শাহ মো. জিয়াউদ্দিন
ট্রেড ইউনিয়ন হলো শ্রমিকদের সংগঠন, যা শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ, মজুরি ও কর্মসংস্থানের শর্তাবলী উন্নত করার লক্ষ্যে গড়ে ওঠে। এর মূল উদ্দেশ্যগুলো হলোÑকর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করা; শ্রমিকদের মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা; কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ উন্নত করা; শ্রমিকদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি গড়ে তোলা; শ্রমিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা।
ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম, যা তাদের অধিকার আদায় এবং কাজের পরিবেশ উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে।
যুক্তরাজ্যে প্রথম জাতীয় ট্রেড ইউনিয়নের প্রচেষ্টা হয় ১৮২০ ও ৩০-এর দশকে। ১৮৩০ সালে জন ডোহার্টি ‘ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য প্রোটেকশন অফ লেবার’ প্রতিষ্ঠা করেন। এক বছরে এর কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ে ল্যাঙ্কাশায়ার, চেশায়ার, ডার্বিশায়ার, নটিংহ্যামশায়ার এবং লিসেস্টারশায়রে, যেখানে প্রায় ১০,০০০-২০,০০০ শ্রমিক সদস্য হয়। শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তারা ‘ভয়েস অব দ্য পিপল’ নামে সাপ্তাহিক প্রকাশনা শুরু করে।
১৮৫০-এর দশক থেকে স্থায়ী ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। লন্ডন ট্রেডস কাউন্সিল ১৮৬০ সালে গড়ে ওঠে এবং ১৮৬৮ সালে শেফিল্ড আউটরেজেস ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। ১৮৬৭ সালে রয়্যাল কমিশনের সম্মতিক্রমে ব্রিটিশ ট্রেড ইউনিয়নগুলো ১৮৭২ সালে বৈধতা পায়। এর পরবর্তী সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ফ্রান্সেও ট্রেড ইউনিয়নের বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দেয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কার্যকর শ্রমিক সংগঠন ছিল ১৮৬৯ সালের নাইটস অফ লেবার। জার্মানিতে ১৮৯৭ সালে রক্ষণশীল আইন বাতিলের পর মুক্ত ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে ওঠে। ফ্রান্সে ১৮৮৪ সালের আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে শ্রমিক সংগঠন বৈধ হয়।
বিশ্বব্যাপী ট্রেড ইউনিয়নের সবচেয়ে পুরনো সংগঠন হলো ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ ট্রেড ইউনিয়ন’। আর বৃহত্তম ফেডারেশন হল ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রাসেলস ভিত্তিক ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন’, যার ১৫৬ দেশ ও অঞ্চলের প্রায় ৩০৯টি অনুমোদিত সংগঠন এবং সদস্যসংখ্যা প্রায় ১৬৬ মিলিয়ন।
মার্কসীয় তত্ত্বে ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিক শ্রেণীর অন্যতম হাতিয়ার। পুঁজিবাদের শোষণ থেকে শ্রমিকদের রক্ষা ও শ্রেণীসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এটি অপরিহার্য। মার্কসের মতে, ট্রেড ইউনিয়ন কেবল মজুরি বৃদ্ধির দরকষাকষি করে না, বরং এটি শ্রমিকদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবেও কাজ করে সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে যায়।
মূলত ট্রেড ইউনিয়নের ভূমিকা : শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা; শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করে মালিকপক্ষের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা; ন্যায্য মজুরি ও কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য দরকষাকষি করা, যা শ্রমিক শোষণ কমায়; শ্রমিকদের রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলা; বৃহত্তর রাজনৈতিক সংগ্রামে শ্রমিকদের অংশগ্রহণের প্রস্তুতি গড়ে তোলা।
বাংলাদেশেও ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণাপত্র ও বাংলাদেশের সংবিধান শ্রমিকদের সংগঠন করার স্বাধীনতা দিয়েছে। আইএলও’র কনভেনশনগুলোও শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ শ্রমিক সংগঠন ও ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের নিয়মাবলী নির্ধারণ করেছে।
