alt

পাঠকের চিঠি

কক্সবাজারগামী ট্রেনের লাকসাম জংশনে যাত্রাবিরতি চাই

: বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকেই লাকসামবাসী অপেক্ষা করে আছেন যে, তাদের গুরুত্বপূর্ণ লাকসাম জংশনে কক্সবাজারগামী ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা করা হবে। এই কেন্দ্রটি শুধু কুমিল্লা জেলারই নয়, বরং নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষের যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ফলে লাকসামে কক্সবাজারগামী ট্রেনের যাত্রা বিরতি থাকলে উপকৃৃত হবে শুধুমাত্র লাকসামবাসীই নয়, বরং আশপাশের বহু মানুষ যারা সহজে ও সাশ্রয়ে কক্সবাজার যাতায়াতের সুযোগ পাবে। লাকসাম জংশনটি একটি বিশেষ কেন্দ্রীয় সংযোগস্থল হওয়ায়, এটি নোয়াখালী, চাঁদপুর এবং কুমিল্লার মানুষদের একত্রে ভ্রমণের সুযোগ দেয়।

বর্তমানে লাকসাম জংশন থেকে কক্সবাজার সরাসরি যাত্রার কোনো ব্যবস্থা না থাকায়, এসব এলাকার মানুষ কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ঢাকায় এসে ট্রেনে উঠতে বাধ্য হন। এতে তাদের ভ্রমণের সময় ও অর্থ অতিরিক্ত ব্যয় হয়। যদি লাকসামে কক্সবাজারগামী ট্রেনের একটি যাত্রাবিরতি রাখা হয়, তবে এসব অঞ্চলের মানুষ সহজে লাকসাম থেকেই সরাসরি কক্সবাজারে যেতে পারবেন। এটি শুধুমাত্র যাত্রীদের সুবিধাই বাড়াবে না, রেলওয়ের জন্যও এটি হবে একটি লাভজনক পদক্ষেপ। বর্তমানে পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় কক্সবাজারগামী ট্রেনগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। লাকসামে যাত্রাবিরতি থাকলে, এই অঞ্চলের মানুষ ট্রেন ব্যবহারে আরও উৎসাহী হবেন, যা কক্সবাজারগামী ট্রেনগুলোর যাত্রী সংখ্যা বাডড়য়ে তুলবে এবং আর্থিক ক্ষতি কমাতে সহায়ক হবে।

প্রতিদিন লাকসাম, নোয়াখালী, চাঁদপুর এবং কুমিল্লার হাজারও মানুষ বিভিন্ন কাজ এবং পর্যটনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ভ্রমণ করেন। তাদের সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ থাকলে, কক্সবাজারগামী ট্রেনের জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পাবে। রেলওয়ের জন্য এ সিদ্ধান্ত একটি বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ হতে পারে। কেননা বৃহৎ সংখ্যক যাত্রী লাকসাম জংশনে যাত্রা বিরতির সুবিধা পেলে রেলওয়ের আয় বৃদ্ধি পাবে, যা কক্সবাজারগামী ট্রেনগুলোকে লোকসান থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে রেলওয়ের টিকিট বিক্রয়ের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি পর্যটন এবং স্থানীয় অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে। লাকসাম এবং এর আশপাশের মানুষ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে এই দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের জন্য আবেদন জানাচ্ছে, যাতে এ গুরুত্বপূর্ণ সংযোগটি আরও কার্যকর ও লাভজনক করা যায়।

ইব্রাহিম খলিল জসিম

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা : স্বপ্ন নাকি মৃত্যুর ফাঁদ?

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

tab

পাঠকের চিঠি

কক্সবাজারগামী ট্রেনের লাকসাম জংশনে যাত্রাবিরতি চাই

বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকেই লাকসামবাসী অপেক্ষা করে আছেন যে, তাদের গুরুত্বপূর্ণ লাকসাম জংশনে কক্সবাজারগামী ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা করা হবে। এই কেন্দ্রটি শুধু কুমিল্লা জেলারই নয়, বরং নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষের যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ফলে লাকসামে কক্সবাজারগামী ট্রেনের যাত্রা বিরতি থাকলে উপকৃৃত হবে শুধুমাত্র লাকসামবাসীই নয়, বরং আশপাশের বহু মানুষ যারা সহজে ও সাশ্রয়ে কক্সবাজার যাতায়াতের সুযোগ পাবে। লাকসাম জংশনটি একটি বিশেষ কেন্দ্রীয় সংযোগস্থল হওয়ায়, এটি নোয়াখালী, চাঁদপুর এবং কুমিল্লার মানুষদের একত্রে ভ্রমণের সুযোগ দেয়।

বর্তমানে লাকসাম জংশন থেকে কক্সবাজার সরাসরি যাত্রার কোনো ব্যবস্থা না থাকায়, এসব এলাকার মানুষ কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ঢাকায় এসে ট্রেনে উঠতে বাধ্য হন। এতে তাদের ভ্রমণের সময় ও অর্থ অতিরিক্ত ব্যয় হয়। যদি লাকসামে কক্সবাজারগামী ট্রেনের একটি যাত্রাবিরতি রাখা হয়, তবে এসব অঞ্চলের মানুষ সহজে লাকসাম থেকেই সরাসরি কক্সবাজারে যেতে পারবেন। এটি শুধুমাত্র যাত্রীদের সুবিধাই বাড়াবে না, রেলওয়ের জন্যও এটি হবে একটি লাভজনক পদক্ষেপ। বর্তমানে পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় কক্সবাজারগামী ট্রেনগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। লাকসামে যাত্রাবিরতি থাকলে, এই অঞ্চলের মানুষ ট্রেন ব্যবহারে আরও উৎসাহী হবেন, যা কক্সবাজারগামী ট্রেনগুলোর যাত্রী সংখ্যা বাডড়য়ে তুলবে এবং আর্থিক ক্ষতি কমাতে সহায়ক হবে।

প্রতিদিন লাকসাম, নোয়াখালী, চাঁদপুর এবং কুমিল্লার হাজারও মানুষ বিভিন্ন কাজ এবং পর্যটনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ভ্রমণ করেন। তাদের সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ থাকলে, কক্সবাজারগামী ট্রেনের জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পাবে। রেলওয়ের জন্য এ সিদ্ধান্ত একটি বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ হতে পারে। কেননা বৃহৎ সংখ্যক যাত্রী লাকসাম জংশনে যাত্রা বিরতির সুবিধা পেলে রেলওয়ের আয় বৃদ্ধি পাবে, যা কক্সবাজারগামী ট্রেনগুলোকে লোকসান থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে রেলওয়ের টিকিট বিক্রয়ের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি পর্যটন এবং স্থানীয় অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে। লাকসাম এবং এর আশপাশের মানুষ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে এই দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের জন্য আবেদন জানাচ্ছে, যাতে এ গুরুত্বপূর্ণ সংযোগটি আরও কার্যকর ও লাভজনক করা যায়।

ইব্রাহিম খলিল জসিম

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

back to top