজে ন্যায়ের বাতাস বোইতাছে, অন্যায়ের বিচার শুরু হোইছে, দুদকের চেয়ারম্যান স্যার নিজে ঘুষ না খায়া রর্বাট লুই স্টিভেনশনের, ট্রেজার আইল্যান্ডের মতো হাজার হাজার কোটি টাকা ধরতাছে এইডারে আপনে ধন্যবাদ দিবেন না!’
‘ভালো কাজের জন্য দুদকের চেয়ারম্যান ও তার সৎসুন্দর দলকে তুই একশবার হাজারবার ধন্যবাদ দে। কিন্তু তাই বলে তুই যার দোষ নেই তাকে সমাজে পাবলিকলি পিটাবি এই বর্বরতার লাইসেন্স তোকে কে দিয়েছে! তুই অধিক বাসভাড়া আদায়ের জন্য বাস কোম্পানির কর্তৃপক্ষের পশ্চাৎদেশ লাল কর তোকে কে মানা কোরেছে!’
‘মালিকদের পশ্চাৎদেশে বাড়ি দিলে হরতাল-মরতাল কোইরা বাস চলাচল বন্ধ কোরলে জনসাধারণ আরো ভোগান্তিতে পড়বো আর সরকারের ওপর চাপ পড়বো যে ঈদের সময়ও ঠিকমতো বাড়ি যাইতে পারলাম না!্’
‘জ্বি, মালিককে পিটালে সরকারের ওপর চাপ পড়বে তাই ব্যেচারা বাসের কর্মচারী, হেলপার, সুপার ভাইজার, টিকিট চেকাররদের পিটিয়ে বাহাবা নিচ্ছো! লজ্জা করেনা! আরে ব্যেটা বাসের ভাড়া বেশি নিচ্ছে বলে ব্যেচারা বাসের কর্মচারীদের পিটাচ্ছো তাহলে তোদের ডাক্তাররা যখন উল্টোপাল্টা টেস্ট দিয়ে হাজার হাজার টাকা লোটপাট করে, যা তাদের পশ্চাৎদেশে ডান্ডা মার! ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা উধাও যা তাদের পিটা, ঘুষ না দিলে চাকরি নাই বড় কোনো কাজ পাবি না, যা তাহলে ওই সব দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তাদের পশ্চাৎদেশ তোর প্রিয় বাহিনী দিয়ে লাল কর!’
‘কি যে কন, আদার ব্যেপারি হয়া জাহাজের খোঁজ নিয়েন না, সুবিধা কোরতে পারবেন না!’। ‘তাহলে যা যেখানে সুবিধা হয় তাদের সাথেই ঘুর। আর লিচুর বাগানের ব্যেড়া খুলে আনন্দে নাচগান কর!’।
‘মুরুব্বি মুরুব্বি আমারে মাফ করে দ্যেন, আমারে মাফ করে দ্যেন...’। ‘উহু উহু উহু, তোরে মাফ করা যায় না। কারণ তুই বাঙালি হয়ে অন্যায়ভাবে বাঙালিকে পিটানোয় প্রতিবাদ না কোরে হাততালি দিচ্ছিস...। না তোকে মাফ করা যায় না।’
‘আমার ভুল হোয়েছে, মুরুব্বি মুরুব্বি আমারে মাফ করে দ্যেন, আমারে মাফ করে দ্যেন...’। ‘উহু উহু উহু, তোরে মাফ করা যায় না, তোরে মাফ করা যায় না, তোরে মাফ করা যায় না...।’
[লেখক : চলচ্চিত্রকার]
জাঁ নেসার ওসমান
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
‘হিঃ হিঃ হিঃ কে দিলো পিরিতের বে্যঁড়া লিচুরও বাগানে, ক্যেমন প্রেমিক তুই বন্ধুরে, বে্যঁড়া দেইখ্যা কাঁপিস ভয়ে, পারলে বে্যঁড়া ডিঙ্গায় আস চান্স দিমু ওইখানে, হিঃ হিঃ হিঃ চান্স দিমু ওইখানে...’। ‘ওই সক্কাল সক্কাল কি সব নোংরা আদিরসাত্মক খাচরা গান গাইতাছস...শরম করে না হালার পোঁ...’
‘আপনে বৌয়ের ছোট ভাই যতই পোঁ করেন আর পোঁ পোঁ করেন আমি কিন্তু গায়াই যামু কে দিলো পিরিতের বে্যঁড়া লিচুরও বাগানে, পারলে বে্যঁড়া ডিঙ্গায় আস চান্স দিমু ওইখানে, হিঃ হিঃ হিঃ চান্স দিমু ওইখানে...।’
‘তা বেইন্না ফজরত কার লিচুর বাগান তুই অ্যাটাক করছিস আর ক্যেনই বা বাগানে, বে্যঁড়া ডিঙ্গায় চান্স নেবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠলি!’
