কবির উদ্দিন
ঢাকা শহরের নাম শুনলে আমাদের চোখে ভাসে এক জনবহুল মেগাসিটির ছবি, যেখানে প্রতিদিনের অন্যতম প্রধান চাহিদা হলো বিশুদ্ধ পানি। এই অপরিহার্য বিশুদ্ধ পানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে ঢাকা ওয়াসা নিরলসভাবে কাজ করছে। রাজধানীর প্রায় এক কোটিরও বেশি মানুষের তৃষ্ণা নিবারণে নিয়োজিত এই সংস্থার এক অমূল্য সম্পদ হলো পদ্মা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। তবে এটি শুধু একটি বিশাল বিশুদ্ধকরণ কেন্দ্রই নয়, এটি যেন এক জীবন্ত বোটানিক্যাল গার্ডেন; সবুজে ঘেরা এক কর্মস্থল, যা বাংলাদেশের যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার জশলদিয়া এলাকায় এক শান্ত পরিবেশে গড়ে উঠেছে এই পদ্মা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। ৩৩ হেক্টর সুবিস্তৃত এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই প্ল্যান্টটি প্রতিদিন প্রায় ৪৫ কোটি লিটার পানি বিশুদ্ধ করে ঢাকাবাসীর জন্য সরবরাহ করে। এর গুরুত্ব কেবল বিশুদ্ধ পানি উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ নয়; এই প্ল্যান্ট এখন একটি পরিবেশবান্ধব সবুজ মডেল এলাকা, যা
নিজে না দেখলে উপলব্ধি করা সম্ভব ছিল না।
এখানে এমন কোনো ফুল নেই যা ফোটে না, এমন কোনো ফল নেই যা ধরে না! প্রতিটি কোণায় চোখে পড়ে নানা ধরনের আম, পেয়ারা, ডালিম, বেল, কামরাঙ্গা, লেবু, নারকেলসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ফলদ বৃক্ষ। গুচ্ছ করে লাগানো জারুল, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, কাঞ্চন, কনকচূড়া, ফুরুস, রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা, দোপাটি, বেলীসহ অসংখ্য ফুলের গাছ প্ল্যান্টের শোভা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিদিন সকালে পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে এখানকার পরিবেশ। গুচ্ছ করে লাগানো গাছগুলো প্রায় প্রতিটি ঋতুতে ফুল ফুটিয়ে ঋতু উপভোগ করার আহ্বান জানায়।
এক অসাধারণ উদ্যোগের নেপথ্য কথা : এই অসাধারণ সবুজায়নের নেপথ্যে রয়েছে পদ্মা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এক অসামান্য আন্তরিকতা ও ভালোবাসাময় উদ্যোগ। অফিসের সময় শেষে তারা প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা করে স্বেচ্ছায় বাগানে কাজ করেন। এটি তাদের কাছে নিছকই একটি কাজ নয়, বরং শখ এবং এক গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। এটি সুস্থ থাকার এক দারুণ উপায়ও বটে! কেউ গাছের যতœ নেন, কেউ ঝোপঝাড় পরিষ্কার করেন, পরে থাকা পাতা-ময়লা পরিষ্কার করেন, আবার কেউ নতুন চারা রোপণ করেন। এটি শুধু একটি সাধারণ বাগান নয়, এটি একটি সত্যিকারের সবুজ কমিউনিটির প্রতিচ্ছবি।
এই ধরনের উদ্যোগ শুধুমাত্র প্ল্যান্ট প্রাঙ্গণকেই নয়, বরং এর সাথে জড়িত কর্মীদের মনকেও সবুজ ও সতেজ করে তুলেছে। তাদের কথায়, ‘আমরা এখানে কাজ করতে এসে শুধু দায়িত্ব পালন করি না, প্রকৃতির সাথে একাত্ম হয়ে যাই। প্রতিদিন এক ঘণ্টা গাছের সাথে সময় কাটানো আমাদের মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। দেখুন এখানে কর্মরত সবাই কেমন শারীরিকভাবে ফিট!’
পরিবেশবান্ধব মডেল এবং অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত : দেশের অন্যান্য সরকারি অফিসের প্রেক্ষাপটে এমন চর্চা সত্যিই বিরল। যেখানে অনেক অফিসের চারপাশ ধুলা, বালি আর পলিথিনের স্তূপে ভরা থাকে, সেখানে পদ্মা ওয়াসার এই প্রতিষ্ঠানটি প্রাকৃতিক শোভা, পরিচ্ছন্নতা এবং পরিবেশসচেতনতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ স্থাপন করেছে।
পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের এই সংকটময় সময়ে এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত অনুপ্রেরণামূলক। পানি সরবরাহের মতো একটি প্রযুক্তিনির্ভর খাতে কাজ করেও কীভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করা যায়, পদ্মা ওয়াসার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তার এক জলজ্যান্ত প্রমাণ। এখানে জলবায়ু অভিযোজন বিষয়টি জীবন্ত উদাহরণ হিসেবে কাজ করে। বলা যায়, এটি নেচার বেজড সল্যুশন বা প্রাকৃতিক ভিত্তিক সমাধানের একটি ল্যাবও বটে!
