alt

পাঠকের চিঠি

বাণিজ্য মুক্ত হোক সান্ধ্যকোর্স

: বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের মোট শিক্ষার্থীর একটি বৃহৎ অংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় না। তাই বলে এই বৃহৎ সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং কর্মরত জনগণ কে কোনো ভাবেই তাদের কাক্সিক্ষত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করার প্রশ্ন বা যুক্তি আসে না। তবে অনেকেই বলবেন, এক্ষেত্রে দিবাকোর্সের শিক্ষার্থীদের অভাবনীয় ক্ষতি পূরণের দায়িত্ব কে নিবে? হ্যাঁ এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরি কমিশনের একটি নায্য আইন প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যদি সামান্য অর্থের লোভ থেকে নিজেকে সামলাতে না পারেন, সান্ধকোর্সের পার্টটাইম কে ফুলটাইম করে তোলেন কিংবা এখানে সেখানে পড়ান তাহলে সেই শিক্ষক তার মানবিক জীবনে পঙ্গু এবং অকিঞ্চিৎকর মানসিকতায় উপবিষ্ট হবেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শিক্ষকের কাছ থেকে কখনই আশা করা কাম্য নয়।

শিক্ষকরা যাতে কোনো ভাবেই সান্ধ্যকোর্সের অর্থের লোভে ঝুঁকতে না পারে সেক্ষেত্রে একটি রাষ্ট্রীয় নীতিমালা এখন সময়ের দাবি। আর সান্ধ্যকালীন কোর্সের নামে রমরমা বাণিজ্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর হাতে বন্ধ করা উচিত। এই বাণিজ্য শিক্ষাকে কলুষিত করে, প্রশ্নবিদ্ধ করে। দেশ যখন স্বাধীনতার জোয়ারে ভাসছে তখন কেন টাকা দিয়ে শিক্ষা কিনতে হবে? সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা অবশ্যই নামমাত্র মূল্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। সকল শ্রেণীর সব শিক্ষার্থী তাদের কাক্সিক্ষত ডিগ্রি, উচ্চতর পড়াশোনা ও ভাষা শিক্ষা অর্জনের সুযোগ সুবিধা পাবে। কারণ দেশে বহু বিচিত্র বিষয়ের শিক্ষার্থী আছেন তাদের প্রয়োজন ও পেশাদারিত্বের তাগিদে সান্ধ্যকোর্সের একটি ডিগ্রি রাষ্ট্রকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু সান্ধকোর্সে ভর্তির যে বিশাল টাকার অংক তা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য স্বপ্নভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া সান্ধ্যকোর্স এখন বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নির্দিষ্ট ইন্সটিটিউট থাকবে সেখানে সান্ধ্যকোর্স চালু থাকবে। যাতে দিবা কোর্সের শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি না হয়। সান্ধ্যকোর্স কে বাদ দিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই যৌক্তিক হতে পারে না কারণ সান্ধ্যকোর্সের মাধ্যমে চাহিদাবান শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ে উঠছে।

ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়

শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

মানুষের দাবি ও জনদুর্ভোগ

ছবি

মেট্রোরেল স্টেশনে বিড়ম্বনা কেন?

ট্রেন চলাচল বন্ধ : সংকট সমাধানে আলোচনা করতে হবে

ছবি

খেলার মাঠের অভাবে শিশুর মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে

ল্যাম্পপোস্ট মেরামত করুন

পর্যটকদের নিরাপত্তা

শীতে গরম পানি ব্যবহার করা ও আগুন পোহাতে সচেতন হতে হবে

ছিন্নমূল শীতার্তদের দিকে নজর দেয়া উচিত

ছবি

রোজায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে এখন থেকেই ব্যবস্থা নিন

