alt

উপ-সম্পাদকীয়

রম্যগদ্য : ‘ল্যাংড়া-লুলা, আতুড়-পাতুড়’

জাঁ-নেসার ওসমান

: বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

‘কি রে ভাই এসব ল্যাংড়া-লুলা, শারীরিক মানসিক প্রতিবন্ধী লইয়া কাম করতাছেন! এনজিও খুলবেননি?’

‘আরে ধ্যাৎ, এনজিও ব্যুরো, এমআরএ, পিকেএসএফ, এই সবের আইনি জটিলতার চাপে আজকাল আগের মতো এনজিওতে আর মধু নেইরে, এখন সে গুড়েবালি।’

‘তয় বালির মইধ্যে কি ল্যাংড়া-লুলা, শারীরিক মানসিক প্রতিবন্ধী লইয়া কাঁচকাটা হীরার খোঁজ করতাছেন?’

‘হীরা নয়রে, হীরা, প্লাটিনাম, ইউরেনিয়াম তার চেয়েও দামি এক জিনিসের খোঁজ করতাছি’।

‘হীরা, প্লাটিনাম, ইউরেনিয়াম হ্যের থেইক্যাও দামি জিনিস পিরথিবীতে আছেনি!’

‘কেন নয়! এই যে তোরা কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলিস, তোদের মুখের কথা কি হীরা, প্লাটিনাম, ইউরেনিয়ামের চেয়ে দামি নয়?’

‘হেঁঃ হেঁঃ এই কথা কোইলে তো ইমান হোইলো সব থেইক্কা দামি। যার ইমান নাই হ্যেয়তো মাইনষ্যের মইধ্যেই পড়ে না, হালায় জন্তু জানোয়ার থেইক্কাও খারাপ!’

‘তাইলে তোর দেশে এখন তো ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হচ্ছে। তাই বলছিলাম, ল্যাংড়া-লুলা, আতুড়-পাতুড় যাই হোক দেশের জনগণ নিজেরাই একজন ইমানদার লোক খুঁজে নিকÑ যে কিনা দেশের বেশির ভাগ জনগণের পছন্দের লোক হবেন।’

‘সে তো খুব ভালো কথা, হ্যায় যদি ইমানদার বা সৎ প্রশাসক হন তায়লে ল্যাংড়া-লুলা, আতুড়-পাতুড় যাই হোক চাইলে শারীরিক প্রতিবন্ধী তাও দেশের জনগণ হ্যেরে মাথায় তুইল্লা নাচবো। তয় এমন লোক আপনে খুঁইজ্জা লইবেন মানে নির্বাচন করবেন ক্যেমনে?’

‘শোন- সে বহুদিন আগের কথা; তখন আঁটকুড়ে রাজা মারা গেলে...’

‘ভাই ভাই, হারা জনম আঁস্তাকুড়ে হুইন্না আইছি, এই আঁটকুড়ে রাজা, হ্যেইডা আবার কি রাজা ডিসপেন্সারিতে যে কাগজে মুইড়া ব্যেচে হেই রাজা না তো?’

‘না রে বাবা না, আঁটকুড়ে রাজা হচ্ছেন যে রাজার কোনো সন্তান নেই। মানে দেশে পরিচালনার জন্য রাজার কোনো উত্তরাধিকার নেই। তাকে বলে আঁটকুড়ে রাজা।’

‘মাইনে রানীমা বন্ধ্যা।’

‘খালি রানীমার দোষ দেখিস ক্যেনো, রাজারও তো সমস্যা হোতে পারে।’

‘জাউগ্গা রাজা রানী থুয়া আসল কতা কন। আঁটকুড়ে রাজা মরলে দেশ চালাইবো ক্যেডা?’

‘তখন নিয়ম ছিলো রাজা যে হাতিতে চড়ে ঘুরে বেড়াতেন সেই রাজহস্তিকে কাক ডাকা ভোরে ¯œান করিয়ে মাহুত দিয়ে রাজপথে ছেড়ে দেয়া হতো। হাতি তার আপন মনে রাজপথ পরিভ্রমণ করতো।’

‘এই সময় কুনো মন্ত্রী কি রাজার হাতির লগে যাইতো?’

