alt

পাঠকের চিঠি

নিজের স্বপ্ন অন্যের ওপর চাপিয়ে দেবেন না

: বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

স্বপ্ন এক তীব্র আকাক্সক্ষার নাম, প্রাপ্তির ইচ্ছা। প্রত্যেক মানুষেরই স্বপ্ন থাকে, ইচ্ছে থাকে এবং সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে সে এগিয়ে যেতে চায়। কিন্তু আমাদের সমাজে এক সাধারণ প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, তা হলো বাবা-মা বা পরিবারের চাহিদা এবং ইচ্ছেগুলো সন্তানদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়।

খুব কম ক্ষেত্রেই সন্তানের নিজস্ব ইচ্ছে ও স্বপ্নকে প্রাধান্য দেয়া হয়। এটি অনেক সময় সন্তানের মনোবল এবং আত্মবিশ্বাসের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যার ফলস্বরূপ তাদের স্বপ্নের মৃত্যু ঘটে। প্রথমেই বলি, সন্তানদের স্বপ্ন দেখা একটি প্রাকৃতিক এবং মৌলিক অধিকার। প্রতিটি মানুষেরই কিছু না কিছু স্বপ্ন থাকে, যা তাকে এগিয়ে নিয়ে যায়, তার মনোবলকে শক্তিশালী করে। কিন্তু যখন বাবা-মা বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাদের ইচ্ছে সন্তানের উপর চাপিয়ে দেন, তখন সন্তানের নিজস্ব পথ খোঁজা দুরূহ হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে তারা নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে চলতে বাধ্য হয় এবং নিজের স্বপ্নের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে। এতে যেমন ব্যক্তিত্বের সংকট তৈরি হয়, তেমনই তাদের ভবিষ্যতেও বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে।

কারণ, একজন ব্যক্তি যদি নিজের ইচ্ছের বিপরীতে কিছু করতে থাকে, তবে তার মধ্যে নিজের প্রতি আস্থা এবং মানসিক শান্তি থাকবে না। সেই সঙ্গে তার কর্মক্ষমতা এবং সফলতা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। এমনকি অনেক সময় দেখা যায়, সন্তানদের যে কাজের প্রতি আগ্রহ, সেটা একেবারেই অবমূল্যায়িত হয়। বাবা-মা তাদের সন্তানের শখ বা আকাক্সক্ষাকে ‘অবাস্তব’ কিংবা ‘অপরিপক্ব’ মনে করেন। কিন্তু, এই অবমূল্যায়ন তাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা সৃষ্টি করতে পারে, যা পরবর্তীতে তাদের জীবনকে কঠিন করে তোলে। তারা পরবর্তীতে ভাবতে শুরু করে, আমি কি কখনো সফল হতে পারব? কিংবা আমার স্বপ্ন কি সত্যিই বাস্তবায়িত হতে পারে?

অথচ, যদি বাবা-মা বা পরিবার সঠিকভাবে সন্তানদের স্বপ্নকে শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির সঙ্গে গ্রহণ করতেন, তাদের স্বপ্নের প্রতি আগ্রহ বাড়াতেন, তাহলে তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে নিজেদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতেন। তাদের স্বপ্নের প্রতি সমর্থন জানানো, সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়া এবং প্রয়োজনীয় সমর্থন প্রদান করা, একটি সন্তানের জীবনে অমূল্য ভূমিকা পালন করতে পারে। সন্তানের স্বপ্নের পথকে পরিপূর্ণভাবে নিজেদের ইচ্ছের থেকে মুক্ত রাখাই শ্রেষ্ঠ। সঠিকভাবে সন্তানদের তাদের স্বপ্নের পথ অনুসরণ করতে সাহায্য করলে, তারা একদিন সফল এবং প্রভাবশালী হতে পারবে। তবে, তার জন্য প্রথমে তাদের ইচ্ছেগুলোকে সম্মান জানানো উচিত। অতএব, আমাদের সমাজে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন প্রয়োজন যেখানে শিশুরা স্বপ্ন দেখবে এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাবে। স্বপ্ন পূরণের পথে ব্যর্থতা আসতেই পারে তাই বলে তাকে নিরুৎসাহিত করা যাবে না। বরং তাকে মানসিক সমর্থন যোগান এবং তাকে নতুন উদ্যমে শুরু করতে উৎসাহ প্রদান করুন। তাদের স্বপ্নের মৃত্যু যেন না ঘটে, সেজন্য বাবা-মা এবং সমাজকে তাদের স্বপ্নের প্রতি সমর্থন জানানো খুবই জরুরি।

শহিদুজ্জামান শাকিল

ঢাকা কলেজ।

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা : স্বপ্ন নাকি মৃত্যুর ফাঁদ?

