alt

উপ-সম্পাদকীয়

জ্বালানি সংকটে আশার আলো ইলিশা গ্যাসক্ষেত্র

আর কে চৌধুরী

: মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

বাংলাদেশ যখন জ্বালানি সংকটে হিমশিম খাচ্ছে- ঠিক সে মুহূর্তে দেশের দ্বীপজেলা ভোলায় জ্বলে উঠেছে আশার আলো। ভোলার ইলিশা-১ কূপটি দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ গ্যাসক্ষেত্রে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে।

মজুত গ্যাসের দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। আমদানিকৃত এলএনজির দাম বিবেচনায় ২৬ হাজার কোটি টাকার। ভোলায় সব মিলিয়ে প্রায় তিন টিসিএফ গ্যাস মজুত আছে বলে অনুমান করা হয়। প্রায় ২৬ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত এই গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। এই মুহূর্তে সরকারের হাতে একটি প্রসেস প্ল্যান্ট রয়েছে। আরও একটি আনার কাজ শুরু হয়েছে। দু-তিন বছরের মধ্যে পাইপলাইনে দেয়া সম্ভব হবে ভোলার গ্যাস। ভোলা থেকে বরিশাল হয়ে খুলনা যাবে একটি পাইপলাইন। এজন্য সমীক্ষার কাজ চলছে।

জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাশিয়ার তেল গ্যাস উত্তোলনকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের মাধ্যমে বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে টগবী-১, ভোলা নর্থ-২ ও ইলিশা-২ কূপ খনন করা হয়। এতে প্রতিটি কূপ থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে। তিনটি গ্যাসক্ষেত্রের নয়টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। এগুলো হলো- বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের ছয়টি কূপ, সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভোলা নর্থের দুটি ও সবশেষ ইলিশা ক্ষেত্রের ইলিশা-১ কূপ।

ভোলায় আগে দুটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। ইলিশা নিয়ে এখন গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা দাঁড়াল তিনে। শাহবাজপুর, ভোলা নর্থ ও ইলিশা- ভোলার এই তিনটি গ্যাসক্ষেত্রে এখন ২ দশমিক ২৩ ট্রিলিয়ন (২ লাখ ২৩ হাজার কোটি) ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে। এগুলো থেকে দৈনিক ২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। এই তিনটি গ্যাসক্ষেত্রের ৯টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। এগুলো হলো- বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহাবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের ছয়টি কূপ, সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভোলা নর্থের দুটি ও সর্বশেষ ইলিশা ক্ষেত্রের ইলিশা-১ কূপ।

সিলেটের পর ভোলাই একমাত্র জেলা যেখানে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। ভোলা থেকে প্রায় ২৬ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া যাবে। সেখানে আমাদের একটি প্রসেস প্ল্যান্ট রয়েছে। আরো একটি আনার কাজ শুরু হয়েছে। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ভোলার গ্যাস পাইপলাইনে দেয়া সম্ভব হবে। ভোলা থেকে বরিশাল হয়ে খুলনা যাবে একটি পাইপলাইন। এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। এছাড়া সিএনজি আকারে গ্যাস এনে তিতাস গ্যাস কোম্পানির এলাকার শিল্প কারখানাগুলোতে সরবরাহ করা হবে।

বাংলাদেশের স্থলভাগে নতুন করে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম। জ্বালানি সংকট থেকে রেহাই পেতে দেশের সমুদ্রসীমায় তেল গ্যাস অনুসন্ধানে নজর দিতে হবে। সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে সামর্থ্যরে অভাব থাকায় এ বিষয়ে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে দর কষাকষির মাধ্যমে চুক্তিতে উপনীত হওয়ার বিষয়টি ভাবা যেতে পারে।

[লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, রাজউক]

জামাই মেলা : উৎসব, ঐতিহ্য ও কৃষ্টির রঙিন চিত্রপট

হারিয়ে যাওয়া ক্লাস, কঠোর মূল্যায়ন আর প্রশ্নের জটিলতায় নুয়ে পড়া এক প্রজন্ম

বৈষম্য দূর করে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলুন

চিকিৎসা যেন বাণিজ্যের হাতিয়ারে পরিণত না হয়

পথশিশু ও বাংলাদেশে সামাজিক চুক্তির ব্যর্থতা

মেগা প্রকল্প : প্রশ্ন হওয়া উচিত স্বচ্ছতা নিয়ে

আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরি

স্মার্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা : উপগ্রহ চিত্র ও ওয়েবসাইটের অপরিহার্যতা

ক্ষমতা ও জনপ্রশাসন : আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা

জনসংখ্যা : সম্পদ না সংকট?

ব্রিকসে নতুন ভূ-রাজনৈতিক ব্যবস্থার উত্থান

রম্যগদ্য : ‘ল্যাংড়া-লুলা, আতুড়-পাতুড়’

আষাঢ়ী পূর্ণিমা : আত্মশুদ্ধির সাধনায় বুদ্ধের অনন্ত আলো

বদলে যাওয়া মাটিতে সাহসী বীজ : জলবায়ুর বিপরীতে বাংলাদেশের কৃষির অভিযোজনগাথা

ছবি

জুলাই অভ্যুত্থান-গাথা : ‘শিকলে নাহি দিব ধরা’

প্রাচীন যৌধেয় জাতি ও তাদের সাম্যবাদী শাসন

গণঅভ্যুত্থান-উত্তর ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্ন

টেকসই উন্নয়নের স্বপ্নপূরণে উপগ্রহ চিত্রই চাবিকাঠি

রাবার শিল্প : সংকট, করণীয় ও উত্তরণের দিশা

রম্যগদ্য : দুধ, দই, কলা...

