alt

পাঠকের চিঠি

অতিথি পাখি শিকার নয়

: বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ঋতুচক্রের আবর্তনে আমাদের দেশে শীত আসে কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে। শীতকালের আগমন ঘটার সঙ্গে নিয়ে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি। আমাদের দেশে অতিথি পাখিরা আসে উত্তর মেরু থেকে। সাইবেরিয়া, উত্তর ইউরোপ, হিমালয় পর্বত, অস্ট্রেলিয়া, এন্টার্কটিকাসহ অনেক অঞ্চলে অপমাত্রা মাইনাস শূন্য ডিগ্রিতে নেমে আসলে তখন সেগুলোতে প্রচ- খাদ্যাভাব দেখা দেয়। তীব্র শীতে পাখির দেহ থেকে পালক খসে পড়ে। প্রকৃতি যখন পাখিদের জীবনধারনের জন্য অনুকূলে থাকে না, তখন নাতিশীতোষ্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এসব পাখিদের গ্রহণ করে নেয় অতিথি পাখি হিসেবে। পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি পাখি আসে বাংলাদেশে।

কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং শিকারিরা ফাঁদ ও জাল তৈরি করে রাখেন শীতের আগে থেকে। গুলি করে, বিষ টোপ ব্যাবহার করে, জাল পেতে আরো বিভিন্ন উপায়ে তারা শিকার করে থাকে এসব অতিথি পাখি। শীতকালে বাজারে প্রকাশ্যে অতিথি পাখি বিক্রি করতে দেখা যায়। অসাধু ব্যক্তিরা সর্বোচ্চ মূল্যে এসব পাখি বিক্রি করে থাকেন। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দন্ডে দ-িত। অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছরের জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ের বিধান রয়েছে।

কিন্তু দুঃখজনক হলো বাস্তবে এই আইনের কোনো প্রয়োগ দেখা যায় না। ফলে অসাধু মানুষেরা নির্বিচারে পাখি শিকার করেই যাচ্ছে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমাদের মত সাধারণ মানুষদের সচেতনতাই বন্ধ করতে পারে অতিথি পাখি শিকার। জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে পশুপাখি, জীবজন্তুসহ সব প্রাণীর প্রতি সদাচার করা উচিত। যেসব এলাকায় অতিথি পাখি আসে, সেসবাই এলাকায় অতিথি পাখি নিধন সম্বন্ধে সচেতনতামূলক সভা করতে হবে এবং পরিবেশবাদী সংগঠনকে শিকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। যেসব অসাধু মানুষ পাখি শিকার করে এবং বিক্রয় করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুয়ায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অতিথি পাখির অবদান রয়েছে। অতিথি পাখি অতিথিদের মতোই তাই তাদের সঙ্গে অতিথিদের মতোই আচরণ করতে হবে। এরা আমাদের সম্পদ। তাই অতিথি পাখি শিকার নয় বরং তাদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল তৈরি করা এবং অতিথি পাখির প্রতি মানবিক হওয়া জরুরি।

অনিন্দীতা দাস

শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা : স্বপ্ন নাকি মৃত্যুর ফাঁদ?

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

tab

পাঠকের চিঠি

অতিথি পাখি শিকার নয়

বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ঋতুচক্রের আবর্তনে আমাদের দেশে শীত আসে কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে। শীতকালের আগমন ঘটার সঙ্গে নিয়ে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি। আমাদের দেশে অতিথি পাখিরা আসে উত্তর মেরু থেকে। সাইবেরিয়া, উত্তর ইউরোপ, হিমালয় পর্বত, অস্ট্রেলিয়া, এন্টার্কটিকাসহ অনেক অঞ্চলে অপমাত্রা মাইনাস শূন্য ডিগ্রিতে নেমে আসলে তখন সেগুলোতে প্রচ- খাদ্যাভাব দেখা দেয়। তীব্র শীতে পাখির দেহ থেকে পালক খসে পড়ে। প্রকৃতি যখন পাখিদের জীবনধারনের জন্য অনুকূলে থাকে না, তখন নাতিশীতোষ্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এসব পাখিদের গ্রহণ করে নেয় অতিথি পাখি হিসেবে। পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি পাখি আসে বাংলাদেশে।

কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং শিকারিরা ফাঁদ ও জাল তৈরি করে রাখেন শীতের আগে থেকে। গুলি করে, বিষ টোপ ব্যাবহার করে, জাল পেতে আরো বিভিন্ন উপায়ে তারা শিকার করে থাকে এসব অতিথি পাখি। শীতকালে বাজারে প্রকাশ্যে অতিথি পাখি বিক্রি করতে দেখা যায়। অসাধু ব্যক্তিরা সর্বোচ্চ মূল্যে এসব পাখি বিক্রি করে থাকেন। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দন্ডে দ-িত। অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছরের জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ের বিধান রয়েছে।

কিন্তু দুঃখজনক হলো বাস্তবে এই আইনের কোনো প্রয়োগ দেখা যায় না। ফলে অসাধু মানুষেরা নির্বিচারে পাখি শিকার করেই যাচ্ছে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমাদের মত সাধারণ মানুষদের সচেতনতাই বন্ধ করতে পারে অতিথি পাখি শিকার। জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে পশুপাখি, জীবজন্তুসহ সব প্রাণীর প্রতি সদাচার করা উচিত। যেসব এলাকায় অতিথি পাখি আসে, সেসবাই এলাকায় অতিথি পাখি নিধন সম্বন্ধে সচেতনতামূলক সভা করতে হবে এবং পরিবেশবাদী সংগঠনকে শিকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। যেসব অসাধু মানুষ পাখি শিকার করে এবং বিক্রয় করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুয়ায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অতিথি পাখির অবদান রয়েছে। অতিথি পাখি অতিথিদের মতোই তাই তাদের সঙ্গে অতিথিদের মতোই আচরণ করতে হবে। এরা আমাদের সম্পদ। তাই অতিথি পাখি শিকার নয় বরং তাদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল তৈরি করা এবং অতিথি পাখির প্রতি মানবিক হওয়া জরুরি।

অনিন্দীতা দাস

শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ

back to top