সামসুল ইসলাম টুকু
লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। লকডাউন বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, ১৪/১৫ দিন লকডাউন না হলে সংক্রমণের চেইনটা পুরোপুরি ভাঙা সম্ভব নয়। ধরে নিলাম ভাইরাস বহনকারীরা বাড়ি থেকে বের হলেন না। সংক্রমণের চেইন ভেঙে গেল। কিন্তু লকডাউন শেষে তা জোড়া লাগতে কতক্ষণ। এ বছরের প্রথম দুই মাসে সবাই ভেবেছিল সংক্রমণ কমে গেছে। হয়তো আর বাড়বে না। সব জায়গায় ঢিলেঢালা ভাব দেখা যায়। সতর্কতা পরিহার করে চলতে থাকল লোকসমাগম ও ব্যবসা-বাণিজ্য। তারপর মাসেই অর্থাৎ মার্চ মাস থেকে সংক্রমণ হঠাৎ করে এমান বৃদ্ধি পেলো যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল। যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড ইউনিভার্সিটির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম বলেন যদি কারও শরীরে কোন কারণে ইমিউনিটি কম থাকে তাদের ক্ষেত্রে টিকা কাক্সিক্ষত সুরক্ষা নাও দিতে পারে। তবে সেই সংখ্যা নিতান্তই কম অ্যাস্ট্রজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন। এর দুটি ডোজ নিলে কোভিড থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে ৮৩ শতাংশ।
অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেন, করোনাভাইরাস সহজে যাবে না। এর মিউটেশন বা পরিবর্তন হলে টিকার পরিবর্তন বা হালনাগাদ করতে হয়। কিন্তু টিকা হালনাগাদ করা খুবই কঠিন। বিশেষ করে একক দেশে একেক অঞ্চলে বা এক দেশের টিকা অন্য অঞ্চলে কাজ করবে না।
ভারতে সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলেন, টিকা এই প্রাণঘাতী ভাইরাস শরীরে করা ঠেকাতে পারে না। কিন্তু এটি আক্রান্ত রোগীকে মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমানোসহ মৃত্যুর হার কমায়। দিল্লির এক সরকারি এক হাসপাতালের ডাক্তার বলেন, কোন কোন ব্যক্তি টিকা গ্রহণ করলেও মাস্ক ব্যবহার না করার জন্য তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। মাস্কই এ ভাইরাস নাক-মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ আটকাতে সক্ষম। সবচেয়ে বড় টিকা হচ্ছে মাস্ক।
[লেখক : সাংবাদিক ]
সামসুল ইসলাম টুকু
মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১
লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। লকডাউন বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, ১৪/১৫ দিন লকডাউন না হলে সংক্রমণের চেইনটা পুরোপুরি ভাঙা সম্ভব নয়। ধরে নিলাম ভাইরাস বহনকারীরা বাড়ি থেকে বের হলেন না। সংক্রমণের চেইন ভেঙে গেল। কিন্তু লকডাউন শেষে তা জোড়া লাগতে কতক্ষণ। এ বছরের প্রথম দুই মাসে সবাই ভেবেছিল সংক্রমণ কমে গেছে। হয়তো আর বাড়বে না। সব জায়গায় ঢিলেঢালা ভাব দেখা যায়। সতর্কতা পরিহার করে চলতে থাকল লোকসমাগম ও ব্যবসা-বাণিজ্য। তারপর মাসেই অর্থাৎ মার্চ মাস থেকে সংক্রমণ হঠাৎ করে এমান বৃদ্ধি পেলো যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল। যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড ইউনিভার্সিটির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম বলেন যদি কারও শরীরে কোন কারণে ইমিউনিটি কম থাকে তাদের ক্ষেত্রে টিকা কাক্সিক্ষত সুরক্ষা নাও দিতে পারে। তবে সেই সংখ্যা নিতান্তই কম অ্যাস্ট্রজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন। এর দুটি ডোজ নিলে কোভিড থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে ৮৩ শতাংশ।
অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেন, করোনাভাইরাস সহজে যাবে না। এর মিউটেশন বা পরিবর্তন হলে টিকার পরিবর্তন বা হালনাগাদ করতে হয়। কিন্তু টিকা হালনাগাদ করা খুবই কঠিন। বিশেষ করে একক দেশে একেক অঞ্চলে বা এক দেশের টিকা অন্য অঞ্চলে কাজ করবে না।
ভারতে সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলেন, টিকা এই প্রাণঘাতী ভাইরাস শরীরে করা ঠেকাতে পারে না। কিন্তু এটি আক্রান্ত রোগীকে মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমানোসহ মৃত্যুর হার কমায়। দিল্লির এক সরকারি এক হাসপাতালের ডাক্তার বলেন, কোন কোন ব্যক্তি টিকা গ্রহণ করলেও মাস্ক ব্যবহার না করার জন্য তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। মাস্কই এ ভাইরাস নাক-মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ আটকাতে সক্ষম। সবচেয়ে বড় টিকা হচ্ছে মাস্ক।
[লেখক : সাংবাদিক ]