আমার সাথে বেড়াতে যাওয়া দেশি ও বিদেশি পানি ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা এটি দেখে অবাক হয়েছেন যে বাংলাদেশে এমন অফিসও আছে। তারা মনে করেন, একটি পরিবেশবান্ধব অফিস ক্যাম্পাস কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে, তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ায় এবং কাজের প্রতি এক নিবিড় ভালোবাসা গড়ে তোলে। পদ্মা ওয়াসার এই প্ল্যান্ট তার উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এমন উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করবে। এ কারণেই দেশি ও বিদেশি পানি ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা অনেকেই বলেন, এটি শুধু একটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নয়, এটি বাংলাদেশের সেরা অফিস। একদিকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কোটি মানুষের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণ, অন্যদিকে পরিবেশসচেতন কর্মীদের মাধ্যমে গড়ে ওঠা এক প্রাণবন্ত সবুজ পরিবেশ, এই দুইয়ের সমন্বয়ে পদ্মা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হয়ে উঠেছে আমাদের দেশের গর্ব। যদিও এই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ, পদ্মা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের এই মডেলকে একটি জাতীয় মানদ- হিসেবে বিবেচনা করে অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এর বাস্তবায়ন উৎসাহিত করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে শুধু কর্মপরিবেশের উন্নতিই হবে না, বরং সামগ্রিকভাবে দেশের সবুজায়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণেও এটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
এছাড়াও এই প্ল্যান্টটিকে পরিবেশ শিক্ষা ও গবেষণার একটি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে, যেখানে শিক্ষার্থী ও গবেষকরা প্রাকৃতিক উপায়ে পরিবেশ সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের ব্যবহারিক দিক সম্পর্কে জানতে পারবেন। স্কুলের বাচ্চারাও এখান থেকে শিখতে পারে যে বাগান করা শুধু শখ নয়, এটি এক বাস্তব প্রমাণ যা ওয়াসার পদ্মা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দেখিয়েছেন।
[লেখক : ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, ইসিমোড, নেপাল]
কবির উদ্দিন
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
ঢাকা শহরের নাম শুনলে আমাদের চোখে ভাসে এক জনবহুল মেগাসিটির ছবি, যেখানে প্রতিদিনের অন্যতম প্রধান চাহিদা হলো বিশুদ্ধ পানি। এই অপরিহার্য বিশুদ্ধ পানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে ঢাকা ওয়াসা নিরলসভাবে কাজ করছে। রাজধানীর প্রায় এক কোটিরও বেশি মানুষের তৃষ্ণা নিবারণে নিয়োজিত এই সংস্থার এক অমূল্য সম্পদ হলো পদ্মা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। তবে এটি শুধু একটি বিশাল বিশুদ্ধকরণ কেন্দ্রই নয়, এটি যেন এক জীবন্ত বোটানিক্যাল গার্ডেন; সবুজে ঘেরা এক কর্মস্থল, যা বাংলাদেশের যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার জশলদিয়া এলাকায় এক শান্ত পরিবেশে গড়ে উঠেছে এই পদ্মা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। ৩৩ হেক্টর সুবিস্তৃত এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই প্ল্যান্টটি প্রতিদিন প্রায় ৪৫ কোটি লিটার পানি বিশুদ্ধ করে ঢাকাবাসীর জন্য সরবরাহ করে। এর গুরুত্ব কেবল বিশুদ্ধ পানি উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ নয়; এই প্ল্যান্ট এখন একটি পরিবেশবান্ধব সবুজ মডেল এলাকা, যা
নিজে না দেখলে উপলব্ধি করা সম্ভব ছিল না।
এখানে এমন কোনো ফুল নেই যা ফোটে না, এমন কোনো ফল নেই যা ধরে না! প্রতিটি কোণায় চোখে পড়ে নানা ধরনের আম, পেয়ারা, ডালিম, বেল, কামরাঙ্গা, লেবু, নারকেলসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ফলদ বৃক্ষ। গুচ্ছ করে লাগানো জারুল, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, কাঞ্চন, কনকচূড়া, ফুরুস, রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা, দোপাটি, বেলীসহ অসংখ্য ফুলের গাছ প্ল্যান্টের শোভা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিদিন সকালে পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে এখানকার পরিবেশ। গুচ্ছ করে লাগানো গাছগুলো প্রায় প্রতিটি ঋতুতে ফুল ফুটিয়ে ঋতু উপভোগ করার আহ্বান জানায়।
