বাংলাদেশকে বলা হয় নদীর দেশ। এ দেশের মানচিত্রজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য নদী, খাল-বিল, পুকুর এবং জলাশয়। নদীমাতৃক এই দেশে পানির সঙ্গেই মানুষের জীবন যেন একাত্ম হয়ে আছে। আমাদের গ্রামীণ জীবনে পুকুর, খাল কিংবা নদী প্রতিদিনের চেনা দৃশ্য। তবু, পানির অপর নাম যেমন জীবন, তেমনি এর আরেক নাম মরণও হতে পারে। বিশেষ করে যারা সাতার জানেন না, তাদের জন্য পানির সান্নিধ্য কখনো কখনো মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বর্ষা মৌসুম এলেই বাঙালির জীবনে পানির গুরুত্ব এবং বিপদ দুটোই বেড়ে যায়। প্রচুর বৃষ্টিপাত, নদীর পানি বৃদ্ধি এবং কখনো কখনো বন্যা আমাদের জনজীবনকে ওলট-পালট করে দেয়। তদুপরি, ঘূর্ণিঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে বহু মানুষ পানিতে প্রাণ হারায়। অথচ যদি তাদের সাতার জানা থাকত, তবে হয়তো তারা নিজেদের জীবন রক্ষা করতে পারত।
বাংলাদেশের মানুষের জীবনে সাঁতার শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পাড়াগাঁয়ের প্রতিটি বাড়ির পাশেই থাকে পুকুর বা খাল। যেখানেই যাওয়া হোক, পানির উপস্থিতি যেন সর্বত্র। পানির দেশ হিসেবে বাংলাদেশে সাঁতার জানা প্রতিটি মানুষের জন্য এক অমূল্য দক্ষতা। শুধু দৈনন্দিন জীবনেই নয়, দেশপ্রেমিক বাহিনীগুলোর (সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী) সদস্য হতে হলেও সাঁতার জানা বাধ্যতামূলক। কারণ তারা জানে, এই দেশের ভূপ্রকৃতি ও পরিবেশে টিকে থাকতে হলে সাঁতার জানাটা অপরিহার্য।
সারা বিশ্বেই ভ্রমণপিপাসু মানুষরা নতুন নতুন জায়গায় যেতে ভালোবাসেন; কিন্তু যেখানে-সেখানে পানির উপস্থিতি থাকায় সাঁতার না জানলে ভ্রমণের আনন্দ যেমন মাটি হয়ে যায়, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ে।
সাঁতার শেখা কেবল একটি দক্ষতাই নয়, এটি জীবন বাঁচানোর ক্ষমতা। এ দেশের শিশু থেকে বয়স্কÑসব বয়সি মানুষের জন্য সাঁতার শেখা অত্যন্ত জরুরি। একজন সাঁতারজানা মানুষ শুধু নিজেকে নয়, প্রয়োজনে অন্যদের জীবনও রক্ষা করতে পারে। সাঁতার তাই শুধু ব্যক্তিগত সক্ষমতা নয়, এটি মানবিক দায়িত্ববোধেরও প্রতীক।
তাই আসুন, আমরা সবাই সাঁতার শেখার গুরুত্ব উপলব্ধি করি। বর্ষা আসার আগেই নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষার জন্য সাঁতার শেখা শুরু করি। সাঁতার জানুন, জীবন বাঁচান।
মোহাম্মদ ছরোয়ার
বাঁশখালী, চট্টগ্রাম
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশকে বলা হয় নদীর দেশ। এ দেশের মানচিত্রজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য নদী, খাল-বিল, পুকুর এবং জলাশয়। নদীমাতৃক এই দেশে পানির সঙ্গেই মানুষের জীবন যেন একাত্ম হয়ে আছে। আমাদের গ্রামীণ জীবনে পুকুর, খাল কিংবা নদী প্রতিদিনের চেনা দৃশ্য। তবু, পানির অপর নাম যেমন জীবন, তেমনি এর আরেক নাম মরণও হতে পারে। বিশেষ করে যারা সাতার জানেন না, তাদের জন্য পানির সান্নিধ্য কখনো কখনো মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বর্ষা মৌসুম এলেই বাঙালির জীবনে পানির গুরুত্ব এবং বিপদ দুটোই বেড়ে যায়। প্রচুর বৃষ্টিপাত, নদীর পানি বৃদ্ধি এবং কখনো কখনো বন্যা আমাদের জনজীবনকে ওলট-পালট করে দেয়। তদুপরি, ঘূর্ণিঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে বহু মানুষ পানিতে প্রাণ হারায়। অথচ যদি তাদের সাতার জানা থাকত, তবে হয়তো তারা নিজেদের জীবন রক্ষা করতে পারত।
বাংলাদেশের মানুষের জীবনে সাঁতার শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পাড়াগাঁয়ের প্রতিটি বাড়ির পাশেই থাকে পুকুর বা খাল। যেখানেই যাওয়া হোক, পানির উপস্থিতি যেন সর্বত্র। পানির দেশ হিসেবে বাংলাদেশে সাঁতার জানা প্রতিটি মানুষের জন্য এক অমূল্য দক্ষতা। শুধু দৈনন্দিন জীবনেই নয়, দেশপ্রেমিক বাহিনীগুলোর (সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী) সদস্য হতে হলেও সাঁতার জানা বাধ্যতামূলক। কারণ তারা জানে, এই দেশের ভূপ্রকৃতি ও পরিবেশে টিকে থাকতে হলে সাঁতার জানাটা অপরিহার্য।
সারা বিশ্বেই ভ্রমণপিপাসু মানুষরা নতুন নতুন জায়গায় যেতে ভালোবাসেন; কিন্তু যেখানে-সেখানে পানির উপস্থিতি থাকায় সাঁতার না জানলে ভ্রমণের আনন্দ যেমন মাটি হয়ে যায়, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ে।
সাঁতার শেখা কেবল একটি দক্ষতাই নয়, এটি জীবন বাঁচানোর ক্ষমতা। এ দেশের শিশু থেকে বয়স্কÑসব বয়সি মানুষের জন্য সাঁতার শেখা অত্যন্ত জরুরি। একজন সাঁতারজানা মানুষ শুধু নিজেকে নয়, প্রয়োজনে অন্যদের জীবনও রক্ষা করতে পারে। সাঁতার তাই শুধু ব্যক্তিগত সক্ষমতা নয়, এটি মানবিক দায়িত্ববোধেরও প্রতীক।
তাই আসুন, আমরা সবাই সাঁতার শেখার গুরুত্ব উপলব্ধি করি। বর্ষা আসার আগেই নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষার জন্য সাঁতার শেখা শুরু করি। সাঁতার জানুন, জীবন বাঁচান।
মোহাম্মদ ছরোয়ার
বাঁশখালী, চট্টগ্রাম