alt

উপ-সম্পাদকীয়

মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও আমি

আফসান চৌধুরী

: বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩

২০০৮ সালে আমি ছিলাম কানাডায়। এই সময় একটি মার্কিন কলেজে-ভীষণ পয়সাওয়ালা-আমি ভিজিটিং প্রফেসর নিযুক্ত হই এক সেমেস্টারের জন্য। কিন্তু মার্কিন ভিসা অফিস না করে দেয়, কারণ আমার নাম কালো তালিকায়। কেন কালো তালিকায়? ‘সম্ভবত জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে এই লোকের’। তবে মার্কিন ভিসা অফিসের লোক আমাকে দেখে খুব ভয় পেয়েছে বলে মনে হলো না। দারুন স্বাভাবিক। মানে জঙ্গি হলে তো...। ভিসা না পাওয়ায় ভীষণ মন খারাপ আমার, কারণ রুজি...।

বাসায় ফিরে সেই কলেজে জানালাম। তারা এক ঘন্টায় জানাল আমাকে নিতে চেষ্টা শুরু হয়েছে। দিন পাঁচেক পর মার্কিন ভিসা অফিস থেকে ফোন করে জানানো হলো আমার ভিসা রেডি। আমি তাজ্জব। আমার ‘জঙ্গি’ পরিচয় থেকে মুক্তি পেয়ে গেলাম মাত্র পাঁচ দিনে!

পরে সেই কলেজের বোর্ড সদস্য, যিনি এই তদবিরের কাজটা করেন, তিনি আমাকে চিঠি (ইমেইল) লিখেন, কিছুটা ’সরি’ বলে মার্কিনিদের পক্ষ হয়ে। চিঠির সাথে অন্য চিঠির থ্রেড (সূত্র) ছিল। দেখলাম একেবারে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ২/৩ নম্বরের কাছে লেখা চিঠি আমাকে নিয়ে।

যিনি লিখছেন তিনি এর আগে ওই দপ্তরে একই পদে ছিলেন। তিনি বলছেন, ’এই লোক জঙ্গি তার প্রমাণ নেই...’ ইত্যাদি ইত্যাদি। যেটা আমার মনে আছে সেটা হল, ওই স্টেইট ডিপার্টমেন্টের লোক লিখেছে, ‘তার ফাইল আমার টেবিলে এসে গেছে’। কেমন গা ছম ছম করেছিল চিঠিটা পড়ে।

যাই হোক আমি গেলাম এবং ৩ মাস যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে ফেরত এলাম। নো প্রব্লেম। একবার মনে হয়েছিল, বোস্টন থেকে মেইন যাবার ফ্লাইটে খুব কম যাত্রী ছিল। কিন্তু আমার পাশে বসা ছিল বেশ গাট্টাগোট্টা মার্কা এক লোক। অনেকে বলল, এর মানে আমি নজরদারিতে ছিলাম। মানে আমি যেতে পারি কিন্তু চোখে চোখে রাখতে হবে টাইপের। ঢাকায় তার ছয় মাস আগে আমি শেনজেনসহ (ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ) মার্কিন ভিসা পেয়েছিলাম। এর মধ্যে আমি ‘জঙ্গি হলাম কী করে’ জানি না।

আমরা যারপর নাই অদক্ষ তবে ওরাও মৃদু অদক্ষ নাহলে আমারে জঙ্গি বানায় কী করে ? আর লাইনের খেলা ওই দেশেও চলে। জয় বাবা লাইনবাজি। এই ৩ মাসে যা কামাই করেছি সেই টাকায় কানাডায় এক বছর ধরে সংসার চালিয়েছি।

[লেখক: মুক্তিযুদ্ধের গবেষক, সাংবাদিক ]

জমি জটিলতা ও ভূমি বিভাগ

ভরত থেকে ভারতবর্ষ অতঃপর হিন্দুস্তান ইন্ডিয়া হয়ে ভারত

নিরাপদ অভিবাসন ও রেমিট্যান্স

রপ্তানি বহুমুখীকরণে তথ্যপ্রযুক্তি খাত

আদিবাসীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা ও পুলিশের ভূমিকা

ছবি

ডেঙ্গু রোধে মানসিকতার পরিবর্তন দরকার

ছবি

পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা

অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যটনের সম্ভাবনা

ছবি

নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না কেন

ছবি

বায়ুদূষণের ক্ষতি

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আর প্রয়োজন আছে কি

জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যাবে অগোচরে

বিশ্ব আলঝেইমার্স দিবস

ছবি

দ্রব্যমূল্যের চাপে পিষ্ট জনজীবন

বৈষম্যমুক্ত নিরাপদ সমাজ গঠন কেন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি

কষ্টে আছে নিম্নবিত্ত মানুষ

কোর্ট ম্যারেজ সম্পর্কে ভুল ধারণা

ছবি

কৃষির রূপান্তর : প্রাপ্তির মধ্যে অপ্রাপ্তিও আছে

শিক্ষা, মূল্যবোধ ও নৈতিক অবক্ষয়

হরিনামের মায়াময় আবেদন

ছবি

হাওর অর্থনীতি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা

ছবি

ড. ইউনূসকে নিয়ে এত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কেন

শিক্ষার কোনো গন্ডি নেই

দেশীয় গাছ কি গুরুত্ব হারাচ্ছে

বলা, শোনা এবং লেখার অধিকার

ছবি

আলুর দাম ও ভোক্তার ভোগান্তি

ছবি

ঘুরে দাঁড়ানো শ্রীলঙ্কার কাছে শেখার কি কিছু আছে

ছবি

প্রাচীন স্থাপত্যশৈলী হেমনগর জমিদার বাড়ি

আদিবাসীদের অর্জন

ছবি

ভাষা প্রশ্নে আমাদের আবেগ এবং কর্মপ্রয়াস

ছবি

অরিগ্যানোর উপকারিতা

একাত্তরের গণহত্যার খণ্ডচিত্র

প্রাথমিক চিকিৎসা ও জনসচেতনতা

মানবিক শিল্পবিপ্লব

একাত্তরের গণহত্যার খন্ডচিত্র

বিমানবন্দরে লকার থেকে সোনা গায়েব

tab

উপ-সম্পাদকীয়

মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও আমি

আফসান চৌধুরী

বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩

২০০৮ সালে আমি ছিলাম কানাডায়। এই সময় একটি মার্কিন কলেজে-ভীষণ পয়সাওয়ালা-আমি ভিজিটিং প্রফেসর নিযুক্ত হই এক সেমেস্টারের জন্য। কিন্তু মার্কিন ভিসা অফিস না করে দেয়, কারণ আমার নাম কালো তালিকায়। কেন কালো তালিকায়? ‘সম্ভবত জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে এই লোকের’। তবে মার্কিন ভিসা অফিসের লোক আমাকে দেখে খুব ভয় পেয়েছে বলে মনে হলো না। দারুন স্বাভাবিক। মানে জঙ্গি হলে তো...। ভিসা না পাওয়ায় ভীষণ মন খারাপ আমার, কারণ রুজি...।

বাসায় ফিরে সেই কলেজে জানালাম। তারা এক ঘন্টায় জানাল আমাকে নিতে চেষ্টা শুরু হয়েছে। দিন পাঁচেক পর মার্কিন ভিসা অফিস থেকে ফোন করে জানানো হলো আমার ভিসা রেডি। আমি তাজ্জব। আমার ‘জঙ্গি’ পরিচয় থেকে মুক্তি পেয়ে গেলাম মাত্র পাঁচ দিনে!

পরে সেই কলেজের বোর্ড সদস্য, যিনি এই তদবিরের কাজটা করেন, তিনি আমাকে চিঠি (ইমেইল) লিখেন, কিছুটা ’সরি’ বলে মার্কিনিদের পক্ষ হয়ে। চিঠির সাথে অন্য চিঠির থ্রেড (সূত্র) ছিল। দেখলাম একেবারে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ২/৩ নম্বরের কাছে লেখা চিঠি আমাকে নিয়ে।

যিনি লিখছেন তিনি এর আগে ওই দপ্তরে একই পদে ছিলেন। তিনি বলছেন, ’এই লোক জঙ্গি তার প্রমাণ নেই...’ ইত্যাদি ইত্যাদি। যেটা আমার মনে আছে সেটা হল, ওই স্টেইট ডিপার্টমেন্টের লোক লিখেছে, ‘তার ফাইল আমার টেবিলে এসে গেছে’। কেমন গা ছম ছম করেছিল চিঠিটা পড়ে।

যাই হোক আমি গেলাম এবং ৩ মাস যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে ফেরত এলাম। নো প্রব্লেম। একবার মনে হয়েছিল, বোস্টন থেকে মেইন যাবার ফ্লাইটে খুব কম যাত্রী ছিল। কিন্তু আমার পাশে বসা ছিল বেশ গাট্টাগোট্টা মার্কা এক লোক। অনেকে বলল, এর মানে আমি নজরদারিতে ছিলাম। মানে আমি যেতে পারি কিন্তু চোখে চোখে রাখতে হবে টাইপের। ঢাকায় তার ছয় মাস আগে আমি শেনজেনসহ (ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ) মার্কিন ভিসা পেয়েছিলাম। এর মধ্যে আমি ‘জঙ্গি হলাম কী করে’ জানি না।

আমরা যারপর নাই অদক্ষ তবে ওরাও মৃদু অদক্ষ নাহলে আমারে জঙ্গি বানায় কী করে ? আর লাইনের খেলা ওই দেশেও চলে। জয় বাবা লাইনবাজি। এই ৩ মাসে যা কামাই করেছি সেই টাকায় কানাডায় এক বছর ধরে সংসার চালিয়েছি।

[লেখক: মুক্তিযুদ্ধের গবেষক, সাংবাদিক ]

back to top