alt

পাঠকের চিঠি

রীমার করুণ পরিণতি কী বার্তা দেয়

: বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশে যৌতুক একটি দীর্ঘদিনের সামাজিক ব্যাধি। সম্প্রতি চট্টগ্রামের পটিয়ায় কলেজছাত্রী রীমা আক্তারের আত্মহত্যার ঘটনা এ সমস্যার করুণ চিত্র তুলে ধরেছে। মেহেদী অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগে, হবু স্বামীর যৌতুকের চাপ সহ্য করতে না পেরে রীমা নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন। তার সুইসাইড নোটে স্পষ্টভাবে যৌতুকের চাহিদার বিষয়টি উল্লেখ ছিল।

রীমার হবু স্বামী মিজানুর রহমান মোরশেদ, যিনি একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা, তাকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। প্রেমের সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে ঠিক হলেও যৌতুকের অত্যাচারে রীমা এমন চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন।

বাংলাদেশে রীমার মতো হাজারো নারী যৌতুকের যন্ত্রণা সহ্য করছে। এমনকি অনেক নারী থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ পারিবারিক সমস্যা বলে তা নিতে চায় না। তাদের আদালতে মামলা করার জন্য পাঠানো হয়, যা অনেকের পক্ষে ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ। এ পরিস্থিতিতে অনেক নারী হতাশ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

রীমার ঘটনার পর থানায় মামলা রেকর্ড করা হলেও, তার জীবন বাঁচানোর সুযোগ তখন আর ছিল না। যদি তার জীবিত অবস্থায় হবু স্বামীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যেত, তবে হয়তো রীমার জীবন রক্ষা পেত।

এমন অনেক নারীই আছেন যারা পুলিশের উদাসীনতার কারণে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন। এভাবে চলতে থাকলে সমাজে যৌতুকের অত্যাচার কখনই শেষ হবে না।

এখন সময় এসেছে যৌতুকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়ার। প্রশাসনকে অবশ্যই প্রাথমিক পর্যায়ে যৌতুকের অভিযোগ আমলে নিতে হবে এবং দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সমাজে নারীদের সুরক্ষার জন্য যৌতুকবিরোধী আইন কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। পরিবারগুলোকে যৌতুকের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে এবং নিজেদের সন্তানদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

রীমার করুণ পরিণতি আমাদের সমাজের জন্য একটি জাগ্রত বার্তা। আমরা যদি এখনই পদক্ষেপ না নেই, তবে আরো অনেক রীমা এই করুণ পরিণতির শিকার হবে।

চৌধুরী নিপা আক্তার

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা : স্বপ্ন নাকি মৃত্যুর ফাঁদ?

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

tab

পাঠকের চিঠি

রীমার করুণ পরিণতি কী বার্তা দেয়

বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশে যৌতুক একটি দীর্ঘদিনের সামাজিক ব্যাধি। সম্প্রতি চট্টগ্রামের পটিয়ায় কলেজছাত্রী রীমা আক্তারের আত্মহত্যার ঘটনা এ সমস্যার করুণ চিত্র তুলে ধরেছে। মেহেদী অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগে, হবু স্বামীর যৌতুকের চাপ সহ্য করতে না পেরে রীমা নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন। তার সুইসাইড নোটে স্পষ্টভাবে যৌতুকের চাহিদার বিষয়টি উল্লেখ ছিল।

রীমার হবু স্বামী মিজানুর রহমান মোরশেদ, যিনি একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা, তাকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। প্রেমের সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে ঠিক হলেও যৌতুকের অত্যাচারে রীমা এমন চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন।

বাংলাদেশে রীমার মতো হাজারো নারী যৌতুকের যন্ত্রণা সহ্য করছে। এমনকি অনেক নারী থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ পারিবারিক সমস্যা বলে তা নিতে চায় না। তাদের আদালতে মামলা করার জন্য পাঠানো হয়, যা অনেকের পক্ষে ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ। এ পরিস্থিতিতে অনেক নারী হতাশ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

রীমার ঘটনার পর থানায় মামলা রেকর্ড করা হলেও, তার জীবন বাঁচানোর সুযোগ তখন আর ছিল না। যদি তার জীবিত অবস্থায় হবু স্বামীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যেত, তবে হয়তো রীমার জীবন রক্ষা পেত।

এমন অনেক নারীই আছেন যারা পুলিশের উদাসীনতার কারণে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন। এভাবে চলতে থাকলে সমাজে যৌতুকের অত্যাচার কখনই শেষ হবে না।

এখন সময় এসেছে যৌতুকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়ার। প্রশাসনকে অবশ্যই প্রাথমিক পর্যায়ে যৌতুকের অভিযোগ আমলে নিতে হবে এবং দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সমাজে নারীদের সুরক্ষার জন্য যৌতুকবিরোধী আইন কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। পরিবারগুলোকে যৌতুকের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে এবং নিজেদের সন্তানদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

রীমার করুণ পরিণতি আমাদের সমাজের জন্য একটি জাগ্রত বার্তা। আমরা যদি এখনই পদক্ষেপ না নেই, তবে আরো অনেক রীমা এই করুণ পরিণতির শিকার হবে।

চৌধুরী নিপা আক্তার

back to top