জীবনে সবচেয়ে কম কথা হয় তাদের সঙ্গে, যারা খোঁচা দিয়ে কথা বলে। সবচেয়ে কম বসা হয় তাদের সঙ্গে, যারা অন্যের দুর্বলতায় আঘাত করে মজা পায়। সবচেয়ে কম আপন হয় তারা, যারা জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে ঠকায়। শত্রু কিংবা বন্ধু কিছুই না হওয়ার চেয়ে নিরপেক্ষ থাকা ভালো। তবে যদি কিছু হতেই হয়, বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
এই জীবনে মানুষের সাথে শত্রুতা বাড়িয়ে কোনো সুখ কিংবা শান্তি পাওয়া যাবে না। বহুদিন পর দেখা হলে যদি হাসিমুখে কথা না হয়, চোখাচোখিতে যদি আনন্দ না থাকে, অথবা অনুপস্থিতিতে যদি শূন্যতা অনুভব না হয়, তবে এই জীবনের গভীর মানে হারিয়ে যায়। কাউকে খোঁচা দেওয়া, তুচ্ছ করা, হিংসা করা, কিংবা আড়ালে বদনাম করাÑ এসব অযোগ্যতার লক্ষণ। যারা যোগ্য তারা কখনও এসবের আশ্রয় নেয় না।
মানুষকে কথা দিয়ে আঘাত করা, অকারণে কাঁদানো, কিংবা খুশি করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সুখী না করাÑ এমন আচরণের কারণ অনেকের কাছে রহস্যময়। মানুষের মধ্যে মানবিকতার পাশাপাশি পশুত্বও থাকে, কিন্তু যদি ভালোটা মন্দকে দমন করতে না পারে, তবে মানুষ হিসেবে টিকে থাকা কঠিন। কাউকে গোপনে ঠকিয়ে, আড়ালে কাঁদিয়ে, কিংবা হারিয়ে জীবন থেকে কিছু অর্জন করা যায় না। দীর্ঘশ্বাস আর অভিশাপের দোকান খুলে কেউ কোনোদিন ভালো থাকতে পারেনি। এই জীবনে কাউকে ঠকানোর চেয়ে নিষ্ঠুর কোনো কাজ নেই। কারো দুর্বলতায় আঘাত করার চেয়ে ঘৃণ্যতর পাপ আর নেই। অহংকার ও দাম্ভিকতা প্রকাশের চেয়ে নিচু মানসিকতার উদাহরণ আর কিছু হতে পারে না।
মানুষ কম কষ্টে কাঁদে না। যদি আমি বা আপনি কারো কান্নার কারণ হই, তবে আমাদেরও কেঁদে বিদায় নিতে হবে। যদি কারো ক্ষতি করি বা তাকে অজান্তে ঠকাই, তবে সেই কষ্ট প্রবল গ্রোতে আমাদের দিকেই ফিরে আসবে। ভালো বা মন্দ যা-ই বিনিয়োগ করুন, সেটাই সুদে-আসলে ফেরত পাবেন। যেহেতু প্রতিদান অনিবার্য, তাই সর্বদা ভালো কাজের বীজ বপন করা উচিত। কারো জন্য শুভকামনা বা কল্যাণকর কিছু করলে তার ফলও একদিন আপনার জীবনে ফিরে আসবে। মনে রাখবেন, অতীতে যা ফেলে যাবেন, ভবিষ্যত তা ফিরিয়ে দেবে। কাউকে ঠকানোর আগে, হারানোর আগে ভাবুনÑ আপনি কি ভবিষ্যতে তার মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত?
রাজু আহমেদ
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
জীবনে সবচেয়ে কম কথা হয় তাদের সঙ্গে, যারা খোঁচা দিয়ে কথা বলে। সবচেয়ে কম বসা হয় তাদের সঙ্গে, যারা অন্যের দুর্বলতায় আঘাত করে মজা পায়। সবচেয়ে কম আপন হয় তারা, যারা জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে ঠকায়। শত্রু কিংবা বন্ধু কিছুই না হওয়ার চেয়ে নিরপেক্ষ থাকা ভালো। তবে যদি কিছু হতেই হয়, বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
এই জীবনে মানুষের সাথে শত্রুতা বাড়িয়ে কোনো সুখ কিংবা শান্তি পাওয়া যাবে না। বহুদিন পর দেখা হলে যদি হাসিমুখে কথা না হয়, চোখাচোখিতে যদি আনন্দ না থাকে, অথবা অনুপস্থিতিতে যদি শূন্যতা অনুভব না হয়, তবে এই জীবনের গভীর মানে হারিয়ে যায়। কাউকে খোঁচা দেওয়া, তুচ্ছ করা, হিংসা করা, কিংবা আড়ালে বদনাম করাÑ এসব অযোগ্যতার লক্ষণ। যারা যোগ্য তারা কখনও এসবের আশ্রয় নেয় না।
মানুষকে কথা দিয়ে আঘাত করা, অকারণে কাঁদানো, কিংবা খুশি করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সুখী না করাÑ এমন আচরণের কারণ অনেকের কাছে রহস্যময়। মানুষের মধ্যে মানবিকতার পাশাপাশি পশুত্বও থাকে, কিন্তু যদি ভালোটা মন্দকে দমন করতে না পারে, তবে মানুষ হিসেবে টিকে থাকা কঠিন। কাউকে গোপনে ঠকিয়ে, আড়ালে কাঁদিয়ে, কিংবা হারিয়ে জীবন থেকে কিছু অর্জন করা যায় না। দীর্ঘশ্বাস আর অভিশাপের দোকান খুলে কেউ কোনোদিন ভালো থাকতে পারেনি। এই জীবনে কাউকে ঠকানোর চেয়ে নিষ্ঠুর কোনো কাজ নেই। কারো দুর্বলতায় আঘাত করার চেয়ে ঘৃণ্যতর পাপ আর নেই। অহংকার ও দাম্ভিকতা প্রকাশের চেয়ে নিচু মানসিকতার উদাহরণ আর কিছু হতে পারে না।
মানুষ কম কষ্টে কাঁদে না। যদি আমি বা আপনি কারো কান্নার কারণ হই, তবে আমাদেরও কেঁদে বিদায় নিতে হবে। যদি কারো ক্ষতি করি বা তাকে অজান্তে ঠকাই, তবে সেই কষ্ট প্রবল গ্রোতে আমাদের দিকেই ফিরে আসবে। ভালো বা মন্দ যা-ই বিনিয়োগ করুন, সেটাই সুদে-আসলে ফেরত পাবেন। যেহেতু প্রতিদান অনিবার্য, তাই সর্বদা ভালো কাজের বীজ বপন করা উচিত। কারো জন্য শুভকামনা বা কল্যাণকর কিছু করলে তার ফলও একদিন আপনার জীবনে ফিরে আসবে। মনে রাখবেন, অতীতে যা ফেলে যাবেন, ভবিষ্যত তা ফিরিয়ে দেবে। কাউকে ঠকানোর আগে, হারানোর আগে ভাবুনÑ আপনি কি ভবিষ্যতে তার মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত?
রাজু আহমেদ