প্রকৃতিতে বসবাসের জন্য মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী হিসেবে কাজ করে বায়ু, যা মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান উৎস। অথচ সে বায়ুই আজ অসুস্থতায় কাতর হয়ে উঠেছে। বায়ুদূষণ হয়ে থাকে ইটের ভাটা, শিল্প কারখানার দূষণ, পরিবহনের ধোয়া, অসংগঠিত নগরায়ণ, গাছপালা, সবুজ এলাকা কমে যাওয়া এবং কেন্দ্রীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব এর ফলে। আর এর মাত্রা বাংলাদেশর প্রাণ, ঢাকা শহরে ব্যাপক বেশি। যা বিশ্বের ১২০ টি শহরের তুলনায় ঢাকা শহরে সবচেয়ে অধিক। ঢাকা শহরে অধিক পরিমাণে যান চলাচলের ফলে যানবাহন থেকে নির্গত ক্ষতিকারক ধোয়া বায়ু দূষণ করছে।
শিল্প কারখানার ধোঁয়া, ইটভাটার ধোঁয়া, প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন এবং বহুতল ভবনের ব্যবহৃত এসি থেকে নির্গত ফ্রেয়ন গ্যাস ওজোনস্তর কে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এছাড়াও এ দূষণের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও জলবায়ুর পরিবর্তন করে থাকে। ঢাকা অধিক ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ার ফলে বায়ু খুব দ্রুত দূষিত হয় পড়ছে যার ফলে ঢাকার বাসিন্দারা আক্রান্ত হচ্ছে এলার্জি, শ্বাসনালির সংক্রমণ, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী অবরোধক ফুসফুসীয় ব্যাধি,ফুসফুসিয় ক্যান্সার স্ট্রোক, আইকিউ স্কোর বা বুদ্ধ্যঙ্ক হ্রাস, মেধার দুর্বলতা এবং বিষণœতা নামক বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধিতে। কেউ কেউ আবার এসব ব্যাধিতে আক্রমণীয় হয়ে পরকালের যাত্রীও হচ্ছেন। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রায় ২,৭২,০০০ অকালমৃত্যু হচ্ছে।
বায়ু দূষণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নির্মাণ শিল্প ও যানবাহন খাতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে, বায়ু দূষণ রোধে সঠিক পরিকল্পনা ও প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য এবংপরিবেশ অধিদপ্তরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এর পাশাপাশি দূষণ দূরীকরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে, কঠোর আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সবুজায়ন গড়ে তুলতে হবে। বায়ুদূষণ দূরীকরণের লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট সময়ের দাবি।
জান্নাতুল মাওয়া (রিফাত)
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
প্রকৃতিতে বসবাসের জন্য মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী হিসেবে কাজ করে বায়ু, যা মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান উৎস। অথচ সে বায়ুই আজ অসুস্থতায় কাতর হয়ে উঠেছে। বায়ুদূষণ হয়ে থাকে ইটের ভাটা, শিল্প কারখানার দূষণ, পরিবহনের ধোয়া, অসংগঠিত নগরায়ণ, গাছপালা, সবুজ এলাকা কমে যাওয়া এবং কেন্দ্রীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব এর ফলে। আর এর মাত্রা বাংলাদেশর প্রাণ, ঢাকা শহরে ব্যাপক বেশি। যা বিশ্বের ১২০ টি শহরের তুলনায় ঢাকা শহরে সবচেয়ে অধিক। ঢাকা শহরে অধিক পরিমাণে যান চলাচলের ফলে যানবাহন থেকে নির্গত ক্ষতিকারক ধোয়া বায়ু দূষণ করছে।
শিল্প কারখানার ধোঁয়া, ইটভাটার ধোঁয়া, প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন এবং বহুতল ভবনের ব্যবহৃত এসি থেকে নির্গত ফ্রেয়ন গ্যাস ওজোনস্তর কে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এছাড়াও এ দূষণের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও জলবায়ুর পরিবর্তন করে থাকে। ঢাকা অধিক ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ার ফলে বায়ু খুব দ্রুত দূষিত হয় পড়ছে যার ফলে ঢাকার বাসিন্দারা আক্রান্ত হচ্ছে এলার্জি, শ্বাসনালির সংক্রমণ, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী অবরোধক ফুসফুসীয় ব্যাধি,ফুসফুসিয় ক্যান্সার স্ট্রোক, আইকিউ স্কোর বা বুদ্ধ্যঙ্ক হ্রাস, মেধার দুর্বলতা এবং বিষণœতা নামক বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধিতে। কেউ কেউ আবার এসব ব্যাধিতে আক্রমণীয় হয়ে পরকালের যাত্রীও হচ্ছেন। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রায় ২,৭২,০০০ অকালমৃত্যু হচ্ছে।
বায়ু দূষণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নির্মাণ শিল্প ও যানবাহন খাতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে, বায়ু দূষণ রোধে সঠিক পরিকল্পনা ও প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য এবংপরিবেশ অধিদপ্তরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এর পাশাপাশি দূষণ দূরীকরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে, কঠোর আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সবুজায়ন গড়ে তুলতে হবে। বায়ুদূষণ দূরীকরণের লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট সময়ের দাবি।
জান্নাতুল মাওয়া (রিফাত)
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