‘না না না, মন্ত্রীরা যদি কোনো চাল মারে বা মাহুতকে ঘুষ দিয়ে মন্ত্রীদের পছন্দের কোনো কাজ করায় তাই মন্ত্রীরা সব তখন রাজপ্রাসাদের সভায় মিয়া তানসেনের রাগ মিয়া কী টোড়ি শুনতে বাধ্য।’

‘যুদি কুনো মন্ত্রী অ্যাবসেন্ট থাকে মানে রাজসভায় মিয়া তানসেনের রাগ মিয়া কী টোড়ি শুনতে অনুপস্থিত? সাথে সাথে তাকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে বাদ দেওয়া হতো। যাক, যা বলছিলাম শোন।’

‘জ্বি, বলেন বলেন।’

‘এই রাজার হাতি পথে পথে ঘুরতে ঘুরতে যেই তরুণ বা যুবককে শুঁড়ে করে জড়িয়ে ধরে পিঠে তুলে নিতো ব্যাস সাথে সাথে তাকে সারা দেশের লোক মানে জনগণ রাজা বলে মেনে নিতেন।’

‘না না, সিসটেমটা বৈজ্ঞানিক না। এইডা তো গণতন্ত্রের ধারে কাছে নাই, এইডাতো পুরা হাতিতন্ত্র। গণতন্ত্র ছাড়া জনসাধারণের কথা কেউ শুনবোনি?’

‘আরে সে আমলতো পুরো রাজতন্ত্রের আমল; তখন বহুদলীয় গণতন্ত্র বা এক দলীয় কমিউনিস্ট পার্টির জন্মই হয়নি। তখন তুই গ্রিসের ডেমোস বা ডেমোক্রেসি পাবি কি কোরে!’

‘না না ভাই, একটা বনের অবোলা জানোয়ার একজনরে শুঁড়ে প্যাঁচায়া পিঠে লইল ব্যাস হ্যায় রাজা! হ্যায় দেশ চালাইতে পারবো? না পরবোনা হ্যের কুনো খোঁজ নাই, হালায় মুচি না মেথর নাকি মুর্দাফরাস, ব্যাডায় কি গাঞ্জাখোর নাকি ঘুষখোর কুনো কিছু না জাইন্নাই হ্যেয় রাজা। ধ্যাৎ হেইডা হয় নাকি!?’

‘আরে ভাই সেই আমলে যিশু খ্রিস্টের জন্মের আগের কথা, তখন সিদ্ধার্থ মানে গৌতম বুদ্ধ, হাঁটি হাঁটি পা পা কোরে তার ধর্ম প্রচার করছে সেই অতি প্রাচীন আমলের কথা।’

‘তো সেই প্রাচীন আমুলের রূপকথা অহন আমারে হুনান ক্যেন? আপনে কি চান যে আমাগো দেশে বর্তমানে হাতি দিয়া রাজা নির্বাচন কোরমু? হালায় হাগলনি কোনো!!’

‘না না, খামাখায় ভুল বুঝছিস ক্যেনো। আমি বলছিলাম তোরা যখন কেউ কেউ বলছিস আগস্ট মাসের খুনের বিচারের পর জাতীয় নির্বাচন, কেউ বলছিস স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের পর জাতীয় নির্বাচন, কেউ বলছিস ফেব্রুয়ারিতে, কেউ এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচনÑ তাই বলছিলাম নানা মুনির নানা মত। কোনো মতেই ঐকমত্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না; তাই আপাতত ল্যাংড়া-লুলা, শারীরিক মানসিক প্রতিবন্ধী কোনো একটারে...।’

‘হাতি দিয়া বাইন্দা আনুম?? ফাইজলামি মারার জায়গা পান না! না!’

‘আরে চ্যেতোস ক্যা?’

