alt

পাঠকের চিঠি

সংকটে ঘিওর স্বাস্থ্যকেন্দ্র

: বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চিকিৎসা সেবার সংকটে নিমজ্জিত। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান এবং যন্ত্রপাতির অভাবে ভুগছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। জনসাধারণের জন্য একটি মৌলিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান হয়েও এখানে রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সাত বছর ধরে অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম বন্ধ থাকা স্বাস্থ্য খাতের অযোগ্য ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকলেও টেকনিশিয়ান এবং আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের অভাবে এটি চালু করা সম্ভব হয়নি। এমনকি ২০১৯ সালে শল্যচিকিৎসার জন্য চারটি কক্ষ উদ্বোধন করা হলেও কর্মী ও যন্ত্রপাতির অভাবে এগুলোও অব্যবহৃত। একটি ৫০ শয্যার হাসপাতাল যেখানে ২৫টি পদের প্রয়োজন, সেখানে মাত্র ৮ জন কর্মরত, তাও চারজন ডেপুটেশনে। চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি এবং দায়িত্বহীনতার অভিযোগ এখানে রোগীদের আরও অসহায় করে তুলেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ সময়মতো অফিস করেন না এবং দায়িত্বের প্রতি উদাসীন। কেউ কেউ হাসপাতালের প্যাথলজিতে বসে ব্যক্তিগত রোগী দেখেন, যা সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি চরম উদাসীনতার পরিচায়ক। চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে এ ধরনের মনোভাব শুধু রোগীদের ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং সাধারণ মানুষের সরকারি সেবা ব্যবস্থার প্রতি আস্থাও নষ্ট করে।

পরীক্ষাগারের নোংরা পরিবেশ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে রোগীদের অধিকাংশ পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে যেতে হয়। মুমূর্ষু রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিশ্চিত না হওয়া এবং নবজাতকদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডের অভাব স্বাস্থ্যসেবার ন্যূনতম মান নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার প্রমাণ।

এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্য খাতের কাঠামোগত সংস্কার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। আমরা বলতে চাই, ঘিওর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং অনুপস্থিতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। অপারেশন থিয়েটারসহ অন্যান্য অব্যবহৃত সুযোগ-সুবিধা চালু করার জন্য দ্রুত টেকনিশিয়ান এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে হবে।

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা : স্বপ্ন নাকি মৃত্যুর ফাঁদ?

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

tab

পাঠকের চিঠি

সংকটে ঘিওর স্বাস্থ্যকেন্দ্র

বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চিকিৎসা সেবার সংকটে নিমজ্জিত। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান এবং যন্ত্রপাতির অভাবে ভুগছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। জনসাধারণের জন্য একটি মৌলিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান হয়েও এখানে রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সাত বছর ধরে অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম বন্ধ থাকা স্বাস্থ্য খাতের অযোগ্য ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকলেও টেকনিশিয়ান এবং আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের অভাবে এটি চালু করা সম্ভব হয়নি। এমনকি ২০১৯ সালে শল্যচিকিৎসার জন্য চারটি কক্ষ উদ্বোধন করা হলেও কর্মী ও যন্ত্রপাতির অভাবে এগুলোও অব্যবহৃত। একটি ৫০ শয্যার হাসপাতাল যেখানে ২৫টি পদের প্রয়োজন, সেখানে মাত্র ৮ জন কর্মরত, তাও চারজন ডেপুটেশনে। চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি এবং দায়িত্বহীনতার অভিযোগ এখানে রোগীদের আরও অসহায় করে তুলেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ সময়মতো অফিস করেন না এবং দায়িত্বের প্রতি উদাসীন। কেউ কেউ হাসপাতালের প্যাথলজিতে বসে ব্যক্তিগত রোগী দেখেন, যা সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি চরম উদাসীনতার পরিচায়ক। চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে এ ধরনের মনোভাব শুধু রোগীদের ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং সাধারণ মানুষের সরকারি সেবা ব্যবস্থার প্রতি আস্থাও নষ্ট করে।

পরীক্ষাগারের নোংরা পরিবেশ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে রোগীদের অধিকাংশ পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে যেতে হয়। মুমূর্ষু রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিশ্চিত না হওয়া এবং নবজাতকদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডের অভাব স্বাস্থ্যসেবার ন্যূনতম মান নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার প্রমাণ।

এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্য খাতের কাঠামোগত সংস্কার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। আমরা বলতে চাই, ঘিওর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং অনুপস্থিতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। অপারেশন থিয়েটারসহ অন্যান্য অব্যবহৃত সুযোগ-সুবিধা চালু করার জন্য দ্রুত টেকনিশিয়ান এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে হবে।

back to top