আর কে চৌধুরী
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের নানা প্রান্তে যেভাবে মব সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ছে, তা শুধু ভয়াবহ নয়, বরং রাষ্ট্র ও সমাজের যৌথ ব্যর্থতার প্রকাশ। কুমিল্লার মুরাদনগরে মা, ছেলে ও মেয়েকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার রেশ না কাটতেই গাজীপুর, লালমনিরহাট, ঢাকা ও সিরাজগঞ্জে একের পর এক গণপিটুনির খবর এসেছে।
মুরাদনগরের ঘটনাটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক, যেখানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের উপস্থিতিতে সালিসি বৈঠকের নামে এই হত্যাকা- ঘটেছে। নিহতদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ থাকলেও কাউকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান ‘মব সন্ত্রাসে’ সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। ভুক্তভোগীরা আছে আতঙ্কে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। এ অবস্থায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মীরা। সরকারের উপদেষ্টারা কয়েক মাস ধরে মব সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং মানবাধিকার সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১০ মাসে ২৫৩টি গণপিটুনির ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত এবং ৩১২ জন আহত হয়েছে।
সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নূরুল হুদা যথার্থই বলেছেন, মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। তার মতে, সরকার যদি কঠোর অবস্থানে থাকত, তাহলে এভাবে একের পর এক মব সৃষ্টি হতো না। অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, সামাজিক অস্থিরতা, আইনের প্রতি আস্থাহীনতা, রাজনৈতিক বিরোধ, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থাসহ নানা কারণে গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছে। কিছু ক্ষেত্রে পেশাদার অপরাধী ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও মব তৈরি করছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কঠোর ও দ্রুত পদক্ষেপ অপরিহার্য। জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগিয়ে তোলার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। কোনো অবস্থায়ই মবের সঙ্গে জড়িতদের প্রশ্রয় প্রদান করা যাবে না কিংবা তাদের অপরাধকে লঘু হিসেবে উপস্থাপন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ করে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত বলে মনে করি। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা বন্ধ না হলে এই দেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। রাষ্ট্র যদি এই ব্যর্থতা অব্যাহত রাখে, তাহলে আইনের শাসনের পরিবর্তে উন্মত্ততার শাসন সমাজে প্রতিষ্ঠা পাবে। সে শাসনে কেউ নিরাপদ থাকবে না, নাগরিকত্বের মৌলিক নিশ্চয়তাও হারিয়ে যাবে।
এদিকে, বাংলাদেশ এক গভীর সামাজিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কুমিল্লার মুরাদনগরে এক পরিবারকে পিটিয়ে হত্যা, দেশজুড়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিসংখ্যান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সীমাবদ্ধতাÑ সবকিছু মিলিয়ে স্পষ্ট হয়, বাংলাদেশের সামাজিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ। এই পরিস্থিতি একটি সুসংহত ও মানবিক সমাজের জন্য অশনিসংকেত।
মুরাদনগরের কড়ইবাড়ী গ্রামে মা, ছেলে ও মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাটি কোনো একক অপরাধ নয়, এটি সামাজিক প্রতিশোধ, গণপিটুনির সংস্কৃতি এবং স্থানীয় ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির মিলিত রূপ। মাদক, মোবাইল ফোন চুরি এবং পুরনো শত্রুতার জেরে একসঙ্গে তিনজন মানুষকে হত্যা করাÑ এটি কেবল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যর্থতা নয়, বরং মানবিক মূল্যবোধের চরম বিপর্যয়। ঘটনা-পরবর্তী অবস্থানও কম ভয়াবহ নয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ২৩ জুন পর্যন্ত ১৭৯ জন গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন, যা এ ধরনের বিচারহীনতার প্রবণতার উদ্বেগজনক বৃদ্ধিকেই তুলে ধরে।
পাশাপাশি নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিস্থিতি ‘মহামারির পর্যায়ে’ পৌঁছেছে বলে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ মন্তব্য করেছেন। গত ৯ দিনে ২৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে এবং গত ছয় মাসে এক হাজার ৫৫৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৪৮১ জন ধর্ষণ এবং ১৭ জন ধর্ষণের পর হত্যার শিকার।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় ৯ হাজার ১০০টি মামলা হয়েছে, যা গত বছরের মাসিক গড় মামলার সংখ্যা (১, ৪৬৪) থেকে যথেষ্ট বেশি। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। মানবাধিকারকর্মী ও মহিলা পরিষদের এত সংগঠনগুলো বলছে, পত্রিকায় সব ঘটনার খবর হয় না, বাস্তব চিত্র আরও ভয়াবহ। যখন ধর্ষণের এত অপরাধের জন্য মানবাধিকারকর্মী হয়েও শারমীন মুরশিদ মৃত্যুদ-ের পক্ষে মত দেন, তখন বোঝা যায় পরিস্থিতির ভয়াবহতা কতটুকু।
সমাজ বিশ্লেষকরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ দায়িত্ব পালনের অভাব এবং রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে আঁতাত এই অপরাধগুলোকে উৎসাহিত করছে।
অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ ও বিচার দ্রুত নিশ্চিত না হলে সাধারণ মানুষের আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা বাড়বে, যা সামগ্রিকভাবে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত হানবে। গণপিটুনি, ধর্ষণ ও নারী-শিশু হত্যা প্রতিরোধে একটি সমন্বিত ও কঠোর পদক্ষেপ জরুরি। একই সঙ্গে শিক্ষা, সামাজিক সচেতনতা ও মানবিক মূল্যবোধ পুনর্গঠনে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ জোরদার করতে হবে।
[লেখক : প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আর কে চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ]
