একজন শিক্ষার্থী পড়ালেখা শেষ করে জীবিকার তাগিদে খুঁজতে শুরু করে চাকরি। আর অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য থাকে সরকারি চাকরি করার। সেক্ষেত্রে দেখা যায় সরকারি চাকরির জন্য সবাই কেবল উদগ্রীব হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। যার ফলে কেউ কেউ সোনার হরিণের দেখা পেলেও অনেকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
ফলে একদিকে যেমন সরকারি চাকরির পিছনে ছুটতে ছুটতে চাকরির বয়সসীমা শেষ হয়, অন্যদিকে দেশে বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে কর্মহীন লোকের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার জন। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে এসে ২ লাখ ৪০ হাজার বেকার সংখ্যা বেড়েছে। বিবিএস শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশে নারী ও পুরুষ উভয় জনসংখ্যার মধ্যে বেকারত্ব বেড়েছে তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের বেকারত্ব কিছুটা কমেছে।
বাংলাদেশে বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো তরুণদের মধ্যে কাজ না করার প্রবণতা। বিশেষ করে সরকারি চাকরির আশায় বসে থেকে অন্য কাজ না করা। আবার অধিকাংশ বিশ্লেষকদের মতে, সরকারি-বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমে গেলে কর্মসংস্থানের সুযোগ নষ্ট হয় আর কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে গেলে বেকারত্ব বাড়ে। গবেষণা বলছে, দেশে উচ্চ শিক্ষিত বেকার সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) এর এক জরিপ অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ বেকার। আর এসব বেকার সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম আরও একটি কারণ হলো চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা। দেখা যায়, একটা চাকরির আবেদন করার পর সেই আবেদন বাছাই করা, পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল প্রকাশ, মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ, বিভিন্ন তদন্ত কাজ সম্পন্ন, প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সর্বশেষ চাকরিতে যোগদান একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এর মধ্যে যেকোনো একটা কাজ পিছিয়ে গেলে সমস্ত প্রক্রিয়ায় স্থবিরতা নেমে আসে। যার ফলেও বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়।
সুমন ইসলাম
শিক্ষার্থী, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
একজন শিক্ষার্থী পড়ালেখা শেষ করে জীবিকার তাগিদে খুঁজতে শুরু করে চাকরি। আর অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য থাকে সরকারি চাকরি করার। সেক্ষেত্রে দেখা যায় সরকারি চাকরির জন্য সবাই কেবল উদগ্রীব হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। যার ফলে কেউ কেউ সোনার হরিণের দেখা পেলেও অনেকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
ফলে একদিকে যেমন সরকারি চাকরির পিছনে ছুটতে ছুটতে চাকরির বয়সসীমা শেষ হয়, অন্যদিকে দেশে বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে কর্মহীন লোকের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার জন। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে এসে ২ লাখ ৪০ হাজার বেকার সংখ্যা বেড়েছে। বিবিএস শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশে নারী ও পুরুষ উভয় জনসংখ্যার মধ্যে বেকারত্ব বেড়েছে তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের বেকারত্ব কিছুটা কমেছে।
বাংলাদেশে বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো তরুণদের মধ্যে কাজ না করার প্রবণতা। বিশেষ করে সরকারি চাকরির আশায় বসে থেকে অন্য কাজ না করা। আবার অধিকাংশ বিশ্লেষকদের মতে, সরকারি-বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমে গেলে কর্মসংস্থানের সুযোগ নষ্ট হয় আর কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে গেলে বেকারত্ব বাড়ে। গবেষণা বলছে, দেশে উচ্চ শিক্ষিত বেকার সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) এর এক জরিপ অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ বেকার। আর এসব বেকার সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম আরও একটি কারণ হলো চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা। দেখা যায়, একটা চাকরির আবেদন করার পর সেই আবেদন বাছাই করা, পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল প্রকাশ, মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ, বিভিন্ন তদন্ত কাজ সম্পন্ন, প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সর্বশেষ চাকরিতে যোগদান একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এর মধ্যে যেকোনো একটা কাজ পিছিয়ে গেলে সমস্ত প্রক্রিয়ায় স্থবিরতা নেমে আসে। যার ফলেও বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়।
সুমন ইসলাম
শিক্ষার্থী, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া