সবুজ প্রযুক্তি যা টেকসই প্রযুক্তি নামেও পরিচিত। এটি পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি। ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তন থেকে উত্তরণে সবুজ প্রযুক্তিকেই মূল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। টেকসই প্রযুক্তিগত বিপ্লবই উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে। পরিবেশবান্ধব টেকনোলজি প্রযুক্তি প্রবণতা আমাদের যেমন ভবিষ্যৎ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে ধারণা দেয় ঠিক তেমনি একই সঙ্গে ভবিষ্যতের সুযোগ, সম্ভাবনা আর চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করে।
সবুজ প্রযুক্তি আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন এবং দূষণের প্রভাব মোকাবেলার সর্বোত্তম পালন করে থাকে। পৃথিবীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে যার মধ্যে কিছু ইতোমধ্যেই নিঃশেষ বা ধ্বংস হয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন, পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় বিপন্ন পৃথিবীর প্রাণ। তাই পৃথিবীকে বাসোপযোগী রাখতে প্রয়োজন বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি। বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আমাদের এই গ্রহের জলবায়ু প্রতিনিয়ত দ্রুত পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে।
পৃথিবীর আবহাওয়াতে যে পরিবর্তন এসেছে তাতে একদিকে যেমন শীতের প্রকোপ বাড়ছে অপরদিকে সেই সঙ্গে আবার অসহনীয় গরমে অস্থিরতায় ভুগছে বিশ্ববাসী। যেসব উপকরণ পরিবেশের বিপর্যয় ঘটায় সেসব শনাক্ত করার পাশাপাশি এসব উপকরণের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। পরিবেশ বাঁচাতে গ্রিন টেকনোলজি বা প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সবুজ বেষ্টনী। বর্তমান সময়ে সবুজ প্রযুক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। স্মার্ট গ্রিড, ইলেকট্রিক ভেহিকলস এবং উন্নত রিসাইক্লিং প্রযুক্তি সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের প্রযুক্তি আরও উন্নত এবং সাশ্রয়ী হয়েছে। ফলশ্রুতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিবেশের জন্য ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি প্রাকৃতিক উৎস ধ্বংস না করে না।
সব সমস্যা উত্তরণ করে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিকে জীববৈচিত্রের কল্যাণে কাজে লাগাতে পারলে তা হবে সমগ্র বিশ্বের মানবজাতি সহ প্রাণিকুলের জন্য বিশেষ এক আশীর্বাদস্বরূপ। সবুজ প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল এবং সম্ভাবনাময়। এটি শক্তি ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার, স্বাস্থ্য প্রযুক্তি, শহুরে উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করে। প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং নতুন উদ্ভাবন এই খাতের ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত এবং উৎপাদনশীল হিসেবে গড়ে তুলবে। প্রযুক্তির এই অগ্রগতি আমাদের পৃথিবীকে আরও নিরাপদ ও টেকসই করে তুলতে সাহায্য করবে।
জাহিদুল ইসলাম
নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান (আইসিটি সেল), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
সবুজ প্রযুক্তি যা টেকসই প্রযুক্তি নামেও পরিচিত। এটি পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি। ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তন থেকে উত্তরণে সবুজ প্রযুক্তিকেই মূল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। টেকসই প্রযুক্তিগত বিপ্লবই উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে। পরিবেশবান্ধব টেকনোলজি প্রযুক্তি প্রবণতা আমাদের যেমন ভবিষ্যৎ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে ধারণা দেয় ঠিক তেমনি একই সঙ্গে ভবিষ্যতের সুযোগ, সম্ভাবনা আর চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করে।
সবুজ প্রযুক্তি আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন এবং দূষণের প্রভাব মোকাবেলার সর্বোত্তম পালন করে থাকে। পৃথিবীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে যার মধ্যে কিছু ইতোমধ্যেই নিঃশেষ বা ধ্বংস হয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন, পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় বিপন্ন পৃথিবীর প্রাণ। তাই পৃথিবীকে বাসোপযোগী রাখতে প্রয়োজন বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি। বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আমাদের এই গ্রহের জলবায়ু প্রতিনিয়ত দ্রুত পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে।
পৃথিবীর আবহাওয়াতে যে পরিবর্তন এসেছে তাতে একদিকে যেমন শীতের প্রকোপ বাড়ছে অপরদিকে সেই সঙ্গে আবার অসহনীয় গরমে অস্থিরতায় ভুগছে বিশ্ববাসী। যেসব উপকরণ পরিবেশের বিপর্যয় ঘটায় সেসব শনাক্ত করার পাশাপাশি এসব উপকরণের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। পরিবেশ বাঁচাতে গ্রিন টেকনোলজি বা প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সবুজ বেষ্টনী। বর্তমান সময়ে সবুজ প্রযুক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। স্মার্ট গ্রিড, ইলেকট্রিক ভেহিকলস এবং উন্নত রিসাইক্লিং প্রযুক্তি সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের প্রযুক্তি আরও উন্নত এবং সাশ্রয়ী হয়েছে। ফলশ্রুতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিবেশের জন্য ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি প্রাকৃতিক উৎস ধ্বংস না করে না।
সব সমস্যা উত্তরণ করে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিকে জীববৈচিত্রের কল্যাণে কাজে লাগাতে পারলে তা হবে সমগ্র বিশ্বের মানবজাতি সহ প্রাণিকুলের জন্য বিশেষ এক আশীর্বাদস্বরূপ। সবুজ প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল এবং সম্ভাবনাময়। এটি শক্তি ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার, স্বাস্থ্য প্রযুক্তি, শহুরে উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করে। প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং নতুন উদ্ভাবন এই খাতের ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত এবং উৎপাদনশীল হিসেবে গড়ে তুলবে। প্রযুক্তির এই অগ্রগতি আমাদের পৃথিবীকে আরও নিরাপদ ও টেকসই করে তুলতে সাহায্য করবে।
জাহিদুল ইসলাম
নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান (আইসিটি সেল), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।