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা জরুরি

ছাত্র সংসদ চালু করা এখন সময়ের দাবি

রেলপথের অনেক সিগন্যালেরই আয়ূষ্কাল শেষ

ছবি

ভোজ্যতেলের বাজারে তদারকি প্রয়োজন

ছবি

সড়কে বেপরোয়া বাইক

বেকারত্বের ফাঁদ

ভূমিকম্প মোকাবিলায় কি আমরা প্রস্তুত

জাল নোট

ছবি

এইচএমপিভি সংক্রমণ : আতঙ্ক নয়, সচেতনতার প্রয়োজন

ছবি

অপরিকল্পিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি

মুন্সীগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম

ছবি

এনসিটিবির হাতে ‘গাছের পাতা’ ছেঁড়া হলো

কঠিন অধ্যবসায়, সাবলীল জীবন

উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে ভ্যাটের বোঝা

বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের বাড়াবাড়ি

যমজ সন্তান ভর্তিতে ভোগান্তি

পাবলিক লাইব্রেরি সমৃদ্ধ করুন

tab

পাঠকের চিঠি

বাণিজ্য মুক্ত হোক সান্ধ্যকোর্স

বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের মোট শিক্ষার্থীর একটি বৃহৎ অংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় না। তাই বলে এই বৃহৎ সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং কর্মরত জনগণ কে কোনো ভাবেই তাদের কাক্সিক্ষত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করার প্রশ্ন বা যুক্তি আসে না। তবে অনেকেই বলবেন, এক্ষেত্রে দিবাকোর্সের শিক্ষার্থীদের অভাবনীয় ক্ষতি পূরণের দায়িত্ব কে নিবে? হ্যাঁ এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরি কমিশনের একটি নায্য আইন প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যদি সামান্য অর্থের লোভ থেকে নিজেকে সামলাতে না পারেন, সান্ধকোর্সের পার্টটাইম কে ফুলটাইম করে তোলেন কিংবা এখানে সেখানে পড়ান তাহলে সেই শিক্ষক তার মানবিক জীবনে পঙ্গু এবং অকিঞ্চিৎকর মানসিকতায় উপবিষ্ট হবেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শিক্ষকের কাছ থেকে কখনই আশা করা কাম্য নয়।

শিক্ষকরা যাতে কোনো ভাবেই সান্ধ্যকোর্সের অর্থের লোভে ঝুঁকতে না পারে সেক্ষেত্রে একটি রাষ্ট্রীয় নীতিমালা এখন সময়ের দাবি। আর সান্ধ্যকালীন কোর্সের নামে রমরমা বাণিজ্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর হাতে বন্ধ করা উচিত। এই বাণিজ্য শিক্ষাকে কলুষিত করে, প্রশ্নবিদ্ধ করে। দেশ যখন স্বাধীনতার জোয়ারে ভাসছে তখন কেন টাকা দিয়ে শিক্ষা কিনতে হবে? সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা অবশ্যই নামমাত্র মূল্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। সকল শ্রেণীর সব শিক্ষার্থী তাদের কাক্সিক্ষত ডিগ্রি, উচ্চতর পড়াশোনা ও ভাষা শিক্ষা অর্জনের সুযোগ সুবিধা পাবে। কারণ দেশে বহু বিচিত্র বিষয়ের শিক্ষার্থী আছেন তাদের প্রয়োজন ও পেশাদারিত্বের তাগিদে সান্ধ্যকোর্সের একটি ডিগ্রি রাষ্ট্রকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু সান্ধকোর্সে ভর্তির যে বিশাল টাকার অংক তা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য স্বপ্নভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া সান্ধ্যকোর্স এখন বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নির্দিষ্ট ইন্সটিটিউট থাকবে সেখানে সান্ধ্যকোর্স চালু থাকবে। যাতে দিবা কোর্সের শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি না হয়। সান্ধ্যকোর্স কে বাদ দিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই যৌক্তিক হতে পারে না কারণ সান্ধ্যকোর্সের মাধ্যমে চাহিদাবান শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ে উঠছে।

ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়

শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ

back to top