alt

পাঠকের চিঠি

ডে-কেয়ার সেন্টার

: বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বর্তমান বাংলাদেশে কর্মজীবী মায়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগের তুলনায় এখন বেশিরভাগ মা তাদের পেশাগত জীবন চালিয়ে যেতে চান, পাশাপাশি সন্তানদেরও ভালোভাবে গড়ে তুলতে চান। এর ফলে ডে কেয়ার সেন্টার-এর চাহিদা বাড়ছে। যা এক নতুন প্রজন্মের প্রয়োজনীয়তা হিসেবে দেখা দিয়েছে।

ডে কেয়ার সেবা কর্মজীবী মায়েদের জন্য এক বিপুল সুবিধা হিসেবে কাজ করে। তাদের সন্তানদের যতœ নেয়ার জন্য বাড়িতে একজন নানী, দাদি বা অন্য কোনো সদস্যের উপর নির্ভর করার বদলে তারা এই সেন্টারগুলোর মাধ্যমে সন্তানের জন্য নিরাপদ, শিক্ষামূলক এবং পরিপূর্ণ পরিবেশ পাবেন। কিন্তু আমাদের দেশে ডে কেয়ারের প্রচলন খুব কম থাকায় নারীরা অনেক সময় ইচ্ছে থাকার পরেও চাকরি করতে পারেন না। নয়তো কারো উপর নির্ভরশীল হতে হয়, এতে করে যার উপর নির্ভরশীল থাকছে তার অনেক প্রেশার হয়ে যায়। তাছাড়া বাচ্চা দেখাশোনা করার জন্য বাড়িতে আলাদা লোক রাখলে দেখা যায় বাচ্চা ঠিকমতো যতœ পায় না, বরং বাচ্চা মানসিকভাবে নানা প্রকার ভয়-ভীতির স্বীকার হয়। তাই বাংলাদেশে উচিত বিদেশের মতো সব জায়গায় ডে-কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলা। ঢাকার বিভিন্ন শহরে ডে-কেয়ারের প্রচলন দেখা যাচ্ছে। তবে এর ব্যয় একটু বেশি হওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবার এই সুযোগ নিতে পারছে না। শহুরে জীবনযাপনে মা-বাবারা কর্মক্ষেত্রে প্রায় ৮-১০ ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন। এই সময়ের মধ্যে সন্তানদের সঠিক যতœ ও শিক্ষার ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচিত দেশের সব সেক্টরে ডে-কেয়ার সেবা গড়ে তোলার চেষ্টা করা।

বাংলাদেশে কর্মজীবী মায়েদের সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের জন্য উপযুক্ত ডে-কেয়ার সেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা হয়ে উঠেছে। একটি নিরাপদ এবং শিক্ষামূলক পরিবেশে সন্তানদের যতœ নেয়া শুধু পরিবারের জন্য নয়, বরং দেশটির সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের উচিত ডে-কেয়ার সিস্টেমের উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণ এবং কর্মীদের প্রশিক্ষু প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করা। যাতে শিশুদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করা যায়। এটা নতুন প্রজন্মের জন্য একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, যা বাংলাদেশের সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।

শায়লা শারমিন মীরা

শিক্ষার্থী, জাপানিজ স্টাডিজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

মানুষের দাবি ও জনদুর্ভোগ

ছবি

মেট্রোরেল স্টেশনে বিড়ম্বনা কেন?

ট্রেন চলাচল বন্ধ : সংকট সমাধানে আলোচনা করতে হবে

ছবি

খেলার মাঠের অভাবে শিশুর মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে

ল্যাম্পপোস্ট মেরামত করুন

পর্যটকদের নিরাপত্তা

শীতে গরম পানি ব্যবহার করা ও আগুন পোহাতে সচেতন হতে হবে

ছিন্নমূল শীতার্তদের দিকে নজর দেয়া উচিত

ছবি

রোজায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে এখন থেকেই ব্যবস্থা নিন

