alt

পাঠকের চিঠি

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

: বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বুকে লালিত স্বপ্নটাকে বাস্তবে পরিণত করার লক্ষ্যে অবিরত কঠোর পরিশ্রম করতে থাকে ভর্তি পরীক্ষার্থীরা। স্বপ্ন তার দেশের স্বনামধন্য সরকারি মেডিকেল কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। চলছে ভর্তি পরীক্ষার মৌসুম। দিন রাতকে পরোয়া না করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীরা। স্বপ্ন পাবলিকিয়ান হওয়া। আমাদের দেশে পাবলিক মেডিকেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট সংখ্যা খুবই সীমিত। কিন্তু এর বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি।

২০২৪ সালে ঐঝঈ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল সাড়ে ১৪লাখ শিক্ষার্থী।এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৭.৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। কেবল তারাই বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে।

বাংলাদেশে সরকারি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট সংখ্যা ৫৩৮০টি এবং সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটের সংখ্যা ৫১১৫২টি। যেহেতু অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পাবলিকান হওয়া, যখন তারা তাদের স্বপ্নটাকে খুব কাছে গিয়েও ছুঁতে পারে না এই প্রতিযোগিতার রাজ্যে,তখন তার ওপর ভর করে সব রাজ্যের হতাশা। তার উপর রয়েছে সেকেন্ড টাইমাররা, অতীতের কালো দিনগুলো ভুলে; পাবলিকান হওয়ার স্বপ্নটাকে বুকে নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রস্তুতি নেয় ভর্তি পরীক্ষার,তখন তাকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। পরিবার থেকে সমাজ; সবখানেই তাদের সহ্য করতে হয় মানসিক যন্ত্রণা। যার ফলস্বরূপ তারা মানসিক ভাবে ভেঙে পরে। যেই সময়টাতে তাদের বেশি মেন্টালি সাপোর্টের দরকার সেই সময়টায় তারা চরম বঞ্চনার শিকার হয়। যার কারণে অনেকেই আর সামনে আগানোর শক্তি পায়না। ভালো প্রস্তুতি নেয়া সত্ত্বেও, মেন্টাল ট্রমার কারণে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারে না। ফলশ্রুতিতে,পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ আসলে অনেকেই বেছে নেয় জীবন নাশের পথ। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, সমাজের মানুষদের দৃষ্টিভঙ্গি তাদের ঠেলে দেয় মৃত্যুর মুখে।

পাবলিকান হওয়ায় জীবনের সব না। পাবলিকান হওয়া ছাড়াও জীবনে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া যায়। সমাজের প্রত্যেকটা মানুষের উচিত এই ভর্তি পরীক্ষার সময়টায় শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাদের অনুপ্রেরণা দেয়া। অনুপ্রেরণা আমাদের অনেক দূর নিয়ে যায়, কঠিনকে অর্জন করার শক্তি দেয়। কারো একটু অনুপ্রেরণা হতে পারে সফলতার মূল কারণ।

তানিয়া আক্তার

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

মানুষের দাবি ও জনদুর্ভোগ

ছবি

মেট্রোরেল স্টেশনে বিড়ম্বনা কেন?

ট্রেন চলাচল বন্ধ : সংকট সমাধানে আলোচনা করতে হবে

ছবি

খেলার মাঠের অভাবে শিশুর মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে

ল্যাম্পপোস্ট মেরামত করুন

পর্যটকদের নিরাপত্তা

শীতে গরম পানি ব্যবহার করা ও আগুন পোহাতে সচেতন হতে হবে

ছিন্নমূল শীতার্তদের দিকে নজর দেয়া উচিত

ছবি

রোজায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে এখন থেকেই ব্যবস্থা নিন

