alt

উপ-সম্পাদকীয়

রম্যগদ্য : ‘বেইমান রাইট ব্রাদার্স’

জাঁ-নেসার ওসমান

: বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

“হেঃ হেঃ হেঃ বেইমান রাইট ব্রাদার্স, আরে মিয়াভাই অরভিল রাইটস আর উইলবার রাইটস দুই ভায়েরতো ইমানই নাই তয় বেইমান হোইবো ক্যেমনে?”

“আচ্ছা তুই যে বলছিস রাইট ব্রাদার্সের ইমান নাই, তো ইমানটা কি শুনি তারপর দেখব যে রাইট ব্রাদার্সের ইমান আছে কি নেই?”

“মিয়াভাই আমারে পরীক্ষা নেননি ক্যান? হুনেন আমি ঢাবির ইসলামের ইতিহাসের ছাত্র।”

“থাক ভাই তোমার বায়োডাটার ওপর আমার কোনো আগ্রহ নেই, ইমান বলতে কি বোঝায় সেটা বয়ান করলেই আমি কিতার্থ।”

“তয় হুনেন, ইমান হোইলো আন্নে বিশ্বাস করবেন মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর প্রতি, আপনে বিশ্বাস করবেন তার ফেরেশতাম-লীর প্রতি, তার আসমানি কিতাবের প্রতি, তার সমস্ত নবী-রসুলের প্রতি, পরকালের জীবনের প্রতি ও আপনার তকদির বা ভাগ্যের ভালো-মন্দের প্রতি। এই ছয়টা বিষয় বিশ্বাস ও আমল করলেই আপনি প্রকৃত ইমানদার বা মোমেন।”

“তো তোর কি মনে হয় ১৯০৩ সালে ১৭ ডিসেম্বর, মাটির মাত্র দশফিট উপর দিয়ে উড়ে ১২০ ফিট দূরত্ব আতিক্রম করেছিল সেই পৃথিবীর প্রথম অ্যারোপ্লেন তৈরির দুই ইঞ্জিনিয়ার অরভিল রাইটস আর উইলবার রাইটসের ইমান নেই? তারা ইমানের এই ছয় বিষয়ের প্রতি কোনো বিশ্বাস রাখে না?”

“ক্যেমনে রাখপে, এঁরা তো পশ্চিমা আদর্শে বিশ্বাস করে, যুক্তিতর্ক ও বিজ্ঞান দিয়া কুনো কিছু পোরমান না করলে হ্যেরা পশ্চিমারা কয় প্রমাণ ছাড়া কোনো কিছুর অস্তিত্ব নাই। তাই হ্যেগো চিন্তা চেতনা আমাগো লগে মিলবো না। কিন্তু ভাইডি, আপনে এই বেইন্না ফজরত, রাইট ব্রাদার্স লয়া পড়লেন ক্যেন, হ্যেরা কি আন্নের...”

“ওই বুড়বক তুমি দ্যেখো নাই রাইট ব্রাদার্সের এক ভাই আকাশে উড়াল দেয়া প্লেনের চাকা টিকটিকির লেজের মতো খসে পড়ার পরও...”

“ও এ্যতোক্ষণে বুঝছি, আপনে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট নং ৪৩৬ এর ৭১ জন যাত্রী লয়া কক্সবাজার-ঢাকাগামী প্লাইটের কতা বলচেন যে?”

“তোর ভাষায় হয়, মুই বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট নং ৪৩৬-এর ৭১ জন যাত্রী লয়া কক্সবাজার-ঢাকাগামী ফ্লাইটের কতাই বলছি যে। সঙ্গে অন্য বিমানের কথাও আছে।”

“আন্নে মিয়া একটা চিজ, কোই আন্নের দেশের পাবলিকে হ্যের কামে চুদুর বুদুর করে, হ্যেতারা ঠিকমতো কাম করের না, আর আন্নে বেইমান কোইলেন রাইট ব্রাদার্সরে, পারেনও মিয়া ভাই।”

“কিন্তু তুই ভেবে দ্যেখ, বাংলাদেশ বিমান তার যাত্রার শুরুতেই মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপরই তখনকার ম্যানেজমেন্টও সঠিক সময়মতো ফ্লাইট পরিচালনা করতো পারতো না। সুষ্ঠু কোনো প্ল্যানিং ছিলো না, সাধারণ পাবলিক তখন বাংলাদেশ বিমানকে ঠাট্টা করে বেইমান বাংলাদেশ বলতো। আর বিমানের এই কারবার দেখে কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রো বলেছিলেন, তোমাদের দেশের উন্নতি হতে কষ্ট হবে!!”

“কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রো স্যারতো খারাপ কথা কন নাই, আন্নে মিয়া স্বাধীনতার পিরায় চুয়ান্ন বছর পরও একটা এয়ারলাইন ঠিকমতো চালাইতে পারেন না, তয় আপনে দেশ চালাইবেন ক্যেমনে?”

“না না এ কথা বললে তো হবে না, আমরা তো দেশ সঠিক পথে পরিচালনা করছি। মেট্রোরেল বাংলার জনগণের জন্য আশীর্বাদ, হাইওয়ে, স্যাটেলাইট...”

“থাক থাক খামাখা মুখ ছুটায়েন না, ওই মিয়া প্লেন আকাশে উড়ার আগে আপনের বাঙালি অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা সব ঠিকমতো চেক করার পরইতো পাইলট রানওয়েতে এয়ার ক্র্যাফট ট্যাক্সিং করে। তয় এতো চেক করার পরও যদি আকাশে উড়াল দিতে দিতে পিলেনের চাক্কা খুইল্লা যায়, ইঞ্জিন বিকল হয়, তো হ্যেই দোষ আপনে কারে দিবেন, বাঙালি অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররে, আপনের তকদিররে নাকি আপনের ভাগ্যরে, কন কন? নাকি রাইট ব্রাদার্সরে?”

“কিন্তু তোর যেটা বুঝতে হবে হয়তো এখানে কোনো বিগত স্বৈরাচারীর দোষরের স্যাবোটাজ বা নোংরা উদ্দেশ্য হাসিল করতে চেয়েছিল।”

“এইটা আপনে কি কন??”

“ক্যেনো, স্যাবোটাজ হতে পারে না?”

“কি বলেন!! বাঙাি হয়া বাঙালি মারার লাই¹া বাঙালি এক পায়ে খাড়া। কী বীভৎস, আজ আপনি আপনার নোংরা হিংসার ফলে এই সব পোলাপান মহিলা শিশু কুনো কিছুই মারতে আপনের বুক কাঁপে না। আপনে হালায় মানুষ না সারমেয় সন্তান!!”

“না না ব্যাপারটা যে হার্ন্ড্রডে পারসেন্ট সঠিক তা আমি বলছি না, বলছি এমনটাও তো হতে পারে?”

“এই যদি আপনের মন মানসিকতা হয় বাঙালি হয়া বাঙালি নিধন তয়তো আমারে সারা বিশ্বে বাঙালি বইলা পরিচয় দিতেই ঘেন্না লাগবো।”

“কিন্তু তুই যতোই নিজেকে বাঙালি বলতে ঘৃণা বোধ করিস না ক্যেনো এই উড়ন্ত প্লেনের চাকা খুলে পড়ে যাওয়ার মাঝেও এক বিরাট সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।”

“কন কী, এই নোংরামির মাঝেও আপনে এক বিরাট সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের সুযোগ দ্যেখেন??”

“নিশ্চয়, ক্যেনো নয়?”

“তয় কী, সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের সুযোগ পাইছেন কন দেখি??”

“ক্যানো তুমি দেখলে না, উড়ন্ত প্লেনের চাকা খুলে পড়ে যাওয়ার পরও দক্ষ পাইলট ক্যাপ্টেন জামিল বিল্লাহ কি সুন্দর সেফ ল্যান্ডিং করলেন। কোনো প্রকার জানমালের কোনো ক্ষতি হয়নি। তাই বলছিলাম তোরা যদি সত্যিকারের দেশ দরদি নির্লোভ শিক্ষিত দক্ষ লোকের হাতে তোদের দেশ পরিচালনার ভার দিস তাহলে তোদের. সোনার বাংলা হীরার বাংলায় পরিণত হবে। দক্ষ পাইলট ক্যাপ্টেন জামিল বিল্লাহর মতো তোদের রাজনৈতিক নেতারাও বাংলাদেশকে সেফ ল্যান্ডিং করাবে।”

“ঠিক আছে, আপনের কথায় যুক্তি আছে, দেহি কামিং ইলেকশনে বাঙালিরা কারে বাইচ্ছা লয়... দক্ষ লোক নাকি চটকদার চোর!!”