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা জরুরি

ছাত্র সংসদ চালু করা এখন সময়ের দাবি

রেলপথের অনেক সিগন্যালেরই আয়ূষ্কাল শেষ

ছবি

ভোজ্যতেলের বাজারে তদারকি প্রয়োজন

ছবি

সড়কে বেপরোয়া বাইক

বেকারত্বের ফাঁদ

ভূমিকম্প মোকাবিলায় কি আমরা প্রস্তুত

জাল নোট

ছবি

এইচএমপিভি সংক্রমণ : আতঙ্ক নয়, সচেতনতার প্রয়োজন

ছবি

অপরিকল্পিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি

মুন্সীগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম

ছবি

এনসিটিবির হাতে ‘গাছের পাতা’ ছেঁড়া হলো

কঠিন অধ্যবসায়, সাবলীল জীবন

উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে ভ্যাটের বোঝা

বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের বাড়াবাড়ি

যমজ সন্তান ভর্তিতে ভোগান্তি

পাবলিক লাইব্রেরি সমৃদ্ধ করুন

tab

পাঠকের চিঠি

ডে-কেয়ার সেন্টার

বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বর্তমান বাংলাদেশে কর্মজীবী মায়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগের তুলনায় এখন বেশিরভাগ মা তাদের পেশাগত জীবন চালিয়ে যেতে চান, পাশাপাশি সন্তানদেরও ভালোভাবে গড়ে তুলতে চান। এর ফলে ডে কেয়ার সেন্টার-এর চাহিদা বাড়ছে। যা এক নতুন প্রজন্মের প্রয়োজনীয়তা হিসেবে দেখা দিয়েছে।

ডে কেয়ার সেবা কর্মজীবী মায়েদের জন্য এক বিপুল সুবিধা হিসেবে কাজ করে। তাদের সন্তানদের যতœ নেয়ার জন্য বাড়িতে একজন নানী, দাদি বা অন্য কোনো সদস্যের উপর নির্ভর করার বদলে তারা এই সেন্টারগুলোর মাধ্যমে সন্তানের জন্য নিরাপদ, শিক্ষামূলক এবং পরিপূর্ণ পরিবেশ পাবেন। কিন্তু আমাদের দেশে ডে কেয়ারের প্রচলন খুব কম থাকায় নারীরা অনেক সময় ইচ্ছে থাকার পরেও চাকরি করতে পারেন না। নয়তো কারো উপর নির্ভরশীল হতে হয়, এতে করে যার উপর নির্ভরশীল থাকছে তার অনেক প্রেশার হয়ে যায়। তাছাড়া বাচ্চা দেখাশোনা করার জন্য বাড়িতে আলাদা লোক রাখলে দেখা যায় বাচ্চা ঠিকমতো যতœ পায় না, বরং বাচ্চা মানসিকভাবে নানা প্রকার ভয়-ভীতির স্বীকার হয়। তাই বাংলাদেশে উচিত বিদেশের মতো সব জায়গায় ডে-কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলা। ঢাকার বিভিন্ন শহরে ডে-কেয়ারের প্রচলন দেখা যাচ্ছে। তবে এর ব্যয় একটু বেশি হওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবার এই সুযোগ নিতে পারছে না। শহুরে জীবনযাপনে মা-বাবারা কর্মক্ষেত্রে প্রায় ৮-১০ ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন। এই সময়ের মধ্যে সন্তানদের সঠিক যতœ ও শিক্ষার ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচিত দেশের সব সেক্টরে ডে-কেয়ার সেবা গড়ে তোলার চেষ্টা করা।

বাংলাদেশে কর্মজীবী মায়েদের সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের জন্য উপযুক্ত ডে-কেয়ার সেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা হয়ে উঠেছে। একটি নিরাপদ এবং শিক্ষামূলক পরিবেশে সন্তানদের যতœ নেয়া শুধু পরিবারের জন্য নয়, বরং দেশটির সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের উচিত ডে-কেয়ার সিস্টেমের উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণ এবং কর্মীদের প্রশিক্ষু প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করা। যাতে শিশুদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করা যায়। এটা নতুন প্রজন্মের জন্য একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, যা বাংলাদেশের সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।

শায়লা শারমিন মীরা

শিক্ষার্থী, জাপানিজ স্টাডিজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

back to top