‘না চ্যেতুম না! কোইতাছি অতিশীঘ্রই আপনেরা জাতীয় নির্বাচনের ডেট পাইবেন। কয়াদিলাম ব্যাস।’ ‘উহঃ তাহলে সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে।’

‘যান যান মিয়া ইলেকশানের লাই¹া প্রস্তুতি লন, আর হুনেন এইবার কিন্তু নোমিনেশন বাণিজ্য বন্ধ। আমার ভোট আমি দিমু, যারে ইচ্ছা তারে দিমু। ওকে।’

‘ওকে বস। হেইল হেইল...হেইল বস।’

[লেখক : চলচ্চিত্রকার]

জনসংখ্যা : সম্পদ না সংকট?

ব্রিকসে নতুন ভূ-রাজনৈতিক ব্যবস্থার উত্থান

আষাঢ়ী পূর্ণিমা : আত্মশুদ্ধির সাধনায় বুদ্ধের অনন্ত আলো

বদলে যাওয়া মাটিতে সাহসী বীজ : জলবায়ুর বিপরীতে বাংলাদেশের কৃষির অভিযোজনগাথা

ছবি

জুলাই অভ্যুত্থান-গাথা : ‘শিকলে নাহি দিব ধরা’

প্রাচীন যৌধেয় জাতি ও তাদের সাম্যবাদী শাসন

গণঅভ্যুত্থান-উত্তর ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্ন

টেকসই উন্নয়নের স্বপ্নপূরণে উপগ্রহ চিত্রই চাবিকাঠি

রাবার শিল্প : সংকট, করণীয় ও উত্তরণের দিশা

রম্যগদ্য : দুধ, দই, কলা...

ছবি

কোপার্নিকাস : আলো হয়ে জন্ম নেওয়া বৈপ্লবিক মতবাদের প্রবর্তক

জলবায়ু সংকটে মানবসভ্যতা

টেকসই অর্থনীতির জন্য চাই টেকসই ব্যাংকিং

ডিজিটাল দাসত্ব : মনোযোগ অর্থনীতি ও জ্ঞান পুঁজিবাদে তরুণ প্রজন্মের মননশীলতার অবক্ষয়

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার : আস্থা ভঙ্গ ও জবাবদিহিতার সংকট

আসামি এখন নির্বাচন কমিশন

কোথায় হারাল একান্নবর্তী পরিবার?

এই শান্তি কি মহাঝড়ের পূর্বলক্ষণ?

মেগাসিটি : দারিদ্র্য যখন ‘অবাঞ্ছিত বর্জ্য’

ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম

ছবি

তৃতীয় শক্তির জন্য জায়গা খালি : বামপন্থীরা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারে না

জমি আপনার, দখল অন্যের?

সিধু-কানু : ধ্বংসস্তূপের নিচেও জেগে আছে সাহস

ছবি

বাংলার অনন্য লোকসংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক চেতনা

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান

তিন দিক থেকে স্বাস্থ্যঝুঁকি : করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া

দেশের অর্থ পাচারের বাস্তবতা

খাদ্য নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত

আবারও কি রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবে বিশ্ব?

প্লান্ট ক্লিনিক বদলে দিচ্ছে কৃষির ভবিষ্যৎ

ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী করতে করণীয়

রম্যগদ্য : ‘ডন ডনা ডন ডন...’

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব : কে সন্ত্রাসী, কে শিকার?

সুস্থ ও শক্তিশালী জাতি গঠনে শারীরিক শিক্ষার গুরুত্ব

প্রতিরোধই উত্তম : মাদকমুক্ত প্রজন্ম গড়ার ডাক

ছবি

বিকাশের পথকে পরিত্যাগ করা যাবে না

tab

উপ-সম্পাদকীয়

রম্যগদ্য : ‘ল্যাংড়া-লুলা, আতুড়-পাতুড়’

জাঁ-নেসার ওসমান

বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

‘কি রে ভাই এসব ল্যাংড়া-লুলা, শারীরিক মানসিক প্রতিবন্ধী লইয়া কাম করতাছেন! এনজিও খুলবেননি?’

