পরিযায়ী পাখি প্রাকৃতিক পরিবেশের একটি সম্পদ। প্রকৃতির সকল উপাদান ছাড়া প্রাকৃতিক পরিবেশ তার নিজস্ব প্রক্রিয়ায় চলতে পারে না; যার ফলে ব্যাহত হয় খাদ্যজাল প্রক্রিয়া।
বর্তমানে পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণ উল্লেখযোগ্য বিষয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে। মূলত বর্ষার শেষে এবং শীতের আগে থেকেই এসব পাখি বাংলাদেশে আসা শুরু করে এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় মার্চ মাসের শেষ নাগাদ থাকার পর আবার ফিরে যায় পাখিগুলো।
কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে এই পাখিগুলোকে আর ফেরত দেয়া হয় না। বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ীরা এ পাখিগুলোকে অনেক সময় বন্দুক দিয়ে মেরে ফেলে অথবা খাঁচার মধ্যে বন্দি করে চড়া দামে বিক্রি করে থাকে। যার ফলে এই পাখিগুলোকে তার নিজ গন্তব্যে আর ফেরত যাওয়া সম্ভব হয় না এবং যেখানেই সৃষ্টি হয় নানান জটিলতা। নষ্ট হয় পরিবেশের ভারসাম্য।
গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, বাংলাদেশে ১৯৯৪ সালে পরিযায়ী পাখি এসেছিল ৮ লাখের বেশি। ২০১৪ সালে এ সংখ্যা নেমে এসেছে দুই লাখের নিচে। অর্থাৎ গত ২০ বছরে প্রায় ছয় লাখ পাখি আসা কমে গেছে। তবে এখন এ সংখ্যা সাড়ে তিন লাখের মতো বলে বলছেন গবেষকরা। যেটা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জন্য হুমকি স্বরূপ।
দেশের পরিযায়ী পাখি যদি এভাবে নিধন করা হয়, তাহলে একটা সময় হয়তো আর দেশে পাখিই পাওয়া যাবে না। তাই প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো। আর যারা এ ধরনের কাজে লিপ্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা।
সোহান হোসেন
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
পরিযায়ী পাখি প্রাকৃতিক পরিবেশের একটি সম্পদ। প্রকৃতির সকল উপাদান ছাড়া প্রাকৃতিক পরিবেশ তার নিজস্ব প্রক্রিয়ায় চলতে পারে না; যার ফলে ব্যাহত হয় খাদ্যজাল প্রক্রিয়া।
বর্তমানে পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণ উল্লেখযোগ্য বিষয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে। মূলত বর্ষার শেষে এবং শীতের আগে থেকেই এসব পাখি বাংলাদেশে আসা শুরু করে এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় মার্চ মাসের শেষ নাগাদ থাকার পর আবার ফিরে যায় পাখিগুলো।
কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে এই পাখিগুলোকে আর ফেরত দেয়া হয় না। বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ীরা এ পাখিগুলোকে অনেক সময় বন্দুক দিয়ে মেরে ফেলে অথবা খাঁচার মধ্যে বন্দি করে চড়া দামে বিক্রি করে থাকে। যার ফলে এই পাখিগুলোকে তার নিজ গন্তব্যে আর ফেরত যাওয়া সম্ভব হয় না এবং যেখানেই সৃষ্টি হয় নানান জটিলতা। নষ্ট হয় পরিবেশের ভারসাম্য।
গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, বাংলাদেশে ১৯৯৪ সালে পরিযায়ী পাখি এসেছিল ৮ লাখের বেশি। ২০১৪ সালে এ সংখ্যা নেমে এসেছে দুই লাখের নিচে। অর্থাৎ গত ২০ বছরে প্রায় ছয় লাখ পাখি আসা কমে গেছে। তবে এখন এ সংখ্যা সাড়ে তিন লাখের মতো বলে বলছেন গবেষকরা। যেটা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জন্য হুমকি স্বরূপ।
দেশের পরিযায়ী পাখি যদি এভাবে নিধন করা হয়, তাহলে একটা সময় হয়তো আর দেশে পাখিই পাওয়া যাবে না। তাই প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো। আর যারা এ ধরনের কাজে লিপ্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা।
সোহান হোসেন