alt

পাঠকের চিঠি

তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল প্রসঙ্গে

: বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জেলার বিকল্প সড়কের ব্যস্ততম তৈলারদ্বীপ সেতু টোলমুক্ত করার দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সচেতন মহলের। গেল ৫ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরপরই এই সেতুর টোল অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন দুর্বৃত্তরা; একই সাথে ঘোষণা করেন এই সেতুর টোলমুক্ত। এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত টোলমুক্ত রয়েছে এই সেতুটি চলাচলকারী যানবাহন ও মালবাহী গাড়িগুলো।

সচেতন মহলের যুক্তি হচ্ছেÑ একই শঙ্খ নদীর ওপর দোহাজারী সেতু, চন্দনাইশ সেতু, সাতকানিয়ার ডলু ব্রিজ ও খোদারহাট সেতু নির্মিত হয়েছে। এসব সেতুতে কখনই টোল আদায় করা হয়নি। ব্যতিক্রম হলো তৈলারদ্বীপ সেতুর ক্ষেত্রে। এই সেতু নির্মাণে কোনো বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের প্রয়োজন হয়নি। সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে এই সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। সুতরাং স্বাভাবিক নিয়মে এই সেতুতে কোনো টোল আরোপের সুযোগ না থাকলেও বিগত ২০০৫ সালের জোট সরকারের আমল থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমল পযর্ন্ত প্রায় ১৯ বছর টোল আদায় করা হয়। যৌক্তিকভাবে টোলমুক্ত সেতু হলেও রাষ্ট্রীয় জটিলতায় মুক্ত হয়নি এই সেতুর টোল।

বাংলাদেশ টোল নীতিমালা ২০১৪-এ টোল প্লাজার কথা উল্লেখ রয়েছে। টোল আদায়ের জন্য টোল স্থাপনা সরঞ্জামাদি, সফটওয়্যার, ও আইটি যন্ত্রপাতি ইত্যাদির কথা উল্লেখ থাকলেও তৈলারদ্বীপ সেতুতে তা অনুপস্থিত রয়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাতের ইশারায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে টোল আদায় করা হয় এই সেতুতে। এই কারণে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে প্রায় সময়। যানজটের কারণে বিভিন্ন সময়ে এই স্থানে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বাঁশখালীর আপামর জনসাধারণের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তৈলারদ্বীপ সেতুর এই অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক টোল প্রত্যাহার করার জন্য আহ্বান জানায় সচেতন নাগরিক সামাজ।

মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম

বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা : স্বপ্ন নাকি মৃত্যুর ফাঁদ?

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

tab

পাঠকের চিঠি

তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল প্রসঙ্গে

বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জেলার বিকল্প সড়কের ব্যস্ততম তৈলারদ্বীপ সেতু টোলমুক্ত করার দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সচেতন মহলের। গেল ৫ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরপরই এই সেতুর টোল অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন দুর্বৃত্তরা; একই সাথে ঘোষণা করেন এই সেতুর টোলমুক্ত। এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত টোলমুক্ত রয়েছে এই সেতুটি চলাচলকারী যানবাহন ও মালবাহী গাড়িগুলো।

সচেতন মহলের যুক্তি হচ্ছেÑ একই শঙ্খ নদীর ওপর দোহাজারী সেতু, চন্দনাইশ সেতু, সাতকানিয়ার ডলু ব্রিজ ও খোদারহাট সেতু নির্মিত হয়েছে। এসব সেতুতে কখনই টোল আদায় করা হয়নি। ব্যতিক্রম হলো তৈলারদ্বীপ সেতুর ক্ষেত্রে। এই সেতু নির্মাণে কোনো বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের প্রয়োজন হয়নি। সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে এই সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। সুতরাং স্বাভাবিক নিয়মে এই সেতুতে কোনো টোল আরোপের সুযোগ না থাকলেও বিগত ২০০৫ সালের জোট সরকারের আমল থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমল পযর্ন্ত প্রায় ১৯ বছর টোল আদায় করা হয়। যৌক্তিকভাবে টোলমুক্ত সেতু হলেও রাষ্ট্রীয় জটিলতায় মুক্ত হয়নি এই সেতুর টোল।

বাংলাদেশ টোল নীতিমালা ২০১৪-এ টোল প্লাজার কথা উল্লেখ রয়েছে। টোল আদায়ের জন্য টোল স্থাপনা সরঞ্জামাদি, সফটওয়্যার, ও আইটি যন্ত্রপাতি ইত্যাদির কথা উল্লেখ থাকলেও তৈলারদ্বীপ সেতুতে তা অনুপস্থিত রয়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাতের ইশারায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে টোল আদায় করা হয় এই সেতুতে। এই কারণে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে প্রায় সময়। যানজটের কারণে বিভিন্ন সময়ে এই স্থানে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বাঁশখালীর আপামর জনসাধারণের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তৈলারদ্বীপ সেতুর এই অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক টোল প্রত্যাহার করার জন্য আহ্বান জানায় সচেতন নাগরিক সামাজ।

মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম

বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।

back to top