‘মরিয়া আমি হই নাই, যারা মারিয়া বাসওলাগো পশ্চাৎদেশ লাল করতাছে তাগো কথা কোই আরকি?’
‘মানে কী? বর্তমানে তো একমাত্র জনপ্রিয় বাহিনী যারা যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে যত্রতত্র লাঠির বাড়ির চোটে পশ্চাৎদেশ লাল করিতেছেন।’
‘জ্বি, আমি তাহাদিগের কথাই বলিতেছি। তাইনরা ঈদ-হলিডেতে গৃহাভিমুখী যাত্রীর কাছ থ্যেইক্কা অধিক ভাড়া লওয়ার কারণে বাসের কর্মচারী, হেলপার, সুপার ভাইজার, টিকিট চেকার সকলের পুটকিতে ব্যেতের বাড়ি দিয়া লাল করিতেছেন। আর ব্যেচারা বাসের কর্মচারী, হেলপার, সুপার ভাইজার, টিকিট চেকাররা ডিউটি শেষে বাড়িতে যাইয়া স্ত্রীর হাতের নারিকেল তেল বিশেষ জায়গায় মালিশ করিতেছেন! এবং কিঞ্চিৎ আরাম পাইতেছেন। হিঃ হিঃ হিঃ।’
‘ওই স্বর্ণগর্দভ তোর ওই সব বাসের কর্মচারী, হেলপার, সুপার ভাইজার, টিকিট চেকারদের পশ্চাৎদেশ লাল করার বিরুদ্ধে হাসি ঠাট্টা করতে লজ্জা করেনা!’ ‘ক্যান ভাই, ১৫০ টাকার ভাড়া লইবেন ৪০০ টাকা, ১২০০ টাকার ভাড়া ঈদ উপলক্ষে লইবেন ১৮০০ ট্যাকা, তো বাসকোম্পানির পশ্চাৎদেশ লাল করবোনাতো কী যাত্রীর পশ্চাৎদেশ লাল করবো?’
‘ঠিক আছে তোর কথা মানলাম যে ঈদের সময় তুমি সুযোগ পেয়ে সাধারণের উপর জুলুম করবে তা আবার বাঙালি হয়ে বাঙালির কাছ থেকে অধিক ভাড়া আদায় করবে অন্যায় ঘোরতর অন্যায়...’। ‘তো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে পশ্চাৎদেশ লাল করলে পাবলিক তো বেজায় খুাশ। ব্যেবাগতে কয় জনপ্রিয় বাহিনী হ্যেতাগো হিছেদী ঈদের স্যেলামিদের। হিঃ হিঃ হিঃ।’
‘তোর লজ্জা শরম তো কিছুই নেই ছোটব্যেলায় লজ্জার মাথাকেটে বেহায়া হয়ে বড় হোচ্ছিস তোকে আর কি বলবো...’। ‘ওই মিয়া আন্নে কিয়া কন, সারা জাতি আজ হ্যেতাগোর ঈদের সেলামি গ্রহণের দৃশ্য দ্যেইক্ষা ২০ কুটি লুক আনন্দে আত্মহ্ারা, আর আন্নে মিয়া কন, আর শরম করা উচিৎ! আন্নে হাগোলনি কোনো?’
‘একটু ঠা-া মাথায় ঘটনাটা ভেবে দ্যেখ, ব্যেচারা বাসের কর্মচারী, হেলপার, সুপার ভাইজার, টিকিট চেকাররা তো বাস কর্তৃপক্ষের আদেশে বেশি ভাড়া নিচ্ছেন। ব্যেচারা বাসের কর্মচারীদের কি কর্তৃপক্ষের কথা না শুনলে তার চাকরি থাকবে?’
‘না, চাকরি করলে হ্যেতাগো মালিকের কথা হুনন লাগবো।’ ‘তাহলে তুই সারা জাতির সামনে ব্যেচারা বাসের কর্মচারী, হেলপার, সুপার ভাইজার, টিকিট চেকারদের লাঠিপ্যেটা করছিস অথচ যাকে পিটাচ্ছিস তার বাসের টিকিটের দাম বাড়ানোর বা কমানোর কোনো ক্ষমতাই নেই। তার ওপর এই পিটানোর দৃশ্য তুই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করছিস...।’
‘হেঁঃ হেঁঃ হেঁঃ ভাইরাল তো হোইবোই, টু-বিলিয়ন ভিউ, সারা পৃথিবীর বাঙালি দেখতাছে যে, সামান্যতম হোইলেও অন্যায়ের শাস্তি হচ্ছে। হিঃ হিঃ হিঃ...।’
‘এই যদি তোর মানসিকতা হয় যে অন্যায় রোধ করতে যেয়ে অন্যায়ভাবে নিরীহ ব্যেচারা বাসের কর্মচারী, হেলপার, সুপার ভাইজার, টিকিট চেকারদের যাদের কোনোই দোষ নাই তাদেরকে ঠ্যেঙ্গাচ্ছিস। এখন ভেবে দ্যেখ ওই ব্যেচারা বাসের কর্মচারী, হেলপার, সুপার ভাইজার, টিকিট চেকারদের ছেলেমেয়েরা যখন স্কুলে বা সমাজের যেখানেই যাবে তাদের নিয়ে সবাই হাসাহাসি করবে।’
‘একটু তো হাসি মশকরা চোলবোই...’। ‘তোর লজ্জা করেনা তুই যে নিজে অন্যায়ভাবে ব্যেচারা বাসের কর্মচারীদের, সমাজে হেয় করলি এই জন্য তোর পশ্চাৎদেশে লাঠিদিয়ে ঠ্যেংগাবে কে? কে? কে?’
