alt

পাঠকের চিঠি

বেকারত্বের ফাঁদ

: বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

বেকারত্বের সমস্যা আজ বাংলাদেশের তরুণ সমাজের জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। বেশিরভাগ মানুষ হলো শিক্ষিত বেকার। এর জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ী থাকে মানুষের বিসিএসকেন্দ্রিক মনোভাব। এই বিসিএসের চাহিদা ক্রমশ তরুণদের জীবনকে এখরোখা পথে নিয়ে যাচ্ছে; যা কেবল বেকারত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

একটি মানুষ পড়াশোনা করে জীবনের অনেকটা সময় ধরে তারপর চাকরির প্রস্তুতি নেয়; কিন্তু এত পড়াশোনা করেও তবু তারা চাকরি পায় না কেন? কেননা বেশিরভাগ শিক্ষার্থী উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার সময় ঠিক করে ফেলে যে তাদের লক্ষ্য হবে বিসিএস; যার ফলে সে শুধুমাত্র সেটা নিয়েই থাকে অন্য কোন চাকরির কথা বা উদ্যোক্তা হওয়ার কথা ভাবে না। কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে আপনি কি করতে চান? খুব কমসংখ্যক মানুষ বলবে যে সে উদ্যোক্তা বা বেসরকারি চাকরি করতে চায়। সবার মেইন প্রায়োরিটি থাকে সরকারি চাকরির দিকে। খুব কমসংখ্যক মা-বাবার ইচ্ছা থাকে তাদের সন্তানদের বেসরকারি চাকরি বা উদ্যোক্তা হওয়ার দিকে।

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিকে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ মনে করা হয়। তাদের ধারণা বিসিএস ক্যাডার হলে সামাজিক মর্যাদা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। আমাদের দেশে হাজার হাজার বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থী রয়েছে যারা বেকার; কিন্তু কথা হচ্ছে তারা এত মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও কেন তাদের বেকার থাকতে হচ্ছে? আসলে একজন শিক্ষার্থী যখন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখে তখন সে বুঝতে পারে না যে তারা যে সব সময় চাকরির পেছনে দৌড়ায় তার জন্য কী কী করতে হবে, শুধু একাডেমিক পড়া দিয়ে তাদের সেই স্বপ্নপূরণ করা কখনই সম্ভব নয়। আর তারা যখন পড়াশোনা শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয় তখন শুধু একাডেমিক যোগ্যতা অর্জন করে বের হয় যার কারণে তাদের প্রত্যাশিত চাকরি পাওয়া দুষ্কর হয়ে যায়।

সবার ইচ্ছাই যদি সরকারি চাকরির দিকে থাকে আর এই লক্ষ্যেই যদি এগিয়ে যায় তাহলে তারা ব্যর্থ হলে কখনো এগোতে পারবে না। তাই সব সময় বিকল্প ব্যবস্থা রাখা উচিত। সরকারি চাকরির পাশাপাশি আরো অন্যান্য বেসরকারি চাকরি বা উদ্যোক্তা হওয়ার মনোবল রাখা উচিত। তাহলে বেকারত্বের সংখ্যাটা একটু হলেও কমবে। বিসিএস নয়, বরং নিজের প্রতিভা এবং দক্ষতার ওপরে বিশ্বাস রাখলে যেকোনো পথেই সফলতা আসবে।

জয়া রানী পাল

শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা : স্বপ্ন নাকি মৃত্যুর ফাঁদ?

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

tab

পাঠকের চিঠি

বেকারত্বের ফাঁদ

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

বেকারত্বের সমস্যা আজ বাংলাদেশের তরুণ সমাজের জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। বেশিরভাগ মানুষ হলো শিক্ষিত বেকার। এর জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ী থাকে মানুষের বিসিএসকেন্দ্রিক মনোভাব। এই বিসিএসের চাহিদা ক্রমশ তরুণদের জীবনকে এখরোখা পথে নিয়ে যাচ্ছে; যা কেবল বেকারত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

একটি মানুষ পড়াশোনা করে জীবনের অনেকটা সময় ধরে তারপর চাকরির প্রস্তুতি নেয়; কিন্তু এত পড়াশোনা করেও তবু তারা চাকরি পায় না কেন? কেননা বেশিরভাগ শিক্ষার্থী উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার সময় ঠিক করে ফেলে যে তাদের লক্ষ্য হবে বিসিএস; যার ফলে সে শুধুমাত্র সেটা নিয়েই থাকে অন্য কোন চাকরির কথা বা উদ্যোক্তা হওয়ার কথা ভাবে না। কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে আপনি কি করতে চান? খুব কমসংখ্যক মানুষ বলবে যে সে উদ্যোক্তা বা বেসরকারি চাকরি করতে চায়। সবার মেইন প্রায়োরিটি থাকে সরকারি চাকরির দিকে। খুব কমসংখ্যক মা-বাবার ইচ্ছা থাকে তাদের সন্তানদের বেসরকারি চাকরি বা উদ্যোক্তা হওয়ার দিকে।

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিকে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ মনে করা হয়। তাদের ধারণা বিসিএস ক্যাডার হলে সামাজিক মর্যাদা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। আমাদের দেশে হাজার হাজার বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থী রয়েছে যারা বেকার; কিন্তু কথা হচ্ছে তারা এত মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও কেন তাদের বেকার থাকতে হচ্ছে? আসলে একজন শিক্ষার্থী যখন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখে তখন সে বুঝতে পারে না যে তারা যে সব সময় চাকরির পেছনে দৌড়ায় তার জন্য কী কী করতে হবে, শুধু একাডেমিক পড়া দিয়ে তাদের সেই স্বপ্নপূরণ করা কখনই সম্ভব নয়। আর তারা যখন পড়াশোনা শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয় তখন শুধু একাডেমিক যোগ্যতা অর্জন করে বের হয় যার কারণে তাদের প্রত্যাশিত চাকরি পাওয়া দুষ্কর হয়ে যায়।

সবার ইচ্ছাই যদি সরকারি চাকরির দিকে থাকে আর এই লক্ষ্যেই যদি এগিয়ে যায় তাহলে তারা ব্যর্থ হলে কখনো এগোতে পারবে না। তাই সব সময় বিকল্প ব্যবস্থা রাখা উচিত। সরকারি চাকরির পাশাপাশি আরো অন্যান্য বেসরকারি চাকরি বা উদ্যোক্তা হওয়ার মনোবল রাখা উচিত। তাহলে বেকারত্বের সংখ্যাটা একটু হলেও কমবে। বিসিএস নয়, বরং নিজের প্রতিভা এবং দক্ষতার ওপরে বিশ্বাস রাখলে যেকোনো পথেই সফলতা আসবে।

জয়া রানী পাল

শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

back to top