‘আরে ধ্যাৎ, এনজিও ব্যুরো, এমআরএ, পিকেএসএফ, এই সবের আইনি জটিলতার চাপে আজকাল আগের মতো এনজিওতে আর মধু নেইরে, এখন সে গুড়েবালি।’

‘তয় বালির মইধ্যে কি ল্যাংড়া-লুলা, শারীরিক মানসিক প্রতিবন্ধী লইয়া কাঁচকাটা হীরার খোঁজ করতাছেন?’

‘হীরা নয়রে, হীরা, প্লাটিনাম, ইউরেনিয়াম তার চেয়েও দামি এক জিনিসের খোঁজ করতাছি’।

‘হীরা, প্লাটিনাম, ইউরেনিয়াম হ্যের থেইক্যাও দামি জিনিস পিরথিবীতে আছেনি!’

‘কেন নয়! এই যে তোরা কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলিস, তোদের মুখের কথা কি হীরা, প্লাটিনাম, ইউরেনিয়ামের চেয়ে দামি নয়?’

‘হেঁঃ হেঁঃ এই কথা কোইলে তো ইমান হোইলো সব থেইক্কা দামি। যার ইমান নাই হ্যেয়তো মাইনষ্যের মইধ্যেই পড়ে না, হালায় জন্তু জানোয়ার থেইক্কাও খারাপ!’

‘তাইলে তোর দেশে এখন তো ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হচ্ছে। তাই বলছিলাম, ল্যাংড়া-লুলা, আতুড়-পাতুড় যাই হোক দেশের জনগণ নিজেরাই একজন ইমানদার লোক খুঁজে নিকÑ যে কিনা দেশের বেশির ভাগ জনগণের পছন্দের লোক হবেন।’

‘সে তো খুব ভালো কথা, হ্যায় যদি ইমানদার বা সৎ প্রশাসক হন তায়লে ল্যাংড়া-লুলা, আতুড়-পাতুড় যাই হোক চাইলে শারীরিক প্রতিবন্ধী তাও দেশের জনগণ হ্যেরে মাথায় তুইল্লা নাচবো। তয় এমন লোক আপনে খুঁইজ্জা লইবেন মানে নির্বাচন করবেন ক্যেমনে?’

‘শোন- সে বহুদিন আগের কথা; তখন আঁটকুড়ে রাজা মারা গেলে...’

‘ভাই ভাই, হারা জনম আঁস্তাকুড়ে হুইন্না আইছি, এই আঁটকুড়ে রাজা, হ্যেইডা আবার কি রাজা ডিসপেন্সারিতে যে কাগজে মুইড়া ব্যেচে হেই রাজা না তো?’

‘না রে বাবা না, আঁটকুড়ে রাজা হচ্ছেন যে রাজার কোনো সন্তান নেই। মানে দেশে পরিচালনার জন্য রাজার কোনো উত্তরাধিকার নেই। তাকে বলে আঁটকুড়ে রাজা।’

‘মাইনে রানীমা বন্ধ্যা।’

‘খালি রানীমার দোষ দেখিস ক্যেনো, রাজারও তো সমস্যা হোতে পারে।’

‘জাউগ্গা রাজা রানী থুয়া আসল কতা কন। আঁটকুড়ে রাজা মরলে দেশ চালাইবো ক্যেডা?’

‘তখন নিয়ম ছিলো রাজা যে হাতিতে চড়ে ঘুরে বেড়াতেন সেই রাজহস্তিকে কাক ডাকা ভোরে ¯œান করিয়ে মাহুত দিয়ে রাজপথে ছেড়ে দেয়া হতো। হাতি তার আপন মনে রাজপথ পরিভ্রমণ করতো।’

‘এই সময় কুনো মন্ত্রী কি রাজার হাতির লগে যাইতো?’

