alt

পাঠকের চিঠি

পোলট্রি শিল্পের দুর্দশা

: বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের মানুষের প্রাণিজ আমিষের একটি সহজলভ্য উৎস হলো ডিম- মুরগি। যার মাধ্যমে দেশের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের একটি বড় অংশের আমিষের চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। বিগত কয়েক বছরে পোলট্রি শিল্পে তৈরি সিন্ডিকেট ও নানামুখী প্রতিকূলতা গ্রামগঞ্জে ক্ষুদ্র খামারিদের সংখ্যা কমিয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

বিগত কয়েক বছরে পোলট্রি উপকরণের দাম বৃদ্ধি ও বাজার সিন্ডিকেট বর্তমানে গ্রামগঞ্জে ক্ষুদ্র খামারিদের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। নানামুখী সংকটের ফলে লোকসান গুনতে গুনতে বর্তমানে গ্রামগঞ্জে একে একে বন্ধ হচ্ছে প্রান্তিক পোলট্রি খামার। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক খামারি প্রভাব পড়ছে দেশের ডিম-মুরগির বাজারে।

বিগত কয়েক বছরের তুলনায় পোলট্রি শিল্পে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। বর্তমানে ক্যাটাগরি অনুযায়ী মুরগির বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে কয়েকগুণ বাড়তি দামে। বৃদ্ধি পেয়েছে প্রাণিজ খাদ্য ও ওষুধের দাম। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে খরচ বেড়েছে পরিবহন খাতে। এছাড়া বিগত কয়েক বছরের বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুতের দাম। ফলে বিদ্যুতের বাড়তি দাম মুরগি ও ডিম উৎপাদনে যোগ করেছে বাড়তি খরচ।

পাশাপাশি ডিম-মুরগির বাজারজাতকরণে রয়েছে নানা মহলের সিন্ডিকেট। সময় ও স্থানের ব্যবধানে প্রান্তিক খামারিদের কাছে থেকে ক্রয় করা ডিম বিক্রি হচ্ছে কয়েকগুণ বাড়তি দামে। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছেন। ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় লোকসানের মুখে প্রান্তিক খামারিরা পোলট্রি শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। যার প্রভাবে ডিম- মুরগির বাজারে তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম সংকট। দিন দিন ঊর্ধমুখী হচ্ছে ডিম-মুরগির বাজার। তৈরি হচ্ছে আমদানি নির্ভর বাজার ব্যবস্থা।

অন্যদিকে পোলট্রি শিল্পে বেড়েছে মধ্যস্বত্বভোগীর দাপট এবং করপোরেট কোম্পানিরগুলোর বড় পরিসরে বিনিয়োগ। ফলে উৎপাদন খরচে বড় পার্থক্য থাকায় বাজারে বড় কোম্পানির সঙ্গে টিকতে পারছেন না প্রান্তিক খামারিরা। সে কারণে পোলট্রি শিল্প অনেকটাই করপোরেট কোম্পানিরগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। বড় বড় কোম্পানিগুলো উৎপাদন, প্যাকেজিং আর ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রির সুবিধা পাওয়ায় বাজারজাতকরণে তারা অনেকটা এগিয়ে প্রান্তিক খামারিদের তুলনায়।

বর্তমানে ছোট খামারিদের প্রতিযোগিতা টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন তাদের সক্ষমতা বাড়ানো। প্রয়োজন পোলট্রি উপকরণের দাম কমানো। অধিক পরিসরে চিকিৎসাসেবা, প্রশিক্ষণ, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ। বাজারজাতকরণে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা। সরকারি ভাবে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা চালুর মাধ্যম প্রান্তিক খামারিদের মধ্যে ডিম- মুরগি উৎপাদনে আগ্রহ বৃদ্ধি করা।

স্বল্প আয়ের মানুষদের আমিষের চাহিদা পূরণ ও ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টির বিষয়ে আমাদের এখন থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

ভবিষ্যতে বাজার ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রান্তিক খামারিদের রক্ষায় আমাদের এখন থেকেই বিশেষ নজর দিতে হবে।

মুজাহিদুল ইসলাম,

শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ

মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নাগরিক সেবা উন্নয়নে পদক্ষেপ নিন

ছবি

খেজুরের রস

ট্যাগিং সংস্কৃতির অবসান ঘটুক

আবাসন সংকট দূর করুন

আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন চালু হবে কি ?

উচ্চশিক্ষা ও বেকারত্ব

ছবি

অবৈধ ইটভাটা : দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক

সংঘাত বন্ধ হোক

ছবি

কবে থামবে নদী দখল?

ছবি

কেমন আছে জাতীয় পাখি দোয়েল?

অতিথি পাখি শিকার নয়

নীরব ভূমিকায় কলেজ প্রশাসন

সড়ক দুর্ঘটনা

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা কোথায়

ব্রহ্মপুত্রের পাড় হারাচ্ছে সৌন্দর্য

ছবি

সবজির দাম, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, কৃষকের বঞ্চনা

ছবি

ছাদ বাগান

শিশুশ্রম ও শিশু নির্যাতন

ছবি

মেট্রোরেলের টিকেট ভোগান্তি

শব্দদূষণ রোধে উদ্যোগ নিন

শীতের আতঙ্ক নিপাহ ভাইরাস

ফ্লাইওভারে মিলছে না কাক্সিক্ষত সেবা

শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই

ছবি

ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিকাশ : আর্থিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি

পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন

সমাজ পরিবর্তন করে চিন্তার পরিবর্তন, নাকি চিন্তাধারার পরিবর্তন করে সমাজ পরিবর্তন?

