alt

পাঠকের চিঠি

তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতনতা জরুরি

: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

তীব্র তাপপ্রবাহ হলো মূলত তাপমাত্রা বৃদ্ধির একটি চরম স্তর, যেখানে তাপ অসহনীয় হয়ে পড়ে। এই দাবদাহ দুই বা তার চেয়ে বেশিদিন চলতে পারে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু গরমের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা অফিস-আদালত বন্ধ রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এই তীব্র তাপপ্রবাহের মাঝেই মানুষকে ছুটে যেতে হচ্ছে ঘরের বাইরে। এতে দ্রুত শরীর খারাপ হওয়া কিংবা হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা রয়েই যায়। কিছু সাধারণ নিয়ম ও কৌশল মেনে চললেই এই গরমেও পাওয়া যাবে স্বস্তি, সাথে কমবে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা।

গরমে দিনের বেলা বের হতে গেলে পরতে হবে ঢিলেঢালা ও হাল্কা রঙ এর জামা। দিনের বেলায় গাড় রঙের জামা আরো বেশি তাপ শোষণ করে এবং আঁটসাঁট জামাতে সহজে ঘাম শুকায় না। ফলে বৃদ্ধি পায় চর্মরোগ। এক্ষেত্রে জামার মধ্যে কটন, লিনেন এই ধরনের আরামদায়ক ফ্যাব্রিক বেছে নেওয়া যেতে পারে।

গরমে ঘাম বেশি হয়, ফলে খুব দ্রুত শরীরে লবণ ও পানির মাত্রা কমে যায়। এই মাত্রা ঠিক রাখতে প্রয়োজন ঘন ঘন পানি ও জুস পান করা। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি ও কোমল পানীয় বর্জন করুন। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি গলা ও খাদ্যনালিতে ইনফেকশন ঘটাতে পারে এবং কোমল পানীয় ডিহাইড্রেশন বাড়িয়ে দিতে পারে। এই গরমে ব্যাগে রাখা যেতে পারে পকেট ছাতা, যা সাইজে ছোট ও ওজনে হালকা হওয়ার কারণে সহজেই বহন করা যায়। এটি হুটহাট রোদে বের হলে দিবে ছায়া এবং সাময়িক স্বস্তি।

গরমে বেশি কষ্ট পায় শিশুরা৷ তাই তাদের বিশেষ যতœ নেওয়া প্রয়োজন। শিশু বিদ্যালয়গামী হলে তার টিফিনে যোগ করা যেতে পারে ফলজাতীয় খাবার; যা পানির পাশাপাশি তাকে সতেজ রাখবে ও শরীরে লবণ ও চিনির মাত্রা ঠিক রাখবে। এছাড়া তাদের ব্যাগে একটি রুমাল রাখলে বেশ ভালো হয়। যেন গরমে একটু রুমাল ভিজিয়ে কিছুক্ষণ পর পর মুখ মুছে নিতে পারে। সাথে অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি দিতে হবে।

গরমে ভারি খাবার যেমন শরীর ভারি করতে পারে তেমন শরীরে অস্বস্তি ও এসিডিটির মতো সমস্যা বাড়াতে পারে। তাছাড়া বর্তমানে ডায়রিয়া এর প্রকোপও চোখে পরার মতো। এমতাবস্থায় খাদ্যতালিকায় আনতে হবে ফলমূল ও শাকসবজি বিশেষ করে সজিনা জাতীয় সবজি যা শরীরে পানির যোগান দিবে। সকালের খাবারে চিড়া, টকদই ও কলা হতে পারে স্বাস্থ্যকর একটি বিকল্প।

সাকীনা মারজিয়া

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা : স্বপ্ন নাকি মৃত্যুর ফাঁদ?

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

tab

পাঠকের চিঠি

তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতনতা জরুরি

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

তীব্র তাপপ্রবাহ হলো মূলত তাপমাত্রা বৃদ্ধির একটি চরম স্তর, যেখানে তাপ অসহনীয় হয়ে পড়ে। এই দাবদাহ দুই বা তার চেয়ে বেশিদিন চলতে পারে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু গরমের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা অফিস-আদালত বন্ধ রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এই তীব্র তাপপ্রবাহের মাঝেই মানুষকে ছুটে যেতে হচ্ছে ঘরের বাইরে। এতে দ্রুত শরীর খারাপ হওয়া কিংবা হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা রয়েই যায়। কিছু সাধারণ নিয়ম ও কৌশল মেনে চললেই এই গরমেও পাওয়া যাবে স্বস্তি, সাথে কমবে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা।

গরমে দিনের বেলা বের হতে গেলে পরতে হবে ঢিলেঢালা ও হাল্কা রঙ এর জামা। দিনের বেলায় গাড় রঙের জামা আরো বেশি তাপ শোষণ করে এবং আঁটসাঁট জামাতে সহজে ঘাম শুকায় না। ফলে বৃদ্ধি পায় চর্মরোগ। এক্ষেত্রে জামার মধ্যে কটন, লিনেন এই ধরনের আরামদায়ক ফ্যাব্রিক বেছে নেওয়া যেতে পারে।

গরমে ঘাম বেশি হয়, ফলে খুব দ্রুত শরীরে লবণ ও পানির মাত্রা কমে যায়। এই মাত্রা ঠিক রাখতে প্রয়োজন ঘন ঘন পানি ও জুস পান করা। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি ও কোমল পানীয় বর্জন করুন। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি গলা ও খাদ্যনালিতে ইনফেকশন ঘটাতে পারে এবং কোমল পানীয় ডিহাইড্রেশন বাড়িয়ে দিতে পারে। এই গরমে ব্যাগে রাখা যেতে পারে পকেট ছাতা, যা সাইজে ছোট ও ওজনে হালকা হওয়ার কারণে সহজেই বহন করা যায়। এটি হুটহাট রোদে বের হলে দিবে ছায়া এবং সাময়িক স্বস্তি।

গরমে বেশি কষ্ট পায় শিশুরা৷ তাই তাদের বিশেষ যতœ নেওয়া প্রয়োজন। শিশু বিদ্যালয়গামী হলে তার টিফিনে যোগ করা যেতে পারে ফলজাতীয় খাবার; যা পানির পাশাপাশি তাকে সতেজ রাখবে ও শরীরে লবণ ও চিনির মাত্রা ঠিক রাখবে। এছাড়া তাদের ব্যাগে একটি রুমাল রাখলে বেশ ভালো হয়। যেন গরমে একটু রুমাল ভিজিয়ে কিছুক্ষণ পর পর মুখ মুছে নিতে পারে। সাথে অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি দিতে হবে।

গরমে ভারি খাবার যেমন শরীর ভারি করতে পারে তেমন শরীরে অস্বস্তি ও এসিডিটির মতো সমস্যা বাড়াতে পারে। তাছাড়া বর্তমানে ডায়রিয়া এর প্রকোপও চোখে পরার মতো। এমতাবস্থায় খাদ্যতালিকায় আনতে হবে ফলমূল ও শাকসবজি বিশেষ করে সজিনা জাতীয় সবজি যা শরীরে পানির যোগান দিবে। সকালের খাবারে চিড়া, টকদই ও কলা হতে পারে স্বাস্থ্যকর একটি বিকল্প।

সাকীনা মারজিয়া

back to top