alt

পাঠকের চিঠি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

রাজধানীয় ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বেশি থাকলেও মাঝে মধ্যে লোডশেডিং হচ্ছে। কিন্তু জেলা এবং গ্রামীণ এলাকাগুলোয় দিনের বড় একটা সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে জনজীবনে।

ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণকারী দুই সংস্থা ডিপিডিসি ও ডেসকো মতে, কারিগরি ত্রুটির কারণে কিছু কিছু এলাকায় বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ-বিভ্রাট হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ‘আরইবি’ তথ্য জানাচ্ছে, তারা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছে না। তাই বিতরণেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, টাঙ্গাইলে এবং কুমিল্লায় কিছু স্থানে অপেক্ষাকৃত বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। কোথাও কোথাও দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জেও লোডশেডিংয়ের অভিযোগ রয়েছে ভোক্তাদের। লোডশেডিং কম হচ্ছে বরিশালে।

সরকারি হিসাবে বর্তমানে দেশে চাহিদার তুলনায় দেড় হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। যদিও বাস্তবে এই ঘাটতি আরও বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের সরকারি হিসাবে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। যদিও বাস্তবে ১৫ হাজার মেগাওয়াটের খুব বেশি উৎপাদন করা যায় না।

চাহিদার চেয়ে গ্যাসের সরবরাহ কম হওয়ায় গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোও পুরোদমে চালানো যাচ্ছে না। এতে কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কারিগরি জটিলতায় কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া। কারিগরি ত্রুটির কারণে রামপাল, আশুগঞ্জ নর্থ এবং আশুগঞ্জ ইস্ট- তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে রয়েছে। ফলে এই তিনটি কেন্দ্র থেকে গ্রিডে এক হাজার ৪৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না।

গত বছর বাংলাদেশে ডলার সংকট তৈরি হওয়ার পর থেকে ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ফলে বহু বছর পর গত বছর রেশনিং ভিত্তিতে লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সরকার ডিজেলের ওপর চাপ কমানোর চেষ্টা করলেও তা খুব বেশি কমেনি। কারণ লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যক্তিগত বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জেনারেটরে ডিজেল ব্যবহার করতে শুরু করেন।

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই বছরেও সরকারকে সেই নীতিরই অনুসরণ করতে হতে পারে। সেটা হলে বড় ধরনের লোডশেডিংয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

ফারজানা ইয়াছমিন মিমি

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা কোথায়

ব্রহ্মপুত্রের পাড় হারাচ্ছে সৌন্দর্য

ছবি

সবজির দাম, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, কৃষকের বঞ্চনা

ছবি

ছাদ বাগান

শিশুশ্রম ও শিশু নির্যাতন

ছবি

মেট্রোরেলের টিকেট ভোগান্তি

শব্দদূষণ রোধে উদ্যোগ নিন

শীতের আতঙ্ক নিপাহ ভাইরাস

ফ্লাইওভারে মিলছে না কাক্সিক্ষত সেবা

শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই

ছবি

ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিকাশ : আর্থিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি

পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন

সমাজ পরিবর্তন করে চিন্তার পরিবর্তন, নাকি চিন্তাধারার পরিবর্তন করে সমাজ পরিবর্তন?

বিদ্যালয়ের সংস্কার প্রয়োজন

ছবি

অতিথি পাখি শিকার বন্ধ হোক

আন্দোলন, ন্যায্যতার দাবি ও জনদুর্ভোগ

কক্সবাজারগামী ট্রেনের লাকসাম জংশনে যাত্রাবিরতি চাই

ছবি

যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধ করুন

ছবি

বৈদ্যুতিক খুঁটি যেন মাকড়সার জাল

ছবি

কপ-২৯ সম্মেলন ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

ছবি

পরীক্ষাগুলো বিভাগীয় শহরে নেয়া হোক

খাল ও জলাশয়ের বদ্ধ পানি এডিস মশার উৎস

রাস্তা সংস্কার করুন

কৃষককে ন্যায্য মূল্য দিন

চবির ব্যাংকিং সিস্টেমের ডিজিটালাইজেশন জরুরি

ভবনের অভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে

চরাঞ্চলের শিক্ষার সংস্কার চাই

ছবি

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ

ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনাল

ছবি

মাজারে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনুন

ছবি

গলার কাঁটা প্রিপেইড মিটার

আর যেন হল দখল না হয়

ছবি

পথচারীদের হাঁটার জায়গা দিন

ছবি

আবাসিক হলে দ্রুত গতির ইন্টারনেট জরুরি

ছবি

অতিথি পাখিদের সুরক্ষা

রাবিতে হলে সিট বণ্টন সমস্যা ও সমাধান

tab

পাঠকের চিঠি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

রাজধানীয় ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বেশি থাকলেও মাঝে মধ্যে লোডশেডিং হচ্ছে। কিন্তু জেলা এবং গ্রামীণ এলাকাগুলোয় দিনের বড় একটা সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে জনজীবনে।

ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণকারী দুই সংস্থা ডিপিডিসি ও ডেসকো মতে, কারিগরি ত্রুটির কারণে কিছু কিছু এলাকায় বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ-বিভ্রাট হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ‘আরইবি’ তথ্য জানাচ্ছে, তারা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছে না। তাই বিতরণেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, টাঙ্গাইলে এবং কুমিল্লায় কিছু স্থানে অপেক্ষাকৃত বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। কোথাও কোথাও দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জেও লোডশেডিংয়ের অভিযোগ রয়েছে ভোক্তাদের। লোডশেডিং কম হচ্ছে বরিশালে।

সরকারি হিসাবে বর্তমানে দেশে চাহিদার তুলনায় দেড় হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। যদিও বাস্তবে এই ঘাটতি আরও বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের সরকারি হিসাবে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। যদিও বাস্তবে ১৫ হাজার মেগাওয়াটের খুব বেশি উৎপাদন করা যায় না।

চাহিদার চেয়ে গ্যাসের সরবরাহ কম হওয়ায় গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোও পুরোদমে চালানো যাচ্ছে না। এতে কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কারিগরি জটিলতায় কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া। কারিগরি ত্রুটির কারণে রামপাল, আশুগঞ্জ নর্থ এবং আশুগঞ্জ ইস্ট- তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে রয়েছে। ফলে এই তিনটি কেন্দ্র থেকে গ্রিডে এক হাজার ৪৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না।

গত বছর বাংলাদেশে ডলার সংকট তৈরি হওয়ার পর থেকে ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ফলে বহু বছর পর গত বছর রেশনিং ভিত্তিতে লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সরকার ডিজেলের ওপর চাপ কমানোর চেষ্টা করলেও তা খুব বেশি কমেনি। কারণ লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যক্তিগত বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জেনারেটরে ডিজেল ব্যবহার করতে শুরু করেন।

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই বছরেও সরকারকে সেই নীতিরই অনুসরণ করতে হতে পারে। সেটা হলে বড় ধরনের লোডশেডিংয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

ফারজানা ইয়াছমিন মিমি

back to top