alt

পাঠকের চিঠি

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির ভবিষ্যৎ

: বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের জন্মের সূচনালগ্ন থেকে ইতিহাসের বিভিন্ন অংশে ছাত্র আন্দোলন জড়িত। বিভিন্ন সময় দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রাণ দিতে হয়েছে ছাত্রদের। সেই ৫২ থেকে শুরু করে আজকের ২৪ পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলন সফল করতে গিয়ে ছাত্র রাজনীতির সম্পৃক্ততা দেখতে পাওয়া যায়। ছাত্র রাজনীতির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির জন্য ছাত্র রাজনীতি সমালোচিত হয়েছে অনেকবার। ছাত্র রাজনীতির আড়ালে চাঁদাবাজি, মারামারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখল ও বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকা- চলতে দেখা গেছে। ফলে বিগত কয়েক বছর ধরে ছাত্ররাজনীতি তার জনপ্রিয়তা হারাতে বসেছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন কালে এবং জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠে, এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ রয়েছে।

কিন্তু বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ না করে সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা সমন্বায়ক ছিল, বেশিরভাগ সমন্বায়ক কোন না কোন দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল, যা সাম্প্রতিক কালে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে৷ এছাড়াও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে আন্দোলন সফলতা পায়। ইতোমধ্য বুয়েটসহ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধের ব্যাপারে স্পষ্ট কোন নির্দেশনা আসেনি।

নানান আলোচনা ও সমালোচনার প্রেক্ষিতে ধারণা করা যাচ্ছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি ততটা সহজ হবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিগত বছরগুলোতে যে ভয়ের রাজনীতি দেখে এসেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি চালু রাখার পক্ষে নন তারা। অপরদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে মতামত দেন নি, তারা মতামত দিয়েছেন সংস্কারের পক্ষে।

তাই সকল দিক বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান বিগত বছরগুলোতে তেমন একটা দেখা যায় নি, কেবল সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের একক আধিপত্যের কারণে হয়রানির শিকার হতে হয় অন্যান্য ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের। হল দখল, মারামারি ও ক্যাস্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য ছাত্র রাজনীতিকে দায়ী করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছাত্র রাজনীতির শিকার হয়ে বুয়েটে আবরার ফাহাদ হত্যাকে অনেকে উদাহরণ হিসেবে দেখানো যায়। কিন্তু ছাত্র রাজনীতির খারাপ দিকগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিপরীতে ভালো দিক থাকলেও তা আলোচনায় নিয়ে আসতে হবে।

মোহাম্মদ আব্দুর রহমান

শিক্ষার্থী,

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা : স্বপ্ন নাকি মৃত্যুর ফাঁদ?

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

tab

পাঠকের চিঠি

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির ভবিষ্যৎ

বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের জন্মের সূচনালগ্ন থেকে ইতিহাসের বিভিন্ন অংশে ছাত্র আন্দোলন জড়িত। বিভিন্ন সময় দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রাণ দিতে হয়েছে ছাত্রদের। সেই ৫২ থেকে শুরু করে আজকের ২৪ পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলন সফল করতে গিয়ে ছাত্র রাজনীতির সম্পৃক্ততা দেখতে পাওয়া যায়। ছাত্র রাজনীতির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির জন্য ছাত্র রাজনীতি সমালোচিত হয়েছে অনেকবার। ছাত্র রাজনীতির আড়ালে চাঁদাবাজি, মারামারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখল ও বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকা- চলতে দেখা গেছে। ফলে বিগত কয়েক বছর ধরে ছাত্ররাজনীতি তার জনপ্রিয়তা হারাতে বসেছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন কালে এবং জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠে, এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ রয়েছে।

কিন্তু বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ না করে সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা সমন্বায়ক ছিল, বেশিরভাগ সমন্বায়ক কোন না কোন দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল, যা সাম্প্রতিক কালে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে৷ এছাড়াও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে আন্দোলন সফলতা পায়। ইতোমধ্য বুয়েটসহ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধের ব্যাপারে স্পষ্ট কোন নির্দেশনা আসেনি।

নানান আলোচনা ও সমালোচনার প্রেক্ষিতে ধারণা করা যাচ্ছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি ততটা সহজ হবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিগত বছরগুলোতে যে ভয়ের রাজনীতি দেখে এসেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি চালু রাখার পক্ষে নন তারা। অপরদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে মতামত দেন নি, তারা মতামত দিয়েছেন সংস্কারের পক্ষে।

তাই সকল দিক বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান বিগত বছরগুলোতে তেমন একটা দেখা যায় নি, কেবল সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের একক আধিপত্যের কারণে হয়রানির শিকার হতে হয় অন্যান্য ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের। হল দখল, মারামারি ও ক্যাস্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য ছাত্র রাজনীতিকে দায়ী করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছাত্র রাজনীতির শিকার হয়ে বুয়েটে আবরার ফাহাদ হত্যাকে অনেকে উদাহরণ হিসেবে দেখানো যায়। কিন্তু ছাত্র রাজনীতির খারাপ দিকগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিপরীতে ভালো দিক থাকলেও তা আলোচনায় নিয়ে আসতে হবে।

মোহাম্মদ আব্দুর রহমান

শিক্ষার্থী,

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

back to top