alt

পাঠকের চিঠি

পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে

: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

বদলেছে মানুষ, বদলেছে পৃথিবী, বদলেছে জলবায়ু। পরিবর্তনের এ অবিরাম যাত্রায় একবিংশ শতাব্দীর চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে এসে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব। যেখানে পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

বিগত দুই দশকের জলবায়ুু পরিবর্তনের দিকে লক্ষ্য করলেই আসন্ন সংকটের পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। বইয়ে পড়া সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা, নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গাছে গাছে পাখির কিচিরমিচির শব্দ, সন্ধ্যায় ঝিঁঝিঁর গান, পাকা ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণÑ এসবই পাবেন একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে; কিন্তু মাত্র কয়েক দশক পেরিয়ে এগুলো সবই প্রায় হারিয়েছি। টানা কয়েক দিনের প্রচ- গরমে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এ অবস্থায় প্রচ- গরমে নাকাল হয়ে পড়েছে দেশের সাধারণ মানুষের জনজীবন। শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। গরমে গলে যাচ্ছে শহরের পিচঢালা সড়ক। এরই মধ্যে প্রকট রোদ উপেক্ষা করেই যাত্রী বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন রিকশাচালকরা।

সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, খোলা আকাশের নিচে হাঁটলেও গরম বাতাস লাগছে চোখে-মুখে। যাত্রাপথে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকেই। স্বস্তি পেতে শ্রমজীবী মানুষ রাস্তার পাশে জিরিয়ে নিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ হাতেমুখে পানি দিয়ে ঠান্ডা হওয়ার চেষ্টা করছেন। আর শিশুকিশোররা গরম থেকে রেহাই পেতে মাতছে জলকেলিতে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশে পড়েছে চরমভাবে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির-(ইউএনডিপি) দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে অন্যান্য ঝুঁকির সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত ঝুঁকির ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে শীর্ষে দেখানো হয়েছে। এছাড়াও ক্লাইমেট ভালনারেবল ইনডেক্স অনুযায়ী বিশ্বের ১৯২টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশে যে বিবিধ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তার মধ্যে রয়েছে বৃষ্টিপাত হ্রাস, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, অতিঝড়, ভূমিকম্প।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। সমন্বিত পরিকল্পনার পাশাপাশি বন উজাড় ও বৃক্ষ নিধন রোধ, কার্বন নিঃসরণ রোধ, শিল্পদূষণ রোধ, পরিবেশ দূষণ রোধে কার্যকর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ অত্যাবশ্যক। তাছাড়া জনসেচতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে পরিবেশ দূষণরোধে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি।

এই তাপদাহ কিংবা রোদের প্রখরতা কমাতে আমাদের নিয়মিত সবাইকে গাছ রোপণে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। এখন আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে বর্ষা মৌসুমে বেশি বেশি গাছ রোপণ করা।

একটি দেশের আয়তন অনুযায়ী ওই দেশের ২৫% বনভূমি থাকা প্রয়োজন সেখানে রয়েছে দেশের মোট আয়তনের ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। তাহলে আমরা বুঝতে পারি কত পরিমাণ বৃক্ষ আমাদের রোপণ করা অতিব জরুরি। তবে এই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও সহযোগিতা করতে হবে।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখতে ও দেশের এই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গাছ রোপণের বিকল্প নেই। তবে তা পরিকল্পিত ভাবে রোপন করতে হবে। তাল গাছ, হরীতকী, বহেরা, অর্জুন, নিম, কৃষ্ণচূড়া, শিউলি, আমলকি, কাঁঠাল, জলপাই, বাদাম, মেহেগনি, রেইন্ট্রি, চাম্বল ইত্যাদি রোপণ করা যেতে পারে। পাশাপাশি ছাদকৃষিতেও নজর দিলে নিজ নিজ ভবন অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পাবে।

সাব্বির হোসেন রানা

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকার প্রসঙ্গে

কুষ্টিয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় চাই

এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগে বয়সসীমা বাড়ানো হোক

ছবি

স্কাউটে আছে আনন্দের জগৎ

সম্মাননা স্মারক কি শুধুই একটি শব্দ

মোবাইল আসক্তি

খেলাপি ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ নিন

বই হোক প্রকৃত বন্ধু

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতনতা জরুরি

ব্রিজ চাই

প্রসঙ্গ : পরিযায়ী পাখি

ছবি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

কেন এত আত্মহত্যা

দুর্নীতি বন্ধ হবে কবে

ছবি

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

পিতা-মাতার স্থান হোক সন্তানের কাছে, বৃদ্ধাশ্রমে নয়

ছবি

ট্রেনের বিলম্বে যাত্রীদের দুর্ভোগ

অভিনব কৌশলে প্রতারণা

ট্রেনে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হোক

ঈদে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তৎপর হতে হবে

পথশিশুদের পাশে দাঁড়ান

ছবি

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হোক

ছবি

অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

ঈদযাত্রা হোক ভোগান্তিমুক্ত

আত্মহত্যা সমাধান নয়

বেকারত্ব দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে

ছবি

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

কোচিং ব্যবসা আর কত?

কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকার

ছবি

সময়সূচি মেনে চলুক ট্রেন

ছবি

উপকূলীয় বন রক্ষা করুন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন

রাবিতে মশার উপদ্রব

ছবি

চমেক হাসপাতালে নিরাপত্তা চাই

নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর হোক

জাতীয় দিবস

tab

পাঠকের চিঠি

পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

বদলেছে মানুষ, বদলেছে পৃথিবী, বদলেছে জলবায়ু। পরিবর্তনের এ অবিরাম যাত্রায় একবিংশ শতাব্দীর চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে এসে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব। যেখানে পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

বিগত দুই দশকের জলবায়ুু পরিবর্তনের দিকে লক্ষ্য করলেই আসন্ন সংকটের পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। বইয়ে পড়া সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা, নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গাছে গাছে পাখির কিচিরমিচির শব্দ, সন্ধ্যায় ঝিঁঝিঁর গান, পাকা ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণÑ এসবই পাবেন একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে; কিন্তু মাত্র কয়েক দশক পেরিয়ে এগুলো সবই প্রায় হারিয়েছি। টানা কয়েক দিনের প্রচ- গরমে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এ অবস্থায় প্রচ- গরমে নাকাল হয়ে পড়েছে দেশের সাধারণ মানুষের জনজীবন। শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। গরমে গলে যাচ্ছে শহরের পিচঢালা সড়ক। এরই মধ্যে প্রকট রোদ উপেক্ষা করেই যাত্রী বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন রিকশাচালকরা।

সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, খোলা আকাশের নিচে হাঁটলেও গরম বাতাস লাগছে চোখে-মুখে। যাত্রাপথে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকেই। স্বস্তি পেতে শ্রমজীবী মানুষ রাস্তার পাশে জিরিয়ে নিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ হাতেমুখে পানি দিয়ে ঠান্ডা হওয়ার চেষ্টা করছেন। আর শিশুকিশোররা গরম থেকে রেহাই পেতে মাতছে জলকেলিতে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশে পড়েছে চরমভাবে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির-(ইউএনডিপি) দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে অন্যান্য ঝুঁকির সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত ঝুঁকির ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে শীর্ষে দেখানো হয়েছে। এছাড়াও ক্লাইমেট ভালনারেবল ইনডেক্স অনুযায়ী বিশ্বের ১৯২টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশে যে বিবিধ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তার মধ্যে রয়েছে বৃষ্টিপাত হ্রাস, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, অতিঝড়, ভূমিকম্প।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। সমন্বিত পরিকল্পনার পাশাপাশি বন উজাড় ও বৃক্ষ নিধন রোধ, কার্বন নিঃসরণ রোধ, শিল্পদূষণ রোধ, পরিবেশ দূষণ রোধে কার্যকর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ অত্যাবশ্যক। তাছাড়া জনসেচতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে পরিবেশ দূষণরোধে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি।

এই তাপদাহ কিংবা রোদের প্রখরতা কমাতে আমাদের নিয়মিত সবাইকে গাছ রোপণে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। এখন আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে বর্ষা মৌসুমে বেশি বেশি গাছ রোপণ করা।

একটি দেশের আয়তন অনুযায়ী ওই দেশের ২৫% বনভূমি থাকা প্রয়োজন সেখানে রয়েছে দেশের মোট আয়তনের ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। তাহলে আমরা বুঝতে পারি কত পরিমাণ বৃক্ষ আমাদের রোপণ করা অতিব জরুরি। তবে এই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও সহযোগিতা করতে হবে।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখতে ও দেশের এই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গাছ রোপণের বিকল্প নেই। তবে তা পরিকল্পিত ভাবে রোপন করতে হবে। তাল গাছ, হরীতকী, বহেরা, অর্জুন, নিম, কৃষ্ণচূড়া, শিউলি, আমলকি, কাঁঠাল, জলপাই, বাদাম, মেহেগনি, রেইন্ট্রি, চাম্বল ইত্যাদি রোপণ করা যেতে পারে। পাশাপাশি ছাদকৃষিতেও নজর দিলে নিজ নিজ ভবন অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পাবে।

সাব্বির হোসেন রানা

back to top