এক অসাধারণ উদ্যোগের নেপথ্য কথা : এই অসাধারণ সবুজায়নের নেপথ্যে রয়েছে পদ্মা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এক অসামান্য আন্তরিকতা ও ভালোবাসাময় উদ্যোগ। অফিসের সময় শেষে তারা প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা করে স্বেচ্ছায় বাগানে কাজ করেন। এটি তাদের কাছে নিছকই একটি কাজ নয়, বরং শখ এবং এক গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। এটি সুস্থ থাকার এক দারুণ উপায়ও বটে! কেউ গাছের যতœ নেন, কেউ ঝোপঝাড় পরিষ্কার করেন, পরে থাকা পাতা-ময়লা পরিষ্কার করেন, আবার কেউ নতুন চারা রোপণ করেন। এটি শুধু একটি সাধারণ বাগান নয়, এটি একটি সত্যিকারের সবুজ কমিউনিটির প্রতিচ্ছবি।
এই ধরনের উদ্যোগ শুধুমাত্র প্ল্যান্ট প্রাঙ্গণকেই নয়, বরং এর সাথে জড়িত কর্মীদের মনকেও সবুজ ও সতেজ করে তুলেছে। তাদের কথায়, ‘আমরা এখানে কাজ করতে এসে শুধু দায়িত্ব পালন করি না, প্রকৃতির সাথে একাত্ম হয়ে যাই। প্রতিদিন এক ঘণ্টা গাছের সাথে সময় কাটানো আমাদের মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। দেখুন এখানে কর্মরত সবাই কেমন শারীরিকভাবে ফিট!’
পরিবেশবান্ধব মডেল এবং অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত : দেশের অন্যান্য সরকারি অফিসের প্রেক্ষাপটে এমন চর্চা সত্যিই বিরল। যেখানে অনেক অফিসের চারপাশ ধুলা, বালি আর পলিথিনের স্তূপে ভরা থাকে, সেখানে পদ্মা ওয়াসার এই প্রতিষ্ঠানটি প্রাকৃতিক শোভা, পরিচ্ছন্নতা এবং পরিবেশসচেতনতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ স্থাপন করেছে।
পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের এই সংকটময় সময়ে এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত অনুপ্রেরণামূলক। পানি সরবরাহের মতো একটি প্রযুক্তিনির্ভর খাতে কাজ করেও কীভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করা যায়, পদ্মা ওয়াসার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তার এক জলজ্যান্ত প্রমাণ। এখানে জলবায়ু অভিযোজন বিষয়টি জীবন্ত উদাহরণ হিসেবে কাজ করে। বলা যায়, এটি নেচার বেজড সল্যুশন বা প্রাকৃতিক ভিত্তিক সমাধানের একটি ল্যাবও বটে!
আমার সাথে বেড়াতে যাওয়া দেশি ও বিদেশি পানি ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা এটি দেখে অবাক হয়েছেন যে বাংলাদেশে এমন অফিসও আছে। তারা মনে করেন, একটি পরিবেশবান্ধব অফিস ক্যাম্পাস কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে, তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ায় এবং কাজের প্রতি এক নিবিড় ভালোবাসা গড়ে তোলে। পদ্মা ওয়াসার এই প্ল্যান্ট তার উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এমন উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করবে। এ কারণেই দেশি ও বিদেশি পানি ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা অনেকেই বলেন, এটি শুধু একটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নয়, এটি বাংলাদেশের সেরা অফিস। একদিকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কোটি মানুষের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণ, অন্যদিকে পরিবেশসচেতন কর্মীদের মাধ্যমে গড়ে ওঠা এক প্রাণবন্ত সবুজ পরিবেশ, এই দুইয়ের সমন্বয়ে পদ্মা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হয়ে উঠেছে আমাদের দেশের গর্ব। যদিও এই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ, পদ্মা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের এই মডেলকে একটি জাতীয় মানদ- হিসেবে বিবেচনা করে অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এর বাস্তবায়ন উৎসাহিত করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে শুধু কর্মপরিবেশের উন্নতিই হবে না, বরং সামগ্রিকভাবে দেশের সবুজায়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণেও এটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
এছাড়াও এই প্ল্যান্টটিকে পরিবেশ শিক্ষা ও গবেষণার একটি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে, যেখানে শিক্ষার্থী ও গবেষকরা প্রাকৃতিক উপায়ে পরিবেশ সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের ব্যবহারিক দিক সম্পর্কে জানতে পারবেন। স্কুলের বাচ্চারাও এখান থেকে শিখতে পারে যে বাগান করা শুধু শখ নয়, এটি এক বাস্তব প্রমাণ যা ওয়াসার পদ্মা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দেখিয়েছেন।
[লেখক : ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, ইসিমোড, নেপাল]