‘তো আপনে কি কন বাংলাদেশে গত স্বৈরাচারের সময় তো খুনের, গুমের, আয়নাঘরের, ব্যাংক লুটের বিচার হোইতো না, এখন সামান্য হোইলেও সমাজে ন্যায়ের বাতাস বোইতাছে, অন্যায়ের বিচার শুরু হোইছে, দুদকের চেয়ারম্যান স্যার নিজে ঘুষ না খায়া রর্বাট লুই স্টিভেনশনের, ট্রেজার আইল্যান্ডের মতো হাজার হাজার কোটি টাকা ধরতাছে এইডারে আপনে ধন্যবাদ দিবেন না!’
‘ভালো কাজের জন্য দুদকের চেয়ারম্যান ও তার সৎসুন্দর দলকে তুই একশবার হাজারবার ধন্যবাদ দে। কিন্তু তাই বলে তুই যার দোষ নেই তাকে সমাজে পাবলিকলি পিটাবি এই বর্বরতার লাইসেন্স তোকে কে দিয়েছে! তুই অধিক বাসভাড়া আদায়ের জন্য বাস কোম্পানির কর্তৃপক্ষের পশ্চাৎদেশ লাল কর তোকে কে মানা কোরেছে!’
‘মালিকদের পশ্চাৎদেশে বাড়ি দিলে হরতাল-মরতাল কোইরা বাস চলাচল বন্ধ কোরলে জনসাধারণ আরো ভোগান্তিতে পড়বো আর সরকারের ওপর চাপ পড়বো যে ঈদের সময়ও ঠিকমতো বাড়ি যাইতে পারলাম না!্’
‘জ্বি, মালিককে পিটালে সরকারের ওপর চাপ পড়বে তাই ব্যেচারা বাসের কর্মচারী, হেলপার, সুপার ভাইজার, টিকিট চেকাররদের পিটিয়ে বাহাবা নিচ্ছো! লজ্জা করেনা! আরে ব্যেটা বাসের ভাড়া বেশি নিচ্ছে বলে ব্যেচারা বাসের কর্মচারীদের পিটাচ্ছো তাহলে তোদের ডাক্তাররা যখন উল্টোপাল্টা টেস্ট দিয়ে হাজার হাজার টাকা লোটপাট করে, যা তাদের পশ্চাৎদেশে ডান্ডা মার! ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা উধাও যা তাদের পিটা, ঘুষ না দিলে চাকরি নাই বড় কোনো কাজ পাবি না, যা তাহলে ওই সব দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তাদের পশ্চাৎদেশ তোর প্রিয় বাহিনী দিয়ে লাল কর!’
‘কি যে কন, আদার ব্যেপারি হয়া জাহাজের খোঁজ নিয়েন না, সুবিধা কোরতে পারবেন না!’। ‘তাহলে যা যেখানে সুবিধা হয় তাদের সাথেই ঘুর। আর লিচুর বাগানের ব্যেড়া খুলে আনন্দে নাচগান কর!’।
‘মুরুব্বি মুরুব্বি আমারে মাফ করে দ্যেন, আমারে মাফ করে দ্যেন...’। ‘উহু উহু উহু, তোরে মাফ করা যায় না। কারণ তুই বাঙালি হয়ে অন্যায়ভাবে বাঙালিকে পিটানোয় প্রতিবাদ না কোরে হাততালি দিচ্ছিস...। না তোকে মাফ করা যায় না।’
‘আমার ভুল হোয়েছে, মুরুব্বি মুরুব্বি আমারে মাফ করে দ্যেন, আমারে মাফ করে দ্যেন...’। ‘উহু উহু উহু, তোরে মাফ করা যায় না, তোরে মাফ করা যায় না, তোরে মাফ করা যায় না...।’
[লেখক : চলচ্চিত্রকার]