আর কে চৌধুরী
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের নানা প্রান্তে যেভাবে মব সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ছে, তা শুধু ভয়াবহ নয়, বরং রাষ্ট্র ও সমাজের যৌথ ব্যর্থতার প্রকাশ। কুমিল্লার মুরাদনগরে মা, ছেলে ও মেয়েকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার রেশ না কাটতেই গাজীপুর, লালমনিরহাট, ঢাকা ও সিরাজগঞ্জে একের পর এক গণপিটুনির খবর এসেছে।
মুরাদনগরের ঘটনাটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক, যেখানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের উপস্থিতিতে সালিসি বৈঠকের নামে এই হত্যাকা- ঘটেছে। নিহতদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ থাকলেও কাউকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান ‘মব সন্ত্রাসে’ সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। ভুক্তভোগীরা আছে আতঙ্কে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। এ অবস্থায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মীরা। সরকারের উপদেষ্টারা কয়েক মাস ধরে মব সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং মানবাধিকার সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১০ মাসে ২৫৩টি গণপিটুনির ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত এবং ৩১২ জন আহত হয়েছে।
সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নূরুল হুদা যথার্থই বলেছেন, মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। তার মতে, সরকার যদি কঠোর অবস্থানে থাকত, তাহলে এভাবে একের পর এক মব সৃষ্টি হতো না। অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, সামাজিক অস্থিরতা, আইনের প্রতি আস্থাহীনতা, রাজনৈতিক বিরোধ, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থাসহ নানা কারণে গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছে। কিছু ক্ষেত্রে পেশাদার অপরাধী ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও মব তৈরি করছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কঠোর ও দ্রুত পদক্ষেপ অপরিহার্য। জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগিয়ে তোলার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। কোনো অবস্থায়ই মবের সঙ্গে জড়িতদের প্রশ্রয় প্রদান করা যাবে না কিংবা তাদের অপরাধকে লঘু হিসেবে উপস্থাপন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ করে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত বলে মনে করি। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা বন্ধ না হলে এই দেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। রাষ্ট্র যদি এই ব্যর্থতা অব্যাহত রাখে, তাহলে আইনের শাসনের পরিবর্তে উন্মত্ততার শাসন সমাজে প্রতিষ্ঠা পাবে। সে শাসনে কেউ নিরাপদ থাকবে না, নাগরিকত্বের মৌলিক নিশ্চয়তাও হারিয়ে যাবে।
এদিকে, বাংলাদেশ এক গভীর সামাজিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কুমিল্লার মুরাদনগরে এক পরিবারকে পিটিয়ে হত্যা, দেশজুড়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিসংখ্যান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সীমাবদ্ধতাÑ সবকিছু মিলিয়ে স্পষ্ট হয়, বাংলাদেশের সামাজিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ। এই পরিস্থিতি একটি সুসংহত ও মানবিক সমাজের জন্য অশনিসংকেত।
মুরাদনগরের কড়ইবাড়ী গ্রামে মা, ছেলে ও মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাটি কোনো একক অপরাধ নয়, এটি সামাজিক প্রতিশোধ, গণপিটুনির সংস্কৃতি এবং স্থানীয় ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির মিলিত রূপ। মাদক, মোবাইল ফোন চুরি এবং পুরনো শত্রুতার জেরে একসঙ্গে তিনজন মানুষকে হত্যা করাÑ এটি কেবল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যর্থতা নয়, বরং মানবিক মূল্যবোধের চরম বিপর্যয়। ঘটনা-পরবর্তী অবস্থানও কম ভয়াবহ নয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ২৩ জুন পর্যন্ত ১৭৯ জন গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন, যা এ ধরনের বিচারহীনতার প্রবণতার উদ্বেগজনক বৃদ্ধিকেই তুলে ধরে।
পাশাপাশি নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিস্থিতি ‘মহামারির পর্যায়ে’ পৌঁছেছে বলে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ মন্তব্য করেছেন। গত ৯ দিনে ২৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে এবং গত ছয় মাসে এক হাজার ৫৫৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৪৮১ জন ধর্ষণ এবং ১৭ জন ধর্ষণের পর হত্যার শিকার।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় ৯ হাজার ১০০টি মামলা হয়েছে, যা গত বছরের মাসিক গড় মামলার সংখ্যা (১, ৪৬৪) থেকে যথেষ্ট বেশি। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। মানবাধিকারকর্মী ও মহিলা পরিষদের এত সংগঠনগুলো বলছে, পত্রিকায় সব ঘটনার খবর হয় না, বাস্তব চিত্র আরও ভয়াবহ। যখন ধর্ষণের এত অপরাধের জন্য মানবাধিকারকর্মী হয়েও শারমীন মুরশিদ মৃত্যুদ-ের পক্ষে মত দেন, তখন বোঝা যায় পরিস্থিতির ভয়াবহতা কতটুকু।
সমাজ বিশ্লেষকরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ দায়িত্ব পালনের অভাব এবং রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে আঁতাত এই অপরাধগুলোকে উৎসাহিত করছে।
অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ ও বিচার দ্রুত নিশ্চিত না হলে সাধারণ মানুষের আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা বাড়বে, যা সামগ্রিকভাবে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত হানবে। গণপিটুনি, ধর্ষণ ও নারী-শিশু হত্যা প্রতিরোধে একটি সমন্বিত ও কঠোর পদক্ষেপ জরুরি। একই সঙ্গে শিক্ষা, সামাজিক সচেতনতা ও মানবিক মূল্যবোধ পুনর্গঠনে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ জোরদার করতে হবে।
[লেখক : প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আর কে চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ]