alt

পাঠকের চিঠি

কৃষককে ন্যায্য মূল্য দিন

: বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে মূল্যস্ফীতি ও বাজার সিন্ডিকেটের প্রভাবে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সকল দ্রব্যমূল্যের। মূল্যস্ফীতি ও বাজারে তৈরি হওয়া সিন্ডিকেটের সাথে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে কৃষি কাজে ব্যবহৃত কীটনাশক, সার, বীজ, পরিবহন খরচসহ সকল প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণের। ফলে ফসল উৎপাদনে কৃষকের ব্যয় হচ্ছে বাড়তি মূলধনের।

বর্তমানে মাঠপর্যায়ের একজন কৃষকের ফসল উৎপাদনে খরচ বেড়েছে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় কয়েকগুণ। ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষক কে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে কীটনাশক, সার, বীজ। বর্তমানে জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে উৎপাদন ব্যবস্থায় বেড়েছে পানি সেচের বাড়তি খরচ। সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষক কৃত্রিম সেচ দিয়ে ফসল উৎপাদন করতে বাধ্য হচ্ছে। বেড়েছে কৃষিকাজের সাথে সম্পৃক্ত শ্রমিকের দৈনিক মজুরি। তাছাড়া বর্তমানে ফসলের বিভিন্ন নিত্য নতুন রোগের আক্রমণে অনেক সময় কাক্সিক্ষত উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। ফলে কৃষককে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে একজন কৃষক এতো কষ্টের শিকার হওয়ার পরেও বাজারে পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না।

বর্তমানে বাজার ব্যবস্থা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি। ফলে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য পাইকারী বাজারে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারছেন না। পরিশ্রম ও উৎপাদন খরচের তুলনায় কৃষক পাচ্ছেন তুলনামূলক কম মূল। কিন্তু কৃষকের কাছে থেকে ক্রয় করা কম মূল্যের পণ্য পরবর্তীতে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা ভোক্তা পর্যায়ে কয়েকগুণ বাড়তি মূল্যে বিক্রি করছেন।

ফলে যে কৃষক দীর্ঘ দিন রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে বাড়তি দামে কৃষি উপকরণ কিনে ফসল উৎপাদন করলেন তিনিই পাচ্ছে নামমাত্র মূল। আর মাঝে খানে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা কৃষকের দুর্বলতাকে পুঁজি বানিয়ে নামমাত্র মূল্যে পণ্য ক্রয় করে হাতিয়ে নিচ্ছেন বাড়তি মুনাফা। ফলে কৃষিক দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছেন ফসল উৎপাদনে।

সিন্ডিকেট ব্যবসার ফলে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় দেশের কৃষক অনেক ফসল উৎপাদন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ফলে দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা থাকার পরেও পর্যাপ্ত উৎপাদন না থাকায় প্রতি বছর দেখা দিচ্ছে নিত্যনতুন কৃষি পণ্যের বাজার চাহিদা।

কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে বাজার ব্যবস্থায় দ্রুত সংস্কার ও বিশেষ নজর দেওয়া সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষক পণ্যের ন্যায্যমূল্য পেলে ফসল উৎপাদনে কৃষকের আগ্রহ বাড়বে। ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে গতিশীল হবে দেশের অর্থনীতি। তাই কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ। পূর্ণতা পাবে দেশের শতভাগ খাদ্য চাহিদা।

মুজাহিদুল ইসলাম

ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা : স্বপ্ন নাকি মৃত্যুর ফাঁদ?

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

tab

পাঠকের চিঠি

কৃষককে ন্যায্য মূল্য দিন

বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে মূল্যস্ফীতি ও বাজার সিন্ডিকেটের প্রভাবে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সকল দ্রব্যমূল্যের। মূল্যস্ফীতি ও বাজারে তৈরি হওয়া সিন্ডিকেটের সাথে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে কৃষি কাজে ব্যবহৃত কীটনাশক, সার, বীজ, পরিবহন খরচসহ সকল প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণের। ফলে ফসল উৎপাদনে কৃষকের ব্যয় হচ্ছে বাড়তি মূলধনের।

বর্তমানে মাঠপর্যায়ের একজন কৃষকের ফসল উৎপাদনে খরচ বেড়েছে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় কয়েকগুণ। ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষক কে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে কীটনাশক, সার, বীজ। বর্তমানে জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে উৎপাদন ব্যবস্থায় বেড়েছে পানি সেচের বাড়তি খরচ। সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষক কৃত্রিম সেচ দিয়ে ফসল উৎপাদন করতে বাধ্য হচ্ছে। বেড়েছে কৃষিকাজের সাথে সম্পৃক্ত শ্রমিকের দৈনিক মজুরি। তাছাড়া বর্তমানে ফসলের বিভিন্ন নিত্য নতুন রোগের আক্রমণে অনেক সময় কাক্সিক্ষত উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। ফলে কৃষককে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে একজন কৃষক এতো কষ্টের শিকার হওয়ার পরেও বাজারে পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না।

বর্তমানে বাজার ব্যবস্থা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি। ফলে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য পাইকারী বাজারে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারছেন না। পরিশ্রম ও উৎপাদন খরচের তুলনায় কৃষক পাচ্ছেন তুলনামূলক কম মূল। কিন্তু কৃষকের কাছে থেকে ক্রয় করা কম মূল্যের পণ্য পরবর্তীতে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা ভোক্তা পর্যায়ে কয়েকগুণ বাড়তি মূল্যে বিক্রি করছেন।

ফলে যে কৃষক দীর্ঘ দিন রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে বাড়তি দামে কৃষি উপকরণ কিনে ফসল উৎপাদন করলেন তিনিই পাচ্ছে নামমাত্র মূল। আর মাঝে খানে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা কৃষকের দুর্বলতাকে পুঁজি বানিয়ে নামমাত্র মূল্যে পণ্য ক্রয় করে হাতিয়ে নিচ্ছেন বাড়তি মুনাফা। ফলে কৃষিক দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছেন ফসল উৎপাদনে।

সিন্ডিকেট ব্যবসার ফলে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় দেশের কৃষক অনেক ফসল উৎপাদন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ফলে দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা থাকার পরেও পর্যাপ্ত উৎপাদন না থাকায় প্রতি বছর দেখা দিচ্ছে নিত্যনতুন কৃষি পণ্যের বাজার চাহিদা।

কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে বাজার ব্যবস্থায় দ্রুত সংস্কার ও বিশেষ নজর দেওয়া সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষক পণ্যের ন্যায্যমূল্য পেলে ফসল উৎপাদনে কৃষকের আগ্রহ বাড়বে। ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে গতিশীল হবে দেশের অর্থনীতি। তাই কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ। পূর্ণতা পাবে দেশের শতভাগ খাদ্য চাহিদা।

মুজাহিদুল ইসলাম

ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ

back to top