অতিথি পাখির আগমন প্রকৃতির সৌন্দর্য হাজার গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। শীতকালে অতিথি পাখির আগমন প্রকৃতিকে পরিপূর্ণতা দান করে। প্রকৃতি ছেয়ে যায় অনাবিল এক সৌন্দর্যের চাদরে। তবে অতিথি পাখির আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের দেশের একটা শ্রেণির মানুষের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে অপরূপ সুন্দর পাখিদের দিকে। প্রতি বছর শীতকাল এলেই দেশের কিছুসংখ্যক অসাধু লোভী মানুষ অতিথি পাখি শিকার করে বিক্রি করার এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে। দূর দেশ থেকে বেঁচে থাকার তাগিদে ছুটে আসা এসব পাখিকে পরিণত করে মানুষের খাদ্যবস্তুতে। শীতের তীব্রতা থেকে জীবনকে রক্ষা করতে এসে সুন্দর এসব পাখিকে জীবন দিতে হয় গরম বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে, ফাঁদে পড়ে কিংবা জালে আটকা পড়ে।
প্রতি বছর শীতকাল আসলেই আমাদের দেশে পাখি শিকারের ধুম লেগে যায়। পাখির রমরমা বাজার বসে দেশের বিভিন্ন স্থানে। কোনো কোনো জায়গায় আবার এসব পাখি দিয়ে মহাভোজের আয়োজন করতে দেখা যায়। আমাদের দেশের কিছু অসচেতন নাগরিক এসব পাখি কিনে পাখি শিকারিদের আরও বেশি উৎসাহিত করে। ফলে শীতের পুরোটা সময়জুড়ে খাল, বিলসহ বিভিন্ন জায়গায় বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, ফাঁদ পাতে পাখি ধারার জন্য। ফলে দিন দিন অতিথি পাখির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে। দিন দিন অতিথি পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
অতিথি পাখিদের রক্ষা করা এবং তাদের নিরাপদভাবে বিচরণের ব্যবস্থা করা আমাদের দায়িত্ব। তাই শীতের শুরু থেকেই আমাদের অতিথি পাখি সংরক্ষণের প্রতি দায়িত্ববান হতে হবে। প্রশাসনকে সচেতন হয়ে অতিথি পাখি শিকার রোধ করার সব কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। পাখিদের জন্য অভয়ারণ্যের ব্যবস্থা করে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পাখি শিকারিদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের নিজেদের জায়গা থেকে সচেতনতা গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। অতিথি পাখি কেনাবেচা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং কেউ যেন শিকার করতে না পারেÑ সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আমাদের সবার সম্মিলিত চেষ্টাই পারে দূরদেশ থেকে অতিথি হিসেবে আশ্রায় নিতে আসা এসব পাখিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে।
শাওন মিরাজ
শিক্ষার্থী : উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।
বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪
অতিথি পাখির আগমন প্রকৃতির সৌন্দর্য হাজার গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। শীতকালে অতিথি পাখির আগমন প্রকৃতিকে পরিপূর্ণতা দান করে। প্রকৃতি ছেয়ে যায় অনাবিল এক সৌন্দর্যের চাদরে। তবে অতিথি পাখির আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের দেশের একটা শ্রেণির মানুষের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে অপরূপ সুন্দর পাখিদের দিকে। প্রতি বছর শীতকাল এলেই দেশের কিছুসংখ্যক অসাধু লোভী মানুষ অতিথি পাখি শিকার করে বিক্রি করার এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে। দূর দেশ থেকে বেঁচে থাকার তাগিদে ছুটে আসা এসব পাখিকে পরিণত করে মানুষের খাদ্যবস্তুতে। শীতের তীব্রতা থেকে জীবনকে রক্ষা করতে এসে সুন্দর এসব পাখিকে জীবন দিতে হয় গরম বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে, ফাঁদে পড়ে কিংবা জালে আটকা পড়ে।
প্রতি বছর শীতকাল আসলেই আমাদের দেশে পাখি শিকারের ধুম লেগে যায়। পাখির রমরমা বাজার বসে দেশের বিভিন্ন স্থানে। কোনো কোনো জায়গায় আবার এসব পাখি দিয়ে মহাভোজের আয়োজন করতে দেখা যায়। আমাদের দেশের কিছু অসচেতন নাগরিক এসব পাখি কিনে পাখি শিকারিদের আরও বেশি উৎসাহিত করে। ফলে শীতের পুরোটা সময়জুড়ে খাল, বিলসহ বিভিন্ন জায়গায় বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, ফাঁদ পাতে পাখি ধারার জন্য। ফলে দিন দিন অতিথি পাখির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে। দিন দিন অতিথি পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
অতিথি পাখিদের রক্ষা করা এবং তাদের নিরাপদভাবে বিচরণের ব্যবস্থা করা আমাদের দায়িত্ব। তাই শীতের শুরু থেকেই আমাদের অতিথি পাখি সংরক্ষণের প্রতি দায়িত্ববান হতে হবে। প্রশাসনকে সচেতন হয়ে অতিথি পাখি শিকার রোধ করার সব কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। পাখিদের জন্য অভয়ারণ্যের ব্যবস্থা করে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পাখি শিকারিদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের নিজেদের জায়গা থেকে সচেতনতা গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। অতিথি পাখি কেনাবেচা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং কেউ যেন শিকার করতে না পারেÑ সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আমাদের সবার সম্মিলিত চেষ্টাই পারে দূরদেশ থেকে অতিথি হিসেবে আশ্রায় নিতে আসা এসব পাখিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে।
শাওন মিরাজ
শিক্ষার্থী : উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।