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা জরুরি

ছাত্র সংসদ চালু করা এখন সময়ের দাবি

রেলপথের অনেক সিগন্যালেরই আয়ূষ্কাল শেষ

ছবি

ভোজ্যতেলের বাজারে তদারকি প্রয়োজন

ছবি

সড়কে বেপরোয়া বাইক

বেকারত্বের ফাঁদ

ভূমিকম্প মোকাবিলায় কি আমরা প্রস্তুত

জাল নোট

ছবি

এইচএমপিভি সংক্রমণ : আতঙ্ক নয়, সচেতনতার প্রয়োজন

ছবি

অপরিকল্পিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি

মুন্সীগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম

ছবি

এনসিটিবির হাতে ‘গাছের পাতা’ ছেঁড়া হলো

কঠিন অধ্যবসায়, সাবলীল জীবন

উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে ভ্যাটের বোঝা

বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের বাড়াবাড়ি

যমজ সন্তান ভর্তিতে ভোগান্তি

পাবলিক লাইব্রেরি সমৃদ্ধ করুন

ছবি

গ্যাসের সংকট কী কাটবে না?

tab

পাঠকের চিঠি

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বুকে লালিত স্বপ্নটাকে বাস্তবে পরিণত করার লক্ষ্যে অবিরত কঠোর পরিশ্রম করতে থাকে ভর্তি পরীক্ষার্থীরা। স্বপ্ন তার দেশের স্বনামধন্য সরকারি মেডিকেল কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। চলছে ভর্তি পরীক্ষার মৌসুম। দিন রাতকে পরোয়া না করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীরা। স্বপ্ন পাবলিকিয়ান হওয়া। আমাদের দেশে পাবলিক মেডিকেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট সংখ্যা খুবই সীমিত। কিন্তু এর বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি।

২০২৪ সালে ঐঝঈ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল সাড়ে ১৪লাখ শিক্ষার্থী।এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৭.৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। কেবল তারাই বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে।

বাংলাদেশে সরকারি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট সংখ্যা ৫৩৮০টি এবং সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটের সংখ্যা ৫১১৫২টি। যেহেতু অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পাবলিকান হওয়া, যখন তারা তাদের স্বপ্নটাকে খুব কাছে গিয়েও ছুঁতে পারে না এই প্রতিযোগিতার রাজ্যে,তখন তার ওপর ভর করে সব রাজ্যের হতাশা। তার উপর রয়েছে সেকেন্ড টাইমাররা, অতীতের কালো দিনগুলো ভুলে; পাবলিকান হওয়ার স্বপ্নটাকে বুকে নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রস্তুতি নেয় ভর্তি পরীক্ষার,তখন তাকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। পরিবার থেকে সমাজ; সবখানেই তাদের সহ্য করতে হয় মানসিক যন্ত্রণা। যার ফলস্বরূপ তারা মানসিক ভাবে ভেঙে পরে। যেই সময়টাতে তাদের বেশি মেন্টালি সাপোর্টের দরকার সেই সময়টায় তারা চরম বঞ্চনার শিকার হয়। যার কারণে অনেকেই আর সামনে আগানোর শক্তি পায়না। ভালো প্রস্তুতি নেয়া সত্ত্বেও, মেন্টাল ট্রমার কারণে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারে না। ফলশ্রুতিতে,পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ আসলে অনেকেই বেছে নেয় জীবন নাশের পথ। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, সমাজের মানুষদের দৃষ্টিভঙ্গি তাদের ঠেলে দেয় মৃত্যুর মুখে।

পাবলিকান হওয়ায় জীবনের সব না। পাবলিকান হওয়া ছাড়াও জীবনে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া যায়। সমাজের প্রত্যেকটা মানুষের উচিত এই ভর্তি পরীক্ষার সময়টায় শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাদের অনুপ্রেরণা দেয়া। অনুপ্রেরণা আমাদের অনেক দূর নিয়ে যায়, কঠিনকে অর্জন করার শক্তি দেয়। কারো একটু অনুপ্রেরণা হতে পারে সফলতার মূল কারণ।

তানিয়া আক্তার

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

back to top