তবে বাস্তবে বাংলাদেশে কিছু শ্রমিক নেতা ব্যক্তিগত স্বার্থকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে শ্রমিকদের শোষণ করেন। মালিকপক্ষের সঙ্গে জোট বেঁধে তারা শ্রমিকদের অধিকার ও মজুরি থেকে বঞ্চিত করেন। বিশেষ করে নির্মাণ শ্রমিকদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। শ্রমিক নেতারা ‘সর্দার’ হিসেবে মজুরি নির্ধারণ করেন, কিন্তু প্রকৃত শ্রমিকদের হাতে অনেক কম অর্থ যায়। এই শোষণ শুধু মালিকপক্ষই করে না, অনেক সময় শ্রমিক নেতারাই সহযোগিতা করেন।
বাংলাদেশে অধিকাংশ ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃত্ব শিক্ষিত মধ্যবিত্ত থেকে আসে, যারা গায়ে খাটা শ্রমিক নন। আবার যারা শ্রমিক থেকে উঠে নেতা হন, তারাও শোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। বিভিন্ন শিল্প-প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা টিপস পেয়ে মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করেন। মে দিবস উদযাপনও অনেক সময় শিল্পপতিদের অর্থায়নে হয়, যার ফলে প্রকৃত শ্রমিকদের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন আসে না।
ঢাকার বড় তিনটি বাস টার্মিনাল নিয়ন্ত্রণ করতেন ‘তিন খান’ নামে তিন শ্রমিক নেতা, যারা কোটি কোটি টাকার মালিক হলেও হেলপাররা আজও দৈনিক পেটে-আধপেটা খাবার মতো মজুরি পান না। সম্প্রতি বিভিন্ন এনজিও শ্রমিক সচেতনতার কাজ করায় কিছুটা পরিবর্তন আসছে, তবে শ্রমিক নেতারা এসব এনজিওর তহবিল থেকে বেতন নিয়ে নানা সুবিধা গ্রহণ করছেন।
বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে যারা প্রতিনিধিত্ব করেন, তারা সাধারণত খেটে খাওয়া শ্রমিক নন, বরং বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। এ কারণেই প্রকৃত শ্রমিকদের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
সার্বিকভাবে বলা যায়, বাংলাদেশে কখনোই প্রকৃত অর্থে শ্রমিকদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠেনি শক্তিশালী ট্রেড ইউনিয়ন। ফলে মার্কসীয় তত্ত্ব অনুসারে শ্রমিক স্বার্থ আদায়ের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম এ দেশে সফল হয়নি। বামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোও এ সংগ্রামের রূপরেখা তৈরি করতে পারেনি।
[ লেখক : উন্নয়নকর্মী ]
শাহ মো. জিয়াউদ্দিন
শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫
ট্রেড ইউনিয়ন হলো শ্রমিকদের সংগঠন, যা শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ, মজুরি ও কর্মসংস্থানের শর্তাবলী উন্নত করার লক্ষ্যে গড়ে ওঠে। এর মূল উদ্দেশ্যগুলো হলোÑকর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করা; শ্রমিকদের মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা; কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ উন্নত করা; শ্রমিকদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি গড়ে তোলা; শ্রমিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা।
ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম, যা তাদের অধিকার আদায় এবং কাজের পরিবেশ উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে।
যুক্তরাজ্যে প্রথম জাতীয় ট্রেড ইউনিয়নের প্রচেষ্টা হয় ১৮২০ ও ৩০-এর দশকে। ১৮৩০ সালে জন ডোহার্টি ‘ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য প্রোটেকশন অফ লেবার’ প্রতিষ্ঠা করেন। এক বছরে এর কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ে ল্যাঙ্কাশায়ার, চেশায়ার, ডার্বিশায়ার, নটিংহ্যামশায়ার এবং লিসেস্টারশায়রে, যেখানে প্রায় ১০,০০০-২০,০০০ শ্রমিক সদস্য হয়। শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তারা ‘ভয়েস অব দ্য পিপল’ নামে সাপ্তাহিক প্রকাশনা শুরু করে।
১৮৫০-এর দশক থেকে স্থায়ী ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। লন্ডন ট্রেডস কাউন্সিল ১৮৬০ সালে গড়ে ওঠে এবং ১৮৬৮ সালে শেফিল্ড আউটরেজেস ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। ১৮৬৭ সালে রয়্যাল কমিশনের সম্মতিক্রমে ব্রিটিশ ট্রেড ইউনিয়নগুলো ১৮৭২ সালে বৈধতা পায়। এর পরবর্তী সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ফ্রান্সেও ট্রেড ইউনিয়নের বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দেয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কার্যকর শ্রমিক সংগঠন ছিল ১৮৬৯ সালের নাইটস অফ লেবার। জার্মানিতে ১৮৯৭ সালে রক্ষণশীল আইন বাতিলের পর মুক্ত ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে ওঠে। ফ্রান্সে ১৮৮৪ সালের আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে শ্রমিক সংগঠন বৈধ হয়।
