২২ এপ্রিল ‘পৃথিবী দিবস’। ২০২৪ সালে এ দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ঢ়ষধহবঃ াং ঢ়ষধংঃরপ. বিভিন্ন দেশ, জাতি, সংস্কৃতি রয়েছে আমাদের এই পৃথিবীতে। তবে বিশ্ব পরিম-লে আমাদের একটা পরিচয় রয়েছে-আমরা পৃথিবীবাসী।
পৃথিবীর পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। বিভিন্নভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। প্লাস্টিক, পানি, বায়ু দূষণ যেন প্রতিদিনের অহরহ ঘটনা। বর্তমানে অন্যান্য দুষণের পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণ ক্রমশ বেড়ে চলছে। প্লাস্টিক পণ্যের সহজলভ্যতা, টেকসই এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করার উপযোগী হওয়ার কারনে সবাই এটির ব্যবহার করছে। প্রতিদিন টুথব্রাশ, প্লাস্টিক বোতল, প্লাস্টিক ব্যাগ, পাইপসহ নানা ধরনের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে ও ব্যবহার করা হচ্ছে। যা আমাদের পৃথিবীর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বে প্রতি মিনিটে ২ মিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার হয়। অন্যান্য পণ্যগুলোর ব্যাপক ব্যবহারের কারণে বাড়ি থেকে বের হলেই যেখানে যেখানে বিশেষ করে- রাস্তা-ঘাট, নদী-নালা, খাল-বিল পর্যটন এলাকাগুলোতে নজরে পরে এই প্লাস্টিক পণ্যগুলোর।
পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ প্লাস্টিক। ২০২০ সালেই প্লাস্টিক শিল্প থেকে ১.৮ বিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস তৈরি হয়েছিল; যা বায়ুমন্ডলের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধন করে। ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে। তাছাড়া নদ-নদী, খাল-বিল, সমুদ্রে এ প্লাস্টিক পণ্য ছড়িয়ে পড়ার কারণে জলজ প্রাণী আবাসস্থল হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক জলজ প্রাণির প্লাস্টিক পণ্যগুলোতে আটকে থেকে মৃত্যু হচ্ছে। প্লাস্টিকের কারণে নানা প্রজাতি বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
এখন আমাদের প্রয়োজন প্লাস্টিক ব্যবহার রোধ করা এবং প্লাস্টিকের বিকল্প বের করা। বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মোবারক আহমদ খান প্লাস্টিক ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাট থেকে সোনালি ব্যাগ উদ্ভাবন করেছেন। যা সারা বিশ্বের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই সোনালী ব্যাগসহ কাগজ, সুতার তৈরি বিভিন্ন কাপড়, ব্যাগ ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারলে প্লাস্টক পণ্যের ব্যবহার কমবে।
প্লাস্টিকের একটি অসাধারণ বিকল্প হতে পারে বাঁশের তৈরি পণ্যসামগ্রী। বর্তমানে বাঁশ থেকে চামচ, গ্লাস, বোতলসহ পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। এগুলোর প্রসার করতে পারলে প্লাস্টিক দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব। পরিশেষে আমাদের জন্যই এই দূষণ হয়ে থাকে। সচেতনতাই পারে এটিকে প্রতিরোধ করতে। চলুন পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করি একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ি।
মো. রিমেল
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
২২ এপ্রিল ‘পৃথিবী দিবস’। ২০২৪ সালে এ দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ঢ়ষধহবঃ াং ঢ়ষধংঃরপ. বিভিন্ন দেশ, জাতি, সংস্কৃতি রয়েছে আমাদের এই পৃথিবীতে। তবে বিশ্ব পরিম-লে আমাদের একটা পরিচয় রয়েছে-আমরা পৃথিবীবাসী।
পৃথিবীর পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। বিভিন্নভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। প্লাস্টিক, পানি, বায়ু দূষণ যেন প্রতিদিনের অহরহ ঘটনা। বর্তমানে অন্যান্য দুষণের পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণ ক্রমশ বেড়ে চলছে। প্লাস্টিক পণ্যের সহজলভ্যতা, টেকসই এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করার উপযোগী হওয়ার কারনে সবাই এটির ব্যবহার করছে। প্রতিদিন টুথব্রাশ, প্লাস্টিক বোতল, প্লাস্টিক ব্যাগ, পাইপসহ নানা ধরনের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে ও ব্যবহার করা হচ্ছে। যা আমাদের পৃথিবীর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বে প্রতি মিনিটে ২ মিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার হয়। অন্যান্য পণ্যগুলোর ব্যাপক ব্যবহারের কারণে বাড়ি থেকে বের হলেই যেখানে যেখানে বিশেষ করে- রাস্তা-ঘাট, নদী-নালা, খাল-বিল পর্যটন এলাকাগুলোতে নজরে পরে এই প্লাস্টিক পণ্যগুলোর।
পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ প্লাস্টিক। ২০২০ সালেই প্লাস্টিক শিল্প থেকে ১.৮ বিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস তৈরি হয়েছিল; যা বায়ুমন্ডলের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধন করে। ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে। তাছাড়া নদ-নদী, খাল-বিল, সমুদ্রে এ প্লাস্টিক পণ্য ছড়িয়ে পড়ার কারণে জলজ প্রাণী আবাসস্থল হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক জলজ প্রাণির প্লাস্টিক পণ্যগুলোতে আটকে থেকে মৃত্যু হচ্ছে। প্লাস্টিকের কারণে নানা প্রজাতি বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
এখন আমাদের প্রয়োজন প্লাস্টিক ব্যবহার রোধ করা এবং প্লাস্টিকের বিকল্প বের করা। বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মোবারক আহমদ খান প্লাস্টিক ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাট থেকে সোনালি ব্যাগ উদ্ভাবন করেছেন। যা সারা বিশ্বের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই সোনালী ব্যাগসহ কাগজ, সুতার তৈরি বিভিন্ন কাপড়, ব্যাগ ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারলে প্লাস্টক পণ্যের ব্যবহার কমবে।
প্লাস্টিকের একটি অসাধারণ বিকল্প হতে পারে বাঁশের তৈরি পণ্যসামগ্রী। বর্তমানে বাঁশ থেকে চামচ, গ্লাস, বোতলসহ পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। এগুলোর প্রসার করতে পারলে প্লাস্টিক দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব। পরিশেষে আমাদের জন্যই এই দূষণ হয়ে থাকে। সচেতনতাই পারে এটিকে প্রতিরোধ করতে। চলুন পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করি একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ি।
মো. রিমেল