বিদ্যালয়ের সংস্কার প্রয়োজন

ছবি

অতিথি পাখি শিকার বন্ধ হোক

আন্দোলন, ন্যায্যতার দাবি ও জনদুর্ভোগ

কক্সবাজারগামী ট্রেনের লাকসাম জংশনে যাত্রাবিরতি চাই

ছবি

যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধ করুন

ছবি

বৈদ্যুতিক খুঁটি যেন মাকড়সার জাল

ছবি

কপ-২৯ সম্মেলন ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

ছবি

পরীক্ষাগুলো বিভাগীয় শহরে নেয়া হোক

খাল ও জলাশয়ের বদ্ধ পানি এডিস মশার উৎস

রাস্তা সংস্কার করুন

tab

পাঠকের চিঠি

পোলট্রি শিল্পের দুর্দশা

বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের মানুষের প্রাণিজ আমিষের একটি সহজলভ্য উৎস হলো ডিম- মুরগি। যার মাধ্যমে দেশের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের একটি বড় অংশের আমিষের চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। বিগত কয়েক বছরে পোলট্রি শিল্পে তৈরি সিন্ডিকেট ও নানামুখী প্রতিকূলতা গ্রামগঞ্জে ক্ষুদ্র খামারিদের সংখ্যা কমিয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

বিগত কয়েক বছরে পোলট্রি উপকরণের দাম বৃদ্ধি ও বাজার সিন্ডিকেট বর্তমানে গ্রামগঞ্জে ক্ষুদ্র খামারিদের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। নানামুখী সংকটের ফলে লোকসান গুনতে গুনতে বর্তমানে গ্রামগঞ্জে একে একে বন্ধ হচ্ছে প্রান্তিক পোলট্রি খামার। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক খামারি প্রভাব পড়ছে দেশের ডিম-মুরগির বাজারে।

বিগত কয়েক বছরের তুলনায় পোলট্রি শিল্পে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। বর্তমানে ক্যাটাগরি অনুযায়ী মুরগির বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে কয়েকগুণ বাড়তি দামে। বৃদ্ধি পেয়েছে প্রাণিজ খাদ্য ও ওষুধের দাম। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে খরচ বেড়েছে পরিবহন খাতে। এছাড়া বিগত কয়েক বছরের বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুতের দাম। ফলে বিদ্যুতের বাড়তি দাম মুরগি ও ডিম উৎপাদনে যোগ করেছে বাড়তি খরচ।

পাশাপাশি ডিম-মুরগির বাজারজাতকরণে রয়েছে নানা মহলের সিন্ডিকেট। সময় ও স্থানের ব্যবধানে প্রান্তিক খামারিদের কাছে থেকে ক্রয় করা ডিম বিক্রি হচ্ছে কয়েকগুণ বাড়তি দামে। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছেন। ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় লোকসানের মুখে প্রান্তিক খামারিরা পোলট্রি শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। যার প্রভাবে ডিম- মুরগির বাজারে তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম সংকট। দিন দিন ঊর্ধমুখী হচ্ছে ডিম-মুরগির বাজার। তৈরি হচ্ছে আমদানি নির্ভর বাজার ব্যবস্থা।

অন্যদিকে পোলট্রি শিল্পে বেড়েছে মধ্যস্বত্বভোগীর দাপট এবং করপোরেট কোম্পানিরগুলোর বড় পরিসরে বিনিয়োগ। ফলে উৎপাদন খরচে বড় পার্থক্য থাকায় বাজারে বড় কোম্পানির সঙ্গে টিকতে পারছেন না প্রান্তিক খামারিরা। সে কারণে পোলট্রি শিল্প অনেকটাই করপোরেট কোম্পানিরগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। বড় বড় কোম্পানিগুলো উৎপাদন, প্যাকেজিং আর ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রির সুবিধা পাওয়ায় বাজারজাতকরণে তারা অনেকটা এগিয়ে প্রান্তিক খামারিদের তুলনায়।

বর্তমানে ছোট খামারিদের প্রতিযোগিতা টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন তাদের সক্ষমতা বাড়ানো। প্রয়োজন পোলট্রি উপকরণের দাম কমানো। অধিক পরিসরে চিকিৎসাসেবা, প্রশিক্ষণ, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ। বাজারজাতকরণে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা। সরকারি ভাবে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা চালুর মাধ্যম প্রান্তিক খামারিদের মধ্যে ডিম- মুরগি উৎপাদনে আগ্রহ বৃদ্ধি করা।

স্বল্প আয়ের মানুষদের আমিষের চাহিদা পূরণ ও ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টির বিষয়ে আমাদের এখন থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

ভবিষ্যতে বাজার ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রান্তিক খামারিদের রক্ষায় আমাদের এখন থেকেই বিশেষ নজর দিতে হবে।

মুজাহিদুল ইসলাম,

শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ

back to top