‘না না না, মন্ত্রীরা যদি কোনো চাল মারে বা মাহুতকে ঘুষ দিয়ে মন্ত্রীদের পছন্দের কোনো কাজ করায় তাই মন্ত্রীরা সব তখন রাজপ্রাসাদের সভায় মিয়া তানসেনের রাগ মিয়া কী টোড়ি শুনতে বাধ্য।’

‘যুদি কুনো মন্ত্রী অ্যাবসেন্ট থাকে মানে রাজসভায় মিয়া তানসেনের রাগ মিয়া কী টোড়ি শুনতে অনুপস্থিত? সাথে সাথে তাকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে বাদ দেওয়া হতো। যাক, যা বলছিলাম শোন।’

‘জ্বি, বলেন বলেন।’

‘এই রাজার হাতি পথে পথে ঘুরতে ঘুরতে যেই তরুণ বা যুবককে শুঁড়ে করে জড়িয়ে ধরে পিঠে তুলে নিতো ব্যাস সাথে সাথে তাকে সারা দেশের লোক মানে জনগণ রাজা বলে মেনে নিতেন।’

‘না না, সিসটেমটা বৈজ্ঞানিক না। এইডা তো গণতন্ত্রের ধারে কাছে নাই, এইডাতো পুরা হাতিতন্ত্র। গণতন্ত্র ছাড়া জনসাধারণের কথা কেউ শুনবোনি?’

‘আরে সে আমলতো পুরো রাজতন্ত্রের আমল; তখন বহুদলীয় গণতন্ত্র বা এক দলীয় কমিউনিস্ট পার্টির জন্মই হয়নি। তখন তুই গ্রিসের ডেমোস বা ডেমোক্রেসি পাবি কি কোরে!’

‘না না ভাই, একটা বনের অবোলা জানোয়ার একজনরে শুঁড়ে প্যাঁচায়া পিঠে লইল ব্যাস হ্যায় রাজা! হ্যায় দেশ চালাইতে পারবো? না পরবোনা হ্যের কুনো খোঁজ নাই, হালায় মুচি না মেথর নাকি মুর্দাফরাস, ব্যাডায় কি গাঞ্জাখোর নাকি ঘুষখোর কুনো কিছু না জাইন্নাই হ্যেয় রাজা। ধ্যাৎ হেইডা হয় নাকি!?’

‘আরে ভাই সেই আমলে যিশু খ্রিস্টের জন্মের আগের কথা, তখন সিদ্ধার্থ মানে গৌতম বুদ্ধ, হাঁটি হাঁটি পা পা কোরে তার ধর্ম প্রচার করছে সেই অতি প্রাচীন আমলের কথা।’

‘তো সেই প্রাচীন আমুলের রূপকথা অহন আমারে হুনান ক্যেন? আপনে কি চান যে আমাগো দেশে বর্তমানে হাতি দিয়া রাজা নির্বাচন কোরমু? হালায় হাগলনি কোনো!!’

‘না না, খামাখায় ভুল বুঝছিস ক্যেনো। আমি বলছিলাম তোরা যখন কেউ কেউ বলছিস আগস্ট মাসের খুনের বিচারের পর জাতীয় নির্বাচন, কেউ বলছিস স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের পর জাতীয় নির্বাচন, কেউ বলছিস ফেব্রুয়ারিতে, কেউ এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচনÑ তাই বলছিলাম নানা মুনির নানা মত। কোনো মতেই ঐকমত্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না; তাই আপাতত ল্যাংড়া-লুলা, শারীরিক মানসিক প্রতিবন্ধী কোনো একটারে...।’

‘হাতি দিয়া বাইন্দা আনুম?? ফাইজলামি মারার জায়গা পান না! না!’

‘আরে চ্যেতোস ক্যা?’

‘না চ্যেতুম না! কোইতাছি অতিশীঘ্রই আপনেরা জাতীয় নির্বাচনের ডেট পাইবেন। কয়াদিলাম ব্যাস।’ ‘উহঃ তাহলে সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে।’

‘যান যান মিয়া ইলেকশানের লাই¹া প্রস্তুতি লন, আর হুনেন এইবার কিন্তু নোমিনেশন বাণিজ্য বন্ধ। আমার ভোট আমি দিমু, যারে ইচ্ছা তারে দিমু। ওকে।’

‘ওকে বস। হেইল হেইল...হেইল বস।’

[লেখক : চলচ্চিত্রকার]

back to top