alt

পাঠকের চিঠি

গণিত ও ইংরেজিতে কেন এত দুর্বলতা

: বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

১২ মে প্রকাশিত হয়েছে এবারের এসএসএসি পরীক্ষার ফলাফল। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায় অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে গণিত ও ইংরেজিতে সবচেয়ে বেশি ফেল করেছে। শুধু কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে ১৮ হাজার ৮১২ জন শিক্ষার্থী গণিতে এবং ১১ হাজার ৬৫৯ জন শিক্ষার্থী ইংরেজিতে অকৃতকার্য হয়েছে; কিন্তু কেন এত অকৃতকার্য এই দুই বিষয়ে?

বিদ্যালয়, শিক্ষক, বই সব আছে। তার পরেও কেন এত অবস্থা তৈরি হচ্ছে। আমাদের অধিকাংশ বিদ্যালয়ের অবস্থান গ্রাম অঞ্চলে। অনেক বিদ্যালয় আছে যেখানে পড়াশোনার পরিবেশ নেই। বিদ্যালয়গুলো রয়েছে অবকাঠামো গত সমস্যা, পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্রেণিকক্ষ না, প্রয়োজনীয় উপকরণ না থাকাসহ অনেক সমস্যা।

বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক আছে। তবে যুগোপযোগী শিক্ষা দিতে পারে এমন শিক্ষক নেই। অনেক জায়গায় অদক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। কিছু কিছু বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক নেই।

তাই অন্য বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে গনিত, ইংরেজি বিষয় পড়ানো হচ্ছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ভয়ে না বুঝলেও বলে বুঝতে পেরেছি এমন মনোভাব পোষণ করে। তাই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ও যেখানে শিক্ষক স্বল্পতা আছে সেখানে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

আমাদের নেই শিক্ষার্থীদের মনোভাবের সাথে মানাইসই বই। তাই বই লেখাতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের দিকটি মাথায় রেখে বই গুলো এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে তারা সহজে বুঝতে পারে। শিক্ষার্থীরা গনিত ও ইংরেজি নিয়ে কি ভাবছে এবং তাদের সমস্যা কোন জায়গায় সে সম্পর্কে তাদের থেকে একটি গবেষণামূলক জরিপ নিয়ে সেগুলো পর্যালোচনা করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

পরিশেষে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন হবে হবে তাদের সন্তানদের নিয়ে, তবেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

মো. রিমেল

ছবি

বর্ষায় বাংলার অপরূপ প্রকৃতি

রীমার করুণ পরিণতি কী বার্তা দেয়

কোটা নাকি মেধা?

পাচার চক্র নিয়ন্ত্রণ জরুরি

ছবি

জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয়

বিশ্বব্যাপী পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি

লাখ টাকার ছাগল!

মাদককে না বলুন

ছবি

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ মূল্য কমান

কনভেনশন হলের প্রতারণা

ছবি

অনলাইন জুয়া বন্ধে এগিয়ে আসুন

প্রতিষ্ঠান পানিতে ভাসছে

ছবি

গৌরবের প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন শিক্ষা কারিকুলামে ইংরেজি শিক্ষা

রাজধানীতে ছিনতাই বন্ধ হচ্ছে না কেন

ছবি

সিলেটে ভয়াবহ বন্যার কারণ

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান কী

কুমিল্লায় কিশোর গ্যাং

ছবি

হাকালুকি হাওরের গুরুত্ব

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি কি?

চবির আলাওল হলে প্রভোস্ট চাই

ছবি

যানজটে অপচয় হচ্ছে কর্মঘণ্টা

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকার প্রসঙ্গে

কুষ্টিয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় চাই

এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগে বয়সসীমা বাড়ানো হোক

ছবি

স্কাউটে আছে আনন্দের জগৎ

সম্মাননা স্মারক কি শুধুই একটি শব্দ

মোবাইল আসক্তি

খেলাপি ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ নিন

বই হোক প্রকৃত বন্ধু

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতনতা জরুরি

ব্রিজ চাই

প্রসঙ্গ : পরিযায়ী পাখি

ছবি

পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে

ছবি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

কেন এত আত্মহত্যা

tab

পাঠকের চিঠি

গণিত ও ইংরেজিতে কেন এত দুর্বলতা

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

১২ মে প্রকাশিত হয়েছে এবারের এসএসএসি পরীক্ষার ফলাফল। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায় অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে গণিত ও ইংরেজিতে সবচেয়ে বেশি ফেল করেছে। শুধু কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে ১৮ হাজার ৮১২ জন শিক্ষার্থী গণিতে এবং ১১ হাজার ৬৫৯ জন শিক্ষার্থী ইংরেজিতে অকৃতকার্য হয়েছে; কিন্তু কেন এত অকৃতকার্য এই দুই বিষয়ে?

বিদ্যালয়, শিক্ষক, বই সব আছে। তার পরেও কেন এত অবস্থা তৈরি হচ্ছে। আমাদের অধিকাংশ বিদ্যালয়ের অবস্থান গ্রাম অঞ্চলে। অনেক বিদ্যালয় আছে যেখানে পড়াশোনার পরিবেশ নেই। বিদ্যালয়গুলো রয়েছে অবকাঠামো গত সমস্যা, পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্রেণিকক্ষ না, প্রয়োজনীয় উপকরণ না থাকাসহ অনেক সমস্যা।

বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক আছে। তবে যুগোপযোগী শিক্ষা দিতে পারে এমন শিক্ষক নেই। অনেক জায়গায় অদক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। কিছু কিছু বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক নেই।

তাই অন্য বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে গনিত, ইংরেজি বিষয় পড়ানো হচ্ছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ভয়ে না বুঝলেও বলে বুঝতে পেরেছি এমন মনোভাব পোষণ করে। তাই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ও যেখানে শিক্ষক স্বল্পতা আছে সেখানে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

আমাদের নেই শিক্ষার্থীদের মনোভাবের সাথে মানাইসই বই। তাই বই লেখাতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের দিকটি মাথায় রেখে বই গুলো এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে তারা সহজে বুঝতে পারে। শিক্ষার্থীরা গনিত ও ইংরেজি নিয়ে কি ভাবছে এবং তাদের সমস্যা কোন জায়গায় সে সম্পর্কে তাদের থেকে একটি গবেষণামূলক জরিপ নিয়ে সেগুলো পর্যালোচনা করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

পরিশেষে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন হবে হবে তাদের সন্তানদের নিয়ে, তবেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

মো. রিমেল

back to top