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

tab

পাঠকের চিঠি

নিজের স্বপ্ন অন্যের ওপর চাপিয়ে দেবেন না

বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

স্বপ্ন এক তীব্র আকাক্সক্ষার নাম, প্রাপ্তির ইচ্ছা। প্রত্যেক মানুষেরই স্বপ্ন থাকে, ইচ্ছে থাকে এবং সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে সে এগিয়ে যেতে চায়। কিন্তু আমাদের সমাজে এক সাধারণ প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, তা হলো বাবা-মা বা পরিবারের চাহিদা এবং ইচ্ছেগুলো সন্তানদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়।

খুব কম ক্ষেত্রেই সন্তানের নিজস্ব ইচ্ছে ও স্বপ্নকে প্রাধান্য দেয়া হয়। এটি অনেক সময় সন্তানের মনোবল এবং আত্মবিশ্বাসের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যার ফলস্বরূপ তাদের স্বপ্নের মৃত্যু ঘটে। প্রথমেই বলি, সন্তানদের স্বপ্ন দেখা একটি প্রাকৃতিক এবং মৌলিক অধিকার। প্রতিটি মানুষেরই কিছু না কিছু স্বপ্ন থাকে, যা তাকে এগিয়ে নিয়ে যায়, তার মনোবলকে শক্তিশালী করে। কিন্তু যখন বাবা-মা বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাদের ইচ্ছে সন্তানের উপর চাপিয়ে দেন, তখন সন্তানের নিজস্ব পথ খোঁজা দুরূহ হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে তারা নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে চলতে বাধ্য হয় এবং নিজের স্বপ্নের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে। এতে যেমন ব্যক্তিত্বের সংকট তৈরি হয়, তেমনই তাদের ভবিষ্যতেও বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে।

কারণ, একজন ব্যক্তি যদি নিজের ইচ্ছের বিপরীতে কিছু করতে থাকে, তবে তার মধ্যে নিজের প্রতি আস্থা এবং মানসিক শান্তি থাকবে না। সেই সঙ্গে তার কর্মক্ষমতা এবং সফলতা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। এমনকি অনেক সময় দেখা যায়, সন্তানদের যে কাজের প্রতি আগ্রহ, সেটা একেবারেই অবমূল্যায়িত হয়। বাবা-মা তাদের সন্তানের শখ বা আকাক্সক্ষাকে ‘অবাস্তব’ কিংবা ‘অপরিপক্ব’ মনে করেন। কিন্তু, এই অবমূল্যায়ন তাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা সৃষ্টি করতে পারে, যা পরবর্তীতে তাদের জীবনকে কঠিন করে তোলে। তারা পরবর্তীতে ভাবতে শুরু করে, আমি কি কখনো সফল হতে পারব? কিংবা আমার স্বপ্ন কি সত্যিই বাস্তবায়িত হতে পারে?

অথচ, যদি বাবা-মা বা পরিবার সঠিকভাবে সন্তানদের স্বপ্নকে শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির সঙ্গে গ্রহণ করতেন, তাদের স্বপ্নের প্রতি আগ্রহ বাড়াতেন, তাহলে তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে নিজেদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতেন। তাদের স্বপ্নের প্রতি সমর্থন জানানো, সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়া এবং প্রয়োজনীয় সমর্থন প্রদান করা, একটি সন্তানের জীবনে অমূল্য ভূমিকা পালন করতে পারে। সন্তানের স্বপ্নের পথকে পরিপূর্ণভাবে নিজেদের ইচ্ছের থেকে মুক্ত রাখাই শ্রেষ্ঠ। সঠিকভাবে সন্তানদের তাদের স্বপ্নের পথ অনুসরণ করতে সাহায্য করলে, তারা একদিন সফল এবং প্রভাবশালী হতে পারবে। তবে, তার জন্য প্রথমে তাদের ইচ্ছেগুলোকে সম্মান জানানো উচিত। অতএব, আমাদের সমাজে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন প্রয়োজন যেখানে শিশুরা স্বপ্ন দেখবে এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাবে। স্বপ্ন পূরণের পথে ব্যর্থতা আসতেই পারে তাই বলে তাকে নিরুৎসাহিত করা যাবে না। বরং তাকে মানসিক সমর্থন যোগান এবং তাকে নতুন উদ্যমে শুরু করতে উৎসাহ প্রদান করুন। তাদের স্বপ্নের মৃত্যু যেন না ঘটে, সেজন্য বাবা-মা এবং সমাজকে তাদের স্বপ্নের প্রতি সমর্থন জানানো খুবই জরুরি।

শহিদুজ্জামান শাকিল

ঢাকা কলেজ।

back to top