“ওকে ওয়েটিং ফর কামিং ইলেকশন...”

[লেখক : চলচ্চিত্রকার ]

দরকার মানসম্মত শিক্ষা

ইসরায়েলের যুদ্ধনীতি ও বিশ্ব নিরাপত্তার সংকট

মানসিক স্বাস্থ্যসেবা : আইনি কাঠামো, সংকট ও সম্ভাবনার দিক

ছবি

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র

দুর্যোগে অবিবেচকদেরকে কি দায়িত্বশীল ভাবা যায়?

ওয়াসার পদ্মা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট : এক জীবন্ত বোটানিক্যাল গার্ডেন

রেলপথের দুর্দশা : সমন্বিত পরিকল্পনা না হলে বিপর্যয় অনিবার্য

বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র নাকি ক্ষমতার অভ্যন্তরীণ উপনিবেশ?

পিরোজপুরের স্কুলটির ফলাফল বিপর্যয় এবং আচরণগত অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ

কোনো শাসকই অপরাজেয় নয়

পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি : বাঙালিকে রুচির দৈন্যে টেনে নামানো হচ্ছে

জনসংখ্যা ও যুবশক্তির চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

রাষ্ট্রের কাছে স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই

পার্বত্য চট্টগ্রাম : প্রাকৃতিক সম্পদ ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা

ইউরেশিয়ায় তৃতীয় বিকল্প গালফ কূটনীতি

‘বিপ্লবী সংস্কার’ কি সম্ভব

রম্যগদ্য : ‘ব্যাংক, ব্যাংক নয়’

মবতন্ত্রের জয়

ডিজিটাল ক্লান্তি ও ‘সর্বক্ষণ সক্রিয়’ সংস্কৃতির শ্রেণীগত রাজনীতি

ছবি

বোধের স্ফূরণ, না ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’?

এসএসসিতে গণিত বিষয়ে ফল বিপর্যয় : কারণ ও উত্তরণের উপায়

দক্ষ মানবসম্পদ ও সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার

আফ্রিকায় হঠাৎ কেন যুক্তরাষ্ট্রের ঝোঁক?

ঢাকা মহানগর ও বুড়িগঙ্গা

জামাই মেলা : উৎসব, ঐতিহ্য ও কৃষ্টির রঙিন চিত্রপট

হারিয়ে যাওয়া ক্লাস, কঠোর মূল্যায়ন আর প্রশ্নের জটিলতায় নুয়ে পড়া এক প্রজন্ম

বৈষম্য দূর করে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলুন

চিকিৎসা যেন বাণিজ্যের হাতিয়ারে পরিণত না হয়

পথশিশু ও বাংলাদেশে সামাজিক চুক্তির ব্যর্থতা

মেগা প্রকল্প : প্রশ্ন হওয়া উচিত স্বচ্ছতা নিয়ে

আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরি

স্মার্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা : উপগ্রহ চিত্র ও ওয়েবসাইটের অপরিহার্যতা

ক্ষমতা ও জনপ্রশাসন : আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা

জনসংখ্যা : সম্পদ না সংকট?

ব্রিকসে নতুন ভূ-রাজনৈতিক ব্যবস্থার উত্থান

রম্যগদ্য : ‘ল্যাংড়া-লুলা, আতুড়-পাতুড়’

tab

উপ-সম্পাদকীয়

রম্যগদ্য : ‘বেইমান রাইট ব্রাদার্স’

জাঁ-নেসার ওসমান

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

“হেঃ হেঃ হেঃ বেইমান রাইট ব্রাদার্স, আরে মিয়াভাই অরভিল রাইটস আর উইলবার রাইটস দুই ভায়েরতো ইমানই নাই তয় বেইমান হোইবো ক্যেমনে?”

