পদ্মা নদীর তীরে বসবাসরত হাজারো পরিবার প্রতিদিন নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তাদের জীবনযাপন, ঘরবাড়ি এবং স্বপ্নগুলো একের পর এক ধ্বংস হচ্ছে। নদীর তীরে মানুষদের জীবন সংগ্রাম শহরের উন্নত স্থাপনার বিপরীতে এক নির্মম চিত্র।
বন্যার সময় যখন পানি উপচে পড়ে তাদের ফসল তলিয়ে যায়। বহু পরিবার তাদের জীবিকা হারায়, আর সাহায্যের জন্য চোখ মেলেও কাউকে বলতে পারে না। শহরের মানুষ জনের মতো আরামদায়ক জীবনযাপন তাদের জন্য দূরবীন থেকে দেখা একটি স্বপ্ন। পদ্মার পাড়ে থাকা মানুষের জীবন যেন অন্ধকারের ভেতর দিয়ে কেটে যাচ্ছে; ঘরে বাতির জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই, সংকটের চরমে তারা।
এ অঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা নেই। তাদের জীবনযাপন নিয়ে আলোচনা করার মতো কেউ নেই, এবং সহানুভূতির অভাবে তাদের সংকটের দিকে নজর দেওয়ার সুযোগও নেই। যদিও তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে, তারা সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত।
নদী ভাঙনের ফলে এই পরিবারগুলোর জীবনে গভীর প্রভাব পড়েছে। তাদের যন্ত্রণার কাহিনী শোনার কেউ নেই; ফলে তারা স্বপ্ন দেখা থেকেও বঞ্চিত। একবার যদি কেউ তাদের পরিস্থিতি দেখার জন্য যায়, তাহলে বুঝতে পারবে, কিভাবে তাদের জীবন-যাপন চলছে।
চরাঞ্চলে মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। যখন ফসল তোলার সময় আসে, তখন পশু ও কৃষি সামগ্রী নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা বাড়ে। কিন্তু যে কোনো মুহূর্তে যদি বন্যা বা নদী ভাঙন ঘটে, তখন তাদের সব কিছু এক ঝটকায় চলে যায়। সেই মুহূর্তে তারা মাথা নিচু করে অসহায়ভাবে নিজেদের ভাগ্যের দিকে তাকায়।
নদী ভাঙন যখন তাদের বাড়ির উঠোনে এসে দাঁড়ায়, তখন দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকে না। ঘরবাড়ি, জমি, ফসলÑ সবকিছুই চলে যায়। অনেক সময় তাদেরকে চলে যেতে হয় অন্যত্র এবং নতুন জায়গায় শুরু করতে হয় আবার সবকিছু। এ কারণে পরিবারগুলোতে সামাজিক ও মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়।
সচেতনতা ও সহযোগিতা ছাড়া তাদের অবস্থা পরিবর্তন সম্ভব নয়। নদী ভাঙনের সংকট মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ অপরিহার্য। চরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা এক যুদ্ধের মতো। তাদের সংগ্রাম ও কষ্টের প্রতিচ্ছবি আমাদের সমাজের এক করুণ চিত্র। সরকারের উচিত এই মানুষের সুরক্ষা এবং উন্নয়ন নিশ্চিত করা, যাতে তারা অন্ধকারের মধ্যে না থাকে।
আব্দুল আলিম
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
পদ্মা নদীর তীরে বসবাসরত হাজারো পরিবার প্রতিদিন নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তাদের জীবনযাপন, ঘরবাড়ি এবং স্বপ্নগুলো একের পর এক ধ্বংস হচ্ছে। নদীর তীরে মানুষদের জীবন সংগ্রাম শহরের উন্নত স্থাপনার বিপরীতে এক নির্মম চিত্র।
বন্যার সময় যখন পানি উপচে পড়ে তাদের ফসল তলিয়ে যায়। বহু পরিবার তাদের জীবিকা হারায়, আর সাহায্যের জন্য চোখ মেলেও কাউকে বলতে পারে না। শহরের মানুষ জনের মতো আরামদায়ক জীবনযাপন তাদের জন্য দূরবীন থেকে দেখা একটি স্বপ্ন। পদ্মার পাড়ে থাকা মানুষের জীবন যেন অন্ধকারের ভেতর দিয়ে কেটে যাচ্ছে; ঘরে বাতির জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই, সংকটের চরমে তারা।
এ অঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা নেই। তাদের জীবনযাপন নিয়ে আলোচনা করার মতো কেউ নেই, এবং সহানুভূতির অভাবে তাদের সংকটের দিকে নজর দেওয়ার সুযোগও নেই। যদিও তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে, তারা সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত।
নদী ভাঙনের ফলে এই পরিবারগুলোর জীবনে গভীর প্রভাব পড়েছে। তাদের যন্ত্রণার কাহিনী শোনার কেউ নেই; ফলে তারা স্বপ্ন দেখা থেকেও বঞ্চিত। একবার যদি কেউ তাদের পরিস্থিতি দেখার জন্য যায়, তাহলে বুঝতে পারবে, কিভাবে তাদের জীবন-যাপন চলছে।
চরাঞ্চলে মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। যখন ফসল তোলার সময় আসে, তখন পশু ও কৃষি সামগ্রী নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা বাড়ে। কিন্তু যে কোনো মুহূর্তে যদি বন্যা বা নদী ভাঙন ঘটে, তখন তাদের সব কিছু এক ঝটকায় চলে যায়। সেই মুহূর্তে তারা মাথা নিচু করে অসহায়ভাবে নিজেদের ভাগ্যের দিকে তাকায়।
নদী ভাঙন যখন তাদের বাড়ির উঠোনে এসে দাঁড়ায়, তখন দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকে না। ঘরবাড়ি, জমি, ফসলÑ সবকিছুই চলে যায়। অনেক সময় তাদেরকে চলে যেতে হয় অন্যত্র এবং নতুন জায়গায় শুরু করতে হয় আবার সবকিছু। এ কারণে পরিবারগুলোতে সামাজিক ও মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়।
সচেতনতা ও সহযোগিতা ছাড়া তাদের অবস্থা পরিবর্তন সম্ভব নয়। নদী ভাঙনের সংকট মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ অপরিহার্য। চরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা এক যুদ্ধের মতো। তাদের সংগ্রাম ও কষ্টের প্রতিচ্ছবি আমাদের সমাজের এক করুণ চিত্র। সরকারের উচিত এই মানুষের সুরক্ষা এবং উন্নয়ন নিশ্চিত করা, যাতে তারা অন্ধকারের মধ্যে না থাকে।
আব্দুল আলিম
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী