বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয় অবস্থিত। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও উত্তরের নদ- নদী এবং পাহাড়ি ঢলে প্রতিবছর ছোট বড় বন্যা দেখা দেয়। এতে বাড়িঘরসহ আবাদি ফসলি জমি, পুকুর সব বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষজন জানে না উত্তর মধ্যাঞ্চলের বন্যার কথা। আমি সবসময় শুনে এসেছি বাংলাদেশের অন্যসব অঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চল অনেক পিছিয়ে।
কিন্তু কিভাবে? তারা বাংলাদেশের অন্য অঞ্চলের লোকজনের তুলনায় অধিক অবহেলিত, তাদের ক্রান্তিকাল দেশে কোন আলোড়ন সৃষ্টি করে না দেশ নিশ্চুপ থাকে। তাদের বন্যাকে জাতির দুর্যোগ মনে হয় না, তাদের খরাকে গ্রাহ্য করা হয় না। এ যেন মিছামিছি অভিনয়। অথচয় বাংলাদেশে খাদ্যশস্যের বেশিরভাগ শস্য উৎপাদিত হয় এই অঞ্চলে। শেরপুর, হালুয়াঘাট, নেত্রকোনাসহ ময়মনসিংহ বিভাগের বেশিরভাগ জেলা উপজেলা উজনের পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির ফলে বন্যায় তলিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত শিশু বৃদ্ধসহ বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে বন্যা পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপ তর হচ্ছে।
ময়মনসিংহবাসীদের সাহায্যের জন্য দেশে কোন শুভাকাক্সক্ষী, স্বেচ্ছাসেবক, মানবতার ফেরিওয়ালার দেখা মিলছে না। এমনকি গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ও উত্তরমধ্যাঞ্চলের বন্যা কোন সাড়া জাগাতে পারেনি। ময়মনসিংহবাসীদের উদ্ধারে নেই কোন তৎপরতা নেই কোন ত্রাণের কার্যক্রম। অথচয় সাম্প্রতিক ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীর বন্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শোন মহাজন... ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক চালিয়ে ট্রাকে নৌকার ভিডিও এবং সাহায্যের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহ দেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ও যেভাবে ফান্ড সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে, উত্তরমধ্যাঞ্চলের বন্যায় তার ১% ও দেখছি না। এই মানুষগুলো কি বন্যায় সুখেই থাকে! ওরা কি দেশের জিডিপিতে কোন ভূমিকা রাখে না? তাহলে এই মানুষগুলো এত অবহেলিত কেন? বাংলাদেশের সব মানুষের কাছে বিনীত আবেদন যাতে যে যেভাবে পারে এই অঞ্চলের মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়।
আশা আক্তার জুঁই
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয় অবস্থিত। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও উত্তরের নদ- নদী এবং পাহাড়ি ঢলে প্রতিবছর ছোট বড় বন্যা দেখা দেয়। এতে বাড়িঘরসহ আবাদি ফসলি জমি, পুকুর সব বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষজন জানে না উত্তর মধ্যাঞ্চলের বন্যার কথা। আমি সবসময় শুনে এসেছি বাংলাদেশের অন্যসব অঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চল অনেক পিছিয়ে।
কিন্তু কিভাবে? তারা বাংলাদেশের অন্য অঞ্চলের লোকজনের তুলনায় অধিক অবহেলিত, তাদের ক্রান্তিকাল দেশে কোন আলোড়ন সৃষ্টি করে না দেশ নিশ্চুপ থাকে। তাদের বন্যাকে জাতির দুর্যোগ মনে হয় না, তাদের খরাকে গ্রাহ্য করা হয় না। এ যেন মিছামিছি অভিনয়। অথচয় বাংলাদেশে খাদ্যশস্যের বেশিরভাগ শস্য উৎপাদিত হয় এই অঞ্চলে। শেরপুর, হালুয়াঘাট, নেত্রকোনাসহ ময়মনসিংহ বিভাগের বেশিরভাগ জেলা উপজেলা উজনের পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির ফলে বন্যায় তলিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত শিশু বৃদ্ধসহ বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে বন্যা পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপ তর হচ্ছে।
ময়মনসিংহবাসীদের সাহায্যের জন্য দেশে কোন শুভাকাক্সক্ষী, স্বেচ্ছাসেবক, মানবতার ফেরিওয়ালার দেখা মিলছে না। এমনকি গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ও উত্তরমধ্যাঞ্চলের বন্যা কোন সাড়া জাগাতে পারেনি। ময়মনসিংহবাসীদের উদ্ধারে নেই কোন তৎপরতা নেই কোন ত্রাণের কার্যক্রম। অথচয় সাম্প্রতিক ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীর বন্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শোন মহাজন... ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক চালিয়ে ট্রাকে নৌকার ভিডিও এবং সাহায্যের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহ দেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ও যেভাবে ফান্ড সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে, উত্তরমধ্যাঞ্চলের বন্যায় তার ১% ও দেখছি না। এই মানুষগুলো কি বন্যায় সুখেই থাকে! ওরা কি দেশের জিডিপিতে কোন ভূমিকা রাখে না? তাহলে এই মানুষগুলো এত অবহেলিত কেন? বাংলাদেশের সব মানুষের কাছে বিনীত আবেদন যাতে যে যেভাবে পারে এই অঞ্চলের মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়।
আশা আক্তার জুঁই
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।