“আচ্ছা তুই যে বলছিস রাইট ব্রাদার্সের ইমান নাই, তো ইমানটা কি শুনি তারপর দেখব যে রাইট ব্রাদার্সের ইমান আছে কি নেই?”

“মিয়াভাই আমারে পরীক্ষা নেননি ক্যান? হুনেন আমি ঢাবির ইসলামের ইতিহাসের ছাত্র।”

“থাক ভাই তোমার বায়োডাটার ওপর আমার কোনো আগ্রহ নেই, ইমান বলতে কি বোঝায় সেটা বয়ান করলেই আমি কিতার্থ।”

“তয় হুনেন, ইমান হোইলো আন্নে বিশ্বাস করবেন মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর প্রতি, আপনে বিশ্বাস করবেন তার ফেরেশতাম-লীর প্রতি, তার আসমানি কিতাবের প্রতি, তার সমস্ত নবী-রসুলের প্রতি, পরকালের জীবনের প্রতি ও আপনার তকদির বা ভাগ্যের ভালো-মন্দের প্রতি। এই ছয়টা বিষয় বিশ্বাস ও আমল করলেই আপনি প্রকৃত ইমানদার বা মোমেন।”

“তো তোর কি মনে হয় ১৯০৩ সালে ১৭ ডিসেম্বর, মাটির মাত্র দশফিট উপর দিয়ে উড়ে ১২০ ফিট দূরত্ব আতিক্রম করেছিল সেই পৃথিবীর প্রথম অ্যারোপ্লেন তৈরির দুই ইঞ্জিনিয়ার অরভিল রাইটস আর উইলবার রাইটসের ইমান নেই? তারা ইমানের এই ছয় বিষয়ের প্রতি কোনো বিশ্বাস রাখে না?”

“ক্যেমনে রাখপে, এঁরা তো পশ্চিমা আদর্শে বিশ্বাস করে, যুক্তিতর্ক ও বিজ্ঞান দিয়া কুনো কিছু পোরমান না করলে হ্যেরা পশ্চিমারা কয় প্রমাণ ছাড়া কোনো কিছুর অস্তিত্ব নাই। তাই হ্যেগো চিন্তা চেতনা আমাগো লগে মিলবো না। কিন্তু ভাইডি, আপনে এই বেইন্না ফজরত, রাইট ব্রাদার্স লয়া পড়লেন ক্যেন, হ্যেরা কি আন্নের...”

“ওই বুড়বক তুমি দ্যেখো নাই রাইট ব্রাদার্সের এক ভাই আকাশে উড়াল দেয়া প্লেনের চাকা টিকটিকির লেজের মতো খসে পড়ার পরও...”

“ও এ্যতোক্ষণে বুঝছি, আপনে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট নং ৪৩৬ এর ৭১ জন যাত্রী লয়া কক্সবাজার-ঢাকাগামী প্লাইটের কতা বলচেন যে?”

“তোর ভাষায় হয়, মুই বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট নং ৪৩৬-এর ৭১ জন যাত্রী লয়া কক্সবাজার-ঢাকাগামী ফ্লাইটের কতাই বলছি যে। সঙ্গে অন্য বিমানের কথাও আছে।”

“আন্নে মিয়া একটা চিজ, কোই আন্নের দেশের পাবলিকে হ্যের কামে চুদুর বুদুর করে, হ্যেতারা ঠিকমতো কাম করের না, আর আন্নে বেইমান কোইলেন রাইট ব্রাদার্সরে, পারেনও মিয়া ভাই।”

“কিন্তু তুই ভেবে দ্যেখ, বাংলাদেশ বিমান তার যাত্রার শুরুতেই মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপরই তখনকার ম্যানেজমেন্টও সঠিক সময়মতো ফ্লাইট পরিচালনা করতো পারতো না। সুষ্ঠু কোনো প্ল্যানিং ছিলো না, সাধারণ পাবলিক তখন বাংলাদেশ বিমানকে ঠাট্টা করে বেইমান বাংলাদেশ বলতো। আর বিমানের এই কারবার দেখে কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রো বলেছিলেন, তোমাদের দেশের উন্নতি হতে কষ্ট হবে!!”

“কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রো স্যারতো খারাপ কথা কন নাই, আন্নে মিয়া স্বাধীনতার পিরায় চুয়ান্ন বছর পরও একটা এয়ারলাইন ঠিকমতো চালাইতে পারেন না, তয় আপনে দেশ চালাইবেন ক্যেমনে?”

“না না এ কথা বললে তো হবে না, আমরা তো দেশ সঠিক পথে পরিচালনা করছি। মেট্রোরেল বাংলার জনগণের জন্য আশীর্বাদ, হাইওয়ে, স্যাটেলাইট...”

“থাক থাক খামাখা মুখ ছুটায়েন না, ওই মিয়া প্লেন আকাশে উড়ার আগে আপনের বাঙালি অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা সব ঠিকমতো চেক করার পরইতো পাইলট রানওয়েতে এয়ার ক্র্যাফট ট্যাক্সিং করে। তয় এতো চেক করার পরও যদি আকাশে উড়াল দিতে দিতে পিলেনের চাক্কা খুইল্লা যায়, ইঞ্জিন বিকল হয়, তো হ্যেই দোষ আপনে কারে দিবেন, বাঙালি অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররে, আপনের তকদিররে নাকি আপনের ভাগ্যরে, কন কন? নাকি রাইট ব্রাদার্সরে?”

“কিন্তু তোর যেটা বুঝতে হবে হয়তো এখানে কোনো বিগত স্বৈরাচারীর দোষরের স্যাবোটাজ বা নোংরা উদ্দেশ্য হাসিল করতে চেয়েছিল।”

“এইটা আপনে কি কন??”

“ক্যেনো, স্যাবোটাজ হতে পারে না?”

“কি বলেন!! বাঙাি হয়া বাঙালি মারার লাই¹া বাঙালি এক পায়ে খাড়া। কী বীভৎস, আজ আপনি আপনার নোংরা হিংসার ফলে এই সব পোলাপান মহিলা শিশু কুনো কিছুই মারতে আপনের বুক কাঁপে না। আপনে হালায় মানুষ না সারমেয় সন্তান!!”

“না না ব্যাপারটা যে হার্ন্ড্রডে পারসেন্ট সঠিক তা আমি বলছি না, বলছি এমনটাও তো হতে পারে?”

“এই যদি আপনের মন মানসিকতা হয় বাঙালি হয়া বাঙালি নিধন তয়তো আমারে সারা বিশ্বে বাঙালি বইলা পরিচয় দিতেই ঘেন্না লাগবো।”

“কিন্তু তুই যতোই নিজেকে বাঙালি বলতে ঘৃণা বোধ করিস না ক্যেনো এই উড়ন্ত প্লেনের চাকা খুলে পড়ে যাওয়ার মাঝেও এক বিরাট সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।”

“কন কী, এই নোংরামির মাঝেও আপনে এক বিরাট সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের সুযোগ দ্যেখেন??”

“নিশ্চয়, ক্যেনো নয়?”

“তয় কী, সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের সুযোগ পাইছেন কন দেখি??”

“ক্যানো তুমি দেখলে না, উড়ন্ত প্লেনের চাকা খুলে পড়ে যাওয়ার পরও দক্ষ পাইলট ক্যাপ্টেন জামিল বিল্লাহ কি সুন্দর সেফ ল্যান্ডিং করলেন। কোনো প্রকার জানমালের কোনো ক্ষতি হয়নি। তাই বলছিলাম তোরা যদি সত্যিকারের দেশ দরদি নির্লোভ শিক্ষিত দক্ষ লোকের হাতে তোদের দেশ পরিচালনার ভার দিস তাহলে তোদের. সোনার বাংলা হীরার বাংলায় পরিণত হবে। দক্ষ পাইলট ক্যাপ্টেন জামিল বিল্লাহর মতো তোদের রাজনৈতিক নেতারাও বাংলাদেশকে সেফ ল্যান্ডিং করাবে।”

“ঠিক আছে, আপনের কথায় যুক্তি আছে, দেহি কামিং ইলেকশনে বাঙালিরা কারে বাইচ্ছা লয়... দক্ষ লোক নাকি চটকদার চোর!!”

“ওকে ওয়েটিং ফর কামিং ইলেকশন...”

[লেখক : চলচ্চিত্রকার ]

back to top