বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য চাকরি প্রার্থীরা দীর্ঘদিন যাবত আন্দোলন করে আসছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৩৫ বছর করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩০ বছর রয়েছে। এই বয়সসীমা বৃদ্ধি কি শিক্ষার্থীদের জন্য আদৌ সুফল বয়ে আনবে? সেটা এখন চিন্তার বিষয়। বাংলাদেশ একটি বহুল জনসংখ্যার দেশ। প্রতিবছর গড়ে ১০-১২ লাখ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা শেষ করে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা করছে। সরকারি চাকরির স্থায়ী নিশ্চয়তা এবং সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে তরুণ -তরুণীরা সরকারি চাকরির প্রতি বেশি ঝুঁকে পঙছে। ফলে দিন দিন সরকারি চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা বেড়েই চলেছে। কিন্তু প্রক্ষান্তরে সরকারিভাবে নতুন কোনো কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা হচ্ছে না।
সরকারি চাকরির প্রবেশসীমা বৃদ্ধির ফলে একদিকে যেমন প্রতিযোগিতা বহুগুণে বেড়ে যাবে। অন্যদিকে সরকারি ভাবে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সুযোগ করা না গেলে বেকারত্বের মাত্রা অধিক হারে পাল্লা দিয়ে বাড়বে। তাছাড়া সরকারি চাকরিতে বয়স বৃদ্ধির পাশাপাশি অবসরসীমা ও বৃদ্ধি করার প্রস্তাব এসেছে, এতে সরকারি চাকরির পদগুলো খালি হওয়ার সুযোগ থাকবে না। ফলে সরকারি চাকরির বয়স বৃদ্ধি হলেও সেটা চাকরি প্রার্থীদের জন্য কতটুকু কার্যকর হবে সেটা চিন্তার বিষয়।
তাই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি কি আসলেই শিক্ষার্থীদের জন্য আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ বয়ে নিয়ে আসবে সেটা নিয়ে চিন্তা করা জরুরি।
মরিয়ম আক্তার
শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য চাকরি প্রার্থীরা দীর্ঘদিন যাবত আন্দোলন করে আসছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৩৫ বছর করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩০ বছর রয়েছে। এই বয়সসীমা বৃদ্ধি কি শিক্ষার্থীদের জন্য আদৌ সুফল বয়ে আনবে? সেটা এখন চিন্তার বিষয়। বাংলাদেশ একটি বহুল জনসংখ্যার দেশ। প্রতিবছর গড়ে ১০-১২ লাখ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা শেষ করে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা করছে। সরকারি চাকরির স্থায়ী নিশ্চয়তা এবং সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে তরুণ -তরুণীরা সরকারি চাকরির প্রতি বেশি ঝুঁকে পঙছে। ফলে দিন দিন সরকারি চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা বেড়েই চলেছে। কিন্তু প্রক্ষান্তরে সরকারিভাবে নতুন কোনো কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা হচ্ছে না।
সরকারি চাকরির প্রবেশসীমা বৃদ্ধির ফলে একদিকে যেমন প্রতিযোগিতা বহুগুণে বেড়ে যাবে। অন্যদিকে সরকারি ভাবে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সুযোগ করা না গেলে বেকারত্বের মাত্রা অধিক হারে পাল্লা দিয়ে বাড়বে। তাছাড়া সরকারি চাকরিতে বয়স বৃদ্ধির পাশাপাশি অবসরসীমা ও বৃদ্ধি করার প্রস্তাব এসেছে, এতে সরকারি চাকরির পদগুলো খালি হওয়ার সুযোগ থাকবে না। ফলে সরকারি চাকরির বয়স বৃদ্ধি হলেও সেটা চাকরি প্রার্থীদের জন্য কতটুকু কার্যকর হবে সেটা চিন্তার বিষয়।
তাই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি কি আসলেই শিক্ষার্থীদের জন্য আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ বয়ে নিয়ে আসবে সেটা নিয়ে চিন্তা করা জরুরি।
মরিয়ম আক্তার
শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।