ছবি

কোপার্নিকাস : আলো হয়ে জন্ম নেওয়া বৈপ্লবিক মতবাদের প্রবর্তক

জলবায়ু সংকটে মানবসভ্যতা

টেকসই অর্থনীতির জন্য চাই টেকসই ব্যাংকিং

ডিজিটাল দাসত্ব : মনোযোগ অর্থনীতি ও জ্ঞান পুঁজিবাদে তরুণ প্রজন্মের মননশীলতার অবক্ষয়

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার : আস্থা ভঙ্গ ও জবাবদিহিতার সংকট

আসামি এখন নির্বাচন কমিশন

কোথায় হারাল একান্নবর্তী পরিবার?

এই শান্তি কি মহাঝড়ের পূর্বলক্ষণ?

মেগাসিটি : দারিদ্র্য যখন ‘অবাঞ্ছিত বর্জ্য’

ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম

ছবি

তৃতীয় শক্তির জন্য জায়গা খালি : বামপন্থীরা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারে না

জমি আপনার, দখল অন্যের?

সিধু-কানু : ধ্বংসস্তূপের নিচেও জেগে আছে সাহস

ছবি

বাংলার অনন্য লোকসংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক চেতনা

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান

তিন দিক থেকে স্বাস্থ্যঝুঁকি : করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া

tab

উপ-সম্পাদকীয়

জ্বালানি সংকটে আশার আলো ইলিশা গ্যাসক্ষেত্র

আর কে চৌধুরী

মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

বাংলাদেশ যখন জ্বালানি সংকটে হিমশিম খাচ্ছে- ঠিক সে মুহূর্তে দেশের দ্বীপজেলা ভোলায় জ্বলে উঠেছে আশার আলো। ভোলার ইলিশা-১ কূপটি দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ গ্যাসক্ষেত্রে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে।

মজুত গ্যাসের দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। আমদানিকৃত এলএনজির দাম বিবেচনায় ২৬ হাজার কোটি টাকার। ভোলায় সব মিলিয়ে প্রায় তিন টিসিএফ গ্যাস মজুত আছে বলে অনুমান করা হয়। প্রায় ২৬ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত এই গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। এই মুহূর্তে সরকারের হাতে একটি প্রসেস প্ল্যান্ট রয়েছে। আরও একটি আনার কাজ শুরু হয়েছে। দু-তিন বছরের মধ্যে পাইপলাইনে দেয়া সম্ভব হবে ভোলার গ্যাস। ভোলা থেকে বরিশাল হয়ে খুলনা যাবে একটি পাইপলাইন। এজন্য সমীক্ষার কাজ চলছে।

জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাশিয়ার তেল গ্যাস উত্তোলনকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের মাধ্যমে বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে টগবী-১, ভোলা নর্থ-২ ও ইলিশা-২ কূপ খনন করা হয়। এতে প্রতিটি কূপ থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে। তিনটি গ্যাসক্ষেত্রের নয়টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। এগুলো হলো- বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের ছয়টি কূপ, সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভোলা নর্থের দুটি ও সবশেষ ইলিশা ক্ষেত্রের ইলিশা-১ কূপ।

ভোলায় আগে দুটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। ইলিশা নিয়ে এখন গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা দাঁড়াল তিনে। শাহবাজপুর, ভোলা নর্থ ও ইলিশা- ভোলার এই তিনটি গ্যাসক্ষেত্রে এখন ২ দশমিক ২৩ ট্রিলিয়ন (২ লাখ ২৩ হাজার কোটি) ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে। এগুলো থেকে দৈনিক ২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। এই তিনটি গ্যাসক্ষেত্রের ৯টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। এগুলো হলো- বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহাবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের ছয়টি কূপ, সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভোলা নর্থের দুটি ও সর্বশেষ ইলিশা ক্ষেত্রের ইলিশা-১ কূপ।

সিলেটের পর ভোলাই একমাত্র জেলা যেখানে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। ভোলা থেকে প্রায় ২৬ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া যাবে। সেখানে আমাদের একটি প্রসেস প্ল্যান্ট রয়েছে। আরো একটি আনার কাজ শুরু হয়েছে। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ভোলার গ্যাস পাইপলাইনে দেয়া সম্ভব হবে। ভোলা থেকে বরিশাল হয়ে খুলনা যাবে একটি পাইপলাইন। এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। এছাড়া সিএনজি আকারে গ্যাস এনে তিতাস গ্যাস কোম্পানির এলাকার শিল্প কারখানাগুলোতে সরবরাহ করা হবে।

বাংলাদেশের স্থলভাগে নতুন করে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম। জ্বালানি সংকট থেকে রেহাই পেতে দেশের সমুদ্রসীমায় তেল গ্যাস অনুসন্ধানে নজর দিতে হবে। সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে সামর্থ্যরে অভাব থাকায় এ বিষয়ে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে দর কষাকষির মাধ্যমে চুক্তিতে উপনীত হওয়ার বিষয়টি ভাবা যেতে পারে।

[লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, রাজউক]

back to top