alt

পাঠকের চিঠি

কেন এত আত্মহত্যা

: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

আত্মহত্যা বর্তমান বাংলাদেশের একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন দিন আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। বিভিন্ন কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হলো বিষন্নতা।

বিষণœতা বর্তমান তরুণ সমাজের মধ্যে একটি লক্ষণীয় বিষয়। বিভিন্ন কারণে তারা বিষণœতায় ভুগছে। এর মধ্যে প্রেমে ব্যর্থতা, পড়ালেখা ও চাকরির চিন্তা, পারিবারিক সমস্যা, বিভিন্ন বিষয়ে বাগবিত-া বা একাকিত্ব বিষণœতা সৃষ্টির প্রধান কারণ। সাধারণত পড়ালেখা শেষ করে চাকরির চিন্তায় অনেক তরুণ-তরুণী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক অনেক কিশোর কিশোরী প্রেমঘটিত কারণে অথবা পারিবারিক অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যা করে।

আত্মহত্যার পেছনে আরেকটি কারণ থাকতে পারে। সেটা হলো অভিমান। অনেক সময় পরিবার থেকে দূরে থাকার জন্য বা পরিবারের সদস্যদের পর্যাপ্ত সংস্পর্শে না থাকার কারণে অনেকে পরিবারের মানুষের প্রতি অভিমান করে থাকে। এই অভিমান থেকে অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। সমাজে অপমানিত হওয়ার আশংকায় অনেকে আত্মহত্যা করে। এছাড়া ধর্ষণের শিকার হওয়া অনেক মেয়ে মৃত্যুকে একমাত্র রাস্তা হিসেবে বেছে নেয়।

পারিবারিক কলহ এবং অবসন্নতাও আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। মানসিক রোগাক্রান্ত অনেকে আত্মহত্যা করে থাকে। এছাড়া মাদকাসক্তদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষণীয়। মাদকাসক্ত ব্যক্তি মাদক গ্রহণ না করতে পারলে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এবং আত্মহত্যা করে।

বেকারত্ব আত্মহত্যার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই দায়ী। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা জীবনের শেষ পর্যায়ে চাকরীর চিন্তায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তায় ভোগে। অনেক সময় এসব চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

বাংলাদেশে শিক্ষর্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। দিন দিন এই প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আঁচল ফাউন্ডেশনের একটি রিপোর্ট অনুসারে গত বছর বাংলাদেশে ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।

আত্মহত্যা কোনো সমাধান হতে পারে না। যেকোনো সমস্যার জন্য মৃত্যুর পথ বেছে না নিয়ে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা উচিত। এক্ষেত্রে পরিবারের সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্যের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করতে হবে। যেকোনো সমস্যার সমাধান সমষ্টিবদ্ধ হয়ে করতে হবে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বন্ধুবান্ধব বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। নিয়মিত কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আত্মহত্যাবিরোধী কর্মসূচি গড়ে তুলতে হবে।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা যেহেতু বেশি, সেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। আত্মহত্যার চেষ্টা করা ব্যক্তিকে মানসিক চিকিৎসা প্রদান করতে হবে, যাতে সে পুনরায় একই কাজ না করে।

অংকন বিশ্বাস

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকার প্রসঙ্গে

কুষ্টিয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় চাই

এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগে বয়সসীমা বাড়ানো হোক

ছবি

স্কাউটে আছে আনন্দের জগৎ

সম্মাননা স্মারক কি শুধুই একটি শব্দ

মোবাইল আসক্তি

খেলাপি ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ নিন

বই হোক প্রকৃত বন্ধু

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতনতা জরুরি

ব্রিজ চাই

প্রসঙ্গ : পরিযায়ী পাখি

ছবি

পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে

ছবি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

দুর্নীতি বন্ধ হবে কবে

ছবি

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

পিতা-মাতার স্থান হোক সন্তানের কাছে, বৃদ্ধাশ্রমে নয়

ছবি

ট্রেনের বিলম্বে যাত্রীদের দুর্ভোগ

অভিনব কৌশলে প্রতারণা

ট্রেনে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হোক

ঈদে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তৎপর হতে হবে

পথশিশুদের পাশে দাঁড়ান

ছবি

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হোক

ছবি

অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

ঈদযাত্রা হোক ভোগান্তিমুক্ত

আত্মহত্যা সমাধান নয়

বেকারত্ব দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে

ছবি

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

কোচিং ব্যবসা আর কত?

কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকার

ছবি

সময়সূচি মেনে চলুক ট্রেন

ছবি

উপকূলীয় বন রক্ষা করুন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন

রাবিতে মশার উপদ্রব

ছবি

চমেক হাসপাতালে নিরাপত্তা চাই

নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর হোক

জাতীয় দিবস

tab

পাঠকের চিঠি

কেন এত আত্মহত্যা

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

আত্মহত্যা বর্তমান বাংলাদেশের একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন দিন আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। বিভিন্ন কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হলো বিষন্নতা।

বিষণœতা বর্তমান তরুণ সমাজের মধ্যে একটি লক্ষণীয় বিষয়। বিভিন্ন কারণে তারা বিষণœতায় ভুগছে। এর মধ্যে প্রেমে ব্যর্থতা, পড়ালেখা ও চাকরির চিন্তা, পারিবারিক সমস্যা, বিভিন্ন বিষয়ে বাগবিত-া বা একাকিত্ব বিষণœতা সৃষ্টির প্রধান কারণ। সাধারণত পড়ালেখা শেষ করে চাকরির চিন্তায় অনেক তরুণ-তরুণী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক অনেক কিশোর কিশোরী প্রেমঘটিত কারণে অথবা পারিবারিক অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যা করে।

আত্মহত্যার পেছনে আরেকটি কারণ থাকতে পারে। সেটা হলো অভিমান। অনেক সময় পরিবার থেকে দূরে থাকার জন্য বা পরিবারের সদস্যদের পর্যাপ্ত সংস্পর্শে না থাকার কারণে অনেকে পরিবারের মানুষের প্রতি অভিমান করে থাকে। এই অভিমান থেকে অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। সমাজে অপমানিত হওয়ার আশংকায় অনেকে আত্মহত্যা করে। এছাড়া ধর্ষণের শিকার হওয়া অনেক মেয়ে মৃত্যুকে একমাত্র রাস্তা হিসেবে বেছে নেয়।

পারিবারিক কলহ এবং অবসন্নতাও আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। মানসিক রোগাক্রান্ত অনেকে আত্মহত্যা করে থাকে। এছাড়া মাদকাসক্তদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষণীয়। মাদকাসক্ত ব্যক্তি মাদক গ্রহণ না করতে পারলে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এবং আত্মহত্যা করে।

বেকারত্ব আত্মহত্যার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই দায়ী। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা জীবনের শেষ পর্যায়ে চাকরীর চিন্তায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তায় ভোগে। অনেক সময় এসব চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

বাংলাদেশে শিক্ষর্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। দিন দিন এই প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আঁচল ফাউন্ডেশনের একটি রিপোর্ট অনুসারে গত বছর বাংলাদেশে ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।

আত্মহত্যা কোনো সমাধান হতে পারে না। যেকোনো সমস্যার জন্য মৃত্যুর পথ বেছে না নিয়ে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা উচিত। এক্ষেত্রে পরিবারের সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্যের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করতে হবে। যেকোনো সমস্যার সমাধান সমষ্টিবদ্ধ হয়ে করতে হবে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বন্ধুবান্ধব বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। নিয়মিত কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আত্মহত্যাবিরোধী কর্মসূচি গড়ে তুলতে হবে।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা যেহেতু বেশি, সেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। আত্মহত্যার চেষ্টা করা ব্যক্তিকে মানসিক চিকিৎসা প্রদান করতে হবে, যাতে সে পুনরায় একই কাজ না করে।

অংকন বিশ্বাস

back to top