বিশ্বব্যাপী ট্রেড ইউনিয়নের সবচেয়ে পুরনো সংগঠন হলো ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ ট্রেড ইউনিয়ন’। আর বৃহত্তম ফেডারেশন হল ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রাসেলস ভিত্তিক ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন’, যার ১৫৬ দেশ ও অঞ্চলের প্রায় ৩০৯টি অনুমোদিত সংগঠন এবং সদস্যসংখ্যা প্রায় ১৬৬ মিলিয়ন।
মার্কসীয় তত্ত্বে ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিক শ্রেণীর অন্যতম হাতিয়ার। পুঁজিবাদের শোষণ থেকে শ্রমিকদের রক্ষা ও শ্রেণীসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এটি অপরিহার্য। মার্কসের মতে, ট্রেড ইউনিয়ন কেবল মজুরি বৃদ্ধির দরকষাকষি করে না, বরং এটি শ্রমিকদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবেও কাজ করে সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে যায়।
মূলত ট্রেড ইউনিয়নের ভূমিকা : শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা; শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করে মালিকপক্ষের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা; ন্যায্য মজুরি ও কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য দরকষাকষি করা, যা শ্রমিক শোষণ কমায়; শ্রমিকদের রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলা; বৃহত্তর রাজনৈতিক সংগ্রামে শ্রমিকদের অংশগ্রহণের প্রস্তুতি গড়ে তোলা।
বাংলাদেশেও ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণাপত্র ও বাংলাদেশের সংবিধান শ্রমিকদের সংগঠন করার স্বাধীনতা দিয়েছে। আইএলও’র কনভেনশনগুলোও শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ শ্রমিক সংগঠন ও ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের নিয়মাবলী নির্ধারণ করেছে।
তবে বাস্তবে বাংলাদেশে কিছু শ্রমিক নেতা ব্যক্তিগত স্বার্থকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে শ্রমিকদের শোষণ করেন। মালিকপক্ষের সঙ্গে জোট বেঁধে তারা শ্রমিকদের অধিকার ও মজুরি থেকে বঞ্চিত করেন। বিশেষ করে নির্মাণ শ্রমিকদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। শ্রমিক নেতারা ‘সর্দার’ হিসেবে মজুরি নির্ধারণ করেন, কিন্তু প্রকৃত শ্রমিকদের হাতে অনেক কম অর্থ যায়। এই শোষণ শুধু মালিকপক্ষই করে না, অনেক সময় শ্রমিক নেতারাই সহযোগিতা করেন।
বাংলাদেশে অধিকাংশ ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃত্ব শিক্ষিত মধ্যবিত্ত থেকে আসে, যারা গায়ে খাটা শ্রমিক নন। আবার যারা শ্রমিক থেকে উঠে নেতা হন, তারাও শোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। বিভিন্ন শিল্প-প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা টিপস পেয়ে মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করেন। মে দিবস উদযাপনও অনেক সময় শিল্পপতিদের অর্থায়নে হয়, যার ফলে প্রকৃত শ্রমিকদের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন আসে না।
ঢাকার বড় তিনটি বাস টার্মিনাল নিয়ন্ত্রণ করতেন ‘তিন খান’ নামে তিন শ্রমিক নেতা, যারা কোটি কোটি টাকার মালিক হলেও হেলপাররা আজও দৈনিক পেটে-আধপেটা খাবার মতো মজুরি পান না। সম্প্রতি বিভিন্ন এনজিও শ্রমিক সচেতনতার কাজ করায় কিছুটা পরিবর্তন আসছে, তবে শ্রমিক নেতারা এসব এনজিওর তহবিল থেকে বেতন নিয়ে নানা সুবিধা গ্রহণ করছেন।
বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে যারা প্রতিনিধিত্ব করেন, তারা সাধারণত খেটে খাওয়া শ্রমিক নন, বরং বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। এ কারণেই প্রকৃত শ্রমিকদের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
সার্বিকভাবে বলা যায়, বাংলাদেশে কখনোই প্রকৃত অর্থে শ্রমিকদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠেনি শক্তিশালী ট্রেড ইউনিয়ন। ফলে মার্কসীয় তত্ত্ব অনুসারে শ্রমিক স্বার্থ আদায়ের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম এ দেশে সফল হয়নি। বামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোও এ সংগ্রামের রূপরেখা তৈরি করতে পারেনি।
[ লেখক : উন্নয়নকর্মী ]