গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের নতুন পাঠ্যবইয়ে গল্প-কবিতা, সংকলন এবং ছবি ও গ্রাফিতির মাধ্যমে নানাভাবে উঠে এসেছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কথা। এর মধ্যে নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দ থাকা একটি গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এর প্রতিবাদ জানিয়ে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামে একটি সংগঠন। আদিবাসী শব্দটি বাতিলসহ কয়েকটি দাবিতে এই সংগঠনের ব্যানারে গত রোববার ১২ জানুয়ারি ২০২৪ মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে।
একটি মব সংগঠনের অপব্যাখ্যা ও বর্ণবাদী দৃষ্টিকোণকে প্রাধান্য দিয়ে এনসিটিবির তাৎক্ষণিক আদিবাসী যুক্ত গ্রাফিতি সরিয়ে নেওয়া গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্নের সাথে প্রতারণা বটেই, পাশাপাশি বর্ণবাদী আচরণকে বর্ণবাদী দৃষ্টিকোণ সরাসরি উসকে দেয়। পাহাড় থেকে সমতল, আদিবাসী থেকে বাঙালি শিক্ষার্থীরা যে লড়াই লড়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে ঐক্যবদ্ধতা তৈরি করেছিল, যার প্রকাশ গ্রাফিতিতে তারা ফুটিয়ে তুলে, চিন্তায়, চেতনা ও মননে ধারণ করেছিল। সে লড়াইকে ধ্বংস ও সে একাত্মতাকে ধ্বংসের একটা যাত্রা এনসিটিবির মধ্যস্থতায় তথাকথিত ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ সংগঠনটি করেছে। এতে আদিবাসীদের প্রতি যে অদৃশ্য জেনোসাইড বাংলাদেশে চলছে, তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
সুতরাং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে হঠকারী এই সিদ্ধান্ত বাতিলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও অনতিবিলম্বে সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবনায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে স্বীকৃতির প্রস্তাব ও সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করুন। পাশাপাশি যে সকল বর্ণবাদী, চরমপন্থি সংগঠন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ব্যাখ্যা বিশৃঙ্খলভাবে তৈরি করছে এবং ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থা নিন।
মারুফ হাসান ভূঞা
ধানমন্ডি, ঢাকা
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের নতুন পাঠ্যবইয়ে গল্প-কবিতা, সংকলন এবং ছবি ও গ্রাফিতির মাধ্যমে নানাভাবে উঠে এসেছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কথা। এর মধ্যে নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দ থাকা একটি গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এর প্রতিবাদ জানিয়ে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামে একটি সংগঠন। আদিবাসী শব্দটি বাতিলসহ কয়েকটি দাবিতে এই সংগঠনের ব্যানারে গত রোববার ১২ জানুয়ারি ২০২৪ মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে।
একটি মব সংগঠনের অপব্যাখ্যা ও বর্ণবাদী দৃষ্টিকোণকে প্রাধান্য দিয়ে এনসিটিবির তাৎক্ষণিক আদিবাসী যুক্ত গ্রাফিতি সরিয়ে নেওয়া গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্নের সাথে প্রতারণা বটেই, পাশাপাশি বর্ণবাদী আচরণকে বর্ণবাদী দৃষ্টিকোণ সরাসরি উসকে দেয়। পাহাড় থেকে সমতল, আদিবাসী থেকে বাঙালি শিক্ষার্থীরা যে লড়াই লড়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে ঐক্যবদ্ধতা তৈরি করেছিল, যার প্রকাশ গ্রাফিতিতে তারা ফুটিয়ে তুলে, চিন্তায়, চেতনা ও মননে ধারণ করেছিল। সে লড়াইকে ধ্বংস ও সে একাত্মতাকে ধ্বংসের একটা যাত্রা এনসিটিবির মধ্যস্থতায় তথাকথিত ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ সংগঠনটি করেছে। এতে আদিবাসীদের প্রতি যে অদৃশ্য জেনোসাইড বাংলাদেশে চলছে, তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
সুতরাং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে হঠকারী এই সিদ্ধান্ত বাতিলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও অনতিবিলম্বে সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবনায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে স্বীকৃতির প্রস্তাব ও সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করুন। পাশাপাশি যে সকল বর্ণবাদী, চরমপন্থি সংগঠন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ব্যাখ্যা বিশৃঙ্খলভাবে তৈরি করছে এবং ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থা নিন।
মারুফ হাসান ভূঞা